মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

কেটে যাক বিরাজমান জটিলতা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে অচিরেই কর্মী পাঠানো যাবে- এমন আশাবাদ জোরদার হয়ে উঠেছে। আশা করা হচ্ছে, সে দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে তা এবার কেটে যাবে। আশাবাদ জোরদার হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সফররত মালয়েশীয় মন্ত্রীর কথায়। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক করে অতিদ্রুত শ্রমবাজার খোলার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। মালয়েশীয় মন্ত্রী বলেছেন, তাদের দেশে এখন কর্মী সংকট রয়েছে, যে কারণে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য তারা শ্রমবাজার দ্রুত উন্মোচন করতে চান। বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে। শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ দেশটিতে কয়েক দফা সফর করেছেন এবং দুই দেশ মিলে গঠন করা হয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি। গত বছর ৩ নভেম্বর কুয়ালালামপুরে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির পরবর্তী বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেখিয়ে বৈঠক স্থগিত করে মালয়েশিয়া। বুধবার হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত সেই বৈঠক। বৈঠকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলাসেগারান থাকছেন না। তবে তার ঢাকা সফরের ফলে ওই বৈঠকের মধ্য দিয়ে পুনরায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর পথ খোলার আশা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় শিগগিরই শ্রমবাজার পুনরায় চালু করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। রবিবার ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সফররত মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারানের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ আশাবাদের কথা জানান। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হলে জনশক্তি রপ্তানিতে যে মন্দাবস্থা বিরাজ করছে তার ইতি ঘটবে। মালয়েশিয়া চায় কর্মীরা যেন নামমাত্র খরচে সে দেশে যেতে পারেন। তারা যাতে কোনোভাবেই বঞ্চনার শিকার না হন। কায়েমি স্বার্থবাদীদের চক্রান্ত বানচাল করে সরকারকে এ ব্যাপারে এগোতে হবে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে নিরাপদ করতেও নিতে হবে কার্যকর ব্যবস্থা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর