শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯ আপডেট:

সংসদ বিতর্কের জায়গা গানের মঞ্চ নয়

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
সংসদ বিতর্কের জায়গা গানের মঞ্চ নয়

জাতীয় সংসদ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলাপ-আলোচনা, বিতর্কের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণের তীর্থস্থান। সার্বভৌম সংসদে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জাতীয় ইস্যুতে তুমুল বিতর্কের মধ্য দিয়ে সমাধান দিয়ে থাকেন। সরকার যেমন তার রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও কর্মসূচি তুলে ধরে, তেমনি বিরোধী দল ভ্রান্তনীতির বিরুদ্ধে যুক্তিনির্ভর সমালোচনার তীর ছুড়ে জবাবদিহি আদায় করে। বাজেট প্রণয়ন থেকে রাষ্ট্রীয় সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গা হলো সংসদ। অর্থাৎ জাতির ভাগ্য নির্ধারণের সর্বোত্তম জায়গা হচ্ছে জাতীয় সংসদ। সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় সংসদই হলো সেই তীর্থস্থান যার দিকে জনগণ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা বাইসাইকেলের মতো দুই চাকা-নির্ভর। একটি হলো সরকারি দল, আরেকটি বিরোধী দল। নব্বই-উত্তর গণতন্ত্রের নবযাত্রায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে শক্তিশালী সরকারের পাশাপাশি শক্তিশালী বিরোধী দলের অস্তিত্বই শুধু দৃশ্যমান ছিল না; তুমুল বিতর্ক, আলোচনা, ওয়াকআউটে প্রাণবন্ত করে, জনগণের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট বিশাল বিজয় অর্জন করে ক্ষমতায় আসে। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ২৯টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসে। সে সংসদও ছিল শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত এবং বিতর্কের ঝড় ছিল নিয়মিত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি জোট অংশগ্রহণ না করায় সাংবিধানিকভাবে ওয়াকওভার নিয়ে সংসদে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টি সরকারি ও বিরোধী দলে অবস্থান নেওয়ায় সংসদ আর প্রাণবন্ত হয়নি। শক্তিশালী সরকারি দলের পাশাপাশি সরকারের অনুগত দুর্বল বিরোধী দলের কারণে সংসদ প্রাণহীন হয়ে পড়ে। নির্বাচনে বিভ্রান্ত নীতি অনুসরণ করে সংসদে এলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ বিরোধী দলের নেতা হতে পারেননি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট ঐতিহাসিক বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় আসে ও সংসদে একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের আসনে বসিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচনে মামলায় দন্ডিত কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করতে পারেননি। বিএনপির শক্তিনির্ভর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হাতে গোনা কয়েকটি আসনে জয়লাভ করে। তারা এ নির্বাচনের আগের রাতে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ও নতুন নির্বাচনের দাবি তোলে। নানা নাটকীয়তার পর একে একে প্রথমে গণফোরামের কোটায় নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ শপথ গ্রহণ করেন এবং শেষ পর্যন্ত বিএনপির নির্বাচিতরাও সংসদে শপথ নিয়ে আসেন। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদের সংসদে যোগদান শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি এবং নির্বাচনের প্রতি তাদের বৈধতাদানের স্বীকৃতি মুজিবকন্যার জন্য একটি বড় অর্জন। ২০১৪ সাল থেকে ভুলের রাজনীতিতে পথহাঁটা বিএনপি এখানে বড় ভুলটি করেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে সংসদেই যখন বিএনপি গেল, তাহলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সংসদে না পাঠিয়ে কেনই বা তার শূন্য আসনে উপনির্বাচনে জি এম সিরাজকে বিজয়ী করে এনেছে? সংরক্ষিত (মহিলা) আসনে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে সংসদে এনে যে সঠিক সিদ্ধান্তের পরিচয় দিয়েছে, তেমনি মির্জা ফখরুলকে সংসদে না পাঠিয়ে তাদের দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

সংসদে বিরোধী দলের নেতা এইচ এম এরশাদ অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী। বিরোধী দলের উপনেতা রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক শক্তি ও ইমেজের ওপর ভর করে সংসদে এসে বিরোধী দলের আসন গ্রহণ করায়, জনগণের আকর্ষণ ও আগ্রহের জায়গায় নেই। সেখানে ঐক্যফ্রন্টের হাতে গোনা সাতজন সদস্য কথা বললে সংসদ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বিতর্কের ঢেউ খেলে যায়। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্য সরকারি দলের এমপিদের প্রতিবাদের মুখে যেখানে ঝড় তুলছে, সেখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন দাঁড়িয়ে কথা বলতেন, তখন সরকারি দল যেমন তার বক্তব্য গুরুত্বসহকারে মনোযোগ দিয়ে শুনত, তেমনি গণমাধ্যমও লুফে নিত, জনগণের মধ্যেও তার প্রভাব পড়ত। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদে আলোচনা ও বিতর্কের মধ্য দিয়ে কার্যত অঘোষিত বিরোধী দলের নেতায় পরিণত হতেন।

নব্বই-উত্তর গণতন্ত্রের যাত্রাপথে সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় দেশকে উত্তরণে পঞ্চম সংসদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঐকমত্যের ভিত্তিতে যাত্রা করেছিল। আর রাজনীতিতে শেখ হাসিনার বিকল্প যেমন খালেদা জিয়া, তেমনি খালেদা জিয়ার বিকল্প শেখ হাসিনাই মানুষের সামনে নেতৃত্বের জায়গায় আবির্ভূত হয়েছিলেন। বিগত দুটি নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার বিকল্প আর খালেদা জিয়া নেই। রাজনীতির ময়দান থেকে অন্য কেউ উঠে আসবেন সেই সম্ভাবনা বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে। তাই এখন পর্যবেক্ষকদের ভাষায়, শেখ হাসিনাই শেখ হাসিনার বিকল্প হয়ে আছেন। নব্বই-উত্তর গণতন্ত্রের  জমানায় সংসদীয় রাজনীতিতে পাঁচ বছর পরপর ব্যালটের রায়ে ক্ষমতার পরিবর্তনের যে পালাবদল চলছিল, রাজনীতিতে যে আস্থা-বিশ্বাস ও সমঝোতার সংস্কৃতি বহমান ছিল, বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের অপশাসন, একের পর এক রাজনৈতিক হত্যাকান্ড, এরশাদের পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-নির্যাতন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের উত্থান, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাদান, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের উড়িয়ে দেওয়ার বর্বরোচিত প্রচেষ্টা এবং সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করে দলীয় রাষ্ট্রপতির অধীনে সরকার প্রতিষ্ঠা করে একতরফা নির্বাচনে ক্ষমতায় টিকে থাকার ভ্রান্তনীতি সেই আস্থা-বিশ্বাস ও সমঝোতার সংস্কৃতির কবর দিয়ে দেয়।

২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে মহাজোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা চিরতরে মুছে দেয়। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনী ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশ। অন্যদিকে নির্বাচন বর্জন, প্রতিরোধ ও সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা, সহিংস হরতাল, অবরোধের রাজনীতি, মামলার জালে আটকে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল বিএনপিকে যেমন পঙ্গু করে দেয় তেমনি গণরায় নিয়ে ক্ষমতায় এসে জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসিতেই ঝুলিয়ে দেয়নি, তাদের সহিংস আন্দোলনের সুবাদে কঠোর দমননীতিতে দমিয়েই দেয়নি, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। গণতন্ত্রের নবযাত্রায় ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ও বিরোধী দল সংসদে শক্তিশালী অবস্থান নিলেও একদিকে সংসদ বর্জন, অন্যদিকে রাজপথের হরতাল, অবরোধ কর্মসূচি দেশের ব্যবসায়ী সমাজকে ক্ষুব্ধই করেনি, অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের রাজনীতি কার্যত হরতাল-অবরোধসহ সংঘাতের রাজনীতি থেকে মুক্ত হলেও রাতারাতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শাসক দলের হয়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে এখন সুবিধাবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক শক্তি এখন দৃশ্যমান নয়।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কেই ওঠেনি, পদ্মা সেতুসহ একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নই হচ্ছে না; দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুনিয়ার সামনে বিস্ময়কর জায়গায় চলে গেছে। কিন্তু দেশের সামাজিক সংকট, অস্থিরতা, অপরাধ যেমন একের পর এক দেখা যাচ্ছে, তেমনি সুশাসনের ঘাটতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়েছে। ব্যাংকিং খাত আশঙ্কামুক্ত এখনো হয়নি, ফিরে আসেনি শৃঙ্খলা। শেয়ারবাজার লাখো লাখো মানুষকে রিক্ত-নিঃস্ব করে মুনাফালোভী সিন্ডিকেটকে লাভবান করে সেই যে কবরে শায়িত হয়েছিল, সেখান থেকে এখনো উঠে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এমন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় শেখ হাসিনার সরকারের দুর্নীতি দমন সংস্থা দৌড়ঝাঁপ করলেও এখন পর্যন্ত বড় বড় দুর্নীতিবাজদের, ব্যাংক লুটেরাদের, অর্থ পাচারকারীদের, শেয়ার বাজিকরদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি। দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চললেও কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন হামেশাই উঠছে। অনেক উন্নয়নকাজে একদিকে গতি নেই, আরেকদিকে কাজের মান নিম্ন, প্রকৌশলী ঠিকাদাররা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় জনগণের সম্পদ লুট করে নিচ্ছেন। ২০০৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বিদেশে। দেশের অর্থনীতিতে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। অর্থ পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা দূরে থাক, পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা দূরে থাক, দেশের অর্থ পাচারের পথ এখনো বন্ধ করা যাচ্ছে না। ওয়ান ইলেভেনে জোর করে নেওয়া ব্যবসায়ীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়াও হয় না। ইয়াবা, মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যুদ্ধে জনগণ সমর্থন দিলেও দেশকে ইয়াবার আগ্রাসন থেকে মুক্ত করা যাচ্ছে না। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষক রাজনীতি ও দলীয়করণের আগ্রাসনের শিকারই নয়, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে আজ অভিযুক্ত। গবেষণাসহ শিক্ষার মান এমনকি শিক্ষকদের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হচ্ছে। প্রোডাকশন মান মেধার দিক থেকে, দক্ষতার দিক থেকে উন্নত হচ্ছে না। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে, স্বাস্থ্যসহ সব খাতই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। আবজাল নামের কর্মচারী ধরা খায় এত সম্পদ নিয়ে। তাহলে রাঘবরা কোথায়? পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ না দিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

সংসদীয় রাজনীতির প্রতি শেখ হাসিনার আন্তরিকতা সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ১৮ ঘণ্টা কাজ করা শেখ হাসিনা সব  সময় সংসদে সময় দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব, মন্ত্রীর বদলে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে এমনকি বিরোধী দল থেকেও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার বিধান চালু করেছিলেন। আমাদের সংসদের অতীত বর্ণাঢ্য। এ দেশের অনেক বরেণ্য পার্লামেন্টারিয়ান নানা দল থেকে নানা সময়ে নির্বাচিত হয়ে সংসদ অলঙ্কৃত করেছেন। অনেক জনপ্রিয় স্পিকার সংসদ পরিচালনা করেছেন। আমাদের পেশাগত রিপোর্টিং জীবনে সেন্স অব হিউমার নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে সংসদ পরিচালনায় স্পিকার শামসুল হুদা চৌধুরীকে দেখেছি। পঞ্চম সংসদে স্পিকার আবদুর রহমান বিশ্বাস তৎকালীন গণতর্ন্ত্রী পার্টি ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের তুখোড় পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে সংসদ অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দিতে সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস তলব করলে তৎক্ষণাৎ সংসদে প্রবেশ করে বিরোধীদলীয় নেতা ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে সামাল দিয়েছেন, সেই সংসদীয় রাজনীতির দৃশ্যপট অবলোকন করেছি। একজন সংসদ সদস্য কথা বলার জন্য টেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে যাওয়ার রেওয়াজও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে। পঞ্চম সংসদে স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সংসদ পরিচালনা করেছিলেন বলেই সেদিন তোফায়েল আহমেদের মতো পার্লামেন্টারিয়ান বিএনপির মন্ত্রী জেনারেল মাজেদুলে হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংসদে তুলকালাম বাধিয়েছিলেন। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিরোধী দল পদত্যাগ করতে গেলে সমঝোতার শেষ চেষ্টাই করেননি, পদত্যাগপত্র ঝুলিয়েও রেখেছেন অনেকদিন। স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীকে বিএনপির অনেক উগ্র সংসদ সদস্য বাপ তুলে গালিও দিয়েছিলেন। তিনি ভদ্রতা, উদারতা ও নমনীয়তার উদাহরণ রেখে তাদের কথা বলতে যেমন দিয়েছেন, বিদেশ সফরেও তালিকাভুক্ত করেছেন। আড়ালে তাদের অনেককে হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর পায়ে ধরে সালাম করতেও দেখেছি। বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনা তথ্য-উপাত্তসহ বিএনপি সরকারকে তির্যক বাক্যবাণে ধুয়েমুছে দিতেন।

যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসিতে দন্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী  স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলীকে পাইকগাছার উকিলও বলেছিলেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেন্স অব হিউমারে সংসদ মাতিয়েই রাখতেন না, সবাইকে আলোচনার সুযোগ দিয়ে সংসদ প্রাণবন্ত করে রাখতেন। উচ্চশিক্ষিত বিদুষী নারী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার নির্বাচিত করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা যে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন, সংসদ পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি তার প্রমাণ রেখেছেন। সংসদে সবাইকে কথা বলার সুযোগ দিতে একজন হৃদয়বান উদার স্পিকার হিসেবে ইতিহাসে তার নাম লিখিয়েছেন। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া এরশাদের জাতীয় পার্টির মন্ত্রী থেকে এমপি হয়ে সংসদে এসেছিলেন। এরশাদের জাতীয় পার্টির ভাঙনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পাল্লায় উঠেছিলেন। শেষ পর্যন্ত নৌকায় চড়ে এ সংসদে এলে শেখ হাসিনা তাকে ডেপুটি স্পিকার করেছেন। পঞ্চম সংসদে বিএনপির তথ্যমন্ত্রী নাজমুল হুদাকে বিরোধীদলীয় উপনেতা আবদুস সামাদ আজাদ ‘বেহুদা’ বলেছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়াকে ‘বে-মজা’ বলতে কার্পণ্য করতেন না। এমনিতেই সংসদে বিরোধী দল নেই বললে চলে। শেখ হাসিনা যেখানে চান বিরোধী দলে যে কয়জনই থাক তারা কথা বলুক, সরকারের সমালোচনা করুক। কিন্তু সংসদ সদস্যদের কথা বলতে দিতে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী যতটা উদার ডেপুটি স্পিকার ততটাই রক্ষণশীল। খুব দ্রুত মাইক বন্ধ করার মধ্যে তিনি আনন্দ পান। সংসদ টিভির সুবাদে তেমনটি দেখতে পাই। সব স্পিকারই সংসদে কেউ অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করলে তা এক্সপাঞ্জ করেন। ডেপুটি স্পিকারও সেই এখতিয়ার রাখেন। কিন্তু ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলতে শুরু করলেই তিনি যেভাবে বাধাগ্রস্ত করেছেন, সেটি দৃষ্টিকটুই নয়, তর্ক জুড়ে দিয়ে পক্ষপাতদুষ্টতার চেহারাই উন্মোচিত করেছেন। সংসদে যখন অনেকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বা বাজেট বক্তৃতার রেওয়াজ লঙ্ঘন করে চোখ বন্ধ করে লিখিত ভাষণ পাঠ করেন স্পিকারের দিকে তাকানও না, সেটি তিনি ‘আনন্দে কবুল করেন’। নোট রেখে কথা বলা যায়। ভাষণ পাঠ সংসদে অশালীন। অনেক সংসদ সদস্য কার্যপ্রণালি বিধি অনুসরণ করে ফ্লোর নেন না, অনেক সংসদ সদস্য জানেন না, সংসদ হচ্ছে জাতির ভাগ্য নির্ধারণের সেই পবিত্র স্থান, যেখানে জাতীয় নীতি নির্ধারণী বিষয় নিয়ে আলোচনা, বিতর্কের তুফান তোলা যায়। মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলা যায়। সংঘটিত যে কোনো অন্যায়, অপরাধ নিয়ে কথা বলা যায়। ৩০০ বিধিতে মন্ত্রীদের কৈফিয়ত তলব করা যায়। কিন্তু বাউলগান গাওয়া যায় না। সংসদ সদস্য মমতাজ যখন প্রথম  সংসদে গান গাইলেন তখন, ‘মাননীয় স্পিকার পয়েন্ট অব অর্ডার’ শিরোনামে অনুরোধ করেছিলাম, সংসদ সদস্যদের কর্মশালার ব্যবস্থা করতে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে এসব বিষয়ে আমার আলোচনাও হয়েছে। তার মেধা, যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্ব আমার শ্রদ্ধা কুড়িয়েছে। কিন্তু সোমবার বাজেট আলোচনায় সরকারি দলের সংরক্ষিত (মহিলা) আসনের সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম আবার নিজের লেখা গান গাইলেন- এটা সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। এ  নিয়ে স্পিকার কথা বলেন না। প্রবীণ সংসদ সদস্যরা দাঁড়িয়ে বলেন না, এখানে গান গাওয়া যায় না। তিনি যখন গান গাইছিলেন, তখন সিলেটের মানুষ যোগাযোগ দুর্ভোগে পতিত। ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে মাতম। হাসপাতালে আহতদের আর্তনাদ। আমরা রিপোর্টার হিসেবে সংসদ কাভার করেছি, তখন সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি প্রায় মুখস্থ করে ফেলেছিলাম। সংবিধান থাকত হাতের নাগালে। অনেক অনুচ্ছেদ ছিল মুখস্থ। পার্লামেন্টারিয়ানদের এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছি অনেক বিতর্ক ও ইস্যু নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে। আর দয়া করে সংসদ নেতা যেখানে চান, বিরোধী দলের সদস্যরা হাতে গোনা কম হলেও যদি তারা ন্যায্য কথাও বলে তিনি তা গ্রহণ করবেন। সেখানে তাদের কথা বলতে দিন। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার কাছ থেকে আমরা সেন্স অব হিউমার আশা করছি না; সংসদে তিনি তার পূর্বসূরি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের মতো প্রাঞ্জল পরিবেশ দিন সেটিও চাইছি না; তবে চাইছি, মাইক বন্ধ করবেন না। সংসদ সদস্যদের কথা বলতে দিন। মানুষ অন্তত দেখুক এই সংসদে বিরোধী দলকে কথা বলতে দেওয়া হয়। জবাব দেওয়ার জন্য সরকারি দলের নেতাকে কথা বলতে দিন অসুবিধা নেই। কিন্তু কারও মাইক বন্ধ করবেন না। এক মিনিট দুই মিনিট বেশি বললে ক্ষতি হবে না। মাইক বন্ধ করার ক্ষমতা থাকলেই বন্ধ করতে হয় না। বলতে না দিলে কণ্ঠ রোধের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। আর সংসদ আলোচনা-বিতর্কের তীর্থভূমি, গানের মঞ্চ বা জলসাঘর নয়।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
একীভূত ব্যাংক
একীভূত ব্যাংক
নির্বাচনের ঢেউ
নির্বাচনের ঢেউ
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মানবাধিকারের কথা বলে ইসলাম
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
মাদকে বিপথগামী লাখ লাখ মানুষ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
বাঙালির গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বাঙালি
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
সর্বশেষ খবর
গাজীপুরের নতুন জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান
গাজীপুরের নতুন জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে খালে পড়ে শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীতে খালে পড়ে শিশুর মৃত্যু

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাত দিনের আল্টিমেটাম
কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাত দিনের আল্টিমেটাম

৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা দিলো আবুল খায়ের গ্রুপ
জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা দিলো আবুল খায়ের গ্রুপ

৬ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে দুই হাজতির পলায়ন, গ্রেপ্তার ১
খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে দুই হাজতির পলায়ন, গ্রেপ্তার ১

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমসহ ৬৭ জনের নামে মামলা
সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমসহ ৬৭ জনের নামে মামলা

১২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

গাজীপুরে পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন
গাজীপুরে পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার : মীর হেলাল
ধানের শীষে ভোট দিন, এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব আমার : মীর হেলাল

২১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

১২০০ কোটি টাকা পাচারে সালমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা
১২০০ কোটি টাকা পাচারে সালমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স পেল বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড
ইউনাইটেড ফাইন্যান্স পেল বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড

৩০ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

আলী আমজদের ঘড়ির সামনে টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
আলী আমজদের ঘড়ির সামনে টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

শিবচরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
শিবচরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে, নির্বাচন হবেই : গয়েশ্বর
ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে, নির্বাচন হবেই : গয়েশ্বর

৩৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

সবজি বাজার থেকে সিংড়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির গ্রেফতার
সবজি বাজার থেকে সিংড়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির গ্রেফতার

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেফতার
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেফতার

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাইব্যুনালের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষী
ট্রাইব্যুনালের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষী

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ষড়যন্ত্রও তত বাড়ছে: দুলু
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ষড়যন্ত্রও তত বাড়ছে: দুলু

৫৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নেপাল–ভারত ম্যাচ খেলতে কাল দুপুরে আসছেন হামজা
নেপাল–ভারত ম্যাচ খেলতে কাল দুপুরে আসছেন হামজা

৫৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি
দ্বৈত-নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে লুকোচুরি ও ঝুঁকি

৫৫ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজধানীতে ৬ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার দুই
রাজধানীতে ৬ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার দুই

৫৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরাজগঞ্জে ধানের শীষের প্রচারণায় মহিলা সমাবেশ
সিরাজগঞ্জে ধানের শীষের প্রচারণায় মহিলা সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে জনগণ প্রতিশোধ নেবে’
‘১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে জনগণ প্রতিশোধ নেবে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানের শীষে ভোট চেয়ে বরিশালে রিকশার‍্যালি
ধানের শীষে ভোট চেয়ে বরিশালে রিকশার‍্যালি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নেতা-কর্মী গ্রেফতার ও বন্দর ইজারার প্রতিবাদে বাম জোটের বিক্ষোভ
নেতা-কর্মী গ্রেফতার ও বন্দর ইজারার প্রতিবাদে বাম জোটের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চার কর্মকর্তাকে ওএসডি করল বিসিবি
চার কর্মকর্তাকে ওএসডি করল বিসিবি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে: ইসরাফিল খসরু
নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে: ইসরাফিল খসরু

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শ্রীপুরে পৌর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীপুরে পৌর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ
সোনারগাঁয়ে স্কুলের মালামাল বিক্রির অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম
ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা
ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!
বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস
সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস
ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব
খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল
গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি
বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা
জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী
৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়
মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় চব্বিশের শহীদ পরিবারের সদস্যদের

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার সাথে আপস করিনি তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি : স্নিগ্ধ
হাসিনার সাথে আপস করিনি তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি : স্নিগ্ধ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ
মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ

মাঠে ময়দানে

ফের সংকট চরমে
ফের সংকট চরমে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম
সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপিতে  নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক
এনসিপিতে নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে

মাঠে ময়দানে

রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক
রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক

মাঠে ময়দানে

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড
দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ

মাঠে ময়দানে

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার প্রয়োজন
বৈষম্যবিরোধী আইনের অঙ্গীকার প্রয়োজন

প্রথম পৃষ্ঠা