শিরোনাম
সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নতুন উদ্যোক্তা

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে অর্থনীতি সুদৃঢ় হবে

দেশে প্রতি বছর প্রায় ২২ লাখ তরুণ-যুবা কর্মবাজারে প্রবেশ করেন। বিদেশে পাঠিয়ে, সরকারি-বেসরকারি চাকরি দিয়ে এবং নানা অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার পরও প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ ছেলেমেয়ে নিজেদের জন্য একটি শোভনীয় কাজের ব্যবস্থা করতে পারেন না। বলা বাহুল্য, এ ২২ লাখ তরুণের ১০ শতাংশকেও যদি উদ্যোক্তাতে পরিণত করা যায়, তাহলে তাঁরাই বাকিদের কর্মসংস্থান করতে পারবেন। করোনা মহামারীতে কর্মসংস্থানের বাজার সংকুচিত হলেও ছোট ছোট উদ্যোগের মধ্য দিয়ে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে গ্রাম-গঞ্জে। কেউ নিজের জমিতে, আবার কেউবা জমি লিজ নিয়ে মাছের ঘের, মুরগির খামার, উচ্চজাতের গবাদিপশুর খামার গড়ে তুলছেন। চাকরির পেছনে না ঘুরে এখন তারা নিজেরাই নিজেদের প্রকল্পে শ্রম দিচ্ছেন। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান। অনেকেই আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে নিজেদের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনের বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করছেন। দেশের অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে জোর দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্পও গ্রহণ করেছে। দেশে উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে বিডা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়। এতে সারা দেশ থেকে বিনিয়োগে আগ্রহী এমন ২৪ হাজার শিক্ষিত বেকারকে বাছাই করে প্রায় ২১ হাজারকে প্রশিক্ষণ দেয়। সরকারি সংস্থা বিডা থেকে ২০১৯ ও ২০২০ সালে প্রশিক্ষণ নিয়ে সারা দেশে উদ্যোক্তা হয়েছেন ৩ হাজার ৬৭০ জন। তাঁদের মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ৯৮৫ কোটি টাকার মতো, আর কর্মসংস্থান হয়েছে ৩২ হাজার মানুষের। উদ্যোক্তারা মাছের ঘের, মুরগির খামার, তথ্য প্রযুক্তি, প্লাস্টিক, পোশাক শিল্পেও বিনিয়োগ করেছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আমাদের তরুণদের উৎসাহ দিতে চান, বিনিয়োগও করেন। শিক্ষিত ও বেকার তরুণদের জন্য বিডার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। নতুন উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সুদৃঢ় হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর