বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ঘরে থাকার বিকল্প নেই

সামাজিক সংস্পর্শ এড়াতে হবে

করোনাভাইরাসে গত তিন দিনে দেশে মাত্র দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময় মৃত্যুর কোনো ঘটনা নেই। অবশ্য এ তথ্যে বাংলাদেশকে ঝুঁকিমুক্ত ভাবার কোনো সুযোগ নেই। ভয়াল ভাইরাস এখনো দেশের ১৭ কোটি মানুষের ঘাড়ে বিষনিঃশ্বাস ছাড়ার চেষ্টা করছে এবং তা থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় ঘরে থাকা। সামাজিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। নিজেকে নিরাপদ রাখা এবং সমাজ ও দেশকে নিরাপদ রাখা। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় না আসা পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন, এ প্রবণতা এড়াতে হবে। কেউ একান্ত প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। করোনাভাইরাসে বয়স্করাই সাধারণত ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। গত দুই দিনে বাংলাদেশে যারা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন তাদের একজনের বয়স ৭০, অন্যজন ৮০-ঊর্ধ্ব। ইতিমধ্যে গাজীপুরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৩৬ ইতালিপ্রবাসীকে সোমবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ছাড়পত্র পেয়ে স্বজনদের সঙ্গে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। বাড়ি ফিরে সমস্যার মুখোমুখি যাতে না হতে হয় এজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের পক্ষ থেকে সনদ দেওয়া হয়েছে। দিনাজপুরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৪৪৬ জনের মধ্যে ১৯১ জন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নতুন ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় রাখা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪১২ জন, এতে নতুন যুক্ত হয়েছেন ১৮ জন। এর মধ্যে ৫১ জনের ১৪ দিন শেষ হওয়ায় তারা হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ২৩০ জন। কিশোরগঞ্জে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২১৩ জন। করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে, পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের রক্ষায় শ্রেষ্ঠ উপায় যেহেতু ঘরে থাকা, সেহেতু এ ক্ষেত্রে কোনো হেলাফেলা কাম্য নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর