মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভারতকে আমরা সুপ্রতিবেশী পেতে চাই

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

ভারতকে আমরা সুপ্রতিবেশী পেতে চাই

বিশ্বের এক আলোচিত বিষয় সদ্যসমাপ্ত ভারতের সাধারণ নির্বাচন। দেড় মাসব্যাপী নির্বাচনে বুথে ছোটখাটো হানাহানি যাই হোক, আমাদের মতো অবিশ্বাস্য কিছু হয়নি। নির্বাচনের পর এতদিন ফলাফল বাক্সবন্দী থাকল- কেউ একটি শব্দও করেনি। নরেন্দ্র মোদির বিজয় নিয়ে অনেকের সন্দেহ ছিল। কিন্তু আমার ছিল না। প্রথমবার যখন বিজেপি ক্ষমতায় আসে অনেককে উচ্চকণ্ঠে বলতে শুনেছি, অবশ্যই বিজেপি জিতবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। আমার সেবারও মনে হয়েছিল মূলত নরেন্দ্র মোদিকে ভিত্তি করেই বিজেপির উত্থান। এবারও তেমনটা তাই হয়েছে। অল্প আগে যেসব রাজ্যে কংগ্রেস ভালো করেছিল, বিধানসভায় নিরঙ্কুশ আসন পেয়েছিল, সেখানেও লোকসভায় কংগ্রেস বা বিরোধী দল ভালো করতে পারেনি। কর্নাটক, রাজস্থান এবং বিহারের ফল দেখলে ভিমড়ি খেতে হয়। আর পশ্চিম বাংলার কথা তো বলাই চলে না। পশ্চিম বাংলার সিপিএমের সব ভোট পেয়েছে বিজেপি। এক সময় সিপিএম একটানা ৩৫ বছর শাসন করেছে। সেই সিপিএম এবার লোকসভায় কোনো আসন পায়নি। এও এক রাজনৈতিক খেল। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এক সময় সিপিএমকে সরাতে কংগ্রেসকে সামনে না নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা ব্যানার্জিকে সামনে নিয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলবিরোধী বেশ বাতাস ছিল। কিন্তু বিধানসভায় যে কোনোভাবেই হোক ভালো ফল করে সে বাতাসকে তৃণমূল মোটামুটি ঠেকিয়ে দিয়েছিল। তবে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোরাজুরির মাত্রা বেশি হওয়ায় ভোটাররা অনেকটাই বিক্ষুব্ধ ছিল। তাই তারা তৃণমূলবিরোধী ভোট ভাগ না করে সব দিয়েছে বিজেপিকে। তা না হলে গতবার ছিল ২ আসন, এবার সেখানে এক লাফে ১৮ আসন। এটা খুব সহজ নয়। মালদার মুকুটহীন সম্রাট এ বি এ গণি খান চৌধুরী সারা জীবন নিজেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন ১৬-১৭ বার। লোকসভা, বিধানসভা উভয় নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করেছেন, কখনো হারেননি। একই বাড়িতে লোকসভা-বিধানসভায় একসঙ্গে ২-৩-৪ জন সদস্য আর কোথাও দেখা যায়নি। এবার তারাও হেরেছেন। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব’দার ছেলে অভিজিৎ, তাকেও পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। এ এক রাজনৈতিক সুনামি। এবার বিজেপির বিজয় ঠিক তেমনটাই হয়েছে। রাজনীতিতে কোনো বিজয়ই শেষ কথা নয়। যে যত ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারবে তার স্থায়িত্ব তত বেশি হবে। তবে চিরস্থায়ী কিছু নয়। বিজেপির এ বিজয়কে তারা সম্মানজনক করতে পারলে ভালো ফল পাবে। তবে সেদিন দেখলাম, কোথায় যেন মুসলমানদের ওপর কয়েকজন বিজেপি সমর্থক প্রকাশ্য লাঠি চালাচ্ছে- এটা কোনো ভালো কথা নয়। নির্বাচন-উত্তর উন্মাদনায় ছোটখাটো ঘটনা ঘটতেই পারে। সেটাকে যত নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ততই মঙ্গল। বিজেপির বিজয়ে বাংলাদেশে আনন্দের জোয়ার যেমন বহেনি, তেমনি স্বজন হারানোর বেদনাও কেউ অনুভব করছে না। তবে এটা সত্য, আপামর জনসাধারণ অনেকটাই শঙ্কিত। ব্রিটিশমুক্ত ভারত-পাকিস্তানে আমাদের সম্পর্ক কখনো ভালো ছিল না। এখনো সরকারে সরকারে সৌহার্দ্য থাকলেও দুদেশের জনতার মধ্যে সন্দেহ লেগেই আছে। সেটা পবিত্রতায় স্থান পায়নি, সেটা অবাধ হয়নি। এ নিয়ে জনগণের নয় বরং উভয় সরকারের সম্পর্কই দায়ী। বিশেষ করে অভিজ্ঞ ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের বাইরে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার তেমন আগ্রহ দেখায়নি। পাকিস্তান আমলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধনের সূত্র ছিল সিনেমার নায়ক-নায়িকা, সাংস্কৃতিক গান-বাজনা ও কবি-সাহিত্যিকরা। সতিনাথ, হেমন্ত, সন্ধ্যা মুখার্জি, মোহাম্মদ রাফি, তালাত মাহমুদ, লতা মুঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলেরা। এখনো প্রায় তেমনি আকাশ সংস্কৃতি চ্যানেলগুলোই হচ্ছে বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জের সাধারণ মানুষের ভারত দেখার বা জানার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়া যেসব সামাজিক সিরিয়াল হয় তাতে গ্রাম্য সমাজ লাভের চাইতে ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছে বেশি। গ্রামের ঘরে ঘরে এখন টিভি, স্যাটেলাইটের কল্যাণে সবার হাতের মুঠোয় সবকিছু। সিরিয়ালে দেখা ঝকঝকে তকতকে নায়কের মতো গ্রাম্যবধূ তার স্বামীকে দেখতে চায়, স্বামী আবার সিরিয়ালের নায়িকার মতো স্ত্রীকে দেখতে চায়। পর্দার সিরিয়াল যে বাস্তব নয়, বাস্তব জীবন নয়, তা বুঝতে বুঝতে অনেক দিন কেটে যায়। তাতে পারিবারিক বন্ধন শিথিল, অনেক ক্ষেত্রে নষ্ট হয়ে যায়। আর ভারতীয় সব সিরিয়ালে ঘরের ভিতরের কুটিল চরিত্র থাকতেই হবে যা বড় বেশি গ্রাম্য সমাজে ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। তাই অভিজ্ঞ নরেন্দ্র মোদি তার দ্বিতীয় যাত্রায় নিকট প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে কীভাবে অগ্রসর হন সেটাই দেখার বিষয়। এখানে আশার বাণী, গুরু চাণক্যের দেশ ভারত, মুহূর্তে মুহূর্তে তাদের নীতি বদল করে না। তাদের অভিজ্ঞ প্রশাসন ধীরস্থিরভাবে নিজের দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে অগ্রসর হয়। তারা কচুপাতার পানির মতো নয়, এই যা ভরসা।

আমাদের নেতৃবৃন্দ বড় আশায় আছেন তিস্তার পানিসহ অভিন্ন নদীর পানি পেয়ে যাবেন। মনে হয় যা ছিল তাই থাকবে, কোনো বড়সড়ো পরিবর্তন হবে না। বাংলাদেশ তিস্তায় একফোঁটা পানিও পাবে না। ব্যাপারটা ১০-২০ বছর আগে যত সহজ ছিল এখন তত সহজ নয়। দিন দিন আরও কঠিন হচ্ছে। সরকারে সরকারে বরফ গললেও স্বার্থের দ্বন্দ্ব মোটেই কমেনি, বরং অনেক বেশি বেড়েছে। এ থেকে নিষ্কৃতি পেতে বড় দেশ হিসেবে ভারতকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ভবিষ্যৎ শুভদিনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে। কোনো কোনো সময় অপেক্ষার চাইতে বড় কোনো নিয়ামক নেই। কৃষকের এই চরম দুঃসময়ে সরকার তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখছে না, বিরোধী দলও কৃষকের পাশে যথার্থ দাঁড়াতে পারেনি- এক মারাত্মক শূন্যতা চলছে কৃষি সমাজের ওপর। ১০-২০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে পরে ধান কিনলে অথবা চাল কিনলে কৃষকের কোনো লাভ হবে না- সেটা যাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের পেটে। কিন্তু এখন প্রয়োজন ছিল তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা। ১ কোটি ৯০ লাখ থেকে ২ কোটি টন ধান ফলেছে। টনে ৫-৬ হাজার টাকা ভর্তুকি দিলেও সরকারের কি এমন ক্ষতি হতো? বরং কৃষকদের মধ্যে ধান ফলানোর একটা উৎসাহ জাগত। সরকার ১০ হাজার কোটি টাকায় পদ্মা সেতু শুরু করে তা এখন ৪০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে ঠেকিয়েছে। শেষ হতে হয়তো আরও ১০ হাজার কোটির প্রয়োজন হবে। কিন্তু কৃষককে ১০-২০-৫০ হাজার কোটি টাকা তাৎক্ষণিক অনুদান দিলে এর সুদূরপ্রসারী শুভ প্রভাব পড়ত। সেদিন এক চিন্তাবিদ ধানের মণ ১২০০ টাকা দাবি করেছেন। ১২০০ টাকা নয়, প্রকৃত কৃষক প্রতি মণ ধানে হাজার টাকা পেলেই খুশি। এর শুভ প্রভাব অবশ্যই সরকার পেত। আর ২৬ টাকা কেজি ধান কিনলেই তো সব লেঠা চুকে যায়। কৃষকের কাছ থেকে সরকার ধান না কিনে মিলওয়ালাদের কাছ থেকে কেনে কেন? চারদিকে লুটপাট রাহাজানি দেখে এক সময় বড় বিরক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনি।’ এখন সে রকমই হয়েছে। কেউ কোনো কথা শোনে না। মনে হয় এর আগে কখনো দেশের সব জায়গায় এমন পচন ধরেনি। বিরোধী দল সরকারের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সরকার তার নৈতিকতা, ন্যায়-নিষ্ঠা হারিয়ে ফেলেছে বলে বিরোধী দলের কোনো নৈতিকতা থাকবে না, ন্যায়নিষ্ঠা থাকবে না- এটা জনসাধারণ কি করে মেনে নেবে? সরকারের চাইতে বিরোধী দলের ন্যায়নীতি নিষ্কলুশ হওয়া চাই। সরকার মানুষের সঙ্গে নানা ধরনের ছলনা করতে পারে। তাদের রংবেরঙের তামাশা করার অনেক উপকরণ থাকে। কিন্তু বিরোধী দলের সততা ছাড়া, ন্যায়নিষ্ঠা ছাড়া আর কি থাকে? অথচ বিরোধী দলের রাজনীতির ভিত্তি কেমন যেন দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা জনগণকে কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করছে না বা করতে পারছে না, সময়মতো মানুষের পাশে থাকছে না। জাতীয় পার্টি তো সরকারি বিরোধী দল। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এ রকম বিরোধী দলের নজির নেই। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, তার ভূমিকাও তো প্রশ্নবিদ্ধ। সবেধন নীলমণি ঝরেপড়া তাদের সাত সদস্যের সংসদে যাওয়া কি মানুষ পছন্দ করেছে? কেউ করেনি। একবার বলা হলো নির্বাচন হয়নি। আবার সেই প্রতারণামূলক নির্বাচনে সাতজন শপথ নিলেন। এ তো সরাসরি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সদস্য। অনেক অসংগতি অনেক প্রশ্ন নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দকে চিঠি দিয়েছিলাম, ‘এক মাসের মধ্যে অসংগতির প্রতিকার না হলে আমরা আমাদের দলকে প্রত্যাহার করে নেব।’ এখনো তেমন কোনো অসংগতি দূর করা হয়নি, দূর করার চেষ্টাও হয়নি। এরই মধ্যে বলা শুরু হয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে আরও এক মাস অপেক্ষা করতে বলা হবে। ভালো কিছু হলে এক মাস কেন এক বছর অপেক্ষা করতেও আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। ভালো তো কিছু দেখছি না। বিএনপির পাঁচ সদস্যের জন্য এক মহিলা আসন। গরল যখন গিলেছেন তখন মহিলা আসন অবশ্যই পাবেন বা নেবেন। কিন্তু বগুড়ায় উপনির্বাচন কেন? তাহলে কি এই সংসদকে আপনারা মেনে নিলেন? ঐক্যফ্রন্ট নতুন নির্বাচন চায়, এই সংসদের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। তাহলে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কেন? জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কি নির্বাচনে যেতে মত দিয়েছে, নাকি বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বাইরে নির্বাচন করছে- প্রশ্নগুলো মানুষের মনে। প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিয়ে আর যাই হোক সঠিক রাজনীতি হবে না। আমরা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জনগণের সঠিক পাহারাদার হিসেবে রাজনীতি করতে চাই। তাই প্রশ্নগুলোর উত্তর চাই আমরা। বেশ কদিন শরীরটা খারাপ। আর বিশেষ করে ইফতারের রাজনীতি আমার তেমন পছন্দ নয়। তাই যথাযথ ধর্মীয় গম্ভীর্য নিয়ে রোজা রেখে ইফতার করি। একজন রোজাদারের ইফতার আল্লাহকে দেখানো, অন্য কাউকে নয়। তাই তেমন বাইরেও যাই না। ঈদের পরে অবশ্যই সারা দেশের মানুষের মতামত জানতে তাদের কাছে যেতে চেষ্টা করব।

প্রধানমন্ত্রী কদিন আগে বেশ কটি সেতু ও উড়াল সেতু জনসাধারণের জন্য খুলে দিয়েছেন। এখন একটা বড় সুবিধা হয়েছে সরেজমিন না গিয়েও অনেক কিছু করা যায়। উত্তরবঙ্গের প্রধান রাস্তা ঢাকা-জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল সড়কের অনেকগুলো উড়াল সেতু আছে। চট্টগ্রাম সড়কে মেঘনা-গোমতী সেতু খুলে দেওয়ায় যাত্রীদের খুবই উপকার হবে। অন্যদিকে পঞ্চগড়ের বিশেষ ট্রেন অবশ্যই এক যুগান্তকারী ঘটনা। যাত্রীরা যত দ্রুত নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে ততই দেশের মঙ্গল। কিন্তু দুঃখের বিষয় সব জায়গাতে গোঁজামিল। কদিন আগে রূপপুরে বালিশের দাম ৫৯৫৭ টাকা, ঘরে তুলতে ৭৬০ টাকা। আধুনিক সবকটি ভবনে লিফট লাগানো আছে। সারা দিনে ১০ জন লোকে সবকিছু ঠিকঠাক করে সাজিয়ে গুছিয়ে ফেলতে পারত। আশপাশে কোনো হাইস্কুল কিংবা কোনো ক্লাবকে বললে সব মালামাল উঠিয়ে দিতে পারত। কিন্তু নবনির্মিত ভবনে মালামাল উঠাতেই দুই কোটি কয়েক লাখ টাকা, বিল্ডিং তৈরিতে কত কোটি চুরি হয়েছে সে আল্লাহ মালুম। টাঙ্গাইলে বাড়ি হওয়ায় নিয়মিত যাতায়াত করি। রাস্তার অবস্থা প্রায় সময়ই দেখি। যেহেতু চন্দ্রা দিয়ে যাই, চন্দ্রার পরে যমুনা পর্যন্ত যে কটি ওভারপাস করা হয়েছে শুধু এই টাকা দিয়ে আরেকটি নতুন রাস্তা করা যেত। আবার মজার ব্যাপার, প্রধানমন্ত্রী যখন ওপেন করতে ক্যামেরায় আসেন তখন সব চলে, ক্যামেরা বন্ধ হলেই সব বন্ধ। রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে সকালে দুই লেন চালু তো বিকালে এক লেন বন্ধ। কবে যেন দেখলাম টাঙ্গাইলের প্রান্তঃসীমায় ভাতকুড়া সেতুতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ফলক। লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে তারা বললেন, না, প্রধানমন্ত্রীকে ভাতকুড়ায় আসতে হয়নি। গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন। সেদিন উদ্বোধন করা উড়াল সেতুর কোনো কোনোটি গতকাল দেখেছি বন্ধ। এই ছেলেখেলা আর কতদিন? রাস্তা জনগণের নয়, রাস্তা যারা বানায় তাদের আর যারা দেখাশোনা করে ভাগ নেয়- এটা কোনো গণতন্ত্রের দেশ হতে পারে? দেশের মানুষের কিছুই বলার নেই, কিছু করার নেই। আর সাত-আট দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। আবহাওয়া ভালো নয়। যদি ঝড়-বাদল হয় মানুষের কষ্টের শেষ থাকবে না। ঝড়-বাদল না হলেও রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তাতে মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভেবে পাচ্ছি না। অল্প কিছু মানুষ যদি মানুষের জন্য আন্তরিক হতো, দেশের জন্য আন্তরিক হতো তাহলে এ অব্যবস্থা থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পাওয়া যেত।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

সর্বশেষ খবর