রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

সুসাং পাহাড়

সুসাং পাহাড় ভারতের পশ্চিম মেঘালয়ের গারো পাহাড়ের দক্ষিণমুখী সম্প্রসারিত পাহাড়শ্রেণি। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার উত্তর সীমান্ত অঞ্চলজুড়ে এটি পশ্চিমে কুরি বিল থেকে পূর্বে ভোগাই নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। গারো পাহাড়ের পাদদেশীয় এই সুসাং পর্বতমালা গারো পাহাড় উদ্ভূত নদনদী সৃষ্ট উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন প্রলম্বিত টিলা দ্বারা গঠিত। গারো পাহাড়, খাসিয়া পাহাড় ও জৈন্তিয়া পাহাড় নিয়ে গঠিত সুউচ্চ শিলং ম্যাসিফের দক্ষিণ দিকের সরু পাহাড়ুটিলার একটি অংশ বাংলাদেশ ভূখন্ডে ঢুকেছে। প্রায় ১৮ কিলোমিটার প্রলম্বিত বৃহৎ ডাউকি চ্যুতি এই পাদদেশীয় পাহাড়সমূহকে মেঘালয় মালভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। গারো পাহাড় থেকে উৎসারিত প্রধান নদী হচ্ছে সোমেশ্বরী, যা বিজয়পুর ও দুর্গাপুরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অবশেষে দক্ষিণের কংস নদীতে এসে মিশেছে। ভূ-গঠনগত দিক থেকে অঞ্চলটি গারো পাহাড়মুখী উপ-অক্ষাংশীয় আক্ষিক ধারায় উত্তর-পশ্চিম একটি ঊর্ধ্বভঙ্গের দক্ষিণ বাহুর প্রতিনিধিত্ব করছে। এতে রয়েছে প্লায়ো-প্লাইসটোসিন উপযুগের স্তূপ চ্যুতিজাত অবক্ষেপ, যার দক্ষিণমুখী ঢাল সাম্প্রতিক পর্বত পাদদেশীয় সমভূমিতে নেমে গেছে। বাংলাদেশের সুসাং পর্বতমালায় কেবল ডুপি টিলা ও ডিহিং স্তরক্রম প্রকটিত। বিজয়পুরের কেওলিনাইট চীনামাটি অবক্ষেপসমূহ (নেত্রকোনা) ডুপি টিলা স্তরসমষ্টিতে লেন্স আকারে বেলেপাথরের পর্যায়ক্রমিক অনুবন্ধে বিদ্যমান। ঘন জংলি গাছপালা, বাঁশঝাড় আর গর্জন, শাল ও সেগুন গাছে সুসাং পর্বতমালা আচ্ছাদিত। জনসংখ্যার ঘনত্ব এখানে কম। প্রধানত গারো ও হাজং উপজাতি এখানে বসবাস করে। এখানকার সর্বোচ্চ গিরিচূড়ার উচ্চতা ৪২ মিটার। উপত্যকাসমূহ প্রায় ১৩ মিটার উঁচু। সিলেটে এইসব পাহাড়কে টিলা বলা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর