শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

শুভ জন্মাষ্টমী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
শুভ জন্মাষ্টমী

রবিবার ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ জন্মাষ্টমী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। আমি ছিলাম টাঙ্গাইলে। বহুদিন পর ঢোল ডাগরে সারা শহর জেগে উঠেছিল। স্বতঃস্ফূর্ত সুশৃঙ্খল এক ধর্মীয় আনন্দ-মিছিল দেখে অভিভূত হয়েছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় হৃদয়-মন ভরে গেছে। এমন শৃঙ্খলার পরিচয় আমরা যদি সবসময় দিতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। মিছিল যাওয়ার সময় মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, এ জন্যই কি আওয়ামী লীগের অত অহংকার। তাদের তো শতকরা ১০-১২ ভাগ ভোট এমনিতে আছে। কিন্তু এবার তেমন মনে হয় না। বেশি সংখ্যক হিন্দু আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, ভোট দেয় এটা সর্বজনবিদিত। কিন্তু এবারও যে তেমন হবে জোর দিয়ে বলা যায় না। গত কিছু বছর গ্রামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর যত জোর-জুলুম তার শতকরা ৭০-৮০ ভাগ করেছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সামর্থ্যবান হিন্দুরাও ভিপির কারণে প্রয়োজনের সময় ছেলেমেয়েদের বিয়ে-শাদি দিতে পারে না। অনেকেই সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দিতে পারছে না। কারণ সাধারণ সম্পত্তির মূল্য যেখানে লাখ, সেখানে হিন্দুর ভিপি সম্পত্তি হাজার-দশ হাজার। এসবের প্রভাব সামনের নির্বাচনে অবশ্যই পড়বে। তাই সুখের ঢেঁকুর তোলার তেমন মানে হয় না। অবস্থা খুব বেশি ভালো না।

যে সময় বাসুদেব আর দেবকীর ঘরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম সে সময়টা ছিল বড় অন্ধকার। মথুরার মহারাজা উগ্রসেনকে বন্দী করে তার অযোগ্য কুলাঙ্গার পুত্র কংস রাজা হয়েছিলেন। কংস একদিন দেবকী ও বাসুদেবকে নিয়ে রথে খুব আনন্দে ভ্রমণ করছিলেন। হঠাৎই এক দৈববাণী শুনতে পান কংস, বাসুদেব আর দেবকীর সন্তান তোমাকে বধ করবে। দৈববাণী শুনে অত্যাচারী কংস স্তম্ভিত হয়ে যায়। তার স্বাভাবিক হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে যায়। সেই থেকে যমুনার পাড়ে কংসের কারাগারে বাসুদেব আর দেবকীর স্থান হয়। সেখানে তারা বসবাস করতে থাকেন। দেবকী সন্তানসম্ভবা হয়। সন্তান প্রসবের সঙ্গে সঙ্গে কংস এসে দেবকীর সন্তান কেড়ে নিয়ে মেরে ফেলে। এরকম চলতে থাকে দীর্ঘদিন। পরপর ছয়টি সন্তানকে একইভাবে হত্যা করে। আবারও দেবকী সন্তানসম্ভবা হয়। কংস সবাইকে সতর্ক করে দেয়, পাহারা দেওয়া হয় দ্বিগুণ তিনগুণ করে। রাত-দিন কারও চোখে কোনো ঘুম নেই। আজ হয় কাল হয় এই বুঝি দেবকীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। এক মহা-দুর্যোগপূর্ণ রাতে দেবকী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রসব করেন। ভগবানের ইশারায় সমস্ত নজরদারি সমস্ত পাহারা ব্যর্থ হয়ে যায়। বর্তমান সমাজের নেশাখোরদের মতো সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। কী করি, কী করি। বাসুদেব আর দেবকী মথুরার বাইরে গকুলে নন্দরাজ আর নন্দরানীর কাছে শ্রীকৃষ্ণকে পাঠিয়ে দেয়। অলৌকিকভাবে উত্তাল যমুনা পার হয়ে নন্দরানীর ঘরে যায় বাসুদেব। ভগবানের ইচ্ছায় ওই একই দিনে বা রাতে নন্দরানীও এক মেয়ে সন্তান প্রসব করে। তাকে নিয়ে বাসুদেব ফিরে আসে। সবাই জেগে উঠলে মহারাজ কংস এসে মেয়েকে নিয়ে অন্যদের মতো তাকেও হত্যা করে। এরপরের ইতিহাস অনেক লম্বা। রাধা কৃষ্ণের উপাখ্যান। অনেকেই মনে করে কৃষ্ণের স্ত্রী রাধা। আদৌ তেমন নয়। রাধা কৃষ্ণের মামি। কৃষ্ণের প্রেরণা। রাধা বিনে কৃষ্ণ যেমন, তেমনি কৃষ্ণ বিনে রাধাকে চিন্তা করা যায় না। আস্তে আস্তে শ্রীকৃষ্ণ বড় হয়। নানা কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে তিনি মথুরায় আসেন। এক সময় মথুরার অত্যাচারী রাজা কংস কৃষ্ণের হাতে নিহত হয়। কংস বহু সাধ্য-সাধনা করে বহু দেব-দেবীকে খুশি করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বীরে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন অবধ্য। তাকে বধ করার ক্ষমতা কারও ছিল না এবং তিনি জানতেন একমাত্র দেবকী আর বাসুদেবের সন্তান তাকে বধ করতে পারে। তিনি তো দেবকী আর বাসুদেবের কোনো সন্তান জীবিত রাখেননি। তাই তার তেমন কোনো চিন্তা বা ভয় ছিল না। আশপাশের প্রতাপশালী রাজ-রাজড়া সব ছিলেন কংসের পদানত। এরকম সময় কংস বধ হওয়ায় তার শ্বশুর সে সময়ের প্রচ- শক্তিশালী মহারাজা জ্বরাসান্ধ বিস্মিত ও অবাক হন। কী করে এটা সম্ভব। দেবতার বর বিফল হওয়ার নয়। এমন হলো কী করে? এরপর অনেক কথা অনেক ঘটনা। কৃষ্ণ বড় হন। বিদর্ভের রাজা বিশমুখের কন্যা রুকমিনীকে বিয়ে করেন। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। হস্তীনাপুরের মহারাজা পা-ু শিকার করতে গিয়ে হরিণ মনে করে তীর ছুড়লে সে তীরে ঋষি কিনদাম নিহত হয়। মহারাজ মর্মাহত ও ব্যথিত হন। কিন্তু ঋষি তাদের শুভ মিলনে বাধা দিয়ে তীর মেরে হত্যা করায় অভিশাপ দেন, ‘তোর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হলেই তুই মারা যাবি।’ মহারাজ পা-ুর স্ত্রী কুন্তির সঙ্গে সূর্যদেবের সম্পর্ক ছিল। অলৌকিকভাবে বিয়ের আগেই তিনি সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন। লজ্জা লুকাতে সন্তানকে তিনি সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সন্তান মহাবীর কর্ণ এক সুতারের ঘরে লালিত-পালিত হন। মহাবীর কর্ণকে নিয়ে উপাখ্যান আছে, কেউ তার কাছ থেকে খালি হাতে ফিরেনি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের এক পর্যায়ে মাতা কুন্তি কর্ণের কাছে গিয়েছিলেন। কর্ণের হাতে কবজ ছিল। যতক্ষণ সে কবজ তার কাছে থাকত বা থাকবে ততক্ষণ কেউ তাকে বধ করতে পারবে না। যেমনি বর ছিল মহাবীর ভীস্মর। তিনি অবধ্য। মহাবীর কর্ণের মা ছিলেন দেবী কুন্তি। একেবারে শেষ মুহূর্তে পরিচয় হয় কর্ণই তার সন্তান। তবু পা-বদের বাঁচাতে এক সময় মহাবীর কর্ণের কাছে তার রক্ষা কবজ প্রার্থনা করেন। কর্ণ জানতেন কবজ দিলে তিনি বাঁচবেন না। তবু কথা রক্ষার্থে বাহুর মাংসপেশি কেটে কবজ বের করে দিয়েছিলেন। এমনই ছিল তার কথা রক্ষার উদাহরণ। কিন্তু এখন কেউ কারও কথা রাখে না, কথা দিয়ে পালন করে না। সেদিন আমরা আবার কবে পাব যেদিন কথা দিয়ে কেউ কথা রাখবে। গান্ধারীর শত পুত্ররা মামা শকুনীর ষড়যন্ত্রে পাশা খেলায় হারিয়ে ধ্রুপদীর বস্ত্রহরণ এবং তাদের নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। পা-বদের নির্বাসনেও স্বস্তি ছিল না। যত রকম ছল আছে তার কোনো ছল করতে কৈরবরা কোনো কৃপণতা করেনি। মহাবীর ভীস্ম, যাকে দেবাদীদেব   ব্রাহ্ম বর দিয়েছিলেন, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ না করলে কেউ তাকে মারতে পারবে না। অন্যদিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তীরন্দাজ অর্জুন। তার গুরু দ্রোনাচারী। যিনি সুতপুত্র মনে করে সূর্যপুত্র কর্ণকে শিক্ষা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। এমনি হাজারো কা-, হাজারো ঘটনা। কিন্তু শেষে সত্যেরই জয় হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অনেক রাজা-মহারাজা অত্যাচারী দুর্যধন দুঃশাসনের পক্ষ নিয়েছিল। তাদের একে একে পতন হয়েছিল। পঞ্চ পা-বের পক্ষও নিয়েছিল অনেক। ছলনা করে কৃষ্ণের শক্তি সাহস প্রেরণা বলরামকেও দুর্যধন তার শিক্ষাগুরু হিসেবে পক্ষে টেনেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো ছলনাই টিকেনি। ধৃতরাষ্ট্র চোখে দেখতেন না। সেজন্য গান্ধার কন্যা গান্ধারী তার চোখে কাপড় বেঁধে রাখতেন। তিনিও কিছু দেখতেন না। এমন আদর্শ নারীর ভাই শকুনীর পরামর্শে ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর শতপুত্র নিহত হয়েছিল কুরুক্ষেত্রে। আমার ভয় হয় এখনকার শকুনীদের কারণে, কী যে হয় কিছুই বলা যায় না।

এ তো গেল কৃষ্ণের কথা। আমরা এই কলিযুগে কৃষ্ণবিহীন ন্যায় নীতিবিহীন এক অন্ধকারে আছি। আমার জীবনের চরম অন্ধকার আগস্ট এই সেদিন শেষ হলো। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা-কর্মীরা ‘শোকই আমাদের শক্তি, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ’৭৫ এর প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সামনে আনতে চেয়েছিল। সেজন্য ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সভার আয়োজন করেছিল। আমন্ত্রিতরা ছিল ৩০-৩৫ জন। অতিথি ছিলেন ৪-৫ জন। আমরা বুঝতেই পারিনি অত দলীয় কর্মী আসবে। সে এক অভাবনীয় সমাবেশ। খোলা মাঠের জন্য তেমন বড় কিছু ছিল না। কিন্তু প্রেস ক্লাবের জন্য সেটা ছিল ধারণ ক্ষমতার বাইরে। হলের ভিতরে ২-৩শ লোকের বেশি জায়গা ছিল না। কিন্তু লোক হয়েছিল তার ৪-৫ গুন। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা মিটিং হয়েছে। প্রতিরোধ সংগ্রামীরা প্রাণখুলে কথা বলেছে। অতিথি সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার চমৎকার পরিবেশ পেয়ে প্রাণ উজাড় করে বক্তব্য রেখেছেন। যা সবার হৃদয় স্পর্শ করেছে। হলের ভিতর থেকে আমি কিছুই জানতাম না। হলের বাইরে বিপুল কর্মী জড়ো হওয়ায় তাদের কেউ কেউ এদিক-সেদিক বসেছিল। এমনকি অন্যদের দুটো প্রোগ্রামেও তারা গামছা গলায় সময় কাটিয়েছে। শুধু ’৭৫-এর প্রতিরোধ সংগ্রামীদের জন্য জায়গা করা হয়েছিল। অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও তেমন জায়গা ছিল না। তারা নিচে লন ফাঁকা পেয়ে কেউ কেউ বসেছিল। তাদের কাউকে কাউকে বসে থাকা থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। তারা অনেকে উঠেও যায়। কিন্তু একজন প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম লাল মিয়াকে পিয়নরা উঠিয়ে দিতে গেলে দুই-চারজন আপত্তি করে। আমাদের কর্মীরাও হয়তো কেউ কেউ মাথা ঠিক রাখতে পারেনি। দুর্ভাগ্য প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক এক সময় সেখানে হাজির হন। তাকে চিনতে না পেরে সাধারণ কর্মীরা হয়তো কেউ কেউ বলেছে, আপনি কে? এরকম বলায় পরিবেশ আরও খারাপ হয়ে যায়। উত্তেজনাকর পরিবেশে যা হওয়ার তাই হয়। কিছু বয়সী প্রবীণ নেতা হাতাহাতির হাত থেকে অবস্থা সামলে নেয়। ১৩-১৪ হাজার টাকায় একটি হল ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। খবরটি শোনার পরপরই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক ও অন্যান্য কজন নেতাকে ঘটনা যাই ঘটে থাকুক একেবারে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে পাঠিয়েছিলাম। ওই রাতে টাঙ্গাইল চলে এসেছিলাম বলে পরে আমি নিজেও জনাব সভাপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। কিন্তু কেন জানি মনে হলো আমাদের সাধারণ সম্পাদক তার কাছে ক্ষমা চাইবার পরও তিনি বোধহয় সম্পূর্ণ ক্ষমা করতে পারেননি। তা না হলে তিনি কেন আমার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় বলতে যাবেন ছেলেগুলো বড় বেয়াদব। নিশ্চয়ই ছেলেগুলো হয়তো বেয়াদব। কিন্তু তাদের পক্ষ হয়ে একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আসার পরও আমাকে অমন বলবেন কেন? যারা বাইরে ঘোরাফেরা করছিল চার ঘণ্টা পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল তাদের মধ্যে ৭০-৮০ জন সরকারি তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যাদের হলের ভিতরে জায়গা হয়নি। তারা প্রেস ক্লাবের অন্য কোথাও বসতেও পারেনি। ইদ্রিস কমান্ডারের ছোটভাই এক সময় টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম লাল কিছুক্ষণের জন্য প্রেস ক্লাবের লাউঞ্জে বসেছিল। তাকে বসতে না দেওয়ার বিষয়টি সহ্য করতে চাই কিন্তু তবু কিছুটা তো খারাপ লাগে। তেমন পরিচিত না হলে আমিও কোথাও গিয়ে বসলে আমার কপালেও ওই একই রকম ব্যবহার জুটত। তাহলে কি সাংবাদিক বন্ধুরা দেশের মানুষ অথবা রাজনীতিবিদরা আলাদা কিছু? মাছ পানি ছাড়া বাঁচে না, সাংবাদিকদেরও রাজনৈতিক লোকজন ছাড়া চলার কথা নয়। তবে কেন এমন হয়, কেন এই অসহিষ্ণুতা? প্রেস ক্লাবের জায়গাটা তো এক সময় বঙ্গবন্ধুই দিয়েছিলেন। দেশের জনগণের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুনেছি আগামীতে বহুতল প্রেস ক্লাবের ভবন হবে। সেখানে কমবেশি দেশের অর্থও থাকবে। তাই সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ তারা কি প্রেস ক্লাবের দিকে একটু তাকিয়েও দেখতে পারবেন না? বড় দুঃখের কথা। জানি, আমার এই চেতনার বিরুদ্ধে ভাবনার বিরুদ্ধে রে রে করে ওঠার মানুষের অভাব হবে না। কিন্তু তবু বলব, আমার কথাগুলো মোটেই অযৌক্তিক নয়। সংবাদ এবং সাংবাদিক সমাজের দর্পণ। মানুষের দুঃখ-কষ্ট সম্মান-অসম্মান সবই তাদের কলমের ডগায় উঠে আসবে-এটাই তো আপামর জনসাধারণের প্রত্যাশা। সামনে নির্বাচন। হবে কি হবে না শঙ্কা। প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব ও সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। মানুষের মধ্যে একটা সাড়াও জেগেছে। এই উদ্যোগের সঙ্গে এক সময় আমি খুবই সক্রিয় ছিলাম। এখনো নেই এ কথা বলার সময় আসেনি। গত বছর ৪ ডিসেম্বর জনাব আ স ম আবদুর রবের বাড়িতে যেদিন যুক্তফ্রন্টের ঘোষণা হয় সেখানে আমি ছিলাম। ঘোষণাটি আরও একটু পরে দিতে অনুরোধ করেছিলাম। কারণ সেদিন ড. কামাল হোসেন ছিলেন না। ১৬ কিংবা ১৮ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা ছিল। তবু কথা হয়েছিল নাম ঘোষণা হোক, ড. কামাল হোসেন এলে তার যদি নাম নিয়ে আপত্তি থাকে আর আমরা সবাই যদি একত্র হতে পারি তাহলে প্রয়োজন হলে নাম বদল করা যাবে। আমি চলে এসেছিলাম। বছরখানি আগে এক রাতে পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব আমায় বলেছিলেন, ‘কাদির, দেশ আমাকে মুরব্বি মনে করে না, তোমাকেও না। ড. কামাল হোসেন এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে যে আঙ্গিকেই দেখি না কেন, যেন দেশের মানুষ তাদের মুরব্বির কাতারে বিবেচনা করে। আমরা দুই ভাই তাদের নিয়ে যদি এগোতে পারতাম তাহলে বিপুল সম্ভাবনা ছিল।’ তার কথা আমার মনে দাগ কেটেছিল। তাই অনেকবার বলেছি, ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী একত্র থাকলে আমি আছি। তাদের একত্র চলার জন্য বহুবার ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছি, কথা বলেছি। কোনো কোনো বার আমি নিজে থেকে গেছি আবার কখনো-সখনো ড. কামাল হোসেন ডেকেছেন। ওরকম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার কাছেও গেছি। কিন্তু তাদের কারও আহ্বানে সাড়া দেওয়া কেন যেন ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে আসছে। বেশ ঘটা করে বিকল্পধারার সাধারণ সম্পাদক (অব.) মেজর মান্নানের বাড়িতে যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামের আনুষ্ঠানিক সভা এবং সেই সভায় তাদের একত্র চলার সিদ্ধান্তের পর আমি বা আমরা না যুক্তফ্রন্টের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারি, না ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের ডাকে সাড়া দিতে পারি। এখন আমি এবং আমার দল পড়েছি মাইনকার চিপায়। দুঃখ-কষ্ট ঝড়-তুফানে যে কর্মীরা কোনো কিছু না পেয়েও এখনো আছে যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরাম একত্র হওয়ার পর তারা আমাদের আহ্বান না করলে আলাদা আলাদা কারও দিকে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমরা এক অর্থবহ জাতীয় ঐক্য চাই। সেটা আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নেতৃত্বে চাই না। দুই প্রবীণ নেতার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠলে সেখানে কে আসবেন কে আসবেন না সেটা পরের কথা। যুক্তফ্রন্টের সাত দফা, গণফোরামের সাত দফা, আমাদেরও তো দু-এক দফা থাকতে পারে। কেমন যেন একটা গোলমেলে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানি না এর মধ্যে আবার গণফোরাম অথবা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ২২ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক মহা সমাবেশের আয়োজন করেছে। সে দিন ড. কামাল হোসেন আমায় দেখা করার জন্য আটবার রিং করেছিলেন। একটা মিটিংয়ে ছিলাম ঘরের দরজা বন্ধ করার আগে বলেছিলাম, মিটিং শেষ হওয়ার আগে কোনো ফোন দেবে না। সেই সময় পিতৃতুল্য ড. কামাল হোসেন যে ফোন করবেন কল্পনাও করিনি। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছিল, কী করে তাকে ফোন করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবু করেছিলাম। তিনি ফোন ধরেই বললেন, অনেকবার ফোন করেছি। আমি আমার ত্রুটির কথা অকপটে স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, তা যাই হোক আপনার সঙ্গে কিছু কথা বলতে হয়। বলেছিলাম, আগামীকাল আসব। অনেক কথা হয়েছে। কোনোটা আন্তরিক, কোনোটা আবার কিছুটা উত্তেজনাকর। কিন্তু ড. কামাল হোসেন আমাদের কাছে পিতার মতো। তার কোনো কিছু নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ-অনুযোগ করার উপায় নেই। সত্যিকার অর্থেই এক উত্তেজনাকর সময় পার করছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যতক্ষণ বেঁচে আছি যেন দেশের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারি।

            লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
ভিসা জটিলতা
ভিসা জটিলতা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
সর্বশেষ খবর
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত
মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’
‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়
কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের
ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের

পেছনের পৃষ্ঠা

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে

নগর জীবন

জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ
জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ

নগর জীবন

সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে
সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে

নগর জীবন

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

নগর জীবন

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

পেছনের পৃষ্ঠা