শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিদায় ২০১৬ সাল

অর্জিত সাফল্য ধরে রাখতে হবে

স্মৃতিবিজড়িত ২০১৬ সালের আজ শেষ দিন। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নেবে গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডারের এই স্মরণীয় বছরটি। ২০১৬ সাল জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে নানা কারণে গুরুত্বের অধিকারী। জাতীয় জীবনে ২০১৬ সাল বাংলাদেশের মানুষের জন্য আশাজাগানিয়া বছর হিসেবে যেমন বিবেচিত হবে তেমন বিবেচিত হবে জঙ্গিবাদ উপদ্রুত আতঙ্কের বছর হিসেবে। দেশের অর্থনীতিতে ২০১৬ সাল সাফল্য ও দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার বছর হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের সীমা অতিক্রম করার সাফল্য অর্জিত হয়েছে বিদায়ী বছরে। একের পর এক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও পদ্মা সেতুসহ একসঙ্গে বহুসংখ্যক বড় ধরনের প্রকল্প এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে এই সময়ে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেছে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের মুখে। বাংলাদেশ সফর করে তিনি বলেছেন দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য এখন অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। বিদায়ী বছর ছিল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বছর। সংঘাতের বদলে বিদায়ী বছরে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টির শুভলক্ষণ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশনের সার্চ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে যোগ দিয়েছে সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। নির্বাচন বর্জনের ভুল পথ থেকে সরে এসে তারা নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের যে পথ রচিত হয়েছে তা আগামী দিনের সব নির্বাচনের জন্য অনুকরণীয় হবে, এমনটিই আশা করা যায়। বিদায়ী বছরটি ছিল জঙ্গিবাদের সঙ্গে ১৬ কোটি মানুষের লড়াইয়ের বছর। গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলা জাতির জন্য যে লজ্জা বয়ে এনেছিল তা ঝেড়ে ফেলতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে পুলিশ-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাফল্য ছিল আশাজাগানিয়া। একটি আধুনিক ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে জঙ্গিবাদবিরোধী সংগ্রামের সাফল্য আশাজাগানিয়া। এ সাফল্য আগামী দিনের পথচলার ক্ষেত্রে সাহস জোগাবে, এমনটিও আশা করা যায়। বিদায়ী বছরে অর্জিত  সাফল্যগুলো যে কোনো মূল্যে আগামীতেও ধরে রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর