শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯

বিভ্রান্ত হওয়া না হওয়া

মুহম্মদ জাফর ইকবাল
প্রিন্ট ভার্সন
বিভ্রান্ত হওয়া না হওয়া

১.

যতই আমার বয়স বাড়ছে আমি ততই নিজের ভিতর একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। যখন বয়স কম ছিল তখন দুনিয়ার সব বিষয়েই আমার নিজস্ব মত ছিল। কোনটা ভুল আর কোনটা শুদ্ধ আমি সেটা একেবারে নিশ্চিতভাবে জানতাম এবং নিজের ধারণাটাকে একেবারে গলার রগ ফুলিয়ে ঘোষণা করে অন্যদের জানিয়ে দিতাম। এখন যখন বয়স হয়েছে তখন আবিষ্কার করছি কোনো বিষয়েই আর পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারি না। কোনো কিছুর পক্ষে যখন কেউ কিছু বলে তখন মনে হয় এটাই ঠিক, আবার যখন বিপক্ষে কেউ যুক্তি দেয় তখন নিজের মাথা চুলকাই এবং মনে হয়, নাঃ এটাই মনে হচ্ছে ঠিক! কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক সেটা নিয়ে নিজের ভিতরেই তালগোল পাকিয়ে যায়। কয়েকটা উদাহরণ দিলে মনে হয় ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার হবে।

যেমন ধরা যাক গণতন্ত্র নামের বিষয়টা। সারা জীবন শুনে এসেছি, জেনে এসেছি এবং বিশ্বাস করে এসেছি যে, দেশ চালাতে হয় গণতন্ত্র দিয়ে। আমাদের পাশেই বিশাল ভারতবর্ষ, কী চমৎকার গণতান্ত্রিকভাবে বছরের পর বছর চলে আসছে। সারা পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র। তার পাশেই আমরা, বাংলাদেশ হওয়ার পরও জোড়াতালি দিয়ে চলছে। মাঝখানে বড় একটা সময় মিলিটারি শাসন করে দেশের বারোটা বাজিয়ে দিল। শেষ পর্যন্ত যখন গণতন্ত্র এসেছে তখন একটা নড়বড়ে গণতন্ত্র। এখনো নির্বাচন নিয়ে কত রকম অভিযোগ। যখন ভারতবর্ষের গণতন্ত্র নিয়ে তাদের হিংসা করে এসেছি তখন হঠাৎ করে নরেন্দ্র মোদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন। সন্ত্রাসী হিসেবে আমেরিকায় যে মানুষটি নিষিদ্ধ ছিলেন হঠাৎ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্টরা সেই নিষিদ্ধ মানুষের সঙ্গে গলাগলি করার জন্য ছোটাছুটি করতে শুরু করে দিলেন। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষে এখন গরুর সম্মান রক্ষা করার জন্য নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে ফেলা প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। আমি ভাবলাম, ঠিক আছে ভুলেভালে একবার এ দুর্ঘটনা ঘটে গেছে পরের নির্বাচনে ভারতবর্ষের মানুষ নিজেদের ভুল শুধরে নেবে, ঠিক মানুষকে দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাবে। কীসের কি? আমি অবাক হয়ে দেখলাম এবারে নরেন্দ্র মোদি আগের থেকে বেশি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এবারে নির্বাচনের আসল শক্তি হলো ধর্মীয় উম্মাদনা। শুধু তাই নয়, এবারে নির্বাচন নিয়ে অভিযোগÑ প্রশাসনকে পুরোপুরি ব্যবহার এবং টাকার খেলা। গণতান্ত্রিক একটা পদ্ধতিতে একটা দেশ চোখের সামনে এভাবে পাল্টে যাচ্ছে দেখতে কেমন লাগে? দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আগে কি জার্মানি এভাবে আস্তে আস্তে নাৎসি জার্মানি হয়ে গিয়েছিল? এতদিন বলে এসেছি, গণতন্ত্র খুবই ভালো। আজকাল বলি, গণতন্ত্র খুবই ভালো, কিন্তু তারপর থেমে গিয়ে মাথা চুলকাই বাক্যটা কীভাবে শেষ করব বুঝতে পারি না।

পৃথিবীর গণতন্ত্রের মোড়ল হচ্ছে আমেরিকা। মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্র সাপ্লাই করতে গিয়ে সেখানে কী অবস্থা করেছে সেটা আমরা চোখের সামনে দেখছি। খবরে দেখলাম বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বিশুদ্ধ এবং পরিশীলিত করার জন্য তারা একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। এ দেশের মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে আমার কোনো দিন দেখা হয় না, দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম সৌদি আরবের রাজা বাদশাহদের সরিয়ে সেখানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে তাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা। পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যা সমাধান নিয়ে তাদের নিজস্ব প্রস্তাব থাকে। আমাদের রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়ে তাদের একজন কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাব সবচেয়ে চমকপ্রদ, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশটি দখল করে বাংলাদেশকে দিয়ে দেওয়া। গুরুতর বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করা ঠিক নয় কিন্তু এ প্রস্তাবটি শুনে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গিয়েছিল। এই আমেরিকার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে আমার জীবনে কোনো উনিশ-বিশ হয়নি, কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর দেশের অর্ধেক মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষ কিংবা পৃথিবীর সাধারণ মানুষের জন্য অপরিসীম অবজ্ঞার সঙ্গে একমত এটা চিন্তা করে আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়!

যাই হোক, ধরে নিই গণতন্ত্র অনেক বড় ব্যাপার, আমার মতো আদার ব্যাপারি এই বিশাল জাহাজের খবর বুঝবে না, কিন্তু আমাদের সমাজের চারপাশের দৈনন্দিন ঘটনাগুলো নিশ্চয়ই বুঝতে পারব। আজকাল খবরের কাগজ মানেই হচ্ছে খুনখারাবির খবর। কত রকম খুন দেখে আতঙ্ক হয়। কিছুদিন হলো খুনের খবরের সঙ্গে শুরু হয়েছে ধর্ষণের খবর। শুধু ধর্ষণ নয়, অনেক সময় গণধর্ষণ (ইস : কী ভয়ঙ্কর একটা শব্দ!) সেখানেই শেষ নয়, ধর্ষণ-গণধর্ষণের পর হত্যাকা-। খবরের কাগজ পড়তে হলে নয় মাসের বাচ্চা থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধাকে ধর্ষণের খবর পড়তে হয়। আজকাল ধর্ষক হিসেবে শিক্ষকরাও এগিয়ে এসেছেন, বিশেষ করে মাদ্রাসার শিক্ষক। মাঝে মাঝে মনে হয় একটা ভয়ঙ্কর রোগে সবাই আক্রান্ত হয়ে গেছে। এ খবরগুলো পড়ে পড়ে ক্লান্ত হয়ে একবার মনে হলো পৃথিবীর অন্য দেশের মানুষ এ সমস্যাকে কীভাবে সমাধান করে সেটা একটু দেখি। আমাদের দেশে স্কুল-কলেজে ছেলেমেয়েদের ঠিক করে বড় করি না, পরিবার ছেলেমেয়েদের ঠিক করে মানুষ করতে পারে না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও অনেক কিছু গোলমাল করে, বিচার করা যায় না। শুধু তাই নয়, বড় বড় মাস্তান এবং গডফাদাররা নয়ন বন্ডদের পুষে পুষে বড় করে, রাজনীতির মানুষরা এদের ব্যবহার করে কাজেই আমাদের সমস্যার শেষ নেই। খুন-ধর্ষণ যদি ভয়ঙ্কর রোগ হয়ে থাকে তাহলে আমরা শুধু রোগাক্রান্তদের চিকিৎসা করার চেষ্টা করছি কিন্তু দক্ষ দেশগুলো নিশ্চয়ই এ রোগটি ছড়িয়ে পড়তেই দিচ্ছে না। পৃথিবীর পরিসংখ্যানে চোখ বুলাতে গিয়ে আমি পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে গেছি। যে দেশগুলোর সবকিছু ঠিক করে করার ক্ষমতা আছে এবং আমার জানা মতে সবকিছু ঠিকভাবে করে তাদের অনেকের পরিসংখ্যান আমাদের থেকে ভালো নয়, অনেকের পরিসংখ্যান আমাদের থেকেও খারাপ। হতে পারে সব দেশের পরিসংখ্যান ঠিকভাবে আসেনি। কোনো কোনো দেশে ধর্ষণ রিপোর্ট করা সহজ, কোনো কোনো দেশে কঠিন। স্ক্যান্ডিনিভিয়ান দেশগুলোর সামাজিক অবস্থা নিয়ে আমার সব সময়ই একটা উচ্চ ধারণা ছিল, পরিসংখ্যান দেখতে গিয়ে আমার সেই ধারণায় চোট খেয়ে গেল, সুইডেনে ধর্ষণের হার আমাদের দেশের ধর্ষণের হার থেকে ছয়-সাত গুণ বেশি। না, তথ্যটা দেখে আমি স্বস্তি পাইনি, বরং হতবুদ্ধি হয়ে আছি, অপেক্ষা করে আছি সমাজবিজ্ঞানীরা বিষয়টা বিশ্লেষণ করে আমাকে বোঝাবেন। আমার পক্ষে এটা বোঝার কিংবা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা নেই। বিভ্রান্ত হয়ে আছি।

আমাদের দেশ এ দেশের স্টাইলে সমস্যাটা সমাধানের চেষ্টা করছে। সেই সমাধানের চেষ্টা করার প্রক্রিয়াটার নাম ‘ক্রসফায়ার’। ক্রসফায়ার একটা ইংরেজি শব্দ এবং ডিকশনারিতে নিশ্চয়ই তার আসল অর্থ দেওয়া আছে। আমাদের দেশে ক্রসফায়ারের অর্থ হচ্ছে অপরাধী সন্দেহে বিনা বিচারে মেরে ফেলা, এ পদ্ধতি কাজ করে কিনা আমি জানি না। শুনেছি কোনো কোনো দেশে এটা কাজ করেছে এবং সেসব দেশ এখন খুবই আইন মেনে চলা শান্তিপূর্ণ দেশ। কিন্তু আমি অনেক খুঁজেও সে সম্পর্কে কোনো তথ্য কোথাও পাইনি। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি ফিলিপাইনে এটা কাজ করছে না, সেখানে সাত হাজার থেকে বেশি মানুষকে মেরে ফেলেছে কিন্তু তাদের মাদকের সমস্যা মিটেছে সে রকম নিশানা নেই। আমাদের দেশে ক্রসফায়ার যথেষ্ট জনপ্রিয় পদ্ধতি বলে মনে হয়, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোও আজকাল বেশি উচ্চবাচ্য করে না। মনে আছে, বেশ কয়েক বছর আগে একবার কক্সবাজার গিয়েছি, বিচে বসে আছি তখন একজন কমবয়সী আর্মি অফিসারের সঙ্গে দেখা হলো। (আমি কক্সবাজার এসেছি খবর পেয়ে সে আমাকে খুঁজে বের করেছে!) সেই কমবয়সী আর্মি অফিসার নিজে থেকেই বলল উত্তরবঙ্গে তার পোস্টিং থাকার সময় সে একজন ভয়ঙ্কর খারাপ মানুষকে ‘ক্রসফায়ার’ করেছে (তখন এই প্রজেক্টের নাম ছিল অপারেশন ক্লিনহার্ট)। বোঝাই যাচ্ছিল ঘটনাটি তাকে বিচলিত করেছিল এবং আমার কাছ থেকে সে কোনো এক ধরনের নৈতিক সমর্থন কিংবা সান্ত্বনা পেতে চাইছিল। আমি তাকে কোনোটাই দিতে পারিনি, তাকে বলেছিলাম একজন কখনই বিনা বিচারে অন্যজনের প্রাণ নিতে পারে না, আমরা সমাজে থাকার জন্য নিয়ম করে নিয়েছি যত খারাপই লাগুক আমরা কখনই বিনা বিচারে হত্যা করার দায়িত্ব নেব না। আমি এখনো এটা বিশ্বাস করি, (ক্যাম্পাসে যখন একজন আমাকে খুন করে ফেলতে চেয়েছিল, তাকে ধরে সবাই যখন পিটিয়ে মেরে ফেলতে উদ্যত হয়েছিল আমি তখন তাদের থামাতে চেষ্টা করেছিলাম) তার পরও মনে হয় আজকাল যখন ভয়ঙ্কর অপরাধীকে ক্রসফায়ার করে ফেলে তখন সেটা শুনে আগের মতো বিচলিত হই না। ক্রসফায়ারের কথা শুনতে শুনতে গা সওয়া হয়ে গিয়েছে নাকি অপরাধের মাত্রা আমার যুক্তিতর্ককে আবেগ দিয়ে আচ্ছন্ন করে ফেলছে বুঝতে পারি না। বিভ্রান্ত হয়ে যাই।

যতগুলো উদাহরণ দিয়েছি সবগুলো এক ধরনের জটিল উদাহরণ। আরও মাটির কাছাকাছি উদাহরণ দেওয়া যাক। প্রথম যখন শুনেছি গ্যাসের দাম শতকরা ত্রিশ ভাগ বেড়ে গেছে আমি রীতিমতো আঁতকে উঠেছি। এক ধাক্কায় ত্রিশ শতাংশ? সর্বনাশ। বিষয়টা নিয়ে অনেকদিন পর দেশে হরতাল হলো মোটামুটি উত্তপ্ত পরিবেশ। তখন হঠাৎ একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ জানালেন দেশের মাত্র বিশ শতাংশ মানুষ সরাসরি রান্নাঘরে গ্যাস ব্যবহার করার সুযোগ পায়। আশি ভাগ মানুষের কাছে গ্যাস পৌঁছায়নি। তথ্যটুকু কতটুকু সঠিক আমি জানি না কিন্তু যদি এটা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে হঠাৎ করে পুরো বিষয়টাকে আমি আর একটা জাতীয় ব্যাপার ভাবতে পারছি না। দেশের শতকরা বিশ ভাগ সুবিধাভোগী মানুষের জীবনযাত্রার জন্য আমার কি দুর্ভাবনা করার প্রয়োজন আছে? (আমি নিজে সেই সৌভাগ্যবান বিশ ভাগের একজন) বাম রাজনৈতিক দল আর সরকার মিলে দেনদরবার করে কোনো একটা সমাধানে পৌঁছে যাক, আমি দর্শক হয়ে ব্যাপারটা দেখি, বোঝার চেষ্টা করি। (সরাসরি গ্যাস ব্যবহার না করলেও গ্যাস ব্যবহার করে যেসব কাজকর্ম করা হয় সেই সুবিধা নিশ্চয়ই দেশের সব মানুষেই ভোগ করে সেটা কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কেউ একজন নিশ্চয়ই সেই হিসাব করে বলবে তখন বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করব এখন এটি আমার বোঝার ক্ষমতার বাইরে!)

আরও মাটির কাছাকাছি উদাহরণ দিই। যখন ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হলো তখন আমার মনে হলো কাজটা ঠিকই হয়েছে। ঢাকা এত বড় একটা মেট্রোপলিটন শহর, তাকে একটা আধুনিক শহর হিসেবে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে হলে আসলেই তো বড় বড় রাস্তা থেকে রিকশা তুলে দিতে হবে। তারপর যখন দেখলাম রিকশাওয়ালারা সব পথে নেমে এসেছে তাদের রুটি-রুজি বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদ করার জন্য, তখন আমার মনে হলো, সত্যিই তো রিকশা চালানোর মতো কঠিন আর অমানবিক ব্যাপার কি হতে পারে? সেই কষ্ট করে বেঁচে থাকা মানুষের আয়-উপার্জন কেন আমরা বন্ধ করতে চাইছি? তাদের জন্য সত্যিকার আয়-উপার্জনের ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে রিকশা বন্ধ করে দেওয়ার আমাদের কি অধিকার আছে? তাদের কি ঘরসংসার নেই? স্ত্রী-পুত্র-কন্যা নেই? তাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে যায় না? মোট কথা, আমি বিভ্রান্তিতে ভুগতে শুরু করেছি।

আমার বিভ্রান্তি নিয়ে এবারে হালকা কয়েকটা উদাহরণ দিই। আমার যেসব সহকর্মী বা ছাত্রছাত্রী জাপান বা কোরিয়ায় মাস্টার্স পিএইচডি করতে গিয়েছে তারা সবাই দেশে ফিরে এসে বলেছে, ওইসব দেশে সবাইকে শুধু কাজ এবং কাজ করতে হয়, নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। আমি শুনেছি এবং ভেবেছি বাঃ! কী চমৎকার কাজের পরিবেশ। এত কাজ করে বলেই তো জাতি হিসেবে তারা এত সফল। বেঁচে থাকতে হলে তো কাজ করতেই হবে। তখন হঠাৎ একদিন দেখলাম ইউরোপের কোনো কোনো দেশ ভাবছে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি কাটিয়ে টানা পাঁচ দিন কাজ অনেক বেশি হয়ে যায়। সপ্তাহে চার দিন কাজ করে তিন দিন ছুটি কাটালে কেমন হয়? খবরটা পড়ে আমার মনে হলো, সত্যিই তো এই চমৎকার আইডিয়াটা আমার মাথায় কেন আসেনি? আসলেই তো, একটা মাত্র জীবন, সেটা কি শুধু কাজ করে করে কাটিয়ে দিলে হবে? যত কম কাজ করে যত বেশি ছুটি উপভোগ করা যায় সেটাই তো ভালো!

এই হচ্ছে আমার অবস্থা। যেটাই শুনি সেটাই বিশ্বাস করে পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে যাই। গত রাতে একটা খবর পড়ে আবার বিভ্রান্ত হয়ে গেছি। সারা জীবন শুনে এসেছি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়, ধোয়া কাপড় পরতে হয়। গত রাতে দেখলাম খবর বের হয়েছে জামাকাপড় ধুতে নেই! জামাকাপড় ধুলে পরিবেশের ক্ষতি হয়। যত কম ধোয়া যায় তত ভালো। কথাগুলো হেজিপেজি পাগল ছাগলের মুখ থেকে আসত তাহলে সেটা হেসে উড়িয়ে দিতাম। কিন্তু এগুলো গুরুত্বপূর্ণ মানুষের কথাÑ জিন্সের প্যান্ট নির্মাতা লিভাইয়ের সিইও বলেছেন জিন্স কখনো ধুতে হয় না। তিনি যে জিন্সটা পরে আছেন সেটা তিনি দশ বছর থেকে পরে আছেন, একবারও ধুয়ে পরিষ্কার করেননি! খবরটা পড়ে আমার মনে হলো আসলেই তো এতদিন শুধু শুধু কাপড় ধোয়ার পেছনে এত সময় নষ্ট করে এসেছি! কাপড় ধুতে না হলে জীবন কত সহজ! (আমার এক শ হাতের ভিতর হয়তো কেউ আসবে না, কিন্তু একটা বড় অর্জনের জন্য ছোটখাটো ত্যাগ তো স্বীকার করতেই হবে!)

আমি নিশ্চয়ই বোঝাতে পেরেছি যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোক আর হালকা বিষয়ই হোক আমি আজকাল খুব সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে যাই!

২.

সেদিন খবরের কাগজে একটা খবর পড়ে আমি মেরুদ- সোজা করে বসেছি। জামায়াত সম্পর্কে বলতে গিয়ে অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে কর্নেল অলি আহমদ বলেছেন, ‘তারা দেশপ্রেমিক লোক’। না, এবারে আমি এতটুকু বিভ্রান্ত হইনি আমি খুব ভালো করে জানি দেশটির নাম যদি হয় বাংলাদেশ তাহলে তারা দেশপ্রেমিক না। লন্ডন টাইমস লিখেছিল, রক্ত যদি স্বাধীনতার মূল হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশ অনেক মূল্যে স্বাধীনতা কিনেছে। সেই রক্তের দাগ জামায়াতে ইসলামীর হাতে লেগে আছে এবং সেটা তারা কোনো দিন মুছে ফেলতে পারবে না। তারা বাংলাদেশ চায়নি, একাত্তরে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে। বদরবাহিনী তৈরি করে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, লেখকের হাত কেটেছে, চোখের চিকিৎসকের চোখ তুলে নিয়েছে, হƒদরোগ চিকিৎসকের বুক চিড়ে হƒৎপি- বের করে নিয়েছে। প্রায় অর্র্ধশতাব্দী পার হয়ে গেছে কিন্তু তারা একবারও নিজেদের দোষ স্বীকার করেনি, দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চায়নি। একাত্তর আমাদের কাছে পুরনো ইতিহাস নয়, একাত্তরের ইতিহাস আমাদের বুকের রক্তক্ষরণ।

আমি অনেক সহজে বিভ্রান্ত হয়ে যাই, কিন্তু এই একটি ব্যাপারে আমার কোনো বিভ্রান্তি নেই। কখনো ছিল না, কখনো থাকবে না।

 

লেখক : অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর
ইরানকে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে রাবিতে সচেতনতা কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন
নন্দীগ্রামে বিবাহিত বনাম অবিবাহিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমান তৃণমূলকে ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন: সরওয়ার আলমগীর
তারেক রহমান তৃণমূলকে ধানের শীষ উপহার দিয়েছেন: সরওয়ার আলমগীর

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মুন্সীগঞ্জে অটিজম শিশুদের জন্য সুবর্ণ স্কুল
মুন্সীগঞ্জে অটিজম শিশুদের জন্য সুবর্ণ স্কুল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৪
রূপগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৪

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১০ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন