রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি

আরিফুর রহমান দোলন

মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি

মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করব ভেবে তওবা ও কালেমা পড়ে সব প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ফরিদপুরের বদরপুরে মহাসড়কে মারাত্মক দুর্ঘটনায় সেবার আমার বেঁচে যাওয়াটা ছিল অলৌকিক। চালকের বাঁ দিকের যে আসনে আমি বসেছিলাম গাড়ি দুর্ঘটনার পর সেই দরজা খুলছে না, আর গাড়ির সামনের অংশ দাউ দাউ করে আগুনে জ্বলছে। ওই পরিস্থিতিতে বাঁচার আশা কেউ করে? আমি অন্তত করিনি। চোখ বন্ধ করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। তওবা এবং দোয়া পড়েছি। কী আশ্চর্য! এরপর সৃষ্টিকর্তার ইশারায় ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেছে। আমাকে অতি সহজে উদ্ধার করাও গেছে। ওই ঘটনায় আমার বাঁ পায়ের গোড়ালি তিন টুকরো হয়। দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় আমি মোটামুটি সেরে উঠি। নতুন জীবন পেয়েছি, তখন থেকেই মনে করি। আর এ ঘটনা আমার সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাগত জীবনে নতুন মোড় দেয়। মানুষের কাজে নিজের জীবন বাজি রাখার নতুন এক নেশা, উন্মাদনাও সৃষ্টি হয় মনের মধ্যে। পেশাগত সাংবাদিকতার জীবনে বহুবার হামলা, মামলা, নির্যাতন, হুমকির মুখোমুখি হয়েছি। এসব মোকাবিলা করতে গিয়ে প্রতিবারই নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। যত কষ্ট, যন্ত্রণাই হোক কোনোবারই আপস করিনি। ঘাবড়ে যাইনি। ভয়ে পিছপা হইনি। প্রতিবারই বুক চিতিয়ে লড়েছি। আপস জিনিসটা আমার মধ্যে নেই। আমাকে যারা ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, জানেন তারা নিশ্চয়ই বিষয়টি আরও ভালোভাবে দেখেছেন। আর যারা চেনেন না তাদের বলছি, অকারণে আমাকে ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে অসদুদ্দেশ্য সফল সম্ভব নয়। হাসতে হাসতে মরব, তবু নীতিহীন আপস নয়। শীর্ষসন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আমাকে মুঠোফোনে একাধিক নম্বর ব্যবহার করে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ রকম ঘটনা আগেও ঘটেছে। বোমা মেরে ঢাকা টাইমস পত্রিকার অফিস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই ঘটনায় রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম, তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকে আলাদাভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়েও ছিলাম। কিন্তু খুব বেশি সক্রিয় ভূমিকা দেখতে পাইনি। সাম্প্রতিক হুমকির ঘটনায়ও দুটি জিডি করেছি। রমনা থানা তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তা যোগাযোগ করেছেন আমার সঙ্গে। র‌্যাবও নানাভাবে তৎপর আছে জানতে পেরেছি। হুমকিদাতা কে বা কারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুঁজে বের করতে পারবে নিশ্চয়ই, এটা আমার এবং আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। তবে হুমকি দিয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক আর পেশাগত ইতিবাচক কাজ থেকে আমাকে বিরত রাখা যাবে না। দৈনিক প্রথম আলোয় এক দশক পেশাগত জীবন কেটেছে। একাধিকবার সংবাদ প্রকাশের জেরে হুমকি-ধামকির সম্মুখীন হয়েছি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে চিফ হুইপ খোন্দকার দেলোয়ারপুত্র পবন তো জীবননাশের হুমকি দিয়ে শেষ খাওয়া খেয়ে নেওয়ার জন্য বলেন। মানিকগঞ্জের মহাদেবপুর বাজার ও সংলগ্ন এলাকায় ক্রমাগত চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অনুসন্ধানী খবর প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাজ করেন পবন। থেমে যাইনি। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে পবনকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকায় তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে, গ্রেফতারও করেছে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে আলতাফ হোসেন চৌধুরীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা বা সহ্য করার অভিজ্ঞতাও আছে। পটুয়াখালী শহরে নিজ বাড়িতে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য পৌরসভাকে দিয়ে অন্যের বসতভিটে অধিগ্রহণ করে বিতর্কিত হন আলতাফ চৌধুরী। এ নিয়ে টুঁ শব্দটি উচ্চারণ করার সাহসও তখন কারও ছিল না। বরিশালের তৌফিক মারুফকে সঙ্গে করে সে সময় প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় সবিস্তার তুলে এনেছিলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ চৌধুরীর বিতর্কিত অমানবিক কর্মকা-। তৎকালীন পৌর মেয়র মোশতাক আহমেদ পিনুকে ব্যবহার করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। আরও কত কী! আমি আমার মতোই থেকেছি। ওই একই সময়ে আমার লেখা একটি প্রতিবেদনে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন বগুড়ার শেরপুর-ধুনট আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ। কারণে অকারণে তখন খুব প্রভাবশালী তিনি। সরাসরি মুঠোফোনে হুমকি, ‘দেখে নেব’। বলেছিলাম দেখে নিয়েনÑ কোনো অসুবিধা নেই। সম্পাদক মতিউর রহমানকে ফোন করেও আমার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন জি এম সিরাজ। মতি ভাই পর্যন্ত বলেছিলেন আমায়, এরা অনেক প্রভাবশালীÑ একটু এড়িয়ে চলবে। সেনাসমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেই জি এম সিরাজ সংস্কারপন্থিদের দলে নাম লিখিয়েছিলেন এবং যথারীতি বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতও হয়েছিলেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দাপটের কথা কে না জানত! নিজের ক্ষমতার কথা একটু জনসম্মুখে জাহির করাটা পছন্দ ছিল তার। মন্ত্রণালয়ের একটি সভায় চিঠি দিয়ে গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানিয়ে জনকণ্ঠের তৎকালীন স্টাফ রিপোর্টার রাশেদ মেহেদীকে উপস্থিত সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় সবাই যখন হতবিহ্বল তখন স্পষ্টত প্রতিবাদ জানাই। পাল্টা প্রশ্ন করি যোগাযোগমন্ত্রীকে। রীতিমতো বাহাসে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন সংসদ সদস্য। সরকারি কর্মকর্তারাও নড়েচড়ে বসেন।

নাজমুল হুদা : জনকণ্ঠের কে আছেন? বেরিয়ে যান।

আমি : মানে! কেন বেরিয়ে যাবে জনকণ্ঠের সাংবাদিক?

নাজমুল হুদা : উল্টাপাল্টা লেখে।

আমি : আপনি প্রতিবাদ করেন।

নাজমুল হুদা : প্রতিবাদ ঠিকমতো ছাপে না।

আমি : তাহলে প্রেস কাউন্সিলে মামলা করেন। সাংবাদিককে বের করে দেবেন, তা তো হতে পারে না।

নাজমুল হুদা : প্রেস কাউন্সিলে মামলা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। জনকণ্ঠ সাংবাদিককে সভা থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।

আমি : জনকণ্ঠ সাংবাদিক শুধু নয় সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি আমরা সব সাংবাদিক এবং আপনাকে বয়কট করে মাননীয় মন্ত্রী।

এভাবে সভা থেকে বেরিয়ে সব সাংবাদিককে নিয়ে আমরা প্রতিবাদ শুরু করলাম। এখনকার মতো তখন এত বেশি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম, অনলাইন নিউজপোর্টাল ছিল না। সংবাদপত্র তখন আরও বেশি শক্তিশালী। যা হোক, আমরা সভাস্থল ত্যাগ করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সবাই হৈচৈ শুরু করে দিলাম। মূলত আমি। সৈয়দ রেজাউল হায়াত তখন যোগাযোগ সচিব, দাপুটে সিএসপি। একসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব ছিলেন। অবিভক্ত ঢাকা, ফরিদপুর জেলার ডিসি হিসেবেও কাজ করেছেন। সাংবাদিকতাসূত্রে রেজাউল হায়াতের সঙ্গে তত দিনে আমার বড় ভাই-ছোট ভাই সম্পর্ক। মন্ত্রীকে বয়কটের ঘটনায় সচিব যেন খানিকটা বেকায়দায় পড়লেন। দ্রুত বেরিয়ে এসে বার বার অনুরোধ করতে লাগলেন, ভাই, আমার ইজ্জত বাঁচান। তাকে বললাম, এটা সাংবাদিকসমাজের সম্মানের প্রশ্ন। যত দিন না মন্ত্রী সরি বলছেন আমরা তাকে বয়কট করেই চলব। ঘটনার পর টানা ১৫ দিন গণমাধ্যমে ব্ল্যাকআউট ছিলেন নাজমুল হুদা। এক পর্যায়ে নিজে উদ্যোগী হয়ে ১৫ দিন পর আমাদের সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং টেলিভিশনেও তা সম্প্রচার হয়। গণমাধ্যমকর্মীদের অসম্মান করার চেষ্টা প্রতিবাদের মাধ্যমে এভাবেই রুখে দিতে পেরেছিলাম।

২০০৬ সালে প্রথম আলোয় আমার লেখা ‘তারেক রহমানের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে’ প্রতিবেদনের কারণে মারাত্মক ক্ষুব্ধ হন বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব। আমাকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়। যার জবাব লিখে দেওয়ার জন্য সম্পাদক মতিউর রহমান আমাকে আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের কাছে পাঠান। ড. কামাল তারেক রহমানকে জবাবও পাঠান। বিষয়টি এখানে থেমে গেলেও আমাকে নানাভাবে চাপে রাখার চেষ্টা ছিল। আমি পেশাগত কাজ করে গেছি আপসহীনভাবেই। রাজশাহী-নাটোরে জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান-বাংলা ভাইয়ের স্বরূপ উন্মোচনে দিনের পর দিন কাজ করেছি ঝুঁকি নিয়েই। প্রয়াত বিএনপি নেতা, মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক একাধিক মহলে আমাকে নিয়ে তার নেতিবাচক মনোভাব, নাখোশ হওয়ার কথা প্রকাশ করেছিলেন। জঙ্গিদের মুখোশ উন্মোচন আর নেপথ্য পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের তৎপরতার খবর সংগ্রহ ও প্রকাশ থেকে আমাকে দূরে রাখার প্রচেষ্টা কিন্তু সফল হয়নি।

একসময় সন্ত্রাসকবলিত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ঘুরেছি বিভিন্ন দফায়। সন্ত্রাসী একাধিক গোষ্ঠীর তৎপরতার খবর দফায় দফায় তুলে ধরেছি আমার লেখনীতে। খুলনা-যশোরের একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হুমকি-ধামকি থেমে থেমে বিভিন্ন সময় সহ্য করতে হয়েছে। যশোরে তো একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আমার লেখনীতে ক্ষুব্ধ হয়ে মিছিল-সমাবেশ করেছে আমার নাম ধরে। অথচ সরকারের সব গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকায় ওই দুষ্টদের নাম ছিল, এখনো আছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের নানা কর্মকান্ড নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক সংবাদ প্রকাশ-প্রচার হয়েছে। ঢাকা টাইমসও সংবাদ প্রকাশ করেছে। ক্ষুব্ধ হয়ে প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও করেন। পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সেই মামলার সুরাহাও হয়েছে। সংসদ সদস্য দবির নিজেই এক পর্যায়ে মামলা তুলে নিয়েছেন।

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী থাকাকালে ঢাকা টাইমসে প্রকাশিত সংবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে দুটি মানহানির মামলা করেন আমার বিরুদ্ধে ঢাকা ও টাঙ্গাইলে। সিনিয়র সাংবাদিক শাহজাহান সরদার ও জাকারিয়া চৌধুরীও মামলার আসামি ছিলেন। মামলা দিয়ে এক পর্যায়ে বসে ফয়সালা করার প্রস্তাবও আসে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রীর পক্ষ থেকে। সায় দিইনি আমি। টানা এক বছর ঢাকা, টাঙ্গাইল দৌড়েছি, আদালতপাড়া চিনেছি। পরিশেষে মামলার ফল আমাদের অনুকূলেই গেছে। দোর্দ- প্রভাবশালী লতিফ সিদ্দিকী একাধিকবার আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজের মন্ত্রী পরিচয় নানাভাবে কাজে লাগিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় ত্রুটি করেননি। তিনি সফল হননি। পরে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার, সংসদ সদস্য পদ খোয়ানোসহ লতিফ সিদ্দিকীর পরিণতির কথা দেশবাসী সবাই জানেন।

ঢাকা, ঢাকার বাইরে কিংবা নিজের গ্রামের বাড়ি যেখানেই যাই, যার সঙ্গেই পরিচিত হই আমি আমার স্বভাবসুলভ বিনয় দিয়েই প্রত্যেকের সঙ্গে কুশলবিনিময় করি। আর এভাবেই পেশাগত কাজের পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক কর্মকা-েও আমার বিস্তৃতি হয়েছে বলে অনেকে বলেন। স্বাভাবিকভাবেই এতে অনেকে খুশি হন। আবার অকারণে ঈর্ষাপরায়ণ কেউ কেউ মেনে নিতে পারেন না। তৃণমূল স্তরের মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা যত বেশি পেয়েছি, পাচ্ছি ততই ঈর্ষাপরায়ণ স্বার্থান্বেষী ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ, ক্ষিপ্ত হয়েছে, হচ্ছে। কখনো নিন্দুক ভাড়া করছে, কখনো আড়ালে-আবডালে কল্পিত অপপ্রচারের চেষ্টা। আবার কখনো ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা আর মনোবলে ফাটল ধরানোর ব্যর্থ প্রয়াস। এদের কেউ কেউ চিহ্নিত, আবার কেউ কেউ মুখোশধারী। সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাকে ভয় দেখিয়ে থামিয়ে দিতে চায়। তারা কারা এদের চেহারা কিন্তু জনসম্মুখে আরও পরিষ্কারভাবে আসবে। আমাকে ভয় দেখিয়ে থামানোর চেষ্টা না করে ভালো কাজের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। যত দিন বাঁচি, ভালো কাজ করব।

লেখক : সম্পাদক, দৈনিক ঢাকা টাইমস

ঢাকা টাইমস২৪.কম, সাপ্তাহিক এই সময়।

সর্বশেষ খবর