শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ, ২০১৭

দুনিয়ার সেরা দিন ৭ মার্চ

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
দুনিয়ার সেরা দিন ৭ মার্চ

৭ মার্চ বাঙালি জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। ৭ মার্চ আমাদের স্বাধীনতার সূচনার দিন। ১৯৭১-এর আগে ৭ মার্চ দিনপঞ্জি বা ক্যালেন্ডারের পাতায় অন্য দিনের মতো নিশ্চয়ই ছিল। কিন্তু ’৭১-এর ৭ মার্চ পৃথিবীর ইতিহাসে আলাদা এক মর্যাদা, এক মহিমা পায়। এ মর্যাদা যতকাল বাংলাদেশ থাকবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা থাকবে, ততকাল পৃথিবীর ইতিহাসে দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। অন্যান্য জাতির বরণীয় স্মরণীয় দিনগুলো যেভাবে বিশ্ব বিবেচনা করে তার চেয়ে কোনো অংশে ৭ মার্চকে ছোট করে দেখা যাবে না। শাশ্বত বাঙালি হিসেবে আমরা যদি নিজেদের ধ্বংস না করি, নিন্দিত এবং নিকৃষ্ট না করি, আমাদের মানসম্মান, প্রতিপত্তি হবে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্ঘ হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘারও ওপরে। আর যদি আমরা হানাহানি, কাটাকাটি, ভোট চুরি করে মর্যাদা নষ্ট করি তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব জানি না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যিনি বাংলাদেশের পিতা, শেরেবাংলার যুক্তফ্রন্টের প্রথম মন্ত্রিসভায় বিতর্কিত বলে স্থান হয়নি। সেই ’৫৪-৫৫-এ বিতর্কিত মানুষটি সারা জাতিকে একত্রিত করেছিলেন তার ত্যাগ-তিতিক্ষা, মেধা ও সাহসের কারণে। ’৫৯ সালে পাকিস্তানে সর্বজনীন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করে ১০ বছর আমাদের গোলাম করে রেখেছিলেন। কত সংগ্রাম, কত ত্যাগ, ’৬২-তে শেরেবাংলার মৃত্যু, ’৬৩-তে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাঙালি জাতিকে কাঙাল করে চলে যান। একা হয়ে গিয়ে শেখ মুজিব ছয় দফা দেন। পাকিস্তানের নেতারা তো ছয় দফা প্রত্যাখ্যান করেছিলেনই, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারাও কেউ কেউ ছয় দফা সমর্থন করেননি। জেলে জেলে তার দিন কাটতে থাকে। ’৬৮ সালের জানুয়ারিতে আগরতলা মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়। আইয়ুব-মোনায়েম প্রায় ধরেই নিয়েছিলেন শেখ মুজিবকে আর বাঁচতে দেবেন না। তাকে এবার ফাঁসিতে ঝোলাবেনই। মানুষ ভাবে এক আল্লাহ করেন আর এক। দেশের মানুষ গর্জে ওঠে। কত নির্যাতন, কারফিউ কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। ’৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান নতিস্বীকার করে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবসহ সবাইকে মুক্তি দিয়ে গোলটেবিলের আহ্বান করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের পক্ষে তোফায়েল আহমেদ টুঙ্গিপাড়ার শেখ লুত্ফর রহমানের ছেলে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। আইয়ুবের গোলটেবিল বাঙালির নেতা শেখ মুজিবের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ব্যর্থ হয়। ক্ষমতায় আসেন ইয়াহিয়া। তিনি ঘোষণা করেন, রাজনীতির প্রতি তার কোনো আগ্রহ নেই। জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যাবেন। তার কথা বিশ্বাস করে অনেকে আবার আশায় বুক বাঁধে। কিন্তু সব আশায় গুড়েবালি। পৃথিবীর ইতিহাসে ইয়াহিয়া খানই হন এক মারাত্মক নরঘাতক। তিনি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করলেও রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। ’৭০-এর ১ জানুয়ারি রাজনীতির দরজা খুলে যায়। মানুষ আবার রাস্তায় নামে। প্রথম অক্টোবরের পরে আবার ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদের নির্বাচন পিছিয়ে দেন। নির্বাচনের আগে আগে উপকূলীয় এলাকায় মারাত্মক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ে ১০-১২ লাখ মানুষ এবং তার চেয়েও বেশি গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি মারা যায়। এমন প্রলয় বাঙালি কখনো দেখেনি। ইয়াহিয়া পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে চীন সফর করে ঢাকার ওপর দিয়ে উড়ে যান। কিন্তু বিমানে বসেও দুর্গত এলাকায় চোখ ফেরাননি। ইয়াহিয়ার এমন নির্দয় অবহেলা বাঙালিদের আরও উতালা করে তোলে। যার পরিণতি ’৭০-এর ৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন। পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ১৬৯ আসনের ১৬৭টিতে বঙ্গবন্ধু জয়ী হন। আসনের দিক থেকে ৯৮-সাড়ে ৯৮ শতাংশ হলেও ভোটের দিক থেকে তেমন ছিল না। ২৫-৩০ শতাংশ ভোট আওয়ামী লীগের বাইরে যায়। কিন্তু সেই ভোটে কেউ কোনো আসনে জয়ী হননি। এর মূল কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং হুজুর মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ছাড়া আর কোনো দলের তেমন কোনো গণভিত ছিল না। নির্বাচনের আগে একসময় হুজুর এবং তার দল নির্বাচন থেকে সরে যেতে থাকেন। ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, পূর্ব বাংলা কায়েম করো। ভোট ভোট করে যারা, ইয়াহিয়ার দালাল তারা’— এ রকম স্লোগান দিয়ে হুজুরের ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি মাঠ গরম করতে থাকে। মুখে তারা যাই বলুন, নির্বাচন যত কাছে আসে তারা তাদের কর্মকাণ্ড ততই কমিয়ে আনেন। আগে না বুঝলেও স্বাধীনতার পরে বুঝেছি, এসবই ছিল গুরু-শিষ্যের কৌশল।

হুজুর মওলানা ভাসানী যদি জোর দিয়ে নির্বাচন করতেন তাহলে আরও ৫-১০ শতাংশ ভোট বাইরে যেত। তাতে ওই ধরনের নির্দেশাত্মক ফলাফল হতো না। ১৬৭-র জায়গায় বঙ্গবন্ধুর দল যদি ১৪৫ সিট পেত পাকিস্তানিরা তাদের কায়েমি স্বার্থ বজায় রাখতে সবার সঙ্গে আপস-মীমাংসা করে তারাই সরকার গঠন করত। বঙ্গবন্ধু হতেন প্রচণ্ড শক্তিশালী বিরোধী দলের নেতা। ওতে পাকিস্তানিদের কিছু এসে যেত না। যেমন বর্তমান সরকারের এখন তেমন কিছু যায় আসে না। ’৭০-এর নির্বাচনে আরেকটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছিল। আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে সাড়ে ৯৮ শতাংশ সিট পেলেও পশ্চিম পাকিস্তানে কোনো সিট পায়নি, উল্লেখযোগ্য ভোটও পায়নি। অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান দল পিপিপি পূর্ব পাকিস্তানে প্রায় শূন্য। এটা ঠিক, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু অবশ্যই পাকিস্তানের প্রধান নেতা। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানে কোনো সিট না পাওয়ায় তিনি সমগ্র পাকিস্তানের নেতা— এটা বলায় দুর্বলতা ছিল। অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে ১৩১ আসনের ৮৩টিতে জয়ী হয়েছিল পিপিপি। জুলফিকার আলী ভুট্টো নিজেকে পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা দাবি করতে পারলেও পূর্ব পাকিস্তানের নেতা দাবি করার কোনো সুযোগ ছিল না। পাকিস্তানিদের প্রতি সাধারণ মানুষের সন্দেহ এবং অবিশ্বাস ছিল বহুকাল থেকে। সেটা ’৭০-এর নির্বাচনে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ’৭০-এর আগে রাজনীতিতে মানুষের সম্পৃক্ততা কতটা শক্তিশালী ছিল বলতে পারব না। কিন্তু নির্বাচনের পর ছাত্র-জনতার সম্পৃক্ততা পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে পূর্ব পাকিস্তানে অনেক বেশি ছিল। ’৭০-এর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই জয় বাংলা ধ্বনি দিতে চাননি। তাদের ভয় ছিল জয় বাংলা স্লোগান দিলে ভোটের ওপর প্রভাব পড়বে। ‘জয় বাংলা জয় হিন্দ, লুঙ্গি খুলে ধুতি পিন্দ’ দুষ্ট লোকের এ সমালোচনা তো ছিলই। কিন্তু ছাত্র-জনতার চাপে সব প্রার্থীকেই জয় বাংলা মাথায় তুলতে হয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফলে তারা হন বিস্মিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সব সদস্য নিয়ে ৩ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ মানুষের সামনে শপথ করেন। ছয় দফা, ১১ দফার সঙ্গে কোনো আপস হবে না। ছয় দফা, ১১ দফা এখন আর আওয়ামী লীগের নয়, ওটা জনতার সম্পত্তি।

ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেছিৃেলন। কিন্তু লারকানার নবাব জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা গোপন বৈঠক করে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু তখন মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণীতে এমপিদের নিয়ে সংসদীয় কমিটির সভা করছিলেন। এখনকার মতো তখন এত রেডিও-টিভি ছিল না। রেডিও পাকিস্তান ও পাকিস্তান টিভি চলত সন্ধ্যার পর। একমাত্র রেডিও ছিল ভরসা। ঘোষণা শুনে মানুষ ছুটে যায় হোটেল পূর্বাণীতে। অন্যদিকে স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা ছিল। জানি না আন্দোলনের সমর্থনে পৃথিবীর কোথাও ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়েছে কিনা। কিন্তু সেদিন ঢাকা স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা মুহূর্তে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। লাখো মানুষ বঙ্গবন্ধুর কাছে ছুটে গিয়েছিল, এখন তারা কী করবে? চারদিকে উত্তেজনা। মিছিল মিটিং হরতাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পাকিস্তানের পতাকা পোড়ে, আ স ম আবদুর রব বাংলাদেশের নতুন পতাকা তোলেন। নিজের দেশে সেটা কোনো ব্যাপার নয়। জেনারেলরা পারে, এমনকি ফকির মিসকিনও তুলতে পারে। কিন্তু একটা দেশকে অস্বীকার করে অন্য দেশের পতাকা তোলা সেটাই হলো মারাত্মক ব্যাপার।

দেশ উত্তাল হতে থাকে। সবকিছু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদের হাতে এসে যায়। পৃথিবীর কোথাও সরকারের বাইরে একটি নির্বাচিত দলের পেছনে মানুষ এতটা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে তা কল্পনার অতীত। অসহযোগ চলতে থাকে। পাকিস্তানি প্রশাসন একেবারেই নিষ্ক্রিয়। রেডিও-টেলিভিশন-টেলিফোন-টেলিগ্রাম-রেল-স্টিমার-ব্যাংক-বীমা সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদের নির্দেশে চলতে থাকে। দেশের মানুষ ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশের অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকে। ছোটখাটো ঘটনা কমবেশি ঘটতে থাকে।

৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। আগে থেকেই প্রচার হচ্ছিল, ঢাকা বেতার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সরাসরি প্রচার করবে। না হলে আরও ২-৪ লাখ বেশি হতো। একসময় বঙ্গবন্ধু সভামঞ্চে এলে জনতা উত্তাল হয়ে ওঠে। এমন জনতা কোনো নেতা দেখেননি, দেশ দেখেনি। তিনি তার স্বভাবজাত ভঙ্গিতে সারা জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন। তিনি বললেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ।’ শিল্পপতিদের বললেন, ‘২৮ তারিখে বেতন দিয়ে দেবেন। ব্যাংক বীমা আমাদের হুকুমে চলবে। পশ্চিম পাকিস্তানে টাকা পাঠানো যাবে না। দেশের ভিতরে খবর আদান-প্রদান করবেন, কিন্তু বাইরে নয়।’ তিনি আরও বললেন, ‘শত্রু বাহিনী ঢুকেছে। তারা লুটতরাজ করবে। হিন্দু-মুসলমান, বাঙালি, নন-বাঙালি তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের। আমাদের যেন কোনো বদনাম না হয়। আরটিসি কল করেছেন। আমাদের দাবি মানতে হবে প্রথম। সামরিক আইন, মার্শাল ল উইথড্র করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সৈন্যবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে। যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখব আমরা আরটিসিতে যেতে পারি কি পারি না। তার পূর্বে আরটিসিতে যেতে আমরা পারি না। জনগণ সে অধিকার আমাদের দেয় নাই।’ একেবারে শেষে বললেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

আমি ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে আলোচনা করছি না। বঙ্গবন্ধুর সেদিনের ভাষণ ছিল পৃথিবীর কয়েকটি শ্রেষ্ঠ ভাষণের অন্যতম। এমন কোনো দিক ছিল না যা তাতে ফুটে ওঠেনি। এমনকি তিনি যদি না থাকেন, আর কিছু বলতে না পারেন, আমাদের কী করতে হবে তাও বলেছিলেন। অত সাজানো-গোছানো অলিখিত ভাষণ একজন মানুষ শুধু অন্তর উৎসারিত করেই দিতে পারেন, যা বঙ্গবন্ধু পেরেছিলেন।

যেহেতু ভাষণটি সরাসরি প্রচার করার কথা ছিল। আগেই বলেছি অমন প্রচার করার কথা না থাকলে আরও ২-৪ লাখ লোক বেশি হতো। সবকিছু তৈরি ছিল। মাঝে মাঝেই সভার ঘোষণা রেডিওতে শোনা যাচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু এলেই তার ভাষণ শোনানো হবে। শুরুও হয়েছিল। সভার ঘোষণা এবং বঙ্গবন্ধু উত্তাল জনতাকে সালাম জানিয়ে কথা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে রেডিও বন্ধ হয়ে যায়। মাঠে যারা ছিলেন তারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছিলেন। কিন্তু অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ কোটি কোটি শ্রোতা, তারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীনতার ঘোষণা রেডিওতে সরাসরি শুনতে পাননি। ঢাকা রেডিওর কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশের সব কটি স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার নতিস্বীকার করে। তারা পরদিন সকাল সাড়ে ৮টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রেকর্ডকৃত ভাষণ প্রচারে রাজি হয়। ৭ মার্চ বিকাল থেকে বন্ধ থাকার পর ৮ মার্চ বার বার ঘোষণা আসে সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ রিলে করা হবে। তাই হয়। ২২-২৩ মিনিটের ভাষণ সকাল সাড়ে ৮টায় রিলে করা হয়। কোটি কোটি মানুষ সেটা শোনে। এখন অনেকেই বলেন তারা পাকিস্তানেও রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছেন, কথাটা মোটেই ঠিক নয়। পাকিস্তানে ঢাকা কেন্দ্র শোনা যেত না, কোনো উপায়ও ছিল না। এখন কত পণ্ডিত কত কথা বলেন। কারও প্রশ্ন বঙ্গবন্ধু সেদিন সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। মানে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে করেছেন। এতে তাদের কী? কেউ বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে যুদ্ধও হতো না, অত লোক ক্ষয় হতো না। আমরা সহজেই স্বাধীন হয়ে যেতাম।’ কথা বলতে ট্যাক্সও লাগে না, সেজন্য অনেকে অনেক কথাই বলেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, বাকি কোথায় ছিল আমরা বুঝি না, পণ্ডিতেরা বুঝেছেন। এই তো কয়েক বছর আগে এ কে খন্দকার তার ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ বইয়ে ও রকম একটা কিছু বলতে চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যদি বলতেন, এখন থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন; সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ওপরে পাকিস্তানি হানাদারদের যে হেলিকপ্টার উড়ছিল, তারা শুধু ট্রিগার টিপত। তাতে লোকজন মারা যেত না? তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানে বিমানবাহিনীর সব থেকে বড় কর্মকর্তা। তার তো জানাই ছিল কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে সাতখানা যুদ্ধবিমান বগলে বোমা নিয়ে রানওয়ের পাশে হুকুমের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল। তার বইয়ে এক জায়গায় বলেছেন, ঝড়বৃষ্টিতে কী করে যুদ্ধবিমান চালাতে হয় তার প্রশিক্ষণ তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল আজগর খানকে দিয়েছিলেন। সেই তাকে যদি বলা হতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় বোমা ফেলে সব তামা করে দাও। তিনি কী করতেন? তিনি পাকিস্তানি হুকুম মানতেন, নাকি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তার বিমানবহর নিয়ে বাংলাদেশের প্রতি, বঙ্গবন্ধুর প্রতি আনুগত্য জানাতেন? বলা সোজা, করা কঠিন। ৭ মার্চ এবং তার আগে থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের সব প্রশাসন আওয়ামী লীগের কথা শুনেছে, সংগ্রাম পরিষদের হুকুমে চলেছে তারাও কিন্তু ২৫ মার্চের পর যখন যে জায়গা পাকিস্তানিরা দখল করে নিয়েছে সে জায়গার শতকরা ৯০ ভাগ কর্মকর্তা আগেও ছিলেন পাকিস্তানি, পরেও পাকিস্তানি হয়েছিলেন। ১৯ জেলার পাঁচজন এসপিও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি, পাঁচজন ডিসিও করেননি, পাবনার ডিসি নুরুল কাদের ছাড়া। ৪০-৪৫টি মহকুমার ৬-৭টির বেশি মহকুমার অফিসার বা এসডিও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। এর মধ্যে মেহেরপুরের এসডিও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী আর এসডিপিও মাহবুবের নাম উল্লেখ করা যায়। সিরাজগঞ্জের এসডিও শামসুদ্দিন বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে প্রতিরোধে শরিক হয়েছিলেন। ২৫ মার্চ পর্যন্ত বেশ নাচানাচি করেছিলেন। কিন্তু হানাদাররা নগরবাড়ী পৌঁছার আগেই ভদ্রলোক পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। একসময় পাকিস্তানিরা তাকে মেরে ফেলে বলে তাকে নিয়ে আবার নাচানাচি। তিনি আত্মসমর্পণ না করে প্রতিরোধের সময় ধরা পড়ে নিহত হলে আমার কোনো আপত্তি থাকত না। হুমায়ূন আহমেদ ও জাফর ইকবালের বাবা ফয়েজ আহমেদের ব্যাপারও একই রকম। শুরুর দিকে তিনিও দৌড়াদৌড়ি ছোটাছুটি করেছেন। মিলিটারিরা গেলে কয়েক দিন গ্রামে পালিয়ে থেকে চাকরিতে যোগ দেন। দু-এক দিন পর আর্মিরা জিজ্ঞেস করে ‘হাতিয়ার কা হা, গুলি কাহা?’ উত্তর না পেয়ে আর্মিরা বলে, ‘শালা মুক্তি বনতা, গাদ্দারকা বাচ্চাকো মার ডালো।’ মেরে ফেলে। তিনি শহীদ হয়ে যান। এটা আমার কথা নয়, হুমায়ূন আহমেদের মায়ের লেখা বইয়ের কথা। তাই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিলেই সবকিছু হয়ে যেত ঠিক নয়। জিয়াউর রহমান বীরউত্তম মুক্তিযুদ্ধে এক গৌরবোজ্জ্বল ব্যক্তি। ইপিআরসি ক্যান্টনমেন্টের হাজার দেড়েক রিক্রুটকে পাকিস্তানিরা গুলি করে মেরে না ফেললে, ঢাকার বুকে অমন হত্যাযজ্ঞ না চালালে ২৬ মার্চেও আমাদের সঙ্গে শরিক হতেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতেন এটা জোর দিয়ে বলা যায় না। ইপিআরের মেজর রফিক বলতে গেলে সবার আগে পাকিস্তানের প্রতি বিদ্রোহ করেছিলেন। তাও ১৭-১৮ মার্চের আগে নয়। সফিউল্লাহ, ভদ্রলোক তো ২৮ মার্চ জয়দেবপুর রাজবাড়ী থেকে বেরিয়েছিলেন। তিনি নাকি সেদিন পর্যন্ত হানাদারদের হত্যাযজ্ঞের কথা জানতেন না। এটা আমার কথা নয়, রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার ছাপা সাক্ষাৎকারের কথা। যেটি এখনো আমার  কাছে আছে। কার কথা বলব? খালেদ মোশারফ, সাফায়েত জামিল সেনাবাহিনীর মধ্যে যাদের ভূমিকা সব থেকে উজ্জ্বল তাদেরও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সীমান্ত এলাকায় নকশাল আক্রমণের কথা বলে ২৪ তারিখ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বাইরে পাঠানো হয়েছিল। তারা ২৫ তারিখ পাকিস্তানকে অস্বীকার করে তাদের কোম্পানিতে যেসব পশ্চিম পাকিস্তানি অফিসার ছিলেন তাদের বন্দী করে মাটিচাপা দিয়েছিলেন। ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলার পরও তো ২৫ মার্চের আগে সেনাবাহিনীর ১০ সদস্যও ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য জানাননি। পণ্ডিতদের কথা শুনলে আমাদের স্বাধীনতা পেতে হতো না। পাকিস্তান আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে লাখ লাখ লোক হত্যা করত। সঙ্গে বাঙালির নেতা বঙ্গবন্ধুকে। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধ তখনকার মতো সেখানেই শেষ হয়ে যেত।

লেখক :  রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
ভাঁড়ারে টান, সঞ্চয়ে হাত
ভাঁড়ারে টান, সঞ্চয়ে হাত
উত্তাল রাজনীতি
উত্তাল রাজনীতি
খেলনাও শিক্ষক
খেলনাও শিক্ষক
উম্মতে মোহাম্মদীর চারিত্রিক মাধুর্য
উম্মতে মোহাম্মদীর চারিত্রিক মাধুর্য
‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’
‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’
বর্জ্য থেকেই শক্তি ও সম্পদ
বর্জ্য থেকেই শক্তি ও সম্পদ
সর্বশেষ খবর
দুপুরে খাওয়ার পরপর চা পান কতটা ক্ষতিকর?
দুপুরে খাওয়ার পরপর চা পান কতটা ক্ষতিকর?

৮ মিনিট আগে | জীবন ধারা

মেঘনায় ২০০ যাত্রী নিয়ে ডুবোচরে আটকা পড়ল লঞ্চ
মেঘনায় ২০০ যাত্রী নিয়ে ডুবোচরে আটকা পড়ল লঞ্চ

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ল্যুভরে দুর্ধর্ষ চুরি: আরও দুইজন গ্রেফতার
ল্যুভরে দুর্ধর্ষ চুরি: আরও দুইজন গ্রেফতার

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার
মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কোহলির রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর
কোহলির রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের সিরিজ জয়
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের সিরিজ জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিয়েটা করে ফেললে মাঝপথেই তো আটকে গেলাম: পূজা চেরি
বিয়েটা করে ফেললে মাঝপথেই তো আটকে গেলাম: পূজা চেরি

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩ বিভাগে অতি ভারি বর্ষণের আভাস, টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
৩ বিভাগে অতি ভারি বর্ষণের আভাস, টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবল বৃষ্টিতে এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গেল বাস
প্রবল বৃষ্টিতে এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গেল বাস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নটিংহ্যামের বিপক্ষে হোঁচট খেল ইউনাইটেড
নটিংহ্যামের বিপক্ষে হোঁচট খেল ইউনাইটেড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘বিবাহবিচ্ছেদ’ প্রশ্নে যে জবাব দেন ঐশ্বরিয়া
‘বিবাহবিচ্ছেদ’ প্রশ্নে যে জবাব দেন ঐশ্বরিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে’
‘জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিয়ে নয়, জীবনে স্বাধীন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলে শিখেছি’
‘বিয়ে নয়, জীবনে স্বাধীন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলে শিখেছি’

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রূপগঞ্জে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন
রূপগঞ্জে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের দাপুটে জয়
প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের দাপুটে জয়

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাদকের বিনিময়ে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচারের অভিযোগে আটক ১১
মাদকের বিনিময়ে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচারের অভিযোগে আটক ১১

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেটে একদিনে সড়কে গেল ৩ প্রাণ
সিলেটে একদিনে সড়কে গেল ৩ প্রাণ

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শেষ হলো আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা
শেষ হলো আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুলাউড়ায় পাহাড়ি পুঞ্জিতে ওসির শান্তির বার্তা
কুলাউড়ায় পাহাড়ি পুঞ্জিতে ওসির শান্তির বার্তা

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

পদ্মাপাড়ে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেল বাপেক্স
পদ্মাপাড়ে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেল বাপেক্স

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন প্রেমে মজেছেন মালাইকা!
নতুন প্রেমে মজেছেন মালাইকা!

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অক্টোবরে ইউক্রেনে সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
অক্টোবরে ইউক্রেনে সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাজার টাকায় চার থ্রিপিসের ঘোষণা দিয়ে খোলেনি শোরুম, ক্ষোভ ক্রেতাদের
হাজার টাকায় চার থ্রিপিসের ঘোষণা দিয়ে খোলেনি শোরুম, ক্ষোভ ক্রেতাদের

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১১ বছর পলাতক, অতঃপর র‌্যাবের ফাঁদে ডাকাত সর্দার
১১ বছর পলাতক, অতঃপর র‌্যাবের ফাঁদে ডাকাত সর্দার

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

কুমিল্লায় ইসলামিক স্টাডিজ ফোরামের বিভাগীয় সম্মেলন
কুমিল্লায় ইসলামিক স্টাডিজ ফোরামের বিভাগীয় সম্মেলন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দরের স্থাপনা ইজারা থেকে না সরলে কঠোর আন্দোলন হুঁশিয়ারি
বন্দরের স্থাপনা ইজারা থেকে না সরলে কঠোর আন্দোলন হুঁশিয়ারি

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
কেন বাংলাদেশ-নেপাল- শ্রীলঙ্কায় সরকার পতন, যা বললেন অজিত দোভাল
কেন বাংলাদেশ-নেপাল- শ্রীলঙ্কায় সরকার পতন, যা বললেন অজিত দোভাল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে অর্ধকোটি মোবাইল সিম
আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে অর্ধকোটি মোবাইল সিম

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন আগ্রাসন ঠেকাতে রাশিয়া–চীন–ইরানের দ্বারে মাদুরো
মার্কিন আগ্রাসন ঠেকাতে রাশিয়া–চীন–ইরানের দ্বারে মাদুরো

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুদানে তিন দিনে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা
সুদানে তিন দিনে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, শীর্ষ ইসরায়েলি জেনারেলের পদত্যাগ
ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, শীর্ষ ইসরায়েলি জেনারেলের পদত্যাগ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা চালু করছে পর্তুগাল
দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা চালু করছে পর্তুগাল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯৮ শতাংশ ভোটে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান
৯৮ শতাংশ ভোটে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের আগে ইসলামকে রাজনৈতিক ফায়দা লাভে ব্যবহারের চেষ্টা : সালাহউদ্দিন
নির্বাচনের আগে ইসলামকে রাজনৈতিক ফায়দা লাভে ব্যবহারের চেষ্টা : সালাহউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিন আনলেন নতুন পারমাণবিক টর্পেডো ‘পসাইডন’, আতঙ্কে ইউরোপ
পুতিন আনলেন নতুন পারমাণবিক টর্পেডো ‘পসাইডন’, আতঙ্কে ইউরোপ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণভোট ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হবে অর্থহীন: জামায়াত আমির
গণভোট ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হবে অর্থহীন: জামায়াত আমির

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দ্বার খুললেও সেন্টমার্টিন যায়নি পর্যটকবাহী জাহাজ, হতাশ পর্যটকরা
দ্বার খুললেও সেন্টমার্টিন যায়নি পর্যটকবাহী জাহাজ, হতাশ পর্যটকরা

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ নিয়ে যা বলল চীন-রাশিয়া
ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ নিয়ে যা বলল চীন-রাশিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তুরস্কে হোটেলে ৭৮ জনের মৃত্যু: মালিক-ডেপুটি মেয়রসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন
তুরস্কে হোটেলে ৭৮ জনের মৃত্যু: মালিক-ডেপুটি মেয়রসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে বাসদের কার্যালয় থেকে ২২ নেতাকর্মী আটক
সিলেটে বাসদের কার্যালয় থেকে ২২ নেতাকর্মী আটক

১৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি
ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চীনের সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করছে ইরান, দাবি রিপোর্টে
চীনের সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি জোরদার করছে ইরান, দাবি রিপোর্টে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বহুরূপীদের খপ্পরে পড়েছে দেশ : আলাল
বহুরূপীদের খপ্পরে পড়েছে দেশ : আলাল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাগরে ফের লঘুচাপের আশঙ্কা, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
সাগরে ফের লঘুচাপের আশঙ্কা, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ আগামীকাল
প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ আগামীকাল

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলায় হামলা নিয়ে ট্রাম্পের সুর বদল
ভেনেজুয়েলায় হামলা নিয়ে ট্রাম্পের সুর বদল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিডিয়া ও তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বিএনপির ৭ টিম গঠন
মিডিয়া ও তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বিএনপির ৭ টিম গঠন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০৭ সালের পর জন্ম নিলে সারাজীবন ধূমপান নিষেধ!
২০০৭ সালের পর জন্ম নিলে সারাজীবন ধূমপান নিষেধ!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাটকা সংরক্ষণে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু
জাটকা সংরক্ষণে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : মামুনুল হক
৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : মামুনুল হক

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা মোকাবিলায় ভেনেজুয়েলার পাশে রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা মোকাবিলায় ভেনেজুয়েলার পাশে রাশিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেইনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সবুজ সংকেত দিল পেন্টাগন
ইউক্রেইনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সবুজ সংকেত দিল পেন্টাগন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই : মির্জা ফখরুল
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই : মির্জা ফখরুল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
আগে নির্বাচন চায় দেশবাসী
আগে নির্বাচন চায় দেশবাসী

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার সংস্কার বাস্তবায়নে কমিশন
এবার সংস্কার বাস্তবায়নে কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির
ড. আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেটবিশ্ব
নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেটবিশ্ব

মাঠে ময়দানে

বিপজ্জনক বগুড়ার মহাসড়ক
বিপজ্জনক বগুড়ার মহাসড়ক

নগর জীবন

শোবিজ কাঁপানো প্রেম
শোবিজ কাঁপানো প্রেম

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হত্যার নেপথ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ!
চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হত্যার নেপথ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ!

নগর জীবন

গাছের ওপর ১২ ফুট লম্বা অজগর
গাছের ওপর ১২ ফুট লম্বা অজগর

খবর

আসছেন জাকির নায়েক, ভারতের সতর্কবার্তা
আসছেন জাকির নায়েক, ভারতের সতর্কবার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

গণভোট ছাড়া নির্বাচনের দুই পয়সার মূল্য নেই
গণভোট ছাড়া নির্বাচনের দুই পয়সার মূল্য নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

আড়াই শ বছরের কাঠগোলাপ গাছ
আড়াই শ বছরের কাঠগোলাপ গাছ

পেছনের পৃষ্ঠা

মাঠে সরব বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে সরব বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের
৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের

পেছনের পৃষ্ঠা

আলালের বক্তব্য জামায়াতের প্রতিবাদ
আলালের বক্তব্য জামায়াতের প্রতিবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

পাহাড়ি মেলায় মানুষের উচ্ছ্বাস
পাহাড়ি মেলায় মানুষের উচ্ছ্বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

দলের কাছে নতি স্বীকার উপদেষ্টাদের
দলের কাছে নতি স্বীকার উপদেষ্টাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই দলের বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে
দুই দলের বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

এ বয়সে চাকরি পামু কোথায়
এ বয়সে চাকরি পামু কোথায়

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়
ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়

পেছনের পৃষ্ঠা

বই পড়ায় ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৭তম
বই পড়ায় ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৭তম

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বার খুললেও জাহাজ নেই!
দ্বার খুললেও জাহাজ নেই!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা নরসিংদীতে
দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা নরসিংদীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

বৃষ্টিতে ভোগান্তি নগরবাসীর
বৃষ্টিতে ভোগান্তি নগরবাসীর

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাধান
নির্বাচনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাধান

পেছনের পৃষ্ঠা

চা বাগানে গলা কাটা তরুণী উদ্ধার
চা বাগানে গলা কাটা তরুণী উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে ভাগাভাগি করে
নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে ভাগাভাগি করে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭০ হাজার ছাড়াল

পেছনের পৃষ্ঠা

আট দাবিতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ
আট দাবিতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা