আগুনে পোড়া লাশের মিছিল দেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষের হৃদয়কে ব্যথাতুর করেছে। শুক্রবার সারা দেশে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের কান্না বাতাসকে ভারি করে তুলেছে। মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় উচ্চারিত হয়েছে একই ধরনের আর্তস্বর। নিমতলীর পর চকবাজারে কয়েক শ পরিবার যে ট্র্যাজেডির শিকার হলো তার প্রধানতম কারণ ঘিঞ্জি জনপদে কেমিক্যাল বা দাহ্য পদার্থের গুদাম বা দোকানের অবস্থান। নিমতলী ঘটনারই প্রায় হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বুধবার রাতে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার চুড়িহাট্টায়। দায়িত্বহীনভাবে ফেলে রাখা বিপজ্জনক সব কেমিক্যাল নিমতলী স্টাইলে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে মহল্লার পাঁচটি বিশাল অট্টালিকা। কেড়ে নিয়েছে বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণ। রাজধানীর চানখাঁরপুল-সংলগ্ন নিমতলীতে ২০১০ সালের ৩ জুন রাতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের বিস্ফোরণে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ১২৩ জন প্রাণ হারান। আহত হন অর্ধশতাধিক। পুড়ে যায় ২৩টি বসতবাড়ি, দোকান, কারখানা, আর অসংখ্য মানুষের অজস্র স্বপ্ন। উভয় ঘটনাস্থলের পাশে ছিল বিপজ্জনক কেমিক্যালের গুদাম। দাহ্য পদার্থ ছিল চারপাশজুড়েই। নিমতলীর ঘটনার পর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল পরবর্তী তিন মাসের মধ্যেই রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ সব এলাকা থেকে কেমিক্যালের বাণিজ্য সরিয়ে তা জনবসতিহীন ফাঁকা এলাকায় নেওয়া হবে। গড়ে তোলা হবে আলাদা কেমিক্যাল পল্লী। কিন্তু তা নয় বছরেও বাস্তবে রূপ পায়নি। বাংলাদেশে প্রতিটি মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয়ের পর প্রতিশ্রুতির বহর উন্মোচিত হয়। যেসব কারণে দুর্ঘটনা ঘটে তার ইতি টানার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে শম্বুকগতি যে কী বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল প্রাণহানি তারই প্রমাণ। আমরা আশা করব, চকবাজার ট্র্যাজেডির পর পুরান ঢাকার জনপদ থেকে কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর অচিরেই শুরু হবে। এক কিংবা দুই মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করা হবেÑ এমনটিই দেখতে চাই আমরা।
শিরোনাম
- পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
- ‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’
- অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
- এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
- ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া
- বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রধান শিক্ষকের সংসার, মাঠ যেন গো-চারণভূমি
- পেকুয়ায় নৌবাহিনীর তিন দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন শুরু
- পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচি নিয়ে নওশাদ জমির
- ন্যায্য পানি বণ্টন ও আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশের আহ্বান
- ২০২৫ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় তিন লাখ দক্ষিণ সুদানী: জাতিসংঘ
- ‘জামায়াত মায়া কান্না করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চায়’
- বাঞ্ছারামপুরে অস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেফতার
- দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ আসছেন অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী ড. অ্যালি
- মুক্ত ১৫৪ ফিলিস্তিনিকে মিসরে পাঠাল ইসরায়েল
- পাকিস্তানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা, নিহত ৫
- নেতানিয়াহুকে দুর্নীতি থেকে দায়মুক্তির আহ্বান ট্রাম্পের
- বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে চিরিরবন্দরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম
- জাবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
- চিংড়িতে জেলি পুশ করায় ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
- চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর
পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম
সময় ক্ষেপণ নয়, এখনই স্থানান্তর করুন
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল
৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প
১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম