শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কর্মস্থলে ফেরা নির্বিঘ্ন হোক

ফেরি চলাচলে স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করুন

ঈদ উদযাপনে যারা স্বজনদের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন তাদের রাজধানীতে ফেরার পালা শুরু হয়েছে। এ বছরের ঈদুল আজহায় রেকর্ড সংখ্যক লোক ঢাকা ছেড়েছেন। উৎসব পালন শেষে যারা ঢাকায় ফিরছেন তাদের এবার বাড়তি চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ সর্বত্রই ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই অবস্থা। যানবাহনের টিকিট পাওয়া আর সোনার হরিণের নাগাল পাওয়া সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাড়তি যানবাহনের ব্যবস্থা করা হলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সাধারণত, স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে কর্মস্থল ছাড়া শুরু হয় ঈদের ১০-১২ দিন আগে থেকে। ঈদ পালনের পর দুই সপ্তাহ ধরে চলে কর্মস্থলে ফেরার পালা। চাকরিজীবীরা ছুটি শেষে ফেরার চেষ্টা করলেও ব্যবসায়ী ও অন্য পেশাজীবীদের ঈদ অবকাশ কিছুটা দীর্ঘায়িত হয়। অনেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসেন পরিবারের অন্য সদস্যদের গ্রামের বাড়িতে রেখে। তারা ফেরেন আলাদাভাবে দু-চার দিন কিংবা সপ্তাহখানেক পরে। এ বছর সরকার ঈদ পরিবহন ব্যবস্থায় কিছুটা হলেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে। যানবাহনে বাড়তি যাত্রীর ভিড় থাকলেও ভোগান্তি তুলনামূলক বিচারে আগের বছরগুলোর চেয়ে কম হয়েছে। সবারই আশা তাদের কর্মস্থলে ফেরার পালাটা নির্বিঘ্ন হোক। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন বেশ শক্তিশালী। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ পালনের রেওয়াজ চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ রেওয়াজ মানুষের সংবেদনশীলতার অংশ হয়েও দাঁড়িয়েছে। ফলে যারা কর্মস্থল ছেড়ে স্বজনদের মাঝে গিয়েছিলেন, তারা যাতে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন এ ব্যাপারে সরকার তথা প্রশাসনকে দায়িত্বশীল হতে হবে। সড়কপথে কোথাও যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় সে নজর রাখতে হবে। এবারের ঈদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে ঘরে ফিরতে ফেরি পারাপারে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। কর্মস্থলে ফেরা নির্বিঘ্ন রাখতে ফেরি চলাচলে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে দিতে হবে বাড়তি নজর।  এ বছর ঈদ ব্যবস্থাপনায় সরকার যে সাফল্য দেখিয়েছে তা ধরে রাখতে উৎসব শেষে যারা কর্মস্থলে ফিরছেন তাদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সবাইকে তত্পর থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর