শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

শুভ জন্মাষ্টমী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
শুভ জন্মাষ্টমী

রবিবার ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ জন্মাষ্টমী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। আমি ছিলাম টাঙ্গাইলে। বহুদিন পর ঢোল ডাগরে সারা শহর জেগে উঠেছিল। স্বতঃস্ফূর্ত সুশৃঙ্খল এক ধর্মীয় আনন্দ-মিছিল দেখে অভিভূত হয়েছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় হৃদয়-মন ভরে গেছে। এমন শৃঙ্খলার পরিচয় আমরা যদি সবসময় দিতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। মিছিল যাওয়ার সময় মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, এ জন্যই কি আওয়ামী লীগের অত অহংকার। তাদের তো শতকরা ১০-১২ ভাগ ভোট এমনিতে আছে। কিন্তু এবার তেমন মনে হয় না। বেশি সংখ্যক হিন্দু আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, ভোট দেয় এটা সর্বজনবিদিত। কিন্তু এবারও যে তেমন হবে জোর দিয়ে বলা যায় না। গত কিছু বছর গ্রামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর যত জোর-জুলুম তার শতকরা ৭০-৮০ ভাগ করেছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সামর্থ্যবান হিন্দুরাও ভিপির কারণে প্রয়োজনের সময় ছেলেমেয়েদের বিয়ে-শাদি দিতে পারে না। অনেকেই সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দিতে পারছে না। কারণ সাধারণ সম্পত্তির মূল্য যেখানে লাখ, সেখানে হিন্দুর ভিপি সম্পত্তি হাজার-দশ হাজার। এসবের প্রভাব সামনের নির্বাচনে অবশ্যই পড়বে। তাই সুখের ঢেঁকুর তোলার তেমন মানে হয় না। অবস্থা খুব বেশি ভালো না।

যে সময় বাসুদেব আর দেবকীর ঘরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম সে সময়টা ছিল বড় অন্ধকার। মথুরার মহারাজা উগ্রসেনকে বন্দী করে তার অযোগ্য কুলাঙ্গার পুত্র কংস রাজা হয়েছিলেন। কংস একদিন দেবকী ও বাসুদেবকে নিয়ে রথে খুব আনন্দে ভ্রমণ করছিলেন। হঠাৎই এক দৈববাণী শুনতে পান কংস, বাসুদেব আর দেবকীর সন্তান তোমাকে বধ করবে। দৈববাণী শুনে অত্যাচারী কংস স্তম্ভিত হয়ে যায়। তার স্বাভাবিক হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে যায়। সেই থেকে যমুনার পাড়ে কংসের কারাগারে বাসুদেব আর দেবকীর স্থান হয়। সেখানে তারা বসবাস করতে থাকেন। দেবকী সন্তানসম্ভবা হয়। সন্তান প্রসবের সঙ্গে সঙ্গে কংস এসে দেবকীর সন্তান কেড়ে নিয়ে মেরে ফেলে। এরকম চলতে থাকে দীর্ঘদিন। পরপর ছয়টি সন্তানকে একইভাবে হত্যা করে। আবারও দেবকী সন্তানসম্ভবা হয়। কংস সবাইকে সতর্ক করে দেয়, পাহারা দেওয়া হয় দ্বিগুণ তিনগুণ করে। রাত-দিন কারও চোখে কোনো ঘুম নেই। আজ হয় কাল হয় এই বুঝি দেবকীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। এক মহা-দুর্যোগপূর্ণ রাতে দেবকী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রসব করেন। ভগবানের ইশারায় সমস্ত নজরদারি সমস্ত পাহারা ব্যর্থ হয়ে যায়। বর্তমান সমাজের নেশাখোরদের মতো সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। কী করি, কী করি। বাসুদেব আর দেবকী মথুরার বাইরে গকুলে নন্দরাজ আর নন্দরানীর কাছে শ্রীকৃষ্ণকে পাঠিয়ে দেয়। অলৌকিকভাবে উত্তাল যমুনা পার হয়ে নন্দরানীর ঘরে যায় বাসুদেব। ভগবানের ইচ্ছায় ওই একই দিনে বা রাতে নন্দরানীও এক মেয়ে সন্তান প্রসব করে। তাকে নিয়ে বাসুদেব ফিরে আসে। সবাই জেগে উঠলে মহারাজ কংস এসে মেয়েকে নিয়ে অন্যদের মতো তাকেও হত্যা করে। এরপরের ইতিহাস অনেক লম্বা। রাধা কৃষ্ণের উপাখ্যান। অনেকেই মনে করে কৃষ্ণের স্ত্রী রাধা। আদৌ তেমন নয়। রাধা কৃষ্ণের মামি। কৃষ্ণের প্রেরণা। রাধা বিনে কৃষ্ণ যেমন, তেমনি কৃষ্ণ বিনে রাধাকে চিন্তা করা যায় না। আস্তে আস্তে শ্রীকৃষ্ণ বড় হয়। নানা কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে তিনি মথুরায় আসেন। এক সময় মথুরার অত্যাচারী রাজা কংস কৃষ্ণের হাতে নিহত হয়। কংস বহু সাধ্য-সাধনা করে বহু দেব-দেবীকে খুশি করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বীরে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন অবধ্য। তাকে বধ করার ক্ষমতা কারও ছিল না এবং তিনি জানতেন একমাত্র দেবকী আর বাসুদেবের সন্তান তাকে বধ করতে পারে। তিনি তো দেবকী আর বাসুদেবের কোনো সন্তান জীবিত রাখেননি। তাই তার তেমন কোনো চিন্তা বা ভয় ছিল না। আশপাশের প্রতাপশালী রাজ-রাজড়া সব ছিলেন কংসের পদানত। এরকম সময় কংস বধ হওয়ায় তার শ্বশুর সে সময়ের প্রচ- শক্তিশালী মহারাজা জ্বরাসান্ধ বিস্মিত ও অবাক হন। কী করে এটা সম্ভব। দেবতার বর বিফল হওয়ার নয়। এমন হলো কী করে? এরপর অনেক কথা অনেক ঘটনা। কৃষ্ণ বড় হন। বিদর্ভের রাজা বিশমুখের কন্যা রুকমিনীকে বিয়ে করেন। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। হস্তীনাপুরের মহারাজা পা-ু শিকার করতে গিয়ে হরিণ মনে করে তীর ছুড়লে সে তীরে ঋষি কিনদাম নিহত হয়। মহারাজ মর্মাহত ও ব্যথিত হন। কিন্তু ঋষি তাদের শুভ মিলনে বাধা দিয়ে তীর মেরে হত্যা করায় অভিশাপ দেন, ‘তোর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হলেই তুই মারা যাবি।’ মহারাজ পা-ুর স্ত্রী কুন্তির সঙ্গে সূর্যদেবের সম্পর্ক ছিল। অলৌকিকভাবে বিয়ের আগেই তিনি সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন। লজ্জা লুকাতে সন্তানকে তিনি সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সন্তান মহাবীর কর্ণ এক সুতারের ঘরে লালিত-পালিত হন। মহাবীর কর্ণকে নিয়ে উপাখ্যান আছে, কেউ তার কাছ থেকে খালি হাতে ফিরেনি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের এক পর্যায়ে মাতা কুন্তি কর্ণের কাছে গিয়েছিলেন। কর্ণের হাতে কবজ ছিল। যতক্ষণ সে কবজ তার কাছে থাকত বা থাকবে ততক্ষণ কেউ তাকে বধ করতে পারবে না। যেমনি বর ছিল মহাবীর ভীস্মর। তিনি অবধ্য। মহাবীর কর্ণের মা ছিলেন দেবী কুন্তি। একেবারে শেষ মুহূর্তে পরিচয় হয় কর্ণই তার সন্তান। তবু পা-বদের বাঁচাতে এক সময় মহাবীর কর্ণের কাছে তার রক্ষা কবজ প্রার্থনা করেন। কর্ণ জানতেন কবজ দিলে তিনি বাঁচবেন না। তবু কথা রক্ষার্থে বাহুর মাংসপেশি কেটে কবজ বের করে দিয়েছিলেন। এমনই ছিল তার কথা রক্ষার উদাহরণ। কিন্তু এখন কেউ কারও কথা রাখে না, কথা দিয়ে পালন করে না। সেদিন আমরা আবার কবে পাব যেদিন কথা দিয়ে কেউ কথা রাখবে। গান্ধারীর শত পুত্ররা মামা শকুনীর ষড়যন্ত্রে পাশা খেলায় হারিয়ে ধ্রুপদীর বস্ত্রহরণ এবং তাদের নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। পা-বদের নির্বাসনেও স্বস্তি ছিল না। যত রকম ছল আছে তার কোনো ছল করতে কৈরবরা কোনো কৃপণতা করেনি। মহাবীর ভীস্ম, যাকে দেবাদীদেব   ব্রাহ্ম বর দিয়েছিলেন, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ না করলে কেউ তাকে মারতে পারবে না। অন্যদিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তীরন্দাজ অর্জুন। তার গুরু দ্রোনাচারী। যিনি সুতপুত্র মনে করে সূর্যপুত্র কর্ণকে শিক্ষা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। এমনি হাজারো কা-, হাজারো ঘটনা। কিন্তু শেষে সত্যেরই জয় হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অনেক রাজা-মহারাজা অত্যাচারী দুর্যধন দুঃশাসনের পক্ষ নিয়েছিল। তাদের একে একে পতন হয়েছিল। পঞ্চ পা-বের পক্ষও নিয়েছিল অনেক। ছলনা করে কৃষ্ণের শক্তি সাহস প্রেরণা বলরামকেও দুর্যধন তার শিক্ষাগুরু হিসেবে পক্ষে টেনেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো ছলনাই টিকেনি। ধৃতরাষ্ট্র চোখে দেখতেন না। সেজন্য গান্ধার কন্যা গান্ধারী তার চোখে কাপড় বেঁধে রাখতেন। তিনিও কিছু দেখতেন না। এমন আদর্শ নারীর ভাই শকুনীর পরামর্শে ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর শতপুত্র নিহত হয়েছিল কুরুক্ষেত্রে। আমার ভয় হয় এখনকার শকুনীদের কারণে, কী যে হয় কিছুই বলা যায় না।

এ তো গেল কৃষ্ণের কথা। আমরা এই কলিযুগে কৃষ্ণবিহীন ন্যায় নীতিবিহীন এক অন্ধকারে আছি। আমার জীবনের চরম অন্ধকার আগস্ট এই সেদিন শেষ হলো। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা-কর্মীরা ‘শোকই আমাদের শক্তি, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ’৭৫ এর প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সামনে আনতে চেয়েছিল। সেজন্য ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সভার আয়োজন করেছিল। আমন্ত্রিতরা ছিল ৩০-৩৫ জন। অতিথি ছিলেন ৪-৫ জন। আমরা বুঝতেই পারিনি অত দলীয় কর্মী আসবে। সে এক অভাবনীয় সমাবেশ। খোলা মাঠের জন্য তেমন বড় কিছু ছিল না। কিন্তু প্রেস ক্লাবের জন্য সেটা ছিল ধারণ ক্ষমতার বাইরে। হলের ভিতরে ২-৩শ লোকের বেশি জায়গা ছিল না। কিন্তু লোক হয়েছিল তার ৪-৫ গুন। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা মিটিং হয়েছে। প্রতিরোধ সংগ্রামীরা প্রাণখুলে কথা বলেছে। অতিথি সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার চমৎকার পরিবেশ পেয়ে প্রাণ উজাড় করে বক্তব্য রেখেছেন। যা সবার হৃদয় স্পর্শ করেছে। হলের ভিতর থেকে আমি কিছুই জানতাম না। হলের বাইরে বিপুল কর্মী জড়ো হওয়ায় তাদের কেউ কেউ এদিক-সেদিক বসেছিল। এমনকি অন্যদের দুটো প্রোগ্রামেও তারা গামছা গলায় সময় কাটিয়েছে। শুধু ’৭৫-এর প্রতিরোধ সংগ্রামীদের জন্য জায়গা করা হয়েছিল। অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও তেমন জায়গা ছিল না। তারা নিচে লন ফাঁকা পেয়ে কেউ কেউ বসেছিল। তাদের কাউকে কাউকে বসে থাকা থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। তারা অনেকে উঠেও যায়। কিন্তু একজন প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম লাল মিয়াকে পিয়নরা উঠিয়ে দিতে গেলে দুই-চারজন আপত্তি করে। আমাদের কর্মীরাও হয়তো কেউ কেউ মাথা ঠিক রাখতে পারেনি। দুর্ভাগ্য প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক এক সময় সেখানে হাজির হন। তাকে চিনতে না পেরে সাধারণ কর্মীরা হয়তো কেউ কেউ বলেছে, আপনি কে? এরকম বলায় পরিবেশ আরও খারাপ হয়ে যায়। উত্তেজনাকর পরিবেশে যা হওয়ার তাই হয়। কিছু বয়সী প্রবীণ নেতা হাতাহাতির হাত থেকে অবস্থা সামলে নেয়। ১৩-১৪ হাজার টাকায় একটি হল ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। খবরটি শোনার পরপরই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক ও অন্যান্য কজন নেতাকে ঘটনা যাই ঘটে থাকুক একেবারে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে পাঠিয়েছিলাম। ওই রাতে টাঙ্গাইল চলে এসেছিলাম বলে পরে আমি নিজেও জনাব সভাপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। কিন্তু কেন জানি মনে হলো আমাদের সাধারণ সম্পাদক তার কাছে ক্ষমা চাইবার পরও তিনি বোধহয় সম্পূর্ণ ক্ষমা করতে পারেননি। তা না হলে তিনি কেন আমার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় বলতে যাবেন ছেলেগুলো বড় বেয়াদব। নিশ্চয়ই ছেলেগুলো হয়তো বেয়াদব। কিন্তু তাদের পক্ষ হয়ে একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আসার পরও আমাকে অমন বলবেন কেন? যারা বাইরে ঘোরাফেরা করছিল চার ঘণ্টা পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল তাদের মধ্যে ৭০-৮০ জন সরকারি তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যাদের হলের ভিতরে জায়গা হয়নি। তারা প্রেস ক্লাবের অন্য কোথাও বসতেও পারেনি। ইদ্রিস কমান্ডারের ছোটভাই এক সময় টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম লাল কিছুক্ষণের জন্য প্রেস ক্লাবের লাউঞ্জে বসেছিল। তাকে বসতে না দেওয়ার বিষয়টি সহ্য করতে চাই কিন্তু তবু কিছুটা তো খারাপ লাগে। তেমন পরিচিত না হলে আমিও কোথাও গিয়ে বসলে আমার কপালেও ওই একই রকম ব্যবহার জুটত। তাহলে কি সাংবাদিক বন্ধুরা দেশের মানুষ অথবা রাজনীতিবিদরা আলাদা কিছু? মাছ পানি ছাড়া বাঁচে না, সাংবাদিকদেরও রাজনৈতিক লোকজন ছাড়া চলার কথা নয়। তবে কেন এমন হয়, কেন এই অসহিষ্ণুতা? প্রেস ক্লাবের জায়গাটা তো এক সময় বঙ্গবন্ধুই দিয়েছিলেন। দেশের জনগণের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুনেছি আগামীতে বহুতল প্রেস ক্লাবের ভবন হবে। সেখানে কমবেশি দেশের অর্থও থাকবে। তাই সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ তারা কি প্রেস ক্লাবের দিকে একটু তাকিয়েও দেখতে পারবেন না? বড় দুঃখের কথা। জানি, আমার এই চেতনার বিরুদ্ধে ভাবনার বিরুদ্ধে রে রে করে ওঠার মানুষের অভাব হবে না। কিন্তু তবু বলব, আমার কথাগুলো মোটেই অযৌক্তিক নয়। সংবাদ এবং সাংবাদিক সমাজের দর্পণ। মানুষের দুঃখ-কষ্ট সম্মান-অসম্মান সবই তাদের কলমের ডগায় উঠে আসবে-এটাই তো আপামর জনসাধারণের প্রত্যাশা। সামনে নির্বাচন। হবে কি হবে না শঙ্কা। প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব ও সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। মানুষের মধ্যে একটা সাড়াও জেগেছে। এই উদ্যোগের সঙ্গে এক সময় আমি খুবই সক্রিয় ছিলাম। এখনো নেই এ কথা বলার সময় আসেনি। গত বছর ৪ ডিসেম্বর জনাব আ স ম আবদুর রবের বাড়িতে যেদিন যুক্তফ্রন্টের ঘোষণা হয় সেখানে আমি ছিলাম। ঘোষণাটি আরও একটু পরে দিতে অনুরোধ করেছিলাম। কারণ সেদিন ড. কামাল হোসেন ছিলেন না। ১৬ কিংবা ১৮ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা ছিল। তবু কথা হয়েছিল নাম ঘোষণা হোক, ড. কামাল হোসেন এলে তার যদি নাম নিয়ে আপত্তি থাকে আর আমরা সবাই যদি একত্র হতে পারি তাহলে প্রয়োজন হলে নাম বদল করা যাবে। আমি চলে এসেছিলাম। বছরখানি আগে এক রাতে পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব আমায় বলেছিলেন, ‘কাদির, দেশ আমাকে মুরব্বি মনে করে না, তোমাকেও না। ড. কামাল হোসেন এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে যে আঙ্গিকেই দেখি না কেন, যেন দেশের মানুষ তাদের মুরব্বির কাতারে বিবেচনা করে। আমরা দুই ভাই তাদের নিয়ে যদি এগোতে পারতাম তাহলে বিপুল সম্ভাবনা ছিল।’ তার কথা আমার মনে দাগ কেটেছিল। তাই অনেকবার বলেছি, ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী একত্র থাকলে আমি আছি। তাদের একত্র চলার জন্য বহুবার ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছি, কথা বলেছি। কোনো কোনো বার আমি নিজে থেকে গেছি আবার কখনো-সখনো ড. কামাল হোসেন ডেকেছেন। ওরকম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার কাছেও গেছি। কিন্তু তাদের কারও আহ্বানে সাড়া দেওয়া কেন যেন ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে আসছে। বেশ ঘটা করে বিকল্পধারার সাধারণ সম্পাদক (অব.) মেজর মান্নানের বাড়িতে যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামের আনুষ্ঠানিক সভা এবং সেই সভায় তাদের একত্র চলার সিদ্ধান্তের পর আমি বা আমরা না যুক্তফ্রন্টের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারি, না ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের ডাকে সাড়া দিতে পারি। এখন আমি এবং আমার দল পড়েছি মাইনকার চিপায়। দুঃখ-কষ্ট ঝড়-তুফানে যে কর্মীরা কোনো কিছু না পেয়েও এখনো আছে যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরাম একত্র হওয়ার পর তারা আমাদের আহ্বান না করলে আলাদা আলাদা কারও দিকে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমরা এক অর্থবহ জাতীয় ঐক্য চাই। সেটা আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নেতৃত্বে চাই না। দুই প্রবীণ নেতার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠলে সেখানে কে আসবেন কে আসবেন না সেটা পরের কথা। যুক্তফ্রন্টের সাত দফা, গণফোরামের সাত দফা, আমাদেরও তো দু-এক দফা থাকতে পারে। কেমন যেন একটা গোলমেলে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানি না এর মধ্যে আবার গণফোরাম অথবা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ২২ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক মহা সমাবেশের আয়োজন করেছে। সে দিন ড. কামাল হোসেন আমায় দেখা করার জন্য আটবার রিং করেছিলেন। একটা মিটিংয়ে ছিলাম ঘরের দরজা বন্ধ করার আগে বলেছিলাম, মিটিং শেষ হওয়ার আগে কোনো ফোন দেবে না। সেই সময় পিতৃতুল্য ড. কামাল হোসেন যে ফোন করবেন কল্পনাও করিনি। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছিল, কী করে তাকে ফোন করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবু করেছিলাম। তিনি ফোন ধরেই বললেন, অনেকবার ফোন করেছি। আমি আমার ত্রুটির কথা অকপটে স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, তা যাই হোক আপনার সঙ্গে কিছু কথা বলতে হয়। বলেছিলাম, আগামীকাল আসব। অনেক কথা হয়েছে। কোনোটা আন্তরিক, কোনোটা আবার কিছুটা উত্তেজনাকর। কিন্তু ড. কামাল হোসেন আমাদের কাছে পিতার মতো। তার কোনো কিছু নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ-অনুযোগ করার উপায় নেই। সত্যিকার অর্থেই এক উত্তেজনাকর সময় পার করছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যতক্ষণ বেঁচে আছি যেন দেশের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারি।

            লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
পাসপোর্টের মান
পাসপোর্টের মান
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
টক-মিষ্টি আমড়া
টক-মিষ্টি আমড়া
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল
আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল
চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
একের পর এক আগুন
একের পর এক আগুন
আগুন : দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত
আগুন : দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত
প্রয়োজন অর্থনীতিবান্ধব রাজনীতি
প্রয়োজন অর্থনীতিবান্ধব রাজনীতি
আমি, পাপিয়া এবং সেই রাজনীতি
আমি, পাপিয়া এবং সেই রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
‘ভুয়া-বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি’
‘ভুয়া-বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় হুমকি’

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০
ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

১ মিনিট আগে | জাতীয়

সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ফটিকছড়িতে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ফটিকছড়িতে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের ফেসবুক আইডিতে সাইবার হামলা
সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের ফেসবুক আইডিতে সাইবার হামলা

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক বুধবার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক বুধবার

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-পুতিন বুদাপেস্ট বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা
ট্রাম্প-পুতিন বুদাপেস্ট বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পোল্যান্ডে অর্ধশতাধিক সন্দেহভাজন আটক
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পোল্যান্ডে অর্ধশতাধিক সন্দেহভাজন আটক

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপার ওভারে গড়াল টাইগারদের ম্যাচ
সুপার ওভারে গড়াল টাইগারদের ম্যাচ

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বিদেশি আহত
চট্টগ্রামে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বিদেশি আহত

৪৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৮৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এলডিপির
৮৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এলডিপির

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

আরও দুই জিম্মির মরদেহ ফেরত দিচ্ছে হামাস
আরও দুই জিম্মির মরদেহ ফেরত দিচ্ছে হামাস

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গীতে গণপিটুনিতে প্রাণ গেল ছিনতাইকারীর
টঙ্গীতে গণপিটুনিতে প্রাণ গেল ছিনতাইকারীর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাত্র ৩ দিনেই ৬৬ কোটি, ঝড় তুলল ডুড
মাত্র ৩ দিনেই ৬৬ কোটি, ঝড় তুলল ডুড

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চট্টগ্রামে সহপাঠীদের পিটুনিতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চট্টগ্রামে সহপাঠীদের পিটুনিতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিশ্চিত কামিন্স, অ্যাশেজে নেতৃত্ব নিতে স্মিথ
অনিশ্চিত কামিন্স, অ্যাশেজে নেতৃত্ব নিতে স্মিথ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‌জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলে বিনা নোটিশে বন্ধ হবে গণমাধ্যমের পোর্টাল : ফয়েজ আহমদ
‌জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলে বিনা নোটিশে বন্ধ হবে গণমাধ্যমের পোর্টাল : ফয়েজ আহমদ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রথমবার মশা শনাক্ত হলো যেদেশে
প্রথমবার মশা শনাক্ত হলো যেদেশে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে ফেনীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে ফেনীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিশরের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক
মিশরের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৭ উইকেট হারিয়ে ধুকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৭ উইকেট হারিয়ে ধুকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রথমবারের মতো ফিফা টিডিএস ওয়ার্কশপ আয়োজন বাফুফে’র
প্রথমবারের মতো ফিফা টিডিএস ওয়ার্কশপ আয়োজন বাফুফে’র

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে তীব্র গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে তীব্র গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আরও ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিল ইসরায়েল
আরও ১৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিল ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার, কেরানীগঞ্জ পৌরসভা
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার, কেরানীগঞ্জ পৌরসভা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!
২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মাসখানেক আগেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহির’
‘মাসখানেক আগেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহির’

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইউক্রেনের ‘৭৮ শতাংশ দখল’ করে নিয়েছে রাশিয়া, ধারণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনের ‘৭৮ শতাংশ দখল’ করে নিয়েছে রাশিয়া, ধারণা ট্রাম্পের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পাশে দাঁড়াল প্রতিবেশী আরব দেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি
ইরানের পাশে দাঁড়াল প্রতিবেশী আরব দেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাশিয়ার শর্ত মেনে ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামাতে বললেন ট্রাম্প
রাশিয়ার শর্ত মেনে ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামাতে বললেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকবে কি না, সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের: রিজভী
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকবে কি না, সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের: রিজভী

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান
যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারা গেলেন 'শোলে'র জেলার গোবর্ধন আসরানি
মারা গেলেন 'শোলে'র জেলার গোবর্ধন আসরানি

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেব-রুক্মিণী নিয়ে নতুন গুঞ্জন, ফের ভাঙনের ইঙ্গিত?
দেব-রুক্মিণী নিয়ে নতুন গুঞ্জন, ফের ভাঙনের ইঙ্গিত?

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আজ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম
আজ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বেতন কমিশনের প্রতিবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিল
বেতন কমিশনের প্রতিবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলছেন ট্রাম্প
যে কারণে হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলছেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারা গেছে রাঙামাটির সেই ‘গোলাপি হাতি’
মারা গেছে রাঙামাটির সেই ‘গোলাপি হাতি’

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধবিরতি ভাঙলে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করবেন ট্রাম্প!
যুদ্ধবিরতি ভাঙলে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করবেন ট্রাম্প!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় একদিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
গাজায় একদিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল ফেরত দিয়েছে ১৩৫ ফিলিস্তিনির বিকৃত মরদেহ
ইসরায়েল ফেরত দিয়েছে ১৩৫ ফিলিস্তিনির বিকৃত মরদেহ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ অক্টোবর)

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীন-যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৭ বিক্রির রেকর্ড
চীন-যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৭ বিক্রির রেকর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

লঙ্কার কাছে হেরে টাইগ্রেসদের সেমির স্বপ্নভঙ্গ
লঙ্কার কাছে হেরে টাইগ্রেসদের সেমির স্বপ্নভঙ্গ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনেকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত শুনানি শুরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত শুনানি শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন
বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন

নগর জীবন

আবারও ই-কমার্স প্রতারণা
আবারও ই-কমার্স প্রতারণা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার
ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার

পেছনের পৃষ্ঠা

আদেশ জারির পর গণভোট
আদেশ জারির পর গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের
জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ
চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না
বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না

প্রথম পৃষ্ঠা

বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা
বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলিশ রক্ষায় মায়া নেই জেলেদের
ইলিশ রক্ষায় মায়া নেই জেলেদের

নগর জীবন

বিপর্যয় কাটবে কীভাবে
বিপর্যয় কাটবে কীভাবে

প্রথম পৃষ্ঠা

থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের
থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আবারও আসতে পারে ১/১১
আবারও আসতে পারে ১/১১

নগর জীবন

উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া

সম্পাদকীয়

পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার
পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি
ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি

নগর জীবন

প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির
প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার

সম্পাদকীয়

আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক
আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী
যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন

সম্পাদকীয়

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন
রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়

স্বাস্থ্য

আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা
আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা

মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় এনসিপির সভায় ককটেল বিস্ফোরণ
বগুড়ায় এনসিপির সভায় ককটেল বিস্ফোরণ

দেশগ্রাম

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

নগর জীবন

২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!
২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!

পেছনের পৃষ্ঠা

ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আটক ২৪
ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আটক ২৪

দেশগ্রাম