শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

শুভ জন্মাষ্টমী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
শুভ জন্মাষ্টমী

রবিবার ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ জন্মাষ্টমী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। আমি ছিলাম টাঙ্গাইলে। বহুদিন পর ঢোল ডাগরে সারা শহর জেগে উঠেছিল। স্বতঃস্ফূর্ত সুশৃঙ্খল এক ধর্মীয় আনন্দ-মিছিল দেখে অভিভূত হয়েছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় হৃদয়-মন ভরে গেছে। এমন শৃঙ্খলার পরিচয় আমরা যদি সবসময় দিতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। মিছিল যাওয়ার সময় মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, এ জন্যই কি আওয়ামী লীগের অত অহংকার। তাদের তো শতকরা ১০-১২ ভাগ ভোট এমনিতে আছে। কিন্তু এবার তেমন মনে হয় না। বেশি সংখ্যক হিন্দু আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, ভোট দেয় এটা সর্বজনবিদিত। কিন্তু এবারও যে তেমন হবে জোর দিয়ে বলা যায় না। গত কিছু বছর গ্রামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর যত জোর-জুলুম তার শতকরা ৭০-৮০ ভাগ করেছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সামর্থ্যবান হিন্দুরাও ভিপির কারণে প্রয়োজনের সময় ছেলেমেয়েদের বিয়ে-শাদি দিতে পারে না। অনেকেই সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দিতে পারছে না। কারণ সাধারণ সম্পত্তির মূল্য যেখানে লাখ, সেখানে হিন্দুর ভিপি সম্পত্তি হাজার-দশ হাজার। এসবের প্রভাব সামনের নির্বাচনে অবশ্যই পড়বে। তাই সুখের ঢেঁকুর তোলার তেমন মানে হয় না। অবস্থা খুব বেশি ভালো না।

যে সময় বাসুদেব আর দেবকীর ঘরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম সে সময়টা ছিল বড় অন্ধকার। মথুরার মহারাজা উগ্রসেনকে বন্দী করে তার অযোগ্য কুলাঙ্গার পুত্র কংস রাজা হয়েছিলেন। কংস একদিন দেবকী ও বাসুদেবকে নিয়ে রথে খুব আনন্দে ভ্রমণ করছিলেন। হঠাৎই এক দৈববাণী শুনতে পান কংস, বাসুদেব আর দেবকীর সন্তান তোমাকে বধ করবে। দৈববাণী শুনে অত্যাচারী কংস স্তম্ভিত হয়ে যায়। তার স্বাভাবিক হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে যায়। সেই থেকে যমুনার পাড়ে কংসের কারাগারে বাসুদেব আর দেবকীর স্থান হয়। সেখানে তারা বসবাস করতে থাকেন। দেবকী সন্তানসম্ভবা হয়। সন্তান প্রসবের সঙ্গে সঙ্গে কংস এসে দেবকীর সন্তান কেড়ে নিয়ে মেরে ফেলে। এরকম চলতে থাকে দীর্ঘদিন। পরপর ছয়টি সন্তানকে একইভাবে হত্যা করে। আবারও দেবকী সন্তানসম্ভবা হয়। কংস সবাইকে সতর্ক করে দেয়, পাহারা দেওয়া হয় দ্বিগুণ তিনগুণ করে। রাত-দিন কারও চোখে কোনো ঘুম নেই। আজ হয় কাল হয় এই বুঝি দেবকীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। এক মহা-দুর্যোগপূর্ণ রাতে দেবকী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে প্রসব করেন। ভগবানের ইশারায় সমস্ত নজরদারি সমস্ত পাহারা ব্যর্থ হয়ে যায়। বর্তমান সমাজের নেশাখোরদের মতো সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। কী করি, কী করি। বাসুদেব আর দেবকী মথুরার বাইরে গকুলে নন্দরাজ আর নন্দরানীর কাছে শ্রীকৃষ্ণকে পাঠিয়ে দেয়। অলৌকিকভাবে উত্তাল যমুনা পার হয়ে নন্দরানীর ঘরে যায় বাসুদেব। ভগবানের ইচ্ছায় ওই একই দিনে বা রাতে নন্দরানীও এক মেয়ে সন্তান প্রসব করে। তাকে নিয়ে বাসুদেব ফিরে আসে। সবাই জেগে উঠলে মহারাজ কংস এসে মেয়েকে নিয়ে অন্যদের মতো তাকেও হত্যা করে। এরপরের ইতিহাস অনেক লম্বা। রাধা কৃষ্ণের উপাখ্যান। অনেকেই মনে করে কৃষ্ণের স্ত্রী রাধা। আদৌ তেমন নয়। রাধা কৃষ্ণের মামি। কৃষ্ণের প্রেরণা। রাধা বিনে কৃষ্ণ যেমন, তেমনি কৃষ্ণ বিনে রাধাকে চিন্তা করা যায় না। আস্তে আস্তে শ্রীকৃষ্ণ বড় হয়। নানা কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে তিনি মথুরায় আসেন। এক সময় মথুরার অত্যাচারী রাজা কংস কৃষ্ণের হাতে নিহত হয়। কংস বহু সাধ্য-সাধনা করে বহু দেব-দেবীকে খুশি করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বীরে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন অবধ্য। তাকে বধ করার ক্ষমতা কারও ছিল না এবং তিনি জানতেন একমাত্র দেবকী আর বাসুদেবের সন্তান তাকে বধ করতে পারে। তিনি তো দেবকী আর বাসুদেবের কোনো সন্তান জীবিত রাখেননি। তাই তার তেমন কোনো চিন্তা বা ভয় ছিল না। আশপাশের প্রতাপশালী রাজ-রাজড়া সব ছিলেন কংসের পদানত। এরকম সময় কংস বধ হওয়ায় তার শ্বশুর সে সময়ের প্রচ- শক্তিশালী মহারাজা জ্বরাসান্ধ বিস্মিত ও অবাক হন। কী করে এটা সম্ভব। দেবতার বর বিফল হওয়ার নয়। এমন হলো কী করে? এরপর অনেক কথা অনেক ঘটনা। কৃষ্ণ বড় হন। বিদর্ভের রাজা বিশমুখের কন্যা রুকমিনীকে বিয়ে করেন। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। হস্তীনাপুরের মহারাজা পা-ু শিকার করতে গিয়ে হরিণ মনে করে তীর ছুড়লে সে তীরে ঋষি কিনদাম নিহত হয়। মহারাজ মর্মাহত ও ব্যথিত হন। কিন্তু ঋষি তাদের শুভ মিলনে বাধা দিয়ে তীর মেরে হত্যা করায় অভিশাপ দেন, ‘তোর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হলেই তুই মারা যাবি।’ মহারাজ পা-ুর স্ত্রী কুন্তির সঙ্গে সূর্যদেবের সম্পর্ক ছিল। অলৌকিকভাবে বিয়ের আগেই তিনি সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন। লজ্জা লুকাতে সন্তানকে তিনি সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সন্তান মহাবীর কর্ণ এক সুতারের ঘরে লালিত-পালিত হন। মহাবীর কর্ণকে নিয়ে উপাখ্যান আছে, কেউ তার কাছ থেকে খালি হাতে ফিরেনি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের এক পর্যায়ে মাতা কুন্তি কর্ণের কাছে গিয়েছিলেন। কর্ণের হাতে কবজ ছিল। যতক্ষণ সে কবজ তার কাছে থাকত বা থাকবে ততক্ষণ কেউ তাকে বধ করতে পারবে না। যেমনি বর ছিল মহাবীর ভীস্মর। তিনি অবধ্য। মহাবীর কর্ণের মা ছিলেন দেবী কুন্তি। একেবারে শেষ মুহূর্তে পরিচয় হয় কর্ণই তার সন্তান। তবু পা-বদের বাঁচাতে এক সময় মহাবীর কর্ণের কাছে তার রক্ষা কবজ প্রার্থনা করেন। কর্ণ জানতেন কবজ দিলে তিনি বাঁচবেন না। তবু কথা রক্ষার্থে বাহুর মাংসপেশি কেটে কবজ বের করে দিয়েছিলেন। এমনই ছিল তার কথা রক্ষার উদাহরণ। কিন্তু এখন কেউ কারও কথা রাখে না, কথা দিয়ে পালন করে না। সেদিন আমরা আবার কবে পাব যেদিন কথা দিয়ে কেউ কথা রাখবে। গান্ধারীর শত পুত্ররা মামা শকুনীর ষড়যন্ত্রে পাশা খেলায় হারিয়ে ধ্রুপদীর বস্ত্রহরণ এবং তাদের নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। পা-বদের নির্বাসনেও স্বস্তি ছিল না। যত রকম ছল আছে তার কোনো ছল করতে কৈরবরা কোনো কৃপণতা করেনি। মহাবীর ভীস্ম, যাকে দেবাদীদেব   ব্রাহ্ম বর দিয়েছিলেন, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ না করলে কেউ তাকে মারতে পারবে না। অন্যদিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তীরন্দাজ অর্জুন। তার গুরু দ্রোনাচারী। যিনি সুতপুত্র মনে করে সূর্যপুত্র কর্ণকে শিক্ষা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। এমনি হাজারো কা-, হাজারো ঘটনা। কিন্তু শেষে সত্যেরই জয় হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অনেক রাজা-মহারাজা অত্যাচারী দুর্যধন দুঃশাসনের পক্ষ নিয়েছিল। তাদের একে একে পতন হয়েছিল। পঞ্চ পা-বের পক্ষও নিয়েছিল অনেক। ছলনা করে কৃষ্ণের শক্তি সাহস প্রেরণা বলরামকেও দুর্যধন তার শিক্ষাগুরু হিসেবে পক্ষে টেনেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো ছলনাই টিকেনি। ধৃতরাষ্ট্র চোখে দেখতেন না। সেজন্য গান্ধার কন্যা গান্ধারী তার চোখে কাপড় বেঁধে রাখতেন। তিনিও কিছু দেখতেন না। এমন আদর্শ নারীর ভাই শকুনীর পরামর্শে ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর শতপুত্র নিহত হয়েছিল কুরুক্ষেত্রে। আমার ভয় হয় এখনকার শকুনীদের কারণে, কী যে হয় কিছুই বলা যায় না।

এ তো গেল কৃষ্ণের কথা। আমরা এই কলিযুগে কৃষ্ণবিহীন ন্যায় নীতিবিহীন এক অন্ধকারে আছি। আমার জীবনের চরম অন্ধকার আগস্ট এই সেদিন শেষ হলো। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা-কর্মীরা ‘শোকই আমাদের শক্তি, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ’৭৫ এর প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সামনে আনতে চেয়েছিল। সেজন্য ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সভার আয়োজন করেছিল। আমন্ত্রিতরা ছিল ৩০-৩৫ জন। অতিথি ছিলেন ৪-৫ জন। আমরা বুঝতেই পারিনি অত দলীয় কর্মী আসবে। সে এক অভাবনীয় সমাবেশ। খোলা মাঠের জন্য তেমন বড় কিছু ছিল না। কিন্তু প্রেস ক্লাবের জন্য সেটা ছিল ধারণ ক্ষমতার বাইরে। হলের ভিতরে ২-৩শ লোকের বেশি জায়গা ছিল না। কিন্তু লোক হয়েছিল তার ৪-৫ গুন। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা মিটিং হয়েছে। প্রতিরোধ সংগ্রামীরা প্রাণখুলে কথা বলেছে। অতিথি সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার চমৎকার পরিবেশ পেয়ে প্রাণ উজাড় করে বক্তব্য রেখেছেন। যা সবার হৃদয় স্পর্শ করেছে। হলের ভিতর থেকে আমি কিছুই জানতাম না। হলের বাইরে বিপুল কর্মী জড়ো হওয়ায় তাদের কেউ কেউ এদিক-সেদিক বসেছিল। এমনকি অন্যদের দুটো প্রোগ্রামেও তারা গামছা গলায় সময় কাটিয়েছে। শুধু ’৭৫-এর প্রতিরোধ সংগ্রামীদের জন্য জায়গা করা হয়েছিল। অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও তেমন জায়গা ছিল না। তারা নিচে লন ফাঁকা পেয়ে কেউ কেউ বসেছিল। তাদের কাউকে কাউকে বসে থাকা থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। তারা অনেকে উঠেও যায়। কিন্তু একজন প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম লাল মিয়াকে পিয়নরা উঠিয়ে দিতে গেলে দুই-চারজন আপত্তি করে। আমাদের কর্মীরাও হয়তো কেউ কেউ মাথা ঠিক রাখতে পারেনি। দুর্ভাগ্য প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক এক সময় সেখানে হাজির হন। তাকে চিনতে না পেরে সাধারণ কর্মীরা হয়তো কেউ কেউ বলেছে, আপনি কে? এরকম বলায় পরিবেশ আরও খারাপ হয়ে যায়। উত্তেজনাকর পরিবেশে যা হওয়ার তাই হয়। কিছু বয়সী প্রবীণ নেতা হাতাহাতির হাত থেকে অবস্থা সামলে নেয়। ১৩-১৪ হাজার টাকায় একটি হল ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। খবরটি শোনার পরপরই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক ও অন্যান্য কজন নেতাকে ঘটনা যাই ঘটে থাকুক একেবারে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে পাঠিয়েছিলাম। ওই রাতে টাঙ্গাইল চলে এসেছিলাম বলে পরে আমি নিজেও জনাব সভাপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। কিন্তু কেন জানি মনে হলো আমাদের সাধারণ সম্পাদক তার কাছে ক্ষমা চাইবার পরও তিনি বোধহয় সম্পূর্ণ ক্ষমা করতে পারেননি। তা না হলে তিনি কেন আমার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় বলতে যাবেন ছেলেগুলো বড় বেয়াদব। নিশ্চয়ই ছেলেগুলো হয়তো বেয়াদব। কিন্তু তাদের পক্ষ হয়ে একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আসার পরও আমাকে অমন বলবেন কেন? যারা বাইরে ঘোরাফেরা করছিল চার ঘণ্টা পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল তাদের মধ্যে ৭০-৮০ জন সরকারি তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যাদের হলের ভিতরে জায়গা হয়নি। তারা প্রেস ক্লাবের অন্য কোথাও বসতেও পারেনি। ইদ্রিস কমান্ডারের ছোটভাই এক সময় টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম লাল কিছুক্ষণের জন্য প্রেস ক্লাবের লাউঞ্জে বসেছিল। তাকে বসতে না দেওয়ার বিষয়টি সহ্য করতে চাই কিন্তু তবু কিছুটা তো খারাপ লাগে। তেমন পরিচিত না হলে আমিও কোথাও গিয়ে বসলে আমার কপালেও ওই একই রকম ব্যবহার জুটত। তাহলে কি সাংবাদিক বন্ধুরা দেশের মানুষ অথবা রাজনীতিবিদরা আলাদা কিছু? মাছ পানি ছাড়া বাঁচে না, সাংবাদিকদেরও রাজনৈতিক লোকজন ছাড়া চলার কথা নয়। তবে কেন এমন হয়, কেন এই অসহিষ্ণুতা? প্রেস ক্লাবের জায়গাটা তো এক সময় বঙ্গবন্ধুই দিয়েছিলেন। দেশের জনগণের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুনেছি আগামীতে বহুতল প্রেস ক্লাবের ভবন হবে। সেখানে কমবেশি দেশের অর্থও থাকবে। তাই সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ তারা কি প্রেস ক্লাবের দিকে একটু তাকিয়েও দেখতে পারবেন না? বড় দুঃখের কথা। জানি, আমার এই চেতনার বিরুদ্ধে ভাবনার বিরুদ্ধে রে রে করে ওঠার মানুষের অভাব হবে না। কিন্তু তবু বলব, আমার কথাগুলো মোটেই অযৌক্তিক নয়। সংবাদ এবং সাংবাদিক সমাজের দর্পণ। মানুষের দুঃখ-কষ্ট সম্মান-অসম্মান সবই তাদের কলমের ডগায় উঠে আসবে-এটাই তো আপামর জনসাধারণের প্রত্যাশা। সামনে নির্বাচন। হবে কি হবে না শঙ্কা। প্রবীণ নেতা ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব ও সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা। মানুষের মধ্যে একটা সাড়াও জেগেছে। এই উদ্যোগের সঙ্গে এক সময় আমি খুবই সক্রিয় ছিলাম। এখনো নেই এ কথা বলার সময় আসেনি। গত বছর ৪ ডিসেম্বর জনাব আ স ম আবদুর রবের বাড়িতে যেদিন যুক্তফ্রন্টের ঘোষণা হয় সেখানে আমি ছিলাম। ঘোষণাটি আরও একটু পরে দিতে অনুরোধ করেছিলাম। কারণ সেদিন ড. কামাল হোসেন ছিলেন না। ১৬ কিংবা ১৮ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা ছিল। তবু কথা হয়েছিল নাম ঘোষণা হোক, ড. কামাল হোসেন এলে তার যদি নাম নিয়ে আপত্তি থাকে আর আমরা সবাই যদি একত্র হতে পারি তাহলে প্রয়োজন হলে নাম বদল করা যাবে। আমি চলে এসেছিলাম। বছরখানি আগে এক রাতে পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব আমায় বলেছিলেন, ‘কাদির, দেশ আমাকে মুরব্বি মনে করে না, তোমাকেও না। ড. কামাল হোসেন এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে যে আঙ্গিকেই দেখি না কেন, যেন দেশের মানুষ তাদের মুরব্বির কাতারে বিবেচনা করে। আমরা দুই ভাই তাদের নিয়ে যদি এগোতে পারতাম তাহলে বিপুল সম্ভাবনা ছিল।’ তার কথা আমার মনে দাগ কেটেছিল। তাই অনেকবার বলেছি, ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী একত্র থাকলে আমি আছি। তাদের একত্র চলার জন্য বহুবার ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছি, কথা বলেছি। কোনো কোনো বার আমি নিজে থেকে গেছি আবার কখনো-সখনো ড. কামাল হোসেন ডেকেছেন। ওরকম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার কাছেও গেছি। কিন্তু তাদের কারও আহ্বানে সাড়া দেওয়া কেন যেন ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে আসছে। বেশ ঘটা করে বিকল্পধারার সাধারণ সম্পাদক (অব.) মেজর মান্নানের বাড়িতে যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামের আনুষ্ঠানিক সভা এবং সেই সভায় তাদের একত্র চলার সিদ্ধান্তের পর আমি বা আমরা না যুক্তফ্রন্টের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারি, না ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের ডাকে সাড়া দিতে পারি। এখন আমি এবং আমার দল পড়েছি মাইনকার চিপায়। দুঃখ-কষ্ট ঝড়-তুফানে যে কর্মীরা কোনো কিছু না পেয়েও এখনো আছে যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরাম একত্র হওয়ার পর তারা আমাদের আহ্বান না করলে আলাদা আলাদা কারও দিকে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমরা এক অর্থবহ জাতীয় ঐক্য চাই। সেটা আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নেতৃত্বে চাই না। দুই প্রবীণ নেতার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠলে সেখানে কে আসবেন কে আসবেন না সেটা পরের কথা। যুক্তফ্রন্টের সাত দফা, গণফোরামের সাত দফা, আমাদেরও তো দু-এক দফা থাকতে পারে। কেমন যেন একটা গোলমেলে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানি না এর মধ্যে আবার গণফোরাম অথবা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ২২ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক মহা সমাবেশের আয়োজন করেছে। সে দিন ড. কামাল হোসেন আমায় দেখা করার জন্য আটবার রিং করেছিলেন। একটা মিটিংয়ে ছিলাম ঘরের দরজা বন্ধ করার আগে বলেছিলাম, মিটিং শেষ হওয়ার আগে কোনো ফোন দেবে না। সেই সময় পিতৃতুল্য ড. কামাল হোসেন যে ফোন করবেন কল্পনাও করিনি। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছিল, কী করে তাকে ফোন করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবু করেছিলাম। তিনি ফোন ধরেই বললেন, অনেকবার ফোন করেছি। আমি আমার ত্রুটির কথা অকপটে স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, তা যাই হোক আপনার সঙ্গে কিছু কথা বলতে হয়। বলেছিলাম, আগামীকাল আসব। অনেক কথা হয়েছে। কোনোটা আন্তরিক, কোনোটা আবার কিছুটা উত্তেজনাকর। কিন্তু ড. কামাল হোসেন আমাদের কাছে পিতার মতো। তার কোনো কিছু নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ-অনুযোগ করার উপায় নেই। সত্যিকার অর্থেই এক উত্তেজনাকর সময় পার করছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যতক্ষণ বেঁচে আছি যেন দেশের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারি।

            লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
শিরকমুক্ত থাকা
শিরকমুক্ত থাকা
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়
সর্বশেষ খবর
সিরাজগঞ্জে নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অন্ধকারে গাজা: যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও বিদ্যুৎবিহীন বাসিন্দারা
অন্ধকারে গাজা: যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও বিদ্যুৎবিহীন বাসিন্দারা

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি ফুটবল দলকে নিষিদ্ধ করতে উয়েফাকে চিঠি
ইসরায়েলি ফুটবল দলকে নিষিদ্ধ করতে উয়েফাকে চিঠি

৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

টেস্টে দুই স্তরের ভাবনা বাতিল, ফিরতে পারে ওয়ানডে সুপার লিগ
টেস্টে দুই স্তরের ভাবনা বাতিল, ফিরতে পারে ওয়ানডে সুপার লিগ

১৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সারাদেশে অপরিবর্তিত থাকবে দিন-রাতের তাপমাত্রা
সারাদেশে অপরিবর্তিত থাকবে দিন-রাতের তাপমাত্রা

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৬৯ প্রাণ
অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৬৯ প্রাণ

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন
রমনা থানার সামনে হঠাৎ পুলিশের গাড়িতে আগুন

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর প্রাচীন কুমিরের ডিমের খোসা
অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর প্রাচীন কুমিরের ডিমের খোসা

৪০ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ

৪২ মিনিট আগে | রাজনীতি

পর্যাপ্ত প্রতিভা নেই, সংবেদনশীল খাতে বিদেশি অপরিহার্য: ট্রাম্প
পর্যাপ্ত প্রতিভা নেই, সংবেদনশীল খাতে বিদেশি অপরিহার্য: ট্রাম্প

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ফ্রান্সের ওপর চটেছেন ট্রাম্প?
কেন ফ্রান্সের ওপর চটেছেন ট্রাম্প?

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৫৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নিখোঁজের ৩ দিন পর নদী থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের ৩ দিন পর নদী থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু
ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর
দ্বাদশ সংসদের এমপিদের অখালাস ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাজ অলড্রিনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মানবজাতির প্রথম মহাকাশ সেলফি
বাজ অলড্রিনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মানবজাতির প্রথম মহাকাশ সেলফি

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

গাজা সীমান্তে বড় সেনা ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
গাজা সীমান্তে বড় সেনা ঘাঁটি বানানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিজয়নগরে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন
বিজয়নগরে গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৪৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৪৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৯৯৯-এ খবরে ডাকাত ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ কর্মকর্তা
৯৯৯-এ খবরে ডাকাত ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩ ফিলিস্তিনি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরাইলের শীর্ষ মন্ত্রী রন ডারমারের পদত্যাগ
ইসরাইলের শীর্ষ মন্ত্রী রন ডারমারের পদত্যাগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীরে ইসলায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কড়া বার্তা
পশ্চিম তীরে ইসলায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কড়া বার্তা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাড়ির পথে ধর্মেন্দ্র
বাড়ির পথে ধর্মেন্দ্র

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিবচরে মহাসড়কে তল্লাশি, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
শিবচরে মহাসড়কে তল্লাশি, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জয়-সাদমানের ব্যাটে দারুণ সূচনা বাংলাদেশের
জয়-সাদমানের ব্যাটে দারুণ সূচনা বাংলাদেশের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক
মোহাম্মদপুরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতা আটক

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সিলেটে গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতা কারাগারে
সিলেটে গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতা কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সর্বাধিক পঠিত
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’
‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের
আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল
ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন
উত্তরায় মাইক্রোবাসে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র
ক্যারিবীয় সাগরে বিশাল যুদ্ধজাহাজবহর মোতায়েন করল যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন রশিদ খান
দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন রশিদ খান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে আড়াই মিনিটে ১৭ কোপে হত্যা করলেন ফারুক, নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’
বাবাকে আড়াই মিনিটে ১৭ কোপে হত্যা করলেন ফারুক, নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন
সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে বাসে আগুন
রাজধানীতে বাসে আগুন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি: হাসনাত আবদুল্লাহ
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি: হাসনাত আবদুল্লাহ

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না’
‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে লুকানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না’

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএমপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএমপি

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
রাতে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই সনদের বাইরে যেকোনো সিদ্ধান্তের দায় সরকারের: বিএনপি
জুলাই সনদের বাইরে যেকোনো সিদ্ধান্তের দায় সরকারের: বিএনপি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতীয় গণমাধ্যম ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতীয় গণমাধ্যম ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ
প্রেসিডেন্ট নয়, সেনাপ্রধানের হাতে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
এনসিপিতে গৃহদাহ
এনসিপিতে গৃহদাহ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ
আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা
ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা

মাঠে ময়দানে

বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি
বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি

নগর জীবন

সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে
সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ
আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে মাফিয়া
শেয়ারবাজারে মাফিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার
আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার

নগর জীবন

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া
শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের
সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার

মাঠে ময়দানে

ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা
ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা

সম্পাদকীয়

ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের
ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা
কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা

মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেশাদারিতে শাবনূর
অপেশাদারিতে শাবনূর

শোবিজ

ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব

সম্পাদকীয়

কেন ক্ষেপলেন তামান্না
কেন ক্ষেপলেন তামান্না

শোবিজ

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট

প্রথম পৃষ্ঠা

শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প
শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প

শোবিজ

বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?

সম্পাদকীয়

স্পর্শিয়ার ক্ষোভ
স্পর্শিয়ার ক্ষোভ

শোবিজ

কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী
কড়া নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী

প্রথম পৃষ্ঠা

টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু
টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু

শোবিজ

সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নগর জীবন