শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

শুভ জন্মাষ্টমী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
শুভ জন্মাষ্টমী

রবিবার ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ জন্মাষ্টমী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। আমি ছিলাম টাঙ্গাইলে। বহুদিন পর ঢোল ডাগরে সারা শহর জেগে উঠেছিল। স্বতঃস্ফূর্ত সুশৃঙ্খল এক ধর্মীয় আনন্দ-মিছিল দেখে অভিভূত হয়েছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় হৃদয়-মন ভরে গেছে। এমন শৃঙ্খলার পরিচয় আমরা যদি সবসময় দিতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। মিছিল যাওয়ার সময় মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, এ জন্যই কি আওয়ামী লীগের অত অহংকার। তাদের তো শতকরা ১০-১২ ভাগ ভোট এমনিতে আছে। কিন্তু এবার তেমন মনে হয় না। বেশি সংখ্যক হিন্দু আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, ভোট দেয় এটা সর্বজনবিদিত। কিন্তু এবারও যে তেমন হবে জোর দিয়ে বলা যায় না। গত কিছু বছর গ্রামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর যত জোর-জুলুম তার শতকরা ৭০-৮০ ভাগ করেছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সামর্থ্যবান হিন্দুরাও ভিপির কারণে প্রয়োজনের সময় ছেলেমেয়েদের বিয়ে-শাদি দিতে পারে না। অনেকেই সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দিতে পারছে না। কারণ সাধারণ সম্পত্তির মূল্য যেখানে লাখ, সেখানে হিন্দুর ভিপি সম্পত্তি হাজার-দশ হাজার। এসবের প্রভাব সামনের নির্বাচনে অবশ্যই পড়বে। তাই সুখের ঢেঁকুর তোলার তেমন মানে হয় না। অবস্থা খুব বেশি ভালো না।

যে সময় বাসুদেব আর দেবকীর ঘরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম সে সময়টা ছিল বড় অন্ধকার। মথুরার মহারাজা উগ্রসেনকে বন্দী করে তার অযোগ্য কুলাঙ্গার পুত্র কংস রাজা হয়েছিলেন। কংস একদিন দেবকী ও বাসুদেবকে নিয়ে রথে খুব আনন্দে ভ্রমণ করছিলেন। হঠাৎই এক দৈববাণী শুনতে পান কংস, বাসুদেব আর দেবকীর সন্তান তোমাকে বধ করবে। দৈববাণী শুনে অত্যাচারী কংস স্তম্ভিত হয়ে যায়। তার স্বাভাবিক হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে যায়। সেই থেকে যমুনার পাড়ে কংসের কারাগারে বাসুদেব আর দেবকীর স্থান হয়। সেখানে তারা বসবাস করতে থাকেন। দেবকী সন্তানসম্ভবা হয়। সন্তান প্রসবের সঙ্গে সঙ্গে কংস এসে দেবকীর সন্তান কেড়ে নিয়ে মেরে ফেলে। এরকম চলতে থাকে দীর্ঘদিন। পরপর ছয়টি সন্তানকে একইভাবে হত্যা করে। আবারও দেবকী সন্তানসম্ভবা হয়। কংস সবাইকে সতর্ক করে দেয়, পাহারা দেওয়া হয় দ্বিগুণ তিনগুণ করে। রাত-দিন কারও চোখে কোনো ঘুম নেই। আজ হয় কাল হয় এই বুঝি দেবকীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। এক মহা-দুর্যোগপূর্ণ রাতে দেবকী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রসব করেন। ভগবানের ইশারায় সমস্ত নজরদারি সমস্ত পাহারা ব্যর্থ হয়ে যায়। বর্তমান সমাজের নেশাখোরদের মতো সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। কী করি, কী করি। বাসুদেব আর দেবকী মথুরার বাইরে গকুলে নন্দরাজ আর নন্দরানীর কাছে শ্রীকৃষ্ণকে পাঠিয়ে দেয়। অলৌকিকভাবে উত্তাল যমুনা পার হয়ে নন্দরানীর ঘরে যায় বাসুদেব। ভগবানের ইচ্ছায় ওই একই দিনে বা রাতে নন্দরানীও এক মেয়ে সন্তান প্রসব করে। তাকে নিয়ে বাসুদেব ফিরে আসে। সবাই জেগে উঠলে মহারাজ কংস এসে মেয়েকে নিয়ে অন্যদের মতো তাকেও হত্যা করে। এরপরের ইতিহাস অনেক লম্বা। রাধা কৃষ্ণের উপাখ্যান। অনেকেই মনে করে কৃষ্ণের স্ত্রী রাধা। আদৌ তেমন নয়। রাধা কৃষ্ণের মামি। কৃষ্ণের প্রেরণা। রাধা বিনে কৃষ্ণ যেমন, তেমনি কৃষ্ণ বিনে রাধাকে চিন্তা করা যায় না। আস্তে আস্তে শ্রীকৃষ্ণ বড় হয়। নানা কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে তিনি মথুরায় আসেন। এক সময় মথুরার অত্যাচারী রাজা কংস কৃষ্ণের হাতে নিহত হয়। কংস বহু সাধ্য-সাধনা করে বহু দেব-দেবীকে খুশি করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বীরে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন অবধ্য। তাকে বধ করার ক্ষমতা কারও ছিল না এবং তিনি জানতেন একমাত্র দেবকী আর বাসুদেবের সন্তান তাকে বধ করতে পারে। তিনি তো দেবকী আর বাসুদেবের কোনো সন্তান জীবিত রাখেননি। তাই তার তেমন কোনো চিন্তা বা ভয় ছিল না। আশপাশের প্রতাপশালী রাজ-রাজড়া সব ছিলেন কংসের পদানত। এরকম সময় কংস বধ হওয়ায় তার শ্বশুর সে সময়ের প্রচ- শক্তিশালী মহারাজা জ্বরাসান্ধ বিস্মিত ও অবাক হন। কী করে এটা সম্ভব। দেবতার বর বিফল হওয়ার নয়। এমন হলো কী করে? এরপর অনেক কথা অনেক ঘটনা। কৃষ্ণ বড় হন। বিদর্ভের রাজা বিশমুখের কন্যা রুকমিনীকে বিয়ে করেন। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। হস্তীনাপুরের মহারাজা পা-ু শিকার করতে গিয়ে হরিণ মনে করে তীর ছুড়লে সে তীরে ঋষি কিনদাম নিহত হয়। মহারাজ মর্মাহত ও ব্যথিত হন। কিন্তু ঋষি তাদের শুভ মিলনে বাধা দিয়ে তীর মেরে হত্যা করায় অভিশাপ দেন, ‘তোর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হলেই তুই মারা যাবি।’ মহারাজ পা-ুর স্ত্রী কুন্তির সঙ্গে সূর্যদেবের সম্পর্ক ছিল। অলৌকিকভাবে বিয়ের আগেই তিনি সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন। লজ্জা লুকাতে সন্তানকে তিনি সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সন্তান মহাবীর কর্ণ এক সুতারের ঘরে লালিত-পালিত হন। মহাবীর কর্ণকে নিয়ে উপাখ্যান আছে, কেউ তার কাছ থেকে খালি হাতে ফিরেনি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের এক পর্যায়ে মাতা কুন্তি কর্ণের কাছে গিয়েছিলেন। কর্ণের হাতে কবজ ছিল। যতক্ষণ সে কবজ তার কাছে থাকত বা থাকবে ততক্ষণ কেউ তাকে বধ করতে পারবে না। যেমনি বর ছিল মহাবীর ভীস্মর। তিনি অবধ্য। মহাবীর কর্ণের মা ছিলেন দেবী কুন্তি। একেবারে শেষ মুহূর্তে পরিচয় হয় কর্ণই তার সন্তান। তবু পা-বদের বাঁচাতে এক সময় মহাবীর কর্ণের কাছে তার রক্ষা কবজ প্রার্থনা করেন। কর্ণ জানতেন কবজ দিলে তিনি বাঁচবেন না। তবু কথা রক্ষার্থে বাহুর মাংসপেশি কেটে কবজ বের করে দিয়েছিলেন। এমনই ছিল তার কথা রক্ষার উদাহরণ। কিন্তু এখন কেউ কারও কথা রাখে না, কথা দিয়ে পালন করে না। সেদিন আমরা আবার কবে পাব যেদিন কথা দিয়ে কেউ কথা রাখবে। গান্ধারীর শত পুত্ররা মামা শকুনীর ষড়যন্ত্রে পাশা খেলায় হারিয়ে ধ্রুপদীর বস্ত্রহরণ এবং তাদের নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। পা-বদের নির্বাসনেও স্বস্তি ছিল না। যত রকম ছল আছে তার কোনো ছল করতে কৈরবরা কোনো কৃপণতা করেনি। মহাবীর ভীস্ম, যাকে দেবাদীদেব   ব্রাহ্ম বর দিয়েছিলেন, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ না করলে কেউ তাকে মারতে পারবে না। অন্যদিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তীরন্দাজ অর্জুন। তার গুরু দ্রোনাচারী। যিনি সুতপুত্র মনে করে সূর্যপুত্র কর্ণকে শিক্ষা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। এমনি হাজারো কা-, হাজারো ঘটনা। কিন্তু শেষে সত্যেরই জয় হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অনেক রাজা-মহারাজা অত্যাচারী দুর্যধন দুঃশাসনের পক্ষ নিয়েছিল। তাদের একে একে পতন হয়েছিল। পঞ্চ পা-বের পক্ষও নিয়েছিল অনেক। ছলনা করে কৃষ্ণের শক্তি সাহস প্রেরণা বলরামকেও দুর্যধন তার শিক্ষাগুরু হিসেবে পক্ষে টেনেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো ছলনাই টিকেনি। ধৃতরাষ্ট্র চোখে দেখতেন না। সেজন্য গান্ধার কন্যা গান্ধারী তার চোখে কাপড় বেঁধে রাখতেন। তিনিও কিছু দেখতেন না। এমন আদর্শ নারীর ভাই শকুনীর পরামর্শে ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর শতপুত্র নিহত হয়েছিল কুরুক্ষেত্রে। আমার ভয় হয় এখনকার শকুনীদের কারণে, কী যে হয় কিছুই বলা যায় না।

এ তো গেল কৃষ্ণের কথা। আমরা এই কলিযুগে কৃষ্ণবিহীন ন্যায় নীতিবিহীন এক অন্ধকারে আছি। আমার জীবনের চরম অন্ধকার আগস্ট এই সেদিন শেষ হলো। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা-কর্মীরা ‘শোকই আমাদের শক্তি, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ’৭৫ এর প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সামনে আনতে চেয়েছিল। সেজন্য ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সভার আয়োজন করেছিল। আমন্ত্রিতরা ছিল ৩০-৩৫ জন। অতিথি ছিলেন ৪-৫ জন। আমরা বুঝতেই পারিনি অত দলীয় কর্মী আসবে। সে এক অভাবনীয় সমাবেশ। খোলা মাঠের জন্য তেমন বড় কিছু ছিল না। কিন্তু প্রেস ক্লাবের জন্য সেটা ছিল ধারণ ক্ষমতার বাইরে। হলের ভিতরে ২-৩শ লোকের বেশি জায়গা ছিল না। কিন্তু লোক হয়েছিল তার ৪-৫ গুন। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা মিটিং হয়েছে। প্রতিরোধ সংগ্রামীরা প্রাণখুলে কথা বলেছে। অতিথি সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার চমৎকার পরিবেশ পেয়ে প্রাণ উজাড় করে বক্তব্য রেখেছেন। যা সবার হৃদয় স্পর্শ করেছে। হলের ভিতর থেকে আমি কিছুই জানতাম না। হলের বাইরে বিপুল কর্মী জড়ো হওয়ায় তাদের কেউ কেউ এদিক-সেদিক বসেছিল। এমনকি অন্যদের দুটো প্রোগ্রামেও তারা গামছা গলায় সময় কাটিয়েছে। শুধু ’৭৫-এর প্রতিরোধ সংগ্রামীদের জন্য জায়গা করা হয়েছিল। অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও তেমন জায়গা ছিল না। তারা নিচে লন ফাঁকা পেয়ে কেউ কেউ বসেছিল। তাদের কাউকে কাউকে বসে থাকা থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। তারা অনেকে উঠেও যায়। কিন্তু একজন প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম লাল মিয়াকে পিয়নরা উঠিয়ে দিতে গেলে দুই-চারজন আপত্তি করে। আমাদের কর্মীরাও হয়তো কেউ কেউ মাথা ঠিক রাখতে পারেনি। দুর্ভাগ্য প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক এক সময় সেখানে হাজির হন। তাকে চিনতে না পেরে সাধারণ কর্মীরা হয়তো কেউ কেউ বলেছে, আপনি কে? এরকম বলায় পরিবেশ আরও খারাপ হয়ে যায়। উত্তেজনাকর পরিবেশে যা হওয়ার তাই হয়। কিছু বয়সী প্রবীণ নেতা হাতাহাতির হাত থেকে অবস্থা সামলে নেয়। ১৩-১৪ হাজার টাকায় একটি হল ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। খবরটি শোনার পরপরই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক ও অন্যান্য কজন নেতাকে ঘটনা যাই ঘটে থাকুক একেবারে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে পাঠিয়েছিলাম। ওই রাতে টাঙ্গাইল চলে এসেছিলাম বলে পরে আমি নিজেও জনাব সভাপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। কিন্তু কেন জানি মনে হলো আমাদের সাধারণ সম্পাদক তার কাছে ক্ষমা চাইবার পরও তিনি বোধহয় সম্পূর্ণ ক্ষমা করতে পারেননি। তা না হলে তিনি কেন আমার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় বলতে যাবেন ছেলেগুলো বড় বেয়াদব। নিশ্চয়ই ছেলেগুলো হয়তো বেয়াদব। কিন্তু তাদের পক্ষ হয়ে একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আসার পরও আমাকে অমন বলবেন কেন? যারা বাইরে ঘোরাফেরা করছিল চার ঘণ্টা পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল তাদের মধ্যে ৭০-৮০ জন সরকারি তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যাদের হলের ভিতরে জায়গা হয়নি। তারা প্রেস ক্লাবের অন্য কোথাও বসতেও পারেনি। ইদ্রিস কমান্ডারের ছোটভাই এক সময় টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম লাল কিছুক্ষণের জন্য প্রেস ক্লাবের লাউঞ্জে বসেছিল। তাকে বসতে না দেওয়ার বিষয়টি সহ্য করতে চাই কিন্তু তবু কিছুটা তো খারাপ লাগে। তেমন পরিচিত না হলে আমিও কোথাও গিয়ে বসলে আমার কপালেও ওই একই রকম ব্যবহার জুটত। তাহলে কি সাংবাদিক বন্ধুরা দেশের মানুষ অথবা রাজনীতিবিদরা আলাদা কিছু? মাছ পানি ছাড়া বাঁচে না, সাংবাদিকদেরও রাজনৈতিক লোকজন ছাড়া চলার কথা নয়। তবে কেন এমন হয়, কেন এই অসহিষ্ণুতা? প্রেস ক্লাবের জায়গাটা তো এক সময় বঙ্গবন্ধুই দিয়েছিলেন। দেশের জনগণের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুনেছি আগামীতে বহুতল প্রেস ক্লাবের ভবন হবে। সেখানে কমবেশি দেশের অর্থও থাকবে। তাই সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ তারা কি প্রেস ক্লাবের দিকে একটু তাকিয়েও দেখতে পারবেন না? বড় দুঃখের কথা। জানি, আমার এই চেতনার বিরুদ্ধে ভাবনার বিরুদ্ধে রে রে করে ওঠার মানুষের অভাব হবে না। কিন্তু তবু বলব, আমার কথাগুলো মোটেই অযৌক্তিক নয়। সংবাদ এবং সাংবাদিক সমাজের দর্পণ। মানুষের দুঃখ-কষ্ট সম্মান-অসম্মান সবই তাদের কলমের ডগায় উঠে আসবে-এটাই তো আপামর জনসাধারণের প্রত্যাশা। সামনে নির্বাচন। হবে কি হবে না শঙ্কা। প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব ও সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। মানুষের মধ্যে একটা সাড়াও জেগেছে। এই উদ্যোগের সঙ্গে এক সময় আমি খুবই সক্রিয় ছিলাম। এখনো নেই এ কথা বলার সময় আসেনি। গত বছর ৪ ডিসেম্বর জনাব আ স ম আবদুর রবের বাড়িতে যেদিন যুক্তফ্রন্টের ঘোষণা হয় সেখানে আমি ছিলাম। ঘোষণাটি আরও একটু পরে দিতে অনুরোধ করেছিলাম। কারণ সেদিন ড. কামাল হোসেন ছিলেন না। ১৬ কিংবা ১৮ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা ছিল। তবু কথা হয়েছিল নাম ঘোষণা হোক, ড. কামাল হোসেন এলে তার যদি নাম নিয়ে আপত্তি থাকে আর আমরা সবাই যদি একত্র হতে পারি তাহলে প্রয়োজন হলে নাম বদল করা যাবে। আমি চলে এসেছিলাম। বছরখানি আগে এক রাতে পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব আমায় বলেছিলেন, ‘কাদির, দেশ আমাকে মুরব্বি মনে করে না, তোমাকেও না। ড. কামাল হোসেন এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে যে আঙ্গিকেই দেখি না কেন, যেন দেশের মানুষ তাদের মুরব্বির কাতারে বিবেচনা করে। আমরা দুই ভাই তাদের নিয়ে যদি এগোতে পারতাম তাহলে বিপুল সম্ভাবনা ছিল।’ তার কথা আমার মনে দাগ কেটেছিল। তাই অনেকবার বলেছি, ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী একত্র থাকলে আমি আছি। তাদের একত্র চলার জন্য বহুবার ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছি, কথা বলেছি। কোনো কোনো বার আমি নিজে থেকে গেছি আবার কখনো-সখনো ড. কামাল হোসেন ডেকেছেন। ওরকম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার কাছেও গেছি। কিন্তু তাদের কারও আহ্বানে সাড়া দেওয়া কেন যেন ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে আসছে। বেশ ঘটা করে বিকল্পধারার সাধারণ সম্পাদক (অব.) মেজর মান্নানের বাড়িতে যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামের আনুষ্ঠানিক সভা এবং সেই সভায় তাদের একত্র চলার সিদ্ধান্তের পর আমি বা আমরা না যুক্তফ্রন্টের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারি, না ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের ডাকে সাড়া দিতে পারি। এখন আমি এবং আমার দল পড়েছি মাইনকার চিপায়। দুঃখ-কষ্ট ঝড়-তুফানে যে কর্মীরা কোনো কিছু না পেয়েও এখনো আছে যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরাম একত্র হওয়ার পর তারা আমাদের আহ্বান না করলে আলাদা আলাদা কারও দিকে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমরা এক অর্থবহ জাতীয় ঐক্য চাই। সেটা আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নেতৃত্বে চাই না। দুই প্রবীণ নেতার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠলে সেখানে কে আসবেন কে আসবেন না সেটা পরের কথা। যুক্তফ্রন্টের সাত দফা, গণফোরামের সাত দফা, আমাদেরও তো দু-এক দফা থাকতে পারে। কেমন যেন একটা গোলমেলে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানি না এর মধ্যে আবার গণফোরাম অথবা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ২২ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক মহা সমাবেশের আয়োজন করেছে। সে দিন ড. কামাল হোসেন আমায় দেখা করার জন্য আটবার রিং করেছিলেন। একটা মিটিংয়ে ছিলাম ঘরের দরজা বন্ধ করার আগে বলেছিলাম, মিটিং শেষ হওয়ার আগে কোনো ফোন দেবে না। সেই সময় পিতৃতুল্য ড. কামাল হোসেন যে ফোন করবেন কল্পনাও করিনি। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছিল, কী করে তাকে ফোন করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবু করেছিলাম। তিনি ফোন ধরেই বললেন, অনেকবার ফোন করেছি। আমি আমার ত্রুটির কথা অকপটে স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, তা যাই হোক আপনার সঙ্গে কিছু কথা বলতে হয়। বলেছিলাম, আগামীকাল আসব। অনেক কথা হয়েছে। কোনোটা আন্তরিক, কোনোটা আবার কিছুটা উত্তেজনাকর। কিন্তু ড. কামাল হোসেন আমাদের কাছে পিতার মতো। তার কোনো কিছু নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ-অনুযোগ করার উপায় নেই। সত্যিকার অর্থেই এক উত্তেজনাকর সময় পার করছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যতক্ষণ বেঁচে আছি যেন দেশের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারি।

            লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
সেনারা পারে, পারতেই হয়
সেনারা পারে, পারতেই হয়
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
অপনীতির অবসান
অপনীতির অবসান
গুপ্ত স্বৈরাচার
গুপ্ত স্বৈরাচার
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
গোলাপের সুবাস গেল কই
গোলাপের সুবাস গেল কই
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
সর্বশেষ খবর
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে ফের শুনানি আজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে ফের শুনানি আজ

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

পারিবারিক গল্পের সিরিয়াল ‘এটা আমাদেরই গল্প’
পারিবারিক গল্পের সিরিয়াল ‘এটা আমাদেরই গল্প’

১২ মিনিট আগে | শোবিজ

ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১১
ভারতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১১

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসিবির ২ বছরের চুক্তিতে স্টোকস, আরও আছেন যারা
ইসিবির ২ বছরের চুক্তিতে স্টোকস, আরও আছেন যারা

২১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প
মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ
জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সবচেয়ে বড় সুপারমুন দেখা যাবে আজ
সবচেয়ে বড় সুপারমুন দেখা যাবে আজ

৪১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

হবিগঞ্জে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার
হবিগঞ্জে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আলিস্তারের গোলে রিয়ালকে হারাল লিভারপুল
আলিস্তারের গোলে রিয়ালকে হারাল লিভারপুল

৫৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হচ্ছে ফেসবুকের মতো কভার ফটো ফিচার
হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হচ্ছে ফেসবুকের মতো কভার ফটো ফিচার

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কিছুটা কমতে পারে ঢাকার গরম, মেঘলা থাকবে আকাশ
কিছুটা কমতে পারে ঢাকার গরম, মেঘলা থাকবে আকাশ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচার বিভাগের ওপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে
বিচার বিভাগের ওপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ৫ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ৫ নভেম্বর ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্তরায় অতিদারিদ্র্য
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্তরায় অতিদারিদ্র্য

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নর নির্বাচিত, নিউইয়র্কে এগিয়ে মামদানি
ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নর নির্বাচিত, নিউইয়র্কে এগিয়ে মামদানি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্কের দৃঢ়তায় নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্কের দৃঢ়তায় নতুন দিগন্ত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের সময় যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো বিমানে আগুন, নিহত ৩
উড্ডয়নের সময় যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো বিমানে আগুন, নিহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি
ব্যবসা-বিনিয়োগে লাল বাতি

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা
একটি বন্য ছাগলের আত্মকথা

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ঢাকার বাতাসে মাঝারি দূষণ, কলকাতার অবস্থা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসে মাঝারি দূষণ, কলকাতার অবস্থা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
ইশরাক মনোনয়ন পাওয়ায় যা বললেন নুসরাত
ইশরাক মনোনয়ন পাওয়ায় যা বললেন নুসরাত

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা
হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

কর্মীদের আবেগকেও সম্মান করতে হবে : রুমিন ফারহানা
কর্মীদের আবেগকেও সম্মান করতে হবে : রুমিন ফারহানা

২০ ঘণ্টা আগে | টক শো

যে জেলার কোনও আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি
যে জেলার কোনও আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকায় মিলছে বিষধর গোখরার দেখা, কিন্তু কেন?
ঢাকায় মিলছে বিষধর গোখরার দেখা, কিন্তু কেন?

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত
মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি আদানি পাওয়ারের
১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি আদানি পাওয়ারের

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক
নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল
নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমির হামজার সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপির জাকির হোসেন
আমির হামজার সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে বিএনপির জাকির হোসেন

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

যে জেলায় কোনো প্রার্থীই দেয়নি বিএনপি
যে জেলায় কোনো প্রার্থীই দেয়নি বিএনপি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন কনকচাঁপা
বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন কনকচাঁপা

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে ৭৫ শতাংশ ভারতীয় শিক্ষার্থীর ভিসা আবেদন বাতিল কানাডার
যে কারণে ৭৫ শতাংশ ভারতীয় শিক্ষার্থীর ভিসা আবেদন বাতিল কানাডার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মনোনয়ন পেয়ে যে বার্তা দিলেন ইশরাক
মনোনয়ন পেয়ে যে বার্তা দিলেন ইশরাক

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শিগগিরই আসছে ২৫০০ কোটি টাকার ৭ম বিনিয়োগ সুকুক
শিগগিরই আসছে ২৫০০ কোটি টাকার ৭ম বিনিয়োগ সুকুক

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার
৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা
শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেশের তিন বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
দেশের তিন বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান
শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

২ দিনের সরকারি সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
২ দিনের সরকারি সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক
পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল
জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম
শেখ হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
নির্বাচনি উত্তাপে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন স্কুল ভবন!
এ কেমন স্কুল ভবন!

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই

প্রথম পৃষ্ঠা

এটাই আমার শেষ নির্বাচন
এটাই আমার শেষ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার
অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ
সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ

নগর জীবন

অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা
১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা

নগর জীবন

এ কী কাণ্ড মাধুরীর
এ কী কাণ্ড মাধুরীর

শোবিজ

জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব
নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের
সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের

নগর জীবন

মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়
মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়

প্রথম পৃষ্ঠা

১৬ বছর পর আসিফ
১৬ বছর পর আসিফ

শোবিজ

সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন
সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন

নগর জীবন

পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা
পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা

মাঠে ময়দানে

কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি
কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ
দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র
রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র

শোবিজ

কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি
কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি

শোবিজ

নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না
নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না

নগর জীবন

রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নগর জীবন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের ২ হাজার কোরআন বিতরণ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের ২ হাজার কোরআন বিতরণ

নগর জীবন

ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে
ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে

নগর জীবন

আলাপের জন্য আলাপ
আলাপের জন্য আলাপ

রকমারি রম্য

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আবহমান’
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আবহমান’

শোবিজ

সানট্যান থেকে মুক্তি ও ত্বকের সুরক্ষা
সানট্যান থেকে মুক্তি ও ত্বকের সুরক্ষা

রকমারি লাইফ স্টাইল

নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল
নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল

প্রথম পৃষ্ঠা