শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮

শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

ঢাকার বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় অনেক জায়গাজুড়ে চীনা দূতাবাস। একটি চীনা ঐতিহ্য ও কারুকার্যখচিত অনিন্দ্যসুন্দর সৌধ। চীনা রাষ্ট্রদূতের বাসভবনও দূতাবাসের ক্যাম্পাসে অবস্থিত। রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে অনেকবার বাসভবনটিতে গিয়েছি। বাসভবনের প্রবেশদ্বার পেরোতেই প্রথমে যা দৃষ্টি কেড়ে নেয় তা হলো সুন্দর ফ্রেমে বাঁধানো একটি ছবি। শান্ত, সমাহিত, সাধনায় মগ্ন এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর আবক্ষ ছবি। পরনে গেরুয়া বাস মাথায় শোভিত আকর্ণ আচ্ছাদিত চীবরের শুভ্র শিরস্ত্রাণ। ছবিটি সহস্রাধিক বছরের বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান— মহাজ্ঞানী, মহাজন, প্রেম, প্রীতি, ভালোবাসা ও অনাবিল শান্তির মূর্ত প্রতীক অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের। বাংলাদেশ ও চীন তথা সমগ্র প্রাচ্যে হিমালয়ের উচ্চতায় শান্তি, সম্প্রীতি ও মৈত্রীর যুগোত্তীর্ণ সেতু তিনিই নির্মাণ করেন।

অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান একটি নাম, একটি দিগন্তজোড়া ইতিহাস। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সব মানুষ বিশেষ করে তিব্বতের গণমানুষের কাছে তিনি সহস্রাধিক বছর ধরে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের ন্যায় দেদীপ্যমান। তার অমৃততম অহিংসার মর্মবাণী ফল্গুধারার মতো প্রবাহিত হয়ে তিব্বত তথা চীনের জনগণের জাতীয় জীবনে বিশাল দিগন্ত মেলে দেয়। প্রশান্তির ও প্রগতির প্রলেপ বিলিয়ে দেয়।

অতীশ দীপঙ্কর দশম শতাব্দীর শেষভাগে ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার বিক্রমপুর পরগনার বজ্রযোগিনী গ্রামে এক রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কল্যাণশ্রী এবং মাতা প্রভাবতী দেবী। তার বাল্যনাম চন্দ্রগর্ব। মায়ের কাছে এবং স্থানীয় বজ্রাসন বিহারে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি বিখ্যাত বৌদ্ধগুরু জেতারির কাছে বৌদ্ধ ধর্ম ও শাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। এ সময়ে তিনি সংসারের প্রতি বিরাগবশত গার্হস্থ্য জীবন ত্যাগ করে ধর্মীয় জ্ঞানার্জনের সংকল্প করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি পশ্চিম ভারতের কৃষ্ণগিরি বিহারে গিয়ে রাহুল গুপ্তের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। মগধের ওদন্তপুরী বিহারে মহাসাংঘিক আচার্য শীলরক্ষিতের কাছে দীক্ষা গ্রহণের পর তার নতুন নামকরণ হয় দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। এরপর দীপঙ্কর মগধের তৎকালীন শ্রেষ্ঠ আচার্যদের কাছে কিছুকাল শিক্ষা লাভ করে শূন্য থেকে জগতের উৎপত্তি এ তত্ত্ব (শূন্যবাদ) প্রচার করেন।

১০১১ খ্রিস্টাব্দে শতাধিক শিষ্যসহ দীপঙ্কর মালয় দেশের সুবর্ণ দ্বীপে গিয়ে আচার্য চন্দ্রকীর্তির কাছে ১২ বছর বৌদ্ধ শাস্ত্রের যাবতীয় বিষয় অধ্যয়ন করেন এবং ৪৩ বছর বয়সে মগধে ফিরে আসেন। মগধের তখনকার প্রধান প্রধান পণ্ডিতদের সঙ্গে তার বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় হয়। তার বাগ্মিতা, যুক্তি ও পাণ্ডিত্যের কাছে তারা পরাজিত হন। এভাবে ক্রমে তিনি একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী পণ্ডিতের স্বীকৃতি লাভ করেন। এ সময় পালরাজ প্রথম মহিপাল সসম্মানে তাকে বিক্রমশীলা (ভাগলপুর, বিহার) মহাবিহারের আচার্য পদে নিযুক্ত করেন। বিক্রমশীলাসহ ওদন্তপুরী ও সোমপুর বিহারে দীপঙ্কর ১৫ বছর অধ্যাপক ও আচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় মহিপালের পুত্র ন্যায়পালের সঙ্গে কলচুরীরাজ লক্ষ্মীকর্ণের যে যুদ্ধ হয়, দীপঙ্করের মধ্যস্থতায় তার অবসান ঘটে এবং দুই রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হয়। অতীশ দীপঙ্কর বাংলার সন্তান। তিনি ঢাকার সন্তান। হাজার বছরেরও আগে বাংলার জ্যোতির্ময়, মহাজ্ঞানী মহাজন এ সূর্যসন্তান শুধু বাংলা নয় সমগ্র ভারতবর্ষ, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, জাভা, সুমাত্রা, বর্নিও, চীন, জাপান, কোরিয়া, তথা সমগ্র এশিয়াকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেন, শান্তির অমিয় বাণী শোনান। অহিংসার মহিমা প্রচার করেন। প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা, সর্বজীবে দয়া, বিনম্রতা ও মানবতাই একমাত্র মুক্তির পথ, অতীশ এ শিক্ষাই দেন। অতীশের কর্ম, শিক্ষায়, আদর্শ ও চেতনার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় গোটা বিশ্ব হয়ে ওঠে হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, সংঘাত, রক্তপাতমুক্ত শান্তি-সম্প্রীতি ও অহিংসার নিবিড় এক জগৎ।

৪০ বছর আগে ২৩ জুন, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের পবিত্র দেহভস্ম চীন সরকার কর্তৃক বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তিত হয়। বাংলা মায়ের অঞ্চলনিধি বাংলার সত্যসূর্য আবার ভস্মরূপে স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন। জেনারেল জিয়াউর রহমান ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক আসাফউদ্দৌলার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দল চীনে পাঠান। চীনা বৌদ্ধ সমিতির কার্যালয় কোয়াংশি বৌদ্ধ মন্দিরে সব আনুষ্ঠানিকতায় সম্পাদিত অনুষ্ঠানে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের পবিত্র দেহভস্মের আধারটি বাংলাদেশের বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ঢাকা ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারের মহামান্য অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ শ্রদ্ধাভরে গ্রহণ করেন। পবিত্র দেহভস্ম আধার উন্মোচন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সৈয়দ আলী আহসান বলেছিলেন, ‘পাণ্ডিত্য ও প্রজ্ঞার জন্য, অহিংসা-প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা ও শান্তির জন্য শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর সর্বকালে সমগ্র বিশ্বে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

অতীশের জীবন, কর্ম ও শিক্ষা বর্ণনা করতে গিয়ে মূলত বলতে হয় তার তিব্বত অবস্থানের কথা। তিব্বতরাজ চ্যাং চুব বার বার রাজকীয় দূত প্রেরণ করে আমন্ত্রণ জানালে অবশেষে তিব্বতে গেলে তাকে সর্বোচ্চ সম্মান ও অভ্যর্থনা জানানো হয়। রাজা চ্যাং চুব প্রজাদের উদ্দেশে ঘোষণা করেন, দীপঙ্করকে তিব্বতের মহাচার্য ও ধর্মগুরু হিসেবে মান্য করা হবে। বাস্তবে দীপঙ্কর তার চেয়েও অনেক বেশি সম্মান পান। শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হন। হন চিরপূজনীয়। তিব্বতে থো-লিং বিহার ছিল দীপঙ্করের মূল কর্মকেন্দ্র। এ বিহারে তিনি দেবতার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। এখান থেকেই তিনি তিব্বতের সর্বত্র ঘুরে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের অনেক কুসংস্কার দূর হয় এবং বিশুদ্ধ বৌদ্ধ ধর্মাচার প্রতিষ্ঠিত হয়। তিব্বতে তিনি বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন। তিব্বতবাসী তাকে বুদ্ধের পরই শ্রেষ্ঠ গুরু সম্মান ও পূজা করে এবং মহাপ্রভু (জোবো ছেনপো) হিসেবে মান্য করে। তিব্বতের ধর্ম ও সংস্কৃতিতে দীপঙ্করের প্রভাব আজও বিদ্যমান। সেখানে জনকল্যাণে নদীতে বাঁধ দিয়ে বন্যা প্রতিরোধেরও তিনি ব্যবস্থা করেন।

দীপঙ্কর তিব্বতের ধর্ম, রাজনীতি, জীবনীগ্রন্থ, স্তোত্রনামাসহ তাঞ্জুর নামে এক বিশাল শাস্ত্রগ্রন্থ সংকলন করে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি দুই শতাধিক গ্রন্থ রচনা, অনুবাদ ও সম্পাদনা করেন। তিব্বতি ভাষায় তিনি বৌদ্ধ শাস্ত্র, চিকিৎসাবিদ্যা ও কারিগরি বিদ্যা সম্পর্কে অনেক গ্রন্থ রচনা করেন। তিব্বতিরা তাকে সর্বজ্ঞানে শ্রেষ্ঠ, সর্ববিদ্যায় বিশারদ, সর্বশ্রেষ্ঠ ‘অতীশ’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সুদীর্ঘ ১৭ বছর তিব্বত অবস্থানের পর দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ৭৩ বছর বয়সে তিব্বতের লাসা নগরীর কাছে লেথান পল্লীতে ১০৫৩ খ্রিস্টাব্দে দেহ ত্যাগ করেন।

উনবিংশ শতাব্দীর বরেণ্য ইতিহাসবিদ, গবেষক ও সাহিত্যিক ড. দীনেশচন্দ্র সেন অতীশ দীপঙ্কর সম্পর্কে লিখেছেন, ‘এই একজন পূর্ববংগের বাঙ্গালী। যিনি তৎকালিক জগতে অদ্বিতীয় যশ অর্জন করিয়াছেন। নেপালের রাজা অনুগত পরিকরের মত তাঁহার আজ্ঞার প্রতীক্ষা করিতেন। নেপালের যুবরাজ তৎ-কর্তৃক ভিক্ষুধর্মে দীক্ষিত হইয়া তাঁহার সংগে ফিরিতেন। তিব্বতরাজ তাঁহাকে স্বদেশে আনিবার চেষ্টায় তাঁহার বহু অর্থ ও লোকক্ষয় করিয়া শত্রু কর্তৃক কারাগারে নিক্ষিপ্ত হইয়া কারাগারেই প্রাণ ত্যাগ করিলেন। যবদ্বীপের (সুবর্ণ দ্বীপ) রাজা ধর্মপাল দীপঙ্করের কাছে জিজ্ঞাসু হইয়া ধর্মবিষয়ক নানা জটিল প্রশ্ন উত্থাপন করিয়া সুদীর্ঘ পত্র লিখিতেন। গৌড়েশ্বর ন্যায়পালের সংগে তাঁহার সর্বদা পত্র ব্যবহার চলিত। এক কথায় জীবিতকালের দীপঙ্কর সমস্ত এশিয়ার সম্রাটগণের পূজনীয়, অসীম ভক্তি ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন এবং এখনও বিশাল বৌদ্ধরাজ্যে তাঁহার প্রতিষ্ঠা অপরিমেয়। চীন দেশের অমিত বিক্রম সম্রাটগণ দীপঙ্করের নাম শুনিলেই সিংহাসন হইতে নামিয়া দাঁড়াইয়া শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করিতেন।’ অতীশ তার সময়ে সমগ্র এশিয়া মহাদেশকে শান্তি-সম্প্রীতির এক মহামিলন ক্ষেত্রে পরিণত করেন, যা তার মহাপ্রয়াণের পরেও দীর্ঘকাল বিরাজ করেছে।

সমকালীন বাংলাদেশ এক অস্থির অশান্ত বাংলাদেশ। সে দুর্বৃত্তায়িতা। সে দুর্নীতি ধর্ষা। এই কি তুমি আমার স্বদেশ, অতীশের দেশ, তার মাতৃভূমি? লক্ষ নিযুত শহীদের রক্তে অর্জিত এই কি তুমি আমার পবিত্র জন্মভূমি, আমার বঙ্গভূমি, আমার পুণ্যভূমি? মাৎসন্যায়ের এমন বাংলাদেশ সে তো সুদূর দেড় হাজার বছর অতীতের দুঃস্বপ্নের ইতিহাস। মানবাত্মার উৎকর্ষে মানবতার মঙ্গল ও কল্যাণে এ বাংলায় বার বার রেনেসাঁ এসেছে, স্বর্ণযুগের সৃষ্টি হয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বও আজ অশান্ত। শান্তি বিঘ্নিত। চারদিকে অস্থিরতা, উত্তেজনা, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ, উগ্র ধর্মান্ধতা, সহিংসতা, মৌলবাদ ও যুদ্ধের উন্মাদনা। দেশে দেশে সামাজিক সংঘাত, জাতি-গোষ্ঠীগত ঘৃণা, সহিংসতা, হানাহানি। সন্ত্রাসবাদের ব্যাপক বিস্তার বিশ্বজুড়ে। শান্তি, সম্প্রীতি আজ সুদূরপরাহত। স্থিতিশীলতা বিপজ্জনকভাবে বাধাগ্রস্ত। নীতি ও মূল্যবোধের প্রচণ্ড শূন্যতা। হিংসায় উন্মত্ত আজ পৃথ্বী। অতীশের মাতৃভূমি বাংলাদেশও আজ এ বিভীষিকাময় দৃশ্যপটের বাইরে নয়। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আদিবাসীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অপূর্ব আবাস ভূমি এ বাংলাদেশ। আমরা উদ্বিগ্নতার সঙ্গে আজ প্রত্যক্ষ করছি এক কদর্য সাম্প্রদায়িকতার উলঙ্গ উত্থান বাংলাদেশে ঘটে চলেছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আবহমানকাল থেকে, কয়েক হাজার বছর ধরে বাংলাদেশ ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক লীলাভূমি। বাংলার ঐতিহ্যে আজ দেখি এক কৃষ্ণগহ্বর দেখি বিশাল এক ফাটল। প্রতিদিন মিডিয়ায় দেখছি ভিন্নমতের, ভিন্ন আদর্শের, ভিন্নপথের অনুসারীরা নিগৃহীত হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জঙ্গিবাদীদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে হিন্দু পুরোহিত, বৌদ্ধ ভিক্ষু, খ্রিস্টান ধর্মযাজক, শিয়া ইমাম, সুফি সাধক, বাউল গায়ক, সাধারণ নিরস্ত্র মানুষ। অগ্নিতে ভস্মীভূত হচ্ছে তাদের মন্দির, গির্জা, উপাসনালয়। বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে। রক্তপাত হচ্ছে। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। দেবদেবীর প্রতিমা, যিশুর মূর্তি, বুদ্ধের প্রতিকৃতি ক্ষতবিক্ষত, চূর্ণবিচূর্ণ করা হচ্ছে। আরও দেখি অবুঝ নিষ্পাপ স্বর্গশিশুরা হত্যা হচ্ছে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। পৈশাচিক উন্মাদনায় ধর্ষিত হচ্ছে নারী, ধর্ষিত শিশুরাও। আর ধর্ষণ শেষে নিশ্চিত ও অবধারিতভাবে হচ্ছে হত্যা। এ হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। স্ফীত হচ্ছে। সংক্রামক রোগের মতো এর ভয়াবহতা আর ব্যাপকতা গোটা জাতিকে শঙ্কিত করে তুলেছে। মানুষের হিংসা, বিদ্বেষ, সীমাহীন লালসা, পারস্পরিক ঘৃণা পশুত্বের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। পশুরাই আজ মনে হয় অনেক মানবিক আর মানুষ চরম দানবিক। হিংসার বিষবাষ্পে সমাজ বিষাক্ত। উদগ্র লোভে অর্থগৃধ্নুতায় মানুষ উন্মত্ত। চারদিকে শুধু হানাহানি, রক্ত আর রক্তপাত। ঘৃণা ঘৃণার জন্ম দেয়, হিংসা হিংসার, ভায়োলেন্স ভায়োলেন্সের, সন্ত্রাস সন্ত্রাসের। এর বিকল্প কখনো কিছু হওয়ার নয়।

ধ্বংসোন্মুখ আমাদের সভ্যতা ও ঐতিহ্যকে আজ রক্ষা করার একমাত্র উপায় অতীশের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া। আজ অতীশের অহিংসার বাণী— প্রেম, প্রীতি, ভালোবাসা ও দয়ার শিক্ষা, ক্ষমা ও মানবতার আহ্বান বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বকে শান্তিময় ও সম্প্রীতিময় স্বর্গভূমিতে পরিণত করতে পারে। বাংলার পাল সভ্যতা তার ঐতিহ্য ও ইতিহাস ও অহিংসার ললিত বাণী ভারত ছাপিয়ে চীন, জাপান, কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাভা, সুমাত্রা, সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছিল। শান্তি ও সম্প্রীতিতে গোটা এশিয়া হয়ে উঠেছিল সব অমঙ্গল, অকল্যাণ ও সহিংসতার বিপরীতে প্রেম-প্রীতি, শান্তি ও ভালোবাসার এক স্বর্গভূমি।

আজও অতীশের অহিংসার বাণী, প্রেম-প্রীতি ভালোবাসার শিক্ষা, ক্ষমা, দয়া ও মানবতার আহ্বান শুধু বাংলাদেশ কেন গোটা বিশ্বকে শান্তিময়, সম্প্রীতিময় ও প্রশান্তময় করে তুলতে পারে। হাজার বছর আগে জ্যোতির্ময়ী এ মহাজ্ঞানী, মহাজন এমনটাই করে গেছেন। অতীশ নেই। কিন্তু তার অমর অমিয় বাণী, তার শিক্ষা আর চেতনা হারিয়ে যায়নি। তার লেখা বিশাল গ্রন্থমালা আজও সুরক্ষিত ও সংরক্ষিত। অতীশ তার কৃতিত্বে, কর্মে বিদ্যমান। এশিয়াজুড়ে সারা জীবন বিরামহীন চলার পথে পথে, পাহাড়ে পর্বতে, উপত্যকায়, সমতল প্রান্তরে, সাগরের বেলাভূমিতে, অরণ্যের বৃক্ষরাজিতে অতীশ ক্ষমা আর মানবতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। আজ প্রয়োজন তাদেরই নতুন করে আবিষ্কার। আজ প্রয়োজন অতীশ চেতনার, প্রয়োজন অতীশ শিক্ষা অবলম্বনের, অতীশ আদর্শ ধারণের।

জয় হোক অতীশের, অতীশ চেতনার। হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী থেকে দূরীভূত হোক সব সংঘাত আর হানাহানি। বিতাড়িত হোক অকল্যাণ, অমঙ্গল, অশুভ ও অশুচি যা কিছু। বাংলার গৌরবোজ্জ্বল সভ্যতা সংস্কৃতি কৃষ্টি অজেয় হোক। অজেয় হোক শান্তিবাদী, শান্তিকামী, অহিংস, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আজকে তার পরম পবিত্র দেহভস্ম নিজভূমে প্রত্যাবর্তনের পবিত্র দিনে তাকে স্মরণ করছি। অর্পণ করছি এ প্রজন্মের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

লেখক : সাবেক সেনাপ্রধান।

এই বিভাগের আরও খবর
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
মহান ৭ নভেম্বর
মহান ৭ নভেম্বর
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সর্বশেষ খবর
ঝিনাইদহে মাঠ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইদহে মাঠ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাদারীপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেফতার
মাদারীপুরে তাঁতী লীগ নেতা গ্রেফতার

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এখনই হাসপাতাল ছাড়ছেন না ক্যাটরিনা কাইফ
এখনই হাসপাতাল ছাড়ছেন না ক্যাটরিনা কাইফ

২৬ মিনিট আগে | শোবিজ

কানাডার ক্যালগেরিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
কানাডার ক্যালগেরিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন

৩১ মিনিট আগে | পরবাস

নোয়াখালীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নোয়াখালীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

অ্যালোভেরার যত গুণ
অ্যালোভেরার যত গুণ

৪৫ মিনিট আগে | জীবন ধারা

নিজ বাড়ির সামনে ব‍্যবসায়ীকে দা-চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা
নিজ বাড়ির সামনে ব‍্যবসায়ীকে দা-চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

৪৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনা স্থগিত, পাল্টাপাল্টি হামলার শঙ্কা
আফগানিস্তান-পাকিস্তান আলোচনা স্থগিত, পাল্টাপাল্টি হামলার শঙ্কা

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল তিন বন্ধুর
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল তিন বন্ধুর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান শান্তি চায়, কিন্তু চাপে নতি স্বীকার করবে না : পেজেশকিয়ান
ইরান শান্তি চায়, কিন্তু চাপে নতি স্বীকার করবে না : পেজেশকিয়ান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজকে যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
আজকে যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজারে ভেসে উঠল ফেলানী হত্যার স্মৃতি
নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজারে ভেসে উঠল ফেলানী হত্যার স্মৃতি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগে আবেদন শুরু আজ
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগে আবেদন শুরু আজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সীমান্তবর্তী নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
সীমান্তবর্তী নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

টিভিতে আজকের যত খেলা
টিভিতে আজকের যত খেলা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীরে দুই কিশোরকে হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
পশ্চিম তীরে দুই কিশোরকে হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন আর নেই
নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন আর নেই

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা
এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১২ ঘণ্টা আগে | টক শো

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মা হলেন ক্যাটরিনা কাইফ
মা হলেন ক্যাটরিনা কাইফ

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম

হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন
হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন

পূর্ব-পশ্চিম