বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আমেরিকা-ইউরোপের মানুষের গায়ে এখন শোভা পায় বাংলাদেশে তৈরি পোশাক। বিশ্বকাপ ফুটবলের মিলিয়ন ডলার দামের তারকা ফুটবলারদের জার্সিও তৈরি হয় বাংলাদেশে। পৃথিবীর ২০০টির বেশি দেশের মধ্যে পদ্মা মেঘনা যমুনাপারের জনপদ এখন ৩৫তম অর্থনীতি। আমাদের একসময়ের প্রভু দেশ পাকিস্তানের অবস্থান ৪১তম। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে গরিব দেশ। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের ভাষায় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। এ দেশের এলিট শ্রেণির মানুষও ছিল স্বাধীনতার পর আমেরিকা বা ইউরোপ থেকে আসা পুরোনো পোশাকের ওপর নির্ভরশীল। সারা দেশের বিদেশি পুরোনো পোশাক বিক্রির কেন্দ্রগুলো পরিচিত ছিল ‘নিক্সন মার্কেট’ হিসেবে।
রিচার্ড মিলহাউস নিক্সন হলেন আমেরিকার ইতিহাসের একজন বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। ক্ষমতাচ্যুত বা অভিশংসন এড়াতে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। আমেরিকার ইতিহাসে আর কোনো প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের নজির নেই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও তাঁর ইহুদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জার ছিলেন আমেরিকার তাঁবেদার রাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় আমেরিকার এই দুই নেতার জিঘাংসার টার্গেটে পরিণত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট। কিসিঞ্জার তখন চীন সফরে। প্রেসিডেন্ট নিক্সন ফোনে কথা বলছেন হেনরি কিসিঞ্জারের সঙ্গে। তাঁদের আলাপচারিতায় একপর্যায়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ আসতেই নিক্সন গালি দিয়ে ওঠেন কুত্তি বলে। ইংরেজিতে তাঁর বলা বাক্যটি ছিল, ‘We really slobbered over the old bitch’.
নিক্সনের মা একজন কোয়েকার খ্রিস্টান। এই সম্প্রদায়ের লোকেরা মদ পান, নাচ ও খারাপ ভাষা ব্যবহার থেকে দূরে থাকে। এটিকে তারা ধর্মীয় কর্তব্য বলেও ভাবে। কিসিঞ্জারের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে নিক্সন ইন্দিরা গান্ধীকে নোংরা ভাষায় গালি দিয়ে নিজের প্রতিহিংসার প্রকাশ ঘটান। দীর্ঘ ৪৫ বছর নিক্সন-কিসিঞ্জারের এই ফোনালাপের বিষয়টি গোপন থাকে। ৪৫ বছর পর সিআইএ ফোনালাপের গোপন ডকুমেন্ট প্রকাশ করে। ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে গালি খেতে হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন জানানোর জন্য। নিজের দেশের জন্য ঝুঁকি নিয়েও তিনি বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিমান দেশ আমেরিকার সমর্থন সত্ত্বেও পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী বাংলাদেশে পরাজিত হয় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের হাতে।
নিক্সন-কিসিঞ্জারের ফোনালাপের আট দিন আগে ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর ইন্দিরা গান্ধী আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন। সাফ সাফ বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সারা বিশ্ব ঘুমিয়ে থাকলেও তিনি চুপ থাকবেন না। নিক্সন ইন্দিরা গান্ধীকে হুমকির সুরে বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো যাবে না।
ইন্দিরা গান্ধী আমেরিকার পরামর্শ পাত্তা দেননি। তিনি পাকিস্তানের সুমতির জন্য আট মাস অপেক্ষা করেছেন। ভেবেছেন নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরা সসম্মানে তাদের দেশে ফিরে যাবে। কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষে চীন ও আমেরিকার মদত থাকায় তারা ছিল বেপরোয়া। বিশ্বের ২৪টি দেশের সরকারপ্রধানের কাছে বাংলাদেশে পাকিস্তানি গণহত্যার বিবরণ তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে তাদের সমর্থন চেয়েছেন। ভারত নিজেই ছিল তখন অভাবী দেশ। তারপরও মাসের পর মাস ধরে ৯০ লাখ শরণার্থীর খাদ্য জুগিয়েছেন। নিক্সনের ওই ফোনালাপের সপ্তাহখানেক আগে কিসিঞ্জার ইন্দিরা গান্ধীকে বলেন, এটা তো পাকিস্তানের ঘরোয়া ঝগড়া। আমরা কি নিরপেক্ষ থাকতে পারি না ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার?
ইন্দিরা গান্ধী বলেন নিরপরাধ লোকদের গণহত্যা, ধর্ষণ আর লুটতরাজ দেখে যে নিরপেক্ষ থাকে সে-ও একজন অপরাধী মি. কিসিঞ্জার। আমেরিকা মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা বলে নিজেদের দাবি করে। বাংলাদেশে পাকিস্তানি গণহত্যার ব্যাপারে সে দেশের সরকারের ভূমিকা ছিল এক কথায় জঘন্য। নিক্সন-কিসিঞ্জার ফোনালাপের দুই দিন পর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে মুক্তিবাহিনীর সমর্থনে ভারত সৈন্য পাঠায়। যৌথ বাহিনীর কাছে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। তার আগে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় ঠেকাতে বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠায় আমেরিকা। বাংলাদেশের পক্ষে রাশিয়া তাদের নৌবহর পাঠালে পিছু হটে আমেরিকান নৌবহর।
নিক্সন-কিসিঞ্জারের নোংরা ফোনালাপ দীর্ঘ ৪৫ বছর গোপন রাখা হয়। তারপর সিআইএ সে ফোনালাপ প্রকাশ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা একটি উল্লেখযোগ্য বই গ্যারি জে ব্যাস লিখিত The Blood Telegram; Nixon, kissinger and a Forgotten Genocide. ওই বইটিতেও এসেছে নিক্সন-কিসিঞ্জার ফোনালাপ এবং অশ্লীল গালির প্রসঙ্গটি। তা ছাড়া কয়েক বছর ধরে ইউটিউবে আছে পুরো আলাপচারিতা।
প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন মারা গেছেন বহু বছর আগে। ইন্দিরা গান্ধীও বেঁচে নেই। কিসিঞ্জার মৃত্যুর আগে ক্ষমা চেয়েছেন ভারতীয়দের কাছে। কারণ টেলিফোন আলাপে তিনিও ‘বাস্টার্ড ইন্ডিয়ানস’ বলে মনের ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়কে আমেরিকা নিজেদের পরাজয় বলে ভেবেছিল। এ কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিব ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পেছনে আমেরিকার হাত আছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে ইন্দিরা গান্ধী অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। শিখদের পবিত্র তীর্থস্থান স্বর্ণমন্দিরে অভিযান চালানোর ঘটনাকে সাধারণ শিখরা ভালো চোখে দেখেননি। ওই ঘটনার বদলা নিতে দুজন শিখ দেহরক্ষী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করেন।।
দুই.
ইন্দিরা গান্ধী দিল্লিতে তাঁর সরকারি বাসভবনে যেদিন নিহত হন, তার আগের দিন তিনি ভুবনেশ্বর সফর করেন। উড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বর ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের একটি স্মৃতিমণ্ডিত শহর। এই শহরেই ইন্দিরা গান্ধীর বাবা জওহরলাল নেহরু গুরুতর অসুস্থ হন। সে অসুস্থতার জেরে ১৯৬৪ সালের মে মাসে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৬৭ সালের নির্বাচনি প্রচারের সময় ইন্দিরা গান্ধীর দিকে একটা পাথর ছোড়া হয়েছিল ওই শহরেই। তাতে তাঁর নাক ফেটে যায়। সেদিন তিনি জনসভায় বলেন, ‘আমি আজ বেঁচে আছি, কাল না-ও থাকতে পারি। এটা নিয়ে ভাবি না, আমি থাকলাম কী থাকলাম না। অনেক দিন বেঁচেছি। আমার গর্ব যে পুরো জীবনটাই দেশের মানুষের সেবায় কাজে লাগাতে পেরেছি। আর যেদিন মরে যাব, আমার রক্তের প্রতিটা ফোঁটা ভারতকে আরও মজবুত করার কাজে লাগবে। ভাষণ শেষে ইন্দিরা গান্ধী যখন রাজ্যপালের বাসভবনে যাচ্ছিলেন, তখন উড়িষ্যার রাজ্যপাল বিশ্বম্ভরনাথ পান্ডে তাঁকে বলেন, ‘একটা রক্তাক্ত মৃত্যুর কথা বলে আপনি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছেন।’
ইন্দিরা গান্ধী জবাবে বলেন, তিনি যা বলেছেন, তা মনের কথা। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে দিনের কর্মসূচি পালনে তৈরি হন ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর পরনে ছিল কালো পাড়ের গেরুয়া রঙের শাড়ি। দিনের প্রথম অ্যাপয়েন্টমেন্টটা ছিল পিটার উস্তিনভের সঙ্গে। ইন্দিরা গান্ধীর ওপরে একটা তথ্যচিত্র বানাচ্ছিলেন তিনি। আগের দিন উড়িষ্যা সফরের সময়েও তিনি ওই তথ্যচিত্রের জন্য শুটিং করেন। দুপুরে শ্রীমতী গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেমস ক্যালাগান আর মিজোরামের এক নেতার। সন্ধ্যায় ব্রিটেনের রাজকুমারী অ্যানের সম্মানে ডিনার দেওয়ার কথা ছিল। সকালে ব্রেকফাস্টের পর মেকআপ ম্যান তাঁর মুখে সামান্য পাউডার আর ব্লাশার লাগিয়ে দেন। তখনই হাজির হন ব্যক্তিগত চিকিৎসক কে পি মাথুর। রোজ ওই সময়েই মিসেস গান্ধীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যেতেন তিনি।
সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ইন্দিরা গান্ধী বাইরে বের হন। বেশ রোদ ঝলমলে দিন। রোদ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আড়াল করতে সেপাই নারায়ণ সিং একটা কালো ছাতা নিয়ে পাশে পাশে হাঁটছিলেন। কয়েক পা পেছনে ছিলেন ব্যক্তিগত সচিব আর কে ধাওয়ান। সবার পেছনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসার, সাব ইন্সপেক্টর রামেশ্বর দয়াল। ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সফদার জং রোডের বাসভবন লাগোয়া আকবর রোডের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাচ্ছিলেন। দুটি ভবনের মধ্যে যাতায়াতের গেটের সামনে পৌঁছে ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সচিব আর কে ধাওয়ানের সঙ্গে কথা বলেন।
ধাওয়ান প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ইয়েমেন সফররত রাষ্ট্রপতি জ্ঞানী জৈল সিংকে জানানো হয়েছে যাতে তিনি সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে দিল্লি চলে আসেন। পালাম বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানিয়ে ইন্দিরা গান্ধী সময়মতো যাতে ব্রিটিশ রাজকুমারী অ্যানের ভোজসভায় পৌঁছতে পারেন, সেজন্যই ওই বার্তা পৌঁছানো হয়েছে। ঠিক সে সময়ে হঠাৎ পাশে দাঁড়ানো দেহরক্ষী বিয়ন্ত সিং রিভলবার থেকে ইন্দিরা গান্ধীর দিকে গুলি চালান। প্রথম গুলিটা পেটে লাগে। তারপর একেবারে কাছ থেকে আরও দুবার চালানো হয় গুলি। সে দুটি গুলি তাঁর বুকে আর কোমরে লাগে। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঠিক পাঁচ ফুট দূরে নিজের টমসন অটোমেটিক কার্বাইন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরেক দেহরক্ষী সতবন্ত সিং। ইন্দিরা গান্ধীকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখে সতবন্ত কিছুটা ঘাবড়ে যান। বিয়ন্ত তার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে সতবন্ত গুলি চালাও।’ সতবন্ত সঙ্গে সঙ্গে নিজের কার্বাইন থেকে থেকে ২৫টা গুলি ইন্দিরা গান্ধীর শরীরে গেঁথে দেন।
এক নম্বর আকবর রোডের ভবন থেকে পুলিশ অফিসার দিনেশ কুমার ভাট এগিয়ে আসেন শোরগোল শুনে। বিয়ন্ত সিং আর সতবন্ত সিং তখন নিজেদের অস্ত্র মাটিতে ফেলে দেন। বিয়ন্ত বলেন, ‘আমাদের যা করার করেছি। এখন তোমরা যা ইচ্ছা তাই কর।’
দেহরক্ষীদের গুলিতে ছিন্নভিন্ন হওয়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর, বেলা ২টা ২৩ মিনিটে ইন্দিরা গান্ধীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সরকারি প্রচারমাধ্যমে তা ঘোষণা করা হয় প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টায়। ইন্দিরা গান্ধীর জীবনীকার ইন্দর মালহোত্রার তথ্য, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগেই আশঙ্কা করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর ওপরে এরকম হামলা হতে পারে। তারা সুপারিশ করেছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে সব শিখ নিরাপত্তাকর্মীকে যেন সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই ফাইল যখন ইন্দিরা গান্ধীর টেবিলে পৌঁছায়, তখন ভীষণ রেগে যান। নোট লেখেন, ‘আরন্ট উই সেক্যুলার?’ যার অর্থ ‘আমরা না ধর্মনিরপেক্ষ দেশ?’
তিন.
ইন্দিরা গান্ধী হত্যায় আমেরিকার হাত ছিল বলে অনুমান করা হয়। বলা হয় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পেছনে ছিল ওয়াশিংটন। আমেরিকা তা কখনো স্বীকার করেনি। তবে ইন্দিরা গান্ধী হত্যার ৪১তম বার্ষিকীতে বাহরাইনে অনুষ্ঠিত মানামা সংলাপে আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বলেছেন, তাঁর দেশ বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তন ও নানা অপকর্মে জড়িত ছিল। সে পথ থেকে তারা সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তারা ওই পথে হাঁটবে না। সাধু! সাধু! সাধু!
লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
ইমেইল : [email protected]