শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৮ মে, ২০২১ আপডেট:

সুস্থ হোন বেগম জিয়া, সুস্থ হোক রাজনীতি

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
সুস্থ হোন বেগম জিয়া, সুস্থ হোক রাজনীতি

বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা। বিএনপি চেয়ারপারসন, দুবারের প্রধানমন্ত্রী। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বেগম জিয়া অসুস্থ। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। বেগম জিয়ার পক্ষে তাঁর ভাই শামীম এস্কান্দার বুধবার (৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বেগম জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া-সংক্রান্ত লিখিত আবেদন জমা দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাতেই ওই আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আবেদনটি নিয়ে যে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। একই প্রশংসার দাবিদার আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন। আমরা প্রত্যাশা করি, দেশে অথবা বিদেশে যেখানেই হোক বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে উঠুন। কিন্তু তাঁর অসুস্থতার ধরন প্রকরণ নিয়ে একটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক অসুস্থতার এক ভিন্ন রূপ বলেই আমার বিশ্বাস। হাসপাতালের তথ্যমতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেগম জিয়া করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন। সাধারণত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের সিসিইউতে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কতটা জটিল, তার অসুস্থতার ধরন কী এসব নিয়ে যেন লুকোচুরি খেলা চলছে। একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ অসুস্থ হতেই পারেন। দেশের জনগণের জানার অধিকার আছে তাঁর অসুস্থতার মাত্রা কী? আমি মনে করি বেগম জিয়ার অসুস্থতা এবং চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ মানবিক। রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এ নিয়ে ছলচাতুরী কিংবা রাজনীতি করা কারও-ই উচিত নয়। আমি খুশি হয়েছি, যখন দেখেছি বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুজন নেতা সমবেদনা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করেছেন। আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আশা করি বেগম জিয়া করোনাকে পরাজিত করবেন।’ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টকশোয় শুরুতেই বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনা করলেন। আওয়ামী লীগের কেউ বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি বরং সহানুভূতি দেখিয়েছেন। এটাই রাজনৈতিক শিষ্টাচার। রাজনৈতিক নীতি ও আদর্শের বিরোধ থাকবে। কিন্তু অসুস্থ একজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সুস্থতা কামনা এবং তাঁকে সহযোগিতা করাই সভ্য রাজনীতির বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাঁর প্রবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের জন্য যে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা দেখিয়েছেন তা অনন্য এবং অনুকরণীয়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই, বেগম জিয়া ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি একটি দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হন। পরে আরও এক মামলায় দন্ডিত হয়ে তিনি মোট ১৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত। বেগম জিয়াকে কারামুক্ত করতে তাঁর দল বিএনপি বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করেছে। কিন্তু সে আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতার জন্য এমন নিরুত্তাপ এবং লোক দেখানো আন্দোলন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নজিরবিহীন। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এ আইনি লড়াইয়েও বিএনপিকে দেখা গেছে সমন্বয়হীন এবং গা-ছাড়া। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বেগম জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়।

বেগম জিয়ার মুক্তির সব দরজা যখন বন্ধ ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদারতার এক অসামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেগম জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন গত বছরের ২৫ মার্চ। ছয় মাস করে এ জামিনের মেয়াদ তৃতীয়বারের মতো বাড়ানো হয়েছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার দগদগে স্মৃতি বুকে নিয়ে শেখ হাসিনার এ সিদ্ধান্ত রাজনীতিতে উদারতা ও সহানুভূতির এক উদাহরণ। সুস্থধারার রাজনীতিচর্চার এক বিজ্ঞাপন। গত বছরের ২৫ মার্চের পর থেকে বেগম জিয়া তাঁর বাসভবনেই রয়েছেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ গুটিয়ে নেন।

এ রকম একজন রাজনীতিবিদকে নিয়ে বিএনপি এবং বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা অযথা মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। বেগম জিয়ার যেদিন করোনা পরীক্ষা করা হলো সেদিনই এ লুকোচুরি এবং সত্য গোপনের খেলা শুরু। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো, বেগম জিয়ার বাসায় গিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বললেন, ‘করোনা পরীক্ষা হয়নি। বেগম জিয়ার রুটিন পরীক্ষা করা হয়েছে।’ সবাই ভিরমি খেল। পরদিন আইডিসিআরের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত হলো, বেগম জিয়া কভিড পজিটিভ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চাওয়া হলো। তিনি বললেন, এ রকম কোনো তথ্য নেই তাঁর কাছে। অবশেষে ব্যক্তিগত চিকিৎসক কবুল করলেন বেগম জিয়া করোনায় আক্রান্ত। করোনা নিয়ে এখন বাংলাদেশে সবাই টুকটাক জানেন। বেগম জিয়া ৭৬ বছর বয়সী। তাঁর উচ্চ রক্তচাপ আছে। আছে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। এ ধরনের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলে উচ্চঝুঁকিতে থাকেন। অথচ বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা বীরদর্পে বললেন, ‘ম্যাডামের কোনো উপসর্গ নেই। তিনি একদম সুস্থ।’ যেন করোনার বিরুদ্ধে বেগম জিয়াকে আপসহীন প্রমাণ করতেই হবে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন বাসায় থেকেই চিকিৎসা চলবে। কদিন পর কমান্ডো কায়দায় বেগম জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলো। মধ্যরাতের একটু আগে আবার চিকিৎসকদের মধ্যে বিজয়ের উল্লাস। তাঁরা বললেন, ‘সিটিস্ক্যান রিপোর্ট খুব ভালো’। পরদিন গণমাধ্যম এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানল, বেগম জিয়ার ফুসফুসে সামান্য সংক্রমণ আছে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর আবার চিকিৎসকরা হইহই করে উঠলেন। বললেন, ‘এসব কিছু না, সামান্য সংক্রমণ। বেগম জিয়া ভালো আছেন।’ বেগম জিয়াকে সুস্থ দেখানোর কী প্রাণান্ত চেষ্টা! কদিন পর ‘সুস্থ’, ‘স্বাভাবিক’ বেগম খালেদা জিয়াকে আবার হাসপাতালে নেওয়া হলো। চিকিৎসকরা আবার বললেন, ‘বেগম জিয়া ভালো আছেন। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গভীর রাতে বলা হলো, তাঁকে হাসপাতালে রেখেই আরও পরীক্ষা করা হবে। নাটকের শেষ এখানেই নয়। হঠাৎ এক বিকালে জানানো হলো, শ্বাসকষ্টের কারণে বেগম জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। রাতে বেগম জিয়ার একজন চিকিৎসক এসে বললেন, ‘তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।’ গণমাধ্যমের মুহুর্মুহু প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি বললেন, ‘এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’ কী অদ্ভুত। দেশের একজন অন্যতম প্রধান নেতা অসুস্থ, তাঁর শারীরিক অবস্থার সঠিক তথ্য জানাতে এত আড়ষ্টতা কেন? বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এ ধরনের লুকোচুরি করার ইতিহাস এটাই প্রথম নয়। ২০১৮ সালে এর সূচনা। সে সময় বিএনপি নেতারা প্রতিদিন বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আর্তনাদ করতেন। বিশেষ করে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর কথা শুনে মনে হতো কালই বোধহয় বিএনপি চেয়ারপারসন সম্পর্কে ভয়ংকর কোনো খারাপ সংবাদ পাওয়া যাবে। এরপর শুরু হলো বিএনপি নেতাদের কথার প্রতিযোগিতা। প্রত্যেক বিএনপি নেতাই যেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। কেউ বলেন, বেগম জিয়া হাঁটতে পারছেন না। কেউ বলেন খেতে পারছেন না। একদিন তো বিএনপি মহাসচিব ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে বললেন, ‘ম্যাডাম হাত নাড়াতে পারছেন না।’ জেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক পাঠালেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলো। দেখা গেল তেমন গুরুতর কিছু নয়। এরপর বেগম জিয়াকে নেওয়া হলো বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই ওই একই অবস্থা। চিকিৎসকরা বলেন, বেগম জিয়ার অসুস্থতা গুরুতর নয়। বিএনপি নেতারা বলেন, বেগম জিয়া মৃত্যুর মুখে। তখন বেগম জিয়াকে অসুস্থ বানানোর প্রাণান্ত চেষ্টা আর এখন তাঁকে সুস্থ বলার অদ্ভুত কসরত। কেন?

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে একটু ইতিহাস হাতড়ালাম। বেশিদিন আগের কথা নয়, উত্তর কোরিয়ান একনায়ক কিম জং উন অসুস্থ। তাঁকে টেলিভিশনে দেখা যায় না। তাঁর মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল। একনায়ক নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে কিমের পুরনো ছবি দেখানো শুরু হলো। তারপর বলা হলো, কিম সুস্থ আছেন। একদিন কিম জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি সুস্থ। বিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নে কমিউনিস্ট শাসনে নেতাদের মৃত্যু গোপন রাখা হতো। নতুন উত্তরাধিকার নির্বাচনের পর নতুন নেতা তাঁর পূর্বসূরির মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করতেন। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ মারা যান ১০ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে। চার দিন পর ১৪ অক্টোবর তাঁর মৃত্যুসংবাদ প্রচার করা হয়। লিওনার্দ ব্রেজনেভকে নতুন নেতা নির্বাচন করে পলিটব্যুরো। তারপর ঘোষণা করা হয় মৃত্যুর খবর। মধ্যপ্রাচ্যের স্বৈরাচারদের অসুস্থতা নিয়েও একই নাটক দেখা যায়। সিঁড়ি থেকে পড়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত পা ভাঙলেন। নানা গুজব গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল। স্ট্রেচারে করে আনোয়ার সাদাতকে আনা হলো টেলিভিশন স্টেশনে। কোনোমতে চেয়ারে বসলেন। সেখান থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জানিয়ে দিলেন তিনি সুস্থ। এ রকম চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছিল লিবিয়ার গাদ্দাফির বেলায়। একটি অস্ত্রোপচারের জন্য সাত দিন তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে। এ সাত দিন তিনি থাকবেন না, এটা গোপনের জন্য অদ্ভুত এক কৌশল আঁটা হলো। হাসপাতালে ভর্তির আগে তিনি সাত দিনের বক্তৃতা দিলেন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। তাঁর কর্মব্যস্ততা আগে থেকেই রেকর্ড করা হলো। যে সাত দিন তিনি হাসপাতালে থাকলেন কঠোর গোপনীয়তায়, সেই সাত দিন এক এক করে তাঁর রেকর্ডকৃত ভাষণগুলো প্রচার করা হলো। মানুষ এবং শত্রুপক্ষ দেখল গাদ্দাফি স্বাভাবিক আছেন। পাকিস্তানের স্বৈরশাসক ছিলেন জিয়াউল হক। ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬ সালে তিনি ক্ষমতা দখল করেন। ১৭ আগস্ট, ১৯৮৮ সালে এক রহস্যময় বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। ১২ বছরের শাসনামলে তিনি দুবার হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু দুবারই তা গোপন রাখা হয়। আমি যেটা বলছি, নেতার অসুস্থতা গোপন করা একটি একনায়কতান্ত্রিক সংস্কৃতি। এটা নিয়ে রাজনীতি এক ধরনের অসুস্থতা। একনায়করা যেমন জনগণকে আর্থসামাজিক অবস্থা সম্পর্কে অন্ধকারে রাখতে পছন্দ করেন, তেমন তাঁদের সম্পর্কে একটা রহস্যের বলয় তৈরি করেন। যেমন বাংলাদেশে এক একনায়ক রাতেও সানগ্লাস পরে থাকতেন। তাঁদের অসুস্থতা যেন তাঁদের দুর্বলতা। মনের অজান্তে তাঁদের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করে। অসুস্থতার খবর জানলেই প্রতিপক্ষ গদিচ্যুত করবে। বিএনপির জন্ম যেহেতু ক্ষমতার গর্ভে, ক্যান্টনমেন্টে, সেজন্যই হয়তো দলটি জন্মসূত্রেই অসুখ নিয়ে লুকোচুরি করার বৈশিষ্ট্যটি ধারণ করেছে। বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তারই প্রতিফলন ঘটছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একজন নেতার অসুস্থতা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁর চোখ দেখাতে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে যান। সেখানে ৫ টাকায় কুপন কাটেন। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। তারপর গণমাধ্যমকে পরীক্ষা সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী চোখের অপারেশনে লন্ডনে গেলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মিত প্রেস রিলিজ দিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার আপডেট দেওয়া হলো। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। তার আগে তাঁর চিকিৎসক প্রেস কনফারেন্স করলেন। চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকি সম্পর্কে বিস্তারিত বললেন। এই তো কদিন আগে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল চিকিৎসা নিতে গেলেন হাসপাতালে। হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন। একজন রাজনৈতিক নেতা জনগণের সম্পদ। জনগণের অভিভাবক। তাঁর ভালো-মন্দ জানার অধিকার মানুষের আছে। এটাই রীতি। মানুষ সত্য তথ্য পেলে আশ্বস্ত হবে। বিভ্রান্তি তৈরি হবে না। অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক নেতার তথ্য গোপন কোনো সুস্থ চর্চা নয়, হতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বিএনপি তাদের দলীয় প্রধানকে নিয়ে অসুস্থ আচরণ করছে। একজন মানুষের রোগ নিয়ে মিথ্যাচার খুবই নিম্নমানের সংস্কৃতি। বিএনপি চেয়ারপারসন একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। বিএনপির জন্ম স্বৈরাচারের গর্ভে হলেও বেগম জিয়া পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে এসেছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি ভালো ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর অসুস্থতা নিয়ে কেন স্বৈর সংস্কৃতি অনুসরণ করতে হবে। যা সত্য তা অকপটে বললে সমস্যা কী? তিনি যদি সত্যিই অসুস্থ হন তাহলে দলের নেতা-কর্মী, সাধারণ মানুষ তাঁর জন্য প্রার্থনা করবে। তিনি যদি সুস্থ থাকেন তাহলে দেশবাসী আশ্বস্ত হবেন। কিন্তু ‘অসুখ’-কে পুঁজি করে রাজনীতি অন্যায় এবং কু-সংস্কৃতি। বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে বের করতে এ অসুস্থ সংস্কৃতির চর্চায় মেতেছিল বিএনপি। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায়, বিবৃতিতে তাঁকে মেরেই ফেলেছিলেন। এখন বিদেশ যাওয়ার জন্য বেগম জিয়াকে নিয়ে রহস্য তৈরি করা হচ্ছে কি না কে জানে। বিএনপির শুভাকাক্সক্ষী এবং গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার (৩ মে) এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ এবং মূল্যবান কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বেগম জিয়াকে এখানেই (বাংলাদেশে) চিকিৎসা করানো উচিত। তাঁর পরিবার এভাবে তাঁর জামিন করিয়ে বোকামি করেছে। এখন আবার বিদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য আরেক বোকামি করছে।’ সব সময় একটা সত্য গোপন করতে দশটা মিথ্যাকে সামনে আনতে হয়। আর সত্য গোপন করলে গুজব ডালপালা মেলে। এই যেমন এখন, অনেকে বলছেন, বেগম জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য নাটক সাজানো হয়েছে। যেমন তাঁকে জেল থেকে বের করার জন্য অসুস্থতার কাহিনি তৈরি করা হয়েছিল। আমরা সাধারণ নাগরিক এসব গুজবে কান দিতে চাই না। এমনিতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন গুজব এবং কুৎসিত নোংরামির ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে। এখানে মানুষের চরিত্রহননের নেশায় মত্ত কিছু মানুষ। এর মধ্যে বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সঠিক ও নির্মোহ তথ্যপ্রবাহ বন্ধ হলে গুজব প্রাধান্য পাবে। সেটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম নারীনেত্রীর জন্য হবে অমর্যাদাকর। তাই বিএনপির অন্তত খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে লুকোচুরি খেলাটা বন্ধ করা দরকার। বেগম জিয়ার অবস্থা সম্পর্কে সত্য সংবাদটা জানানোর দায়িত্ব বিএনপির নেতা এবং তাঁর চিকিৎসকদেরই। বেগম জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এ প্রত্যাশা করি। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির অসুখটাও সারুক।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নেপালে জনবিস্ফোরণ
নেপালে জনবিস্ফোরণ
ডাকসু নির্বাচন
ডাকসু নির্বাচন
দান-সদকায় সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধি পায়
দান-সদকায় সম্পদ ও রিজিক বৃদ্ধি পায়
সেনাবাহিনী নিয়ে গুজবের শেষ কোথায়
সেনাবাহিনী নিয়ে গুজবের শেষ কোথায়
শেষ পর্যন্ত কার হাসি কে হাসবে
শেষ পর্যন্ত কার হাসি কে হাসবে
ফুরিয়ে যাচ্ছে গ্যাস
ফুরিয়ে যাচ্ছে গ্যাস
অশান্ত বাজার
অশান্ত বাজার
নির্বাচন হোক ফেব্রুয়ারিতেই
নির্বাচন হোক ফেব্রুয়ারিতেই
রসুল (সা.)-কে ভালোবাসার দাবি
রসুল (সা.)-কে ভালোবাসার দাবি
জুলাইয়ের বাংলাদেশ ও নতুন নেতৃত্ব কাঠামো
জুলাইয়ের বাংলাদেশ ও নতুন নেতৃত্ব কাঠামো
ছেষট্টিতেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন যাঁরা
ছেষট্টিতেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন যাঁরা
হজরত আলী (রা.)-এর হত্যাকাণ্ড
হজরত আলী (রা.)-এর হত্যাকাণ্ড
সর্বশেষ খবর
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লায় মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত
কুমিল্লায় মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন ৩ বগি, অতঃপর...
আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন ৩ বগি, অতঃপর...

১৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

মৌলভীবাজারে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেফতার ১১ জন
মৌলভীবাজারে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেফতার ১১ জন

১৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

টাকা না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
টাকা না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাংবাদিকতার মূলমন্ত্র হচ্ছে মিথ্যার সাথে আপস না করা : কাদের গনি চৌধুরী
সাংবাদিকতার মূলমন্ত্র হচ্ছে মিথ্যার সাথে আপস না করা : কাদের গনি চৌধুরী

১৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

ফটিকছড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু
ফটিকছড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু

২৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাজধানীতে অভাব-অনটনে হতাশ যুবকের আত্মহত্যা
রাজধানীতে অভাব-অনটনে হতাশ যুবকের আত্মহত্যা

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

দিনাজপুরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ, উৎপাদনেও রেকর্ড প্রত্যাশা
দিনাজপুরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ, উৎপাদনেও রেকর্ড প্রত্যাশা

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে র‍্যাবের অভিযানে শাটারগান উদ্ধার
মেহেরপুরে র‍্যাবের অভিযানে শাটারগান উদ্ধার

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে অটো চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
টাঙ্গাইলে অটো চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আসন্ন নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা
আসন্ন নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

নেপালে ফিরছে রাজতন্ত্র, সেনাপ্রধান কি বার্তা দিলেন?
নেপালে ফিরছে রাজতন্ত্র, সেনাপ্রধান কি বার্তা দিলেন?

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

চাঁদপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২৩০৫ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২৩০৫ মামলা

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

লক্ষ্মীপুরে সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি শীর্ষক সেমিনার
লক্ষ্মীপুরে সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি শীর্ষক সেমিনার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪০ কোটির অভিজাত বিমান পেয়েও কাতারের সাথে ট্রাম্পের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’
৪০ কোটির অভিজাত বিমান পেয়েও কাতারের সাথে ট্রাম্পের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নওগাঁয় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু
নওগাঁয় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একাত্তর ও চব্বিশের শহীদদের প্রতি ডাকসুর বিজয়ীদের শ্রদ্ধা
একাত্তর ও চব্বিশের শহীদদের প্রতি ডাকসুর বিজয়ীদের শ্রদ্ধা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভাঙ্গায় তৃতীয় দিনের অবরোধে স্থবির সড়ক ও রেলপথ
ভাঙ্গায় তৃতীয় দিনের অবরোধে স্থবির সড়ক ও রেলপথ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করলেন জেরিন মারজান খান
ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করলেন জেরিন মারজান খান

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

প্রথমবারের মতো প্লে-অফে সাকিবের অ্যান্টিগা
প্রথমবারের মতো প্লে-অফে সাকিবের অ্যান্টিগা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সংস্কার প্রক্রিয়ায় সাফল্যের উপরেই নির্ভর করবে আগামীর বাংলাদেশ : আলী রীয়াজ
সংস্কার প্রক্রিয়ায় সাফল্যের উপরেই নির্ভর করবে আগামীর বাংলাদেশ : আলী রীয়াজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেহেরপুরে কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মেহেরপুরে কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ : সালাহউদ্দিন
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ : সালাহউদ্দিন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বাস্থ্য খাতের সেই আলোচিত ঠিকাদার মিঠু গ্রেফতার
স্বাস্থ্য খাতের সেই আলোচিত ঠিকাদার মিঠু গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংসদীয় আসন বিলুপ্তির প্রতিবাদে মোংলায় সরকারী অফিসে তালা
সংসদীয় আসন বিলুপ্তির প্রতিবাদে মোংলায় সরকারী অফিসে তালা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইয়েমেনে ইসারয়েলের হামলা, নিহত বেড়ে ৩৫
ইয়েমেনে ইসারয়েলের হামলা, নিহত বেড়ে ৩৫

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে প্রাণে বাঁচলেন নেপালের মন্ত্রীরা (ভিডিও)
হেলিকপ্টারের দড়িতে ঝুলে প্রাণে বাঁচলেন নেপালের মন্ত্রীরা (ভিডিও)

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে খোঁজ মিলল নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর
অবশেষে খোঁজ মিলল নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্রেট পাওয়ার হতে গিয়ে ভারতের সর্বনাশ!
গ্রেট পাওয়ার হতে গিয়ে ভারতের সর্বনাশ!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রদলের হার নিয়ে নানা হিসাব কষছে বিএনপি
ছাত্রদলের হার নিয়ে নানা হিসাব কষছে বিএনপি

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টায় ছয় দেশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
৭২ ঘণ্টায় ছয় দেশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে আলোচনায় আসা কে এই সুশীলা কার্কি
নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে আলোচনায় আসা কে এই সুশীলা কার্কি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেপালের রাজপরিবারে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড, এখনও শেষ হয়নি রহস্য
নেপালের রাজপরিবারে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড, এখনও শেষ হয়নি রহস্য

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক মন্ত্রীর দুই চিত্র, ছবিই কথা বলছে!
এক মন্ত্রীর দুই চিত্র, ছবিই কথা বলছে!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আবিদ আপনাদের কখনো ছেড়ে যাবে না’
‘আবিদ আপনাদের কখনো ছেড়ে যাবে না’

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাফারি পার্কে পেছন থেকে সিংহের আক্রমণ, পরিচর্যাকারী নিহত
সাফারি পার্কে পেছন থেকে সিংহের আক্রমণ, পরিচর্যাকারী নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জীবন দিয়ে লড়ে যেতে হবে, একটু বিশ্রাম নিয়ে নেন: মেঘমল্লার বসু
জীবন দিয়ে লড়ে যেতে হবে, একটু বিশ্রাম নিয়ে নেন: মেঘমল্লার বসু

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ট্রাম্পকে বড় বিপদে ফেলে দিয়েছে পুতিন-নেতানিয়াহু
ট্রাম্পকে বড় বিপদে ফেলে দিয়েছে পুতিন-নেতানিয়াহু

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন সাময়িক বরখাস্ত
কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন সাময়িক বরখাস্ত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বাস্থ্য খাতের সেই আলোচিত ঠিকাদার মিঠু গ্রেফতার
স্বাস্থ্য খাতের সেই আলোচিত ঠিকাদার মিঠু গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাজ্যে সফররত ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
যুক্তরাজ্যে সফররত ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৩ বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত জাকসু নির্বাচন বৃহস্পতিবার
৩৩ বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত জাকসু নির্বাচন বৃহস্পতিবার

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আবারও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, অনেকে হতাহত
আবারও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, অনেকে হতাহত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিসিএস পরীক্ষার নিরাপত্তায় ১২০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
বিসিএস পরীক্ষার নিরাপত্তায় ১২০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুশ ড্রোনের অনুপ্রবেশ, ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৪ প্রয়োগের আহ্বান পোল্যান্ডের
রুশ ড্রোনের অনুপ্রবেশ, ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৪ প্রয়োগের আহ্বান পোল্যান্ডের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-ভারতের ওপর ১০০% শুল্ক বসাতে ইইউ’কে ট্রাম্পের আহ্বান
চীন-ভারতের ওপর ১০০% শুল্ক বসাতে ইইউ’কে ট্রাম্পের আহ্বান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পান্থকুঞ্জ পার্ক-হাতিরঝিল অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা
পান্থকুঞ্জ পার্ক-হাতিরঝিল অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ দাবিতে ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ
ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ দাবিতে ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুকে 'নার্সিসিস্ট' বললেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে 'নার্সিসিস্ট' বললেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১১ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১১ সেপ্টেম্বর)

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলন ‌‘হাইজ্যাক’ হওয়ার অভিযোগ নেপালের জেন-জির
আন্দোলন ‌‘হাইজ্যাক’ হওয়ার অভিযোগ নেপালের জেন-জির

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেপালের সর্বোচ্চ হোটেলটি এখন ধ্বংসস্তুপ
নেপালের সর্বোচ্চ হোটেলটি এখন ধ্বংসস্তুপ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রেকর্ড জয়ে এশিয়া কাপ শুরু ভারতের
রেকর্ড জয়ে এশিয়া কাপ শুরু ভারতের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৪১৬২৭ শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৪১৬২৭ শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
দৃষ্টি আজ জাহাঙ্গীরনগরে
দৃষ্টি আজ জাহাঙ্গীরনগরে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ
বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

শেষ পর্যন্ত কার হাসি কে হাসবে
শেষ পর্যন্ত কার হাসি কে হাসবে

সম্পাদকীয়

কেন এই জয়পরাজয়
কেন এই জয়পরাজয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নভেম্বরের মধ্যেই একীভূত পাঁচ ব্যাংক
নভেম্বরের মধ্যেই একীভূত পাঁচ ব্যাংক

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেপাল
সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন টিটির  সেই ‘বিস্ময় বালক’ মুন্না
মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন টিটির সেই ‘বিস্ময় বালক’ মুন্না

মাঠে ময়দানে

মাদারীপুর হয়েছিল ‘খান লীগ’
মাদারীপুর হয়েছিল ‘খান লীগ’

প্রথম পৃষ্ঠা

বোরকা পরে পালানোর রাজনীতি করতে চাই না
বোরকা পরে পালানোর রাজনীতি করতে চাই না

নগর জীবন

লিটনদের মিশন শুরু আজ
লিটনদের মিশন শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

ফরিদপুর ও বাগেরহাটে তুলকালাম
ফরিদপুর ও বাগেরহাটে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন, মাঠে জামায়াত প্রার্থী
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন, মাঠে জামায়াত প্রার্থী

নগর জীবন

হাজারো বস্তায় আদা চাষ
হাজারো বস্তায় আদা চাষ

নগর জীবন

প্রধানমন্ত্রী দলের প্রধান নয়, উচ্চকক্ষে পিআর
প্রধানমন্ত্রী দলের প্রধান নয়, উচ্চকক্ষে পিআর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির তিন মনোনয়ন প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির তিন মনোনয়ন প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য
শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য

পেছনের পৃষ্ঠা

জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না
জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

চার বছর পড়ে আছে শতকোটির স্টেশন
চার বছর পড়ে আছে শতকোটির স্টেশন

দেশগ্রাম

শিবির নেতার পায়ে গুলি, দুই পুলিশ কারাগারে
শিবির নেতার পায়ে গুলি, দুই পুলিশ কারাগারে

নগর জীবন

১৭ মামলার আসামিকে গলা কেটে হত্যা
১৭ মামলার আসামিকে গলা কেটে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

আটকে পড়াদের উদ্ধারে বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ
আটকে পড়াদের উদ্ধারে বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডাকসুতে ছাত্রদলকে শুভকামনা জানানো সেই ওসি প্রত্যাহার
ডাকসুতে ছাত্রদলকে শুভকামনা জানানো সেই ওসি প্রত্যাহার

দেশগ্রাম

পরিকল্পনায় চলে গেছে আট বছর
পরিকল্পনায় চলে গেছে আট বছর

রকমারি নগর পরিক্রমা

গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত
গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

যানজটে রাজধানীবাসী
যানজটে রাজধানীবাসী

নগর জীবন

গ্লোবাল ফিউচার কাউন্সিলের আমন্ত্রণ পেলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ
গ্লোবাল ফিউচার কাউন্সিলের আমন্ত্রণ পেলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ

নগর জীবন

চাঁদপুরে চালকদের অস্বীকৃতিতে ভেস্তে গেল ট্রাফিক নিয়ম
চাঁদপুরে চালকদের অস্বীকৃতিতে ভেস্তে গেল ট্রাফিক নিয়ম

দেশগ্রাম

অপহরণ ও ধর্ষণে দণ্ড ভগিনীপতিসহ তিনজনের
অপহরণ ও ধর্ষণে দণ্ড ভগিনীপতিসহ তিনজনের

দেশগ্রাম

কে মনোনয়ন পাচ্ছে তা বড় কথা নয়
কে মনোনয়ন পাচ্ছে তা বড় কথা নয়

নগর জীবন