শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

হোন্ডা গুণ্ডা আর মণ্ডা এই তিন নির্বাচনের পাণ্ডা

মেজর মো. আখতারুজ্জামান (অব.)
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
হোন্ডা গুণ্ডা আর মণ্ডা এই তিন নির্বাচনের পাণ্ডা

নির্বাচন কমিশন হলো একটি সাংবিধানিক ও আদর্শিক কিন্তু দুর্বল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের একমাত্র নিয়ামক প্রতিষ্ঠান কিন্তু ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক পক্ষ সব সময় নির্বাচন কমিশনকে তাদের অনুগত করে রাখতে চায়। যার ফলে নির্বাচনের মাঠে সবচেয়ে দুর্বল একজন রেফারিতে পরিণত হয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের সময় সবাই নির্বাচন কমিশনকে হাতে রাখতে চায়, কারণ সবার ধারণা নির্বাচনে জয়ী হতে হলে নির্বাচন কমিশনকে হাতে রাখতে হবে, তাই সবাই বেচারা নির্বাচন কমিশনের দয়া এবং দাক্ষিণ্য কামনা করে। শুধু কামনা নয় একেবারে নির্বাচন কমিশনকে তাদের পকেটে পুরে ফেলতে চায়।

জনগণের কাছে যেসব প্রার্থীর কদর কম তাদের কাছে নির্বাচন কমিশন দেবতার মতো এবং প্রধান নির্বাচন কমিশন জনধিকৃত দল বা প্রার্থীদের কাছে যেন ভগবান। তারা মনে করে নির্বাচন কমিশন চাইলেই যে কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা করে দিতে পারে। জনগণের ভোটের প্রয়োজন পড়ে না এবং মাঝে মাঝে রকিবমার্কা নির্বাচন কমিশন এ ধরনের তেলেসমাতি দেখায়ও বটে। তাই ওই সব কম জনপ্রিয় দল বা ব্যক্তির কাছে জনগণের চেয়ে নির্বাচন কমিশন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন যা আমরা অনেক সময় ভুলে যাই।

নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সংবিধান জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় সংসদের এলাকা নির্ধারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সৃষ্টি করেছে। নির্বাচন জাতীয় সংসদের এবং বর্তমানে স্থানীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে কাজ করবে এবং সব রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বে তার স্থান কিন্তু সংবিধান এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান ও ক্ষমতা নিয়ে একটি শব্দও সংযোজন করেনি। জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দায়িত্ব এককভাবে সংবিধান নির্বাচন কমিশনের কাঁধে দিয়েছে কিন্তু এককভাবে সেই নির্বাচন করার কোনো ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়নি।

নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দায়িত্বও দিয়েছে কিন্তু সেই নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকারের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। সাম্প্রতিক সময় থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও রাজনৈতিক দলভিত্তিক করা হয়েছে, যার ফলে নির্বাচন কমিশনের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে যে চাপ সহ্য করা অনেক সময় নির্বাচন কমিশনের জন্য কঠিন হয়ে যায়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দায়িত্বের কারণে সারা বছরই নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। নির্বাচন কমিশনে লোকবল খুবই কম যার ফলে নির্বাচন কমিশনকে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়। এই নির্ভরশীলতার কারণে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সব সময় প্রত্যাশিত মানের নির্বাচন করা সম্ভব হয় না। স্থানীয় সরকার প্রশাসন দেশের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন স্তর যেখানে অনৈতিক কাজই কোনো কোনো ক্ষেত্রে নৈতিক কাজ হিসেবে স্বীকৃত। অবৈধ আর্থিক লেনদেন একটি খোলা মেলা বিষয়। উপজেলা পর্যায়ে দুর্নীতি করে না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তার ওপরে আছে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব বিস্তার করার নগ্ন প্রতিযোগিতা। এমন অস্বস্তিকর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের চিন্তা সোনার পাথর বাটির মতো কল্পবিলাস। নির্বাচন কমিশনের আরেকটি প্রধান কাজ হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এলাকা নির্ধারণ। সংবিধান জাতীয় সংসদের আসনের এলাকা নির্ধারণের একক ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছে কিন্তু জাতীয় সংসদের একটি আসনের এলাকা কী ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে তা স্পষ্ট করে সংবিধানে উল্লেখ করা হয়নি। ফলে নির্বাচন কমিশন তাদের খেয়াল খুশিমতো এলাকা নির্ধারণ করে, যার ফলে বিভিন্ন আসনের মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। কোথাও চার বর্গমাইল এলাকায় ২০ লাখ ভোটার আবার কোথাও ১০০ বর্গমাইল এলাকায় ৪ লাখেরও কম ভোট। যার ফলে সীমানা নির্ধারণের জটিলতা প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের সময় লেগেই থাকে এবং নির্বাচন কমিশন এলাকা নির্ধারণে এমন এক ধরনের অনমনীয় আচরণ করে যার ফলে তারা জাতীয় নির্বাচনে অযথা বিতর্কের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশনের আরেকটি বড় দায়িত্ব হলো জাতীয় নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা তৈরি করা কিন্তু কোন নীতিমালায় একজন ভোটার একটি সুনির্দিষ্ট এলাকায় তালিকাভুক্ত হবে তা সুনির্দিষ্টিকরণ হয়নি। এখানে অনেক বিষয় একসঙ্গে নিয়ে এসে ভোটার তালিকাকে জটিল করে ফেলা হয়েছে। তার একটি জাতীয় নিবন্ধন, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি জাতীয় ভোটার তালিকা, একটি ভোটার আইডি, একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভোটার তালিকা।

এখানে তিনটি মূল বিষয় হলো জাতীয় নিবন্ধন, জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভোটার তালিকা। কিন্তু এ তিনটি বিষয় পরস্পরবিরোধী। বাংলাদেশের একজন নাগরিক বাংলাদেশে বা দেশের বাইরে জন্মগ্রহণ করে নাগরিকত্ব লাভ করে নিবন্ধিত হতে পারে এবং নিবন্ধিত হওয়াতে তার জাতীয় পরিচয়পত্র তার থাকতে পারে। জাতীয় পরিচয়পত্রধারী ব্যক্তি বাংলাদেশের যে কোনো একটি স্থান থেকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকাভুক্ত হতে পারে। আবার একই ব্যক্তি কোনো নগর বা পৌরসভায় নিজস্ব বাড়িঘর থাকার সুবাদে সেখান থেকে স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে পারে। কারণ ওই ব্যক্তি মহানগর, নগর বা পৌরসভায় তার স্থাবর সম্পত্তি থাকার কারণে তাকে পৌরকর দিতে হবে। যেহেতু একজন ব্যক্তি পৌরকর দেবে তাহলে সে কেন ওই এলাকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না তা জনমনে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন এক নয়। তাছাড়া দুটি নির্বাচনের লক্ষ্যও এক নয়। জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সংসদের জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। বাংলাদেশের মালিক জনগণ এবং সংবিধান জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে রচিত হয়েছে। সংসদ সদস্য কোনো চাকরি নয় এবং তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব নেই। সংসদ সদস্য জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সারা বাংলাদেশেই তারা রাষ্ট্রের যে কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু স্থানীয় সরকারের যে কোনো নির্দিষ্ট পদে যে কোনো সুনির্দিষ্ট এলাকায় কতগুলো সুনির্দিষ্ট কাজ করার জন্য এলাকার বাসিন্দারা নির্বাচিত করে দেয়। তারা জনপ্রতিনিধি নন, তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি মাত্র এবং তারা তাদের সুনির্দিষ্ট কাজ ও এলাকা ছাড়া অন্য কোনো কাজ যেমন করতে পারে না তেমনি অন্য এলাকায় গিয়েও সেই কাজ করতে পারেন না। কাজেই জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন এক মানদণ্ডে বিচার করা যুক্তিসঙ্গত হবে না। একইভাবে অনেকে মনে করেন একটি অভিন্ন ভোটার তালিকায় জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন সঠিক হতে পারে না। জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা ভোটার তালিকা জনগণের দাবি। অতীতে একজন নাগরিক একাধিক জায়গায় ভোটার হতে পারত কিন্তু ১/১১-এর সরকার সেই আইন রহিত করে অভিন্ন ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে যার ফলে জনগণের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘিত হয় বলে অনেকে মনে করেন। একজন ভোটার যাতে জাতীয় নির্বাচনে একাধিক ভোটার হতে না পারে সে লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি ভোটার তালিকা এবং স্থানীয় নির্বাচনের জন্য আরেকটি আলাদা স্থানীয় সরকারভিত্তিক ভোটার তালিকা করা উচিত বলে অনেকে মনে করেন।

জনগণের প্রত্যশা নির্বাচন কমিশন একটি আদর্শিক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হবে। নির্বাচন কমিশন তাদের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে। যেহেতু নির্বাচন কমিশন তাদের কাজের জন্য কারও কাছে দায়বদ্ধ নয় তাই জনগণ তাদের সব কাজে দৃশ্যমান সততা, ন্যায় ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে তা প্রত্যাশা করে। এ ব্যাপারে সংবিধান নির্বাচন কমিশনের কোনো সীমাবদ্ধতা তৈরি করে দেয়নি। নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞা, নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা প্রশ্নাতীত রেখেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের অনেক সিদ্ধান্ত বা কর্মকাণ্ড বিতর্কিত হওয়ার পরেও নির্বাচন কমিশনকে জনগণ আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করায় না। নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতা জনগণ মেনে নেয়।

জাতীয় নির্বাচনে দেশের মহা পরাক্রমশালী রাজনৈতিক দল এবং অসীম ক্ষমতাধর রাজনৈতিক ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন অথচ তাদের প্রাপ্য সুবিধাদি প্রদান করার কোনো নিশ্চয়তা নির্বাচন কমিশন দিতে পারে না। যার ফলে ক্ষমতাধরদের দাপটে সংকুচিত হয়ে যায় সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের স্বার্থে সবার সমআচরণ নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের কাছে সব রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও নেতৃবৃন্দের কাম্য। কিন্তু সংবিধান এখানেও অপ্রত্যাশিতভাবে নীরব। অপ্রত্যাশিত এ জন্য যে সংবিধানে এ ব্যাপারে আইন করার সুনির্দিষ্ট নির্দেশ আছে নির্বাচন কমিশন নিয়োগে রাষ্ট্র আইন করবে কিন্তু রাষ্ট্র আইন না করতে পারলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে না করলে তখন কী করতে হবে তার নির্দেশ বা নির্দেশাবলি সংবিধানে রাখা হয়নি। যদিও রাষ্ট্রপতিকে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিন্তু রাষ্ট্রপতিও সেই দায়িত্ব জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী পালন করেন কি না স্পষ্ট নয়। তাই সংবিধানে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না রাখাটা সংবিধান রচয়িতাদের কাছে প্রত্যাশিত নয়। যখন যে রাজনৈতিক দল বা জোট ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের প্রত্যাশা থাকে নির্বাচন কমিশন তাদের আজ্ঞাবহ হবে। আবার যখন ওই দলই বা জোট বা ওই নেতৃবৃন্দ ক্ষমতার বাইরে থাকে তখন তাদের প্রত্যাশা তৈরি হয় নির্বাচন কমিশন সরকারের বিপক্ষে থাকবে এবং সরকারবিরোধীর প্রতি সব প্রকার আনুকূল্য দেখিয়ে সবার প্রতি সমআচরণ করবে যাকে আবার গালভরা বুলি দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলা হয়!! তখন বিরোধী দলের আবদার থাকে যাতে নির্বাচন কমিশন তথাকথিত নিরপেক্ষতা বজায় রাখে। সরকারে থাকলে তাদের প্রত্যাশা হয় নির্বাচন কমিশন যেন রাষ্ট্রের স্বার্থে এবং শান্তি ও শৃঙ্খলার প্রয়োজনে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে। সরকারের বাইরে সব মহলের আবদার থাকে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সমান রাখার জন্য!!! যেখানে এক দলের নির্বাচন বাজেট হাজার কোটি টাকা এবং আরেক দলের বাজেট এক কোটি টাকাও নয়, সেখানে নির্বাচন কমিশনের তথাকথিত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হাস্যকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কী অদ্ভুত প্রত্যাশা জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং দেশের তাবৎ সুশীল সমাজের!!! কাজেই সংবিধান এখানে অপ্রত্যাশিতভাবে নীরব। সব রাজনৈতিক দল, নেতৃবৃন্দ এবং সুশীল সমাজ জানে ক্ষমতাসীন দল সব সময় নির্বাচনে একটি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে যদি না দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সংবিধান রাষ্ট্রের ক্ষমতার পালাবদলের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে কিন্তু পালাবদলের জন্য যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে সেই নির্বাচনের নিয়মনীতি সুস্পষ্ট করে রাখেনি এবং ওই নির্বাচন করার দায়িত্ব সংবিধান যে নির্বাচন কমিশনের হাতে দিয়েছে সেই নির্বাচন কমিশনকে তার দায়িত্ব পালনে পর্যাপ্ত ক্ষমতাশালীও সংবিধান এখনো পর্যন্ত করতে পারেনি। এমনকি সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ বা আলোচনা ছাড়াই এককভাবে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য। অথচ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে দুটি সিদ্ধান্ত ছাড়া অন্য কোনো সিদ্ধান্ত সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে দেয়নি। যার ফলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতায় রাখা বা ক্ষমতা চলমান রাখা নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব বলে মনে করে। যেমন বিদায়ী নির্বাচন কমিশন বিদায় নেওয়ার সময় বলে গেছে, তারা নাকি দেশের স্থিতিশীলতা ও সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সুষ্ঠু নির্বাচন করেছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছেন কাউকে ক্ষমতায় বসাতে বা কাউকে ক্ষমতা থেকে সরাতে নির্বাচন হয় না। জাতীয় নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। এখানে নির্বাচনই মুখ্য এবং নির্বাচন হতেই হবে ক্ষমতার পালাবদলের জন্য। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচনের তিনটি শর্ত অবশ্যই বাধ্যতামূলক। তার একটি হলো সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা। দ্বিতীয়টি হলো নির্বাচনে একাধিক পরস্পরবিরোধী প্রার্থী। তৃতীয়টি হলো জনগণের ভোট প্রদান করতে পারার নিশ্চয়তা। নির্বাচনে পাস করে কে কী করবে সেটার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের না কিন্তু কাউকে নির্বাচিত ঘোষণা করতে হলে নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা, প্রার্থীর নাম এবং জয়ী হওয়ার ভোট সংখ্যার পার্থক্য অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এখন যদি কোনো নির্বাচন কমিশন মনে করে ক্ষমতার পালাবদল নিশ্চিত করার জন্য চার লাখ ভোটারের নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন প্রার্থী কোনো ভোট না পেয়েও একক প্রার্থী হওয়ার সুবাদে নির্বাচন কমিশন তাকে জয়ী ঘোষণা করে তা প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয় তা বিশ্বব্যাপী সবাই বলবে। এ ধরনের নির্বাচন কমিশনের আদর্শিক কোনো ভিত্তি আছে তা পৃথিবীর কেউ মেনে নেবে না। কিন্তু নির্বাচন কমিশন একটি আদর্শিক প্রতিষ্ঠান যে নিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য যা সংবিধানে লেখা নেই কিন্তু তা জনগণের ঐকান্তিক প্রত্যাশা।

আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করে হোন্ডা, গুণ্ডা এবং মণ্ডা (মণ্ডা মানে অর্থ)। হোন্ডা, গুণ্ডা আর মণ্ডার কাছে নির্বাচন কমিশন অসহায়। এ তিন অপশক্তিকে রোখার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বড় দলগুলোর কাছে এ তিন পাণ্ডার ভীষণ কদর। বড় কয়েকটি দল কখনোই পাণ্ডাদের বিরুদ্ধে কিছু বলবে না, কারণ তাদের সরাসরি মদদ ছাড়া তারা অসহায়। সরকারি দল আবার সরকারি হোন্ডা, গুণ্ডা এবং সরকারি মণ্ডা ব্যবহার করে। অর্থাৎ সরকারি গাড়ি, পুলিশ ও প্রশাসন এবং সরকারি অর্থ। পাশাপাশি বড় বিরোধী দলগুলো     দলের বা পাড়ার হোন্ডা, গুণ্ডা এবং বড় ব্যবসায়ীদের মণ্ডা ব্যবহার করে। যে দল তাদের জন্য এই তিন পাণ্ডাদের পায় না তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কোরাশ গায় এবং শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের             ধুয়া তুলে!!

দুর্বল নির্বাচন কমিশনের পক্ষে হোন্ডা, গুণ্ডা আর মণ্ডা নিয়ন্ত্রণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এরা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের আদর ও হেফাজতে বেড়ে ওঠে। ওরা পরস্পরের অতি আপন এবং একজন আরেকজনের রক্ষাকবচ। তবে এ দুষ্টচক্রের জম হলো র‌্যাব ও সেনাবাহিনী। তাই যে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিত একান্ত প্রয়োজন। যদিও আমাদের আঁতেল সুশীল সমাজ সেনাবাহিনীর নাম শুনতে পারে না যার ফলে নির্বাচন কমিশন সুশীল সমাজের মন রক্ষা করতে গিয়ে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের কাজে লাগানোকে অগণতান্ত্রিক মনে করে।

ভোটারবিহীন নির্বাচন গণতান্ত্রিক হয় কিন্তু সেনাবাহিনী নিয়োগ করে হোন্ডা, গুণ্ডা আর মণ্ডা নিয়ন্ত্রণ করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসে সুষ্ঠু ভোট ওনাদের কাছে ভালো লাগে না!! এখানে এক ধরনের হীনম্মন্যতা কাজ করে বলে অনেকের ধারণা। তবে যে যাই বলুক সেনা নিয়োগ ছাড়া কোনো নির্বাচন বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না এবং পারবেও না। হোন্ডা, গুণ্ডা আর মণ্ডা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শক্ত ডাণ্ডার দরকার যা একমাত্র সেনাবাহিনীরই আছে। দুর্বল নির্বাচন কমিশন যদি সময় থাকতে সেনাবাহিনী নিয়োগ করতে না পারে বা না করে তাহলেই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আশা করা চরম দুরাশা এবং তা আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবেই থেকে যাবে।

     লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

এই বিভাগের আরও খবর
সৌরবিদ্যুৎ
সৌরবিদ্যুৎ
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
ঝুঁকিতে ব্যাংক খাত
আহা, আমাদের ভৈরব!
আহা, আমাদের ভৈরব!
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
মানুষ হত্যা অমার্জনীয় অপরাধ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
প্লাবনের শঙ্কা
প্লাবনের শঙ্কা
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
সন্তান প্রতিপালনে অগ্রাধিকার পাক সততার শিক্ষা
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
কর্মজীবী নারী
কর্মজীবী নারী
ঐকমত্যে অনৈক্য
ঐকমত্যে অনৈক্য
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা