শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

লিফট কেনার নামে ভ্রমণবিলাস

জনগণের অর্থের হরিলুট বন্ধ হোক

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামতি উপাচার্য ও শিক্ষকরা শুধু শিক্ষক হিসেবেই অসীম যোগ্যতার অধিকারী নন, তারা সবাই একেকজন লিফট বিশেষজ্ঞও বটে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, কেনা লিফটের প্রি-শিপমেন্ট ইনস্পেকশন হিসেবে তারা ইউরোপের সুইজারল্যান্ড ও স্পেন সফর করবেন। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিস বোর্ডে বিদেশ সফরকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ঢুঁ মেরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবির সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসি বরাবর সেনজেন ভিসার জন্য আটজনের নামে পৃথক একটি করে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দেন। রেজিস্ট্রারের আবেদনে স্বাক্ষর করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ আনিসুর রহমান। প্রি-শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের জন্য চলতি মাসের ২০ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত ওই দুই দেশে সফরে থাকবেন তারা। এ সময় তাদের বিমান ভাড়া থেকে যাবতীয় ব্যয় বহন করবে ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার্স। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট কেনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যসহ নয়জন শিক্ষক ও কর্মকর্তার ১০ দিনের বিদেশ সফরের জন্য যে অর্থ ব্যয় হবে তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে। সাদা চোখে এ সফরটি আসলের ওপর ফাউ হিসেবে পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা। তবে বোকার হদ্দ যারা তারাও বোঝেন, কর্তাব্যক্তিদের ভ্রমণবিলাসিতার সব অর্থ সুদাসলে আদায় করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই। কর্তাব্যক্তিরা যাতে ক্রিয়েটিভ ইঞ্জিনিয়ার্সকে এমন একটি লোভনীয় কাজ দেন তা নিশ্চিত করতেই জনগণের ট্যাক্সের টাকা শ্রাদ্ধ করার একটা সফর ক্রয়প্রস্তাবের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাইয়ের চর্চা জোরেশোরে শুরু হয়েছে ’৭৫-এর পর। লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন এমনটি ভেবে যে যেখানে আছেন জনগণের ট্যাক্সের টাকার হরিলুটকে দায়িত্ব হিসেবে বেছে নিয়েছেন তারা। উপাচার্য নামের মহাত্মনরা যে এদিক থেকে কম যান না বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকালে তা অনুভব করা যাবে। এ নোংরামির অবসান হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর