শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মেট্রোরেল

যানজট নিরসনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে

সময় যত যাচ্ছে মেট্রোরেল পথ ততটাই দৃশ্যমান হচ্ছে। পিলারগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। সেগমেন্টও বসছে একের পর এক। রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিলের দিকে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ। কিন্তু কেমন হবে মেট্রোরেলের ট্রেনগুলো? কীভাবে, কোন নিয়মে টিকিট কেটে ট্রেনে ভিতরে যেতে হবে? বসার ব্যবস্থা কেমন? এসব নিয়ে কৌতূহলী অগণিত মানুষ। ঢাকায় দেশের প্রথম মেট্রোরেলের জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর লাইনে চলাচলের জন্য ২৪ সেট ট্রেন কেনা হয়েছে। দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো জাপানে তৈরি। এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে পাঁচ সেট ট্রেন, যার প্রথমটি দেশে এসে পৌঁছাতে পারে ২৩ এপ্রিল। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলো দেশে চলে আসবে। মেট্রোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। প্রথম দফায় বাংলাদেশে আনার আগে ডিএমটিসিএলের একটি বিশেষজ্ঞ দলের জাপান গিয়ে ট্রেনগুলো পরীক্ষা করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দেশটিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে বিকল্প হিসেবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ট্রেনগুলো পরিদর্শন করেছে কোম্পানিটি। ডিএমটিসিএলের পক্ষে ট্রেনগুলো পরিদর্শন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে, চলতি বছর মহান বিজয় দিবসে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে উত্তরা রুটে মেট্রোরেল চলবে। বুধবার নগরীর উত্তরা মেট্রোরেল ডিপো পরিদর্শন করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, রাজধানীর আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত অংশের মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এ পথে স্টেশন রয়েছে নয়টি। ১১ দশমিক ৪ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন বর্ষের ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে প্রকল্পের কাজ।

করোনা সংকট না থাকলে কাজের অগ্রগতি আরও বাড়ত। নির্মিত মেট্রোরেল ঢাকার যানজট নিরসনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর