শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

সিগারেটে কর প্রস্তাব

ধূমপান নিরুৎসাহকরণে অবদান রাখবে

করোনাভাইরাসের প্রভাবে অর্থনীতি স্থবির হয়ে থাকায় রাজস্ব ঘাটতি এবার অনেক বেড়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে ঘাটতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন। সংসদ সদস্যরা ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত পণ্যের কর বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় ৩ শতাংশ অতিরিক্ত সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব দেন। তাদের হিসাব, এ প্রক্রিয়ায় সরকারের অতিরিক্ত ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে। বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। তামাক পণ্য, বিড়ি ও সিগারেটের ওপর চার স্তরের করারোপ করলে সরকারের ঘরে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব বাড়বে বলে তামাকবিরোধী একটি বেসরকারি সংস্থার প্রস্তাবে উঠে এসেছে। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যদি সরকার ২০২১-২২ অর্থবছরে সুপারিশ অনুযায়ী তামাক পণ্যের বিদ্যমান করব্যবস্থা সংস্কার করে তাহলে চলতি অর্থবছরের চেয়ে সম্পূরক শুল্ক, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ এবং ভ্যাট বাবদ ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব অর্জন হবে। সোজা কোথায়, সিগারেট খাত থেকে ১২ শতাংশ বাড়তি রাজস্ব আসবে। সম্প্রতি তামাকবিরোধী সংগঠন ‘প্রজ্ঞা’ এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আগামী অর্থবছরের জন্য তামাক কর প্রস্তাব ও বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে। সংগঠনটি সিগারেটের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের নিম্নস্তরে খুচরা মূল্য ৫০ টাকা করাসহ অন্যান্য মূল্য ও সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করে। এর ফলে সিগারেটের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫ শতাংশ, বিড়ির ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক জর্দা ও গুলের ক্ষেত্রে কর ৬০ শতাংশ হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকার তামাক থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব পায় তার চেয়ে বেশি টাকা তামাকজাত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয়। তাই তামাকজাত পণ্যের কর বাড়ানোর যৌক্তিকতা রয়েছে। বাড়তি করারোপ ধূমপানসহ তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহকরণে অবদান রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর