মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার এক বছর

টিকার বদৌলতে কেটে যাক বিপদ

করোনা নামের ভয়াবহ মুসিবতের এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে ইতিমধ্যে। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ হাজার লোক মারা গেছে। খাতা-কলমে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি হলেও প্রকৃত সংখ্যা কত তা নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সংশয় রয়েছে। জরিপসূত্রের বরাত দিলে স্বীকার করতেই হবে, শুধু রাজধানীতেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অন্তত ২০ লাখ। তবে করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ নামের ভয়াবহ দৈত্য দুনিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে সেভাবে থাবা বিস্তার করতে না পারায় প্রাণহানির সংখ্যা সত্যিকার অর্থে সীমিত। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়ায়। এরপর চীনের গন্ডি পেরিয়ে তা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। হু হু করে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। মার্চের মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলায় সর্বপ্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৪ মার্চ রাজধানী ঢাকায় শনাক্ত হয় করোনা রোগী। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সংক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর সারা দেশ সাধারণ ছুটির আওতায় আনা হয়। বন্ধ থাকে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, যানবাহন, হোটেল-রেস্তোরাঁ, হাট-বাজার, আমদানি-রপ্তানি, পর্যটন স্পটসহ সবকিছু। করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা সীমিত থাকলেও দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা এক কথায় অতুলনীয়। তবে দুনিয়ার সিংহভাগ দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সাফল্য দেখিয়েছে। করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া আগেভাগে শুরু করার কৃতিত্বও দেখিয়েছে বাংলাদেশ। আমরা আশা করব টিকার বদৌলতে ভয়াবহ এ ভাইরাসকে বিদায় জানাতে জাতি অচিরেই সফল হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর