পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২ বছর পরও দেশের তিন পার্বত্য জেলায় পরিপূর্ণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসেনি সশস্ত্র পাহাড়ি সংগঠনগুলোর তৎপরতার কারণে। গত পৌনে ছয় বছরে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অন্তঃকোন্দল ও প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩২১ জন। শান্তিচুক্তির আগে পাহাড়ি সংগঠন শান্তিবাহিনীর আয়ের প্রধান উৎস ছিল চাঁদাবাজি। শান্তিচুক্তির পর শান্তিবাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করলেও তাদের একাংশ ইউপিডিএফ নামে নতুন সংগঠন গড়ে তোলে এবং শান্তিচুক্তিবিরোধী অবস্থান বজায় রাখে। চাঁদাবাজির মাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করে তোলার কৌশল বেছে নেয়। জনসংহতি সমিতি ভেঙে ইউপিডিএফের জন্ম ও চাঁদাবাজির কর্তৃত্ব নিয়ে অন্তঃকোন্দল এবং দুই সংগঠনে আবারও ভাঙন পাহাড়ের পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তুলছে। পাহাড়ে অবাঞ্ছিত সংঘাতের পেছনে কাজ করছে পাহাড়িদের গড়ে তোলা বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনী। এসব সশস্ত্র আঞ্চলিক দলের অন্তঃকোন্দল, নিজেদের প্রভাব বিস্তারের ঘটনায় বলি হচ্ছে নিরীহ পাহাড়বাসী। সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্রের মুখে জিম্মি হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সরকারদলীয় এমপি দীপঙ্কর তালুকদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, পাহাড়ে জনপ্রতিনিধিদের জীবনেরও নিরাপত্তা নেই। এখানে স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি নেই। শান্তিচুক্তিবিরোধী শক্তি এখানে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে খুবই তৎপর। তারা জনগণকে কোণঠাসা করে রাখতে চায়। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের প্রধান অন্তরায় এসব সশস্ত্র গ্রুপ। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলায় চাঁদাবাজির ঘটনা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু তারা সব সময় চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খেপিয়ে তুলতে; যা পাহাড়ের রাজনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি অশান্ত করে তোলার জন্য দায়ী। পাহাড়ের বাসিন্দা পাহাড়ি-বাঙালি সবাই গুটিকয় সন্ত্রাসীর কাছে জিম্মি হয়ে থাকবে তা কোনোভাবে কাম্য হওয়া উচিত নয়। পার্বত্য এলাকার অধিবাসীদের স্বার্থেই পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার ও নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টি জরুরি হয়ে উঠেছে।
শিরোনাম
- এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু
- এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে
- এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'
- সেই আলফি পাস করেছে
- এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
- ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
- দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
- মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা
- ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
- আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
- কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
- লঙ্কানদের ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল টাইগাররা
- ট্রাম্পের লবিস্টদের লাখ লাখ ডলার দিচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো
- নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সহযোগিতার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সম্প্রচার-ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা হবে : তথ্য উপদেষ্টা
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
- উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক : প্রধান উপদেষ্টা
- নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল