দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের ২৩৭টিতে তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বাকি ৬৩টি আসনের কিছু আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে। কিছু আসন শরিক দলগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর সারা দেশে নির্বাচনি হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি সেসব আসনের কয়েকটিতে শরিক দলের নেতাদের সবুজসংকেত দেওয়ায় তারাও জোরেশোরে নেমে পড়েছেন নির্বাচনি মাঠে। নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ আবারও সংশোধন করে জোটের ভোটে নিজ দলীয় প্রতীকে লড়ার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। এটি সম্ভব হলে শরিক দলের প্রার্থীরা ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবেন এবং তাঁদের পক্ষে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দায় অনুভব করবে। সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩৭টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষিত তালিকায় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১২টি আসনে নারী প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটি প্রাথমিক তালিকা। যে কোনো সময় যে কোনো আসনের প্রার্থিতা পরিবর্তন হতে পারে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার ওই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর প্রকারান্তরে জোরেশোরে নির্বাচনি ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। নির্বাচনের পক্ষে শুরু হয়েছে জনজোয়ার। যা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রোখার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।