মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

এবার ই-পাসপোর্ট

নতুন যুগে পা দেবে বাংলাদেশ

আগামী মাসের শুরুতে ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পর নতুন প্রযুক্তির পাসপোর্টের অধিকারী হবে বাংলাদেশের নাগরিকরা। ১ জুলাই থেকে নবায়ন বা নতুন পাসপোর্ট যারা করতে যাবেন তাদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে। তিন ধরনের ফি রাখা হবে ই-পাসপোর্টে। পাঁচ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা। যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট দেওয়া হবে। আর ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকরা পাবেন ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট। এত দিন যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ব্যবহার করত বাংলাদেশি নাগরিকরা। আগামী ১ জুলাই থেকে আরও আধুনিক যে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে তার ডাটা থাকবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ডাটাবেজেও। ই-পাসপোর্ট দেওয়ার উদ্যোগ ২০১৭ সালে নেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে তা কার্যকর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কয়েক দফা পেছানোর পর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ১ জুলাই থেকে নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে অনেক আগেই। পৃথিবীতে ১১৯টি দেশে ই-পাসপোর্ট ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশও সেই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে। ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশের জন্য শুরুতে জার্মানি থেকে ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট করে এনে তা সরবরাহ করা হবে। পরে দেশেই তা প্রিন্ট করা হবে, এজন্য উত্তরায় কারখানা স্থাপন করা হবে। বর্তমান বই আকারের যে পাসপোর্ট রয়েছে ই-পাসপোর্টে একই ধরনের বই থাকলেও তাতে বর্তমানের মতো শুরুতে ব্যক্তির পরিচয়সংবলিত যে দুটি পাতা আছে তা থাকবে না। তার বদলে থাকবে পলিমারের তৈরি একটি কার্ড। সেই কার্ডের মধ্যে থাকবে একটি চিপ, তাতে পাসপোর্ট বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ই-পাসপোর্ট হবে অনেক বেশি নিরাপদ। এ পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। আরএমপি ডাটাবেজের সব তথ্য তাতে স্থানান্তর করা হবে। ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রসর পথের যাত্রী হতে সাহায্য করবে- আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর