শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৮ মে, ২০২১ আপডেট:

সুস্থ হোন বেগম জিয়া, সুস্থ হোক রাজনীতি

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
সুস্থ হোন বেগম জিয়া, সুস্থ হোক রাজনীতি

বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা। বিএনপি চেয়ারপারসন, দুবারের প্রধানমন্ত্রী। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বেগম জিয়া অসুস্থ। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। বেগম জিয়ার পক্ষে তাঁর ভাই শামীম এস্কান্দার বুধবার (৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বেগম জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া-সংক্রান্ত লিখিত আবেদন জমা দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাতেই ওই আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আবেদনটি নিয়ে যে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। একই প্রশংসার দাবিদার আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন। আমরা প্রত্যাশা করি, দেশে অথবা বিদেশে যেখানেই হোক বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে উঠুন। কিন্তু তাঁর অসুস্থতার ধরন প্রকরণ নিয়ে একটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক অসুস্থতার এক ভিন্ন রূপ বলেই আমার বিশ্বাস। হাসপাতালের তথ্যমতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেগম জিয়া করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন। সাধারণত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের সিসিইউতে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কতটা জটিল, তার অসুস্থতার ধরন কী এসব নিয়ে যেন লুকোচুরি খেলা চলছে। একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ অসুস্থ হতেই পারেন। দেশের জনগণের জানার অধিকার আছে তাঁর অসুস্থতার মাত্রা কী? আমি মনে করি বেগম জিয়ার অসুস্থতা এবং চিকিৎসার বিষয়টি সম্পূর্ণ মানবিক। রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এ নিয়ে ছলচাতুরী কিংবা রাজনীতি করা কারও-ই উচিত নয়। আমি খুশি হয়েছি, যখন দেখেছি বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুজন নেতা সমবেদনা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করেছেন। আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আশা করি বেগম জিয়া করোনাকে পরাজিত করবেন।’ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বুধবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টকশোয় শুরুতেই বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনা করলেন। আওয়ামী লীগের কেউ বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করেননি বরং সহানুভূতি দেখিয়েছেন। এটাই রাজনৈতিক শিষ্টাচার। রাজনৈতিক নীতি ও আদর্শের বিরোধ থাকবে। কিন্তু অসুস্থ একজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সুস্থতা কামনা এবং তাঁকে সহযোগিতা করাই সভ্য রাজনীতির বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাঁর প্রবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের জন্য যে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা দেখিয়েছেন তা অনন্য এবং অনুকরণীয়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই, বেগম জিয়া ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি একটি দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হন। পরে আরও এক মামলায় দন্ডিত হয়ে তিনি মোট ১৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত। বেগম জিয়াকে কারামুক্ত করতে তাঁর দল বিএনপি বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করেছে। কিন্তু সে আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতার জন্য এমন নিরুত্তাপ এবং লোক দেখানো আন্দোলন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নজিরবিহীন। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এ আইনি লড়াইয়েও বিএনপিকে দেখা গেছে সমন্বয়হীন এবং গা-ছাড়া। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বেগম জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়।

বেগম জিয়ার মুক্তির সব দরজা যখন বন্ধ ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদারতার এক অসামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেগম জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন গত বছরের ২৫ মার্চ। ছয় মাস করে এ জামিনের মেয়াদ তৃতীয়বারের মতো বাড়ানো হয়েছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার দগদগে স্মৃতি বুকে নিয়ে শেখ হাসিনার এ সিদ্ধান্ত রাজনীতিতে উদারতা ও সহানুভূতির এক উদাহরণ। সুস্থধারার রাজনীতিচর্চার এক বিজ্ঞাপন। গত বছরের ২৫ মার্চের পর থেকে বেগম জিয়া তাঁর বাসভবনেই রয়েছেন। রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ গুটিয়ে নেন।

এ রকম একজন রাজনীতিবিদকে নিয়ে বিএনপি এবং বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা অযথা মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। বেগম জিয়ার যেদিন করোনা পরীক্ষা করা হলো সেদিনই এ লুকোচুরি এবং সত্য গোপনের খেলা শুরু। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলো, বেগম জিয়ার বাসায় গিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বললেন, ‘করোনা পরীক্ষা হয়নি। বেগম জিয়ার রুটিন পরীক্ষা করা হয়েছে।’ সবাই ভিরমি খেল। পরদিন আইডিসিআরের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত হলো, বেগম জিয়া কভিড পজিটিভ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চাওয়া হলো। তিনি বললেন, এ রকম কোনো তথ্য নেই তাঁর কাছে। অবশেষে ব্যক্তিগত চিকিৎসক কবুল করলেন বেগম জিয়া করোনায় আক্রান্ত। করোনা নিয়ে এখন বাংলাদেশে সবাই টুকটাক জানেন। বেগম জিয়া ৭৬ বছর বয়সী। তাঁর উচ্চ রক্তচাপ আছে। আছে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। এ ধরনের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলে উচ্চঝুঁকিতে থাকেন। অথচ বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা বীরদর্পে বললেন, ‘ম্যাডামের কোনো উপসর্গ নেই। তিনি একদম সুস্থ।’ যেন করোনার বিরুদ্ধে বেগম জিয়াকে আপসহীন প্রমাণ করতেই হবে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন বাসায় থেকেই চিকিৎসা চলবে। কদিন পর কমান্ডো কায়দায় বেগম জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলো। মধ্যরাতের একটু আগে আবার চিকিৎসকদের মধ্যে বিজয়ের উল্লাস। তাঁরা বললেন, ‘সিটিস্ক্যান রিপোর্ট খুব ভালো’। পরদিন গণমাধ্যম এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানল, বেগম জিয়ার ফুসফুসে সামান্য সংক্রমণ আছে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর আবার চিকিৎসকরা হইহই করে উঠলেন। বললেন, ‘এসব কিছু না, সামান্য সংক্রমণ। বেগম জিয়া ভালো আছেন।’ বেগম জিয়াকে সুস্থ দেখানোর কী প্রাণান্ত চেষ্টা! কদিন পর ‘সুস্থ’, ‘স্বাভাবিক’ বেগম খালেদা জিয়াকে আবার হাসপাতালে নেওয়া হলো। চিকিৎসকরা আবার বললেন, ‘বেগম জিয়া ভালো আছেন। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গভীর রাতে বলা হলো, তাঁকে হাসপাতালে রেখেই আরও পরীক্ষা করা হবে। নাটকের শেষ এখানেই নয়। হঠাৎ এক বিকালে জানানো হলো, শ্বাসকষ্টের কারণে বেগম জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। রাতে বেগম জিয়ার একজন চিকিৎসক এসে বললেন, ‘তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।’ গণমাধ্যমের মুহুর্মুহু প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি বললেন, ‘এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’ কী অদ্ভুত। দেশের একজন অন্যতম প্রধান নেতা অসুস্থ, তাঁর শারীরিক অবস্থার সঠিক তথ্য জানাতে এত আড়ষ্টতা কেন? বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এ ধরনের লুকোচুরি করার ইতিহাস এটাই প্রথম নয়। ২০১৮ সালে এর সূচনা। সে সময় বিএনপি নেতারা প্রতিদিন বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আর্তনাদ করতেন। বিশেষ করে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর কথা শুনে মনে হতো কালই বোধহয় বিএনপি চেয়ারপারসন সম্পর্কে ভয়ংকর কোনো খারাপ সংবাদ পাওয়া যাবে। এরপর শুরু হলো বিএনপি নেতাদের কথার প্রতিযোগিতা। প্রত্যেক বিএনপি নেতাই যেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। কেউ বলেন, বেগম জিয়া হাঁটতে পারছেন না। কেউ বলেন খেতে পারছেন না। একদিন তো বিএনপি মহাসচিব ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে বললেন, ‘ম্যাডাম হাত নাড়াতে পারছেন না।’ জেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক পাঠালেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলো। দেখা গেল তেমন গুরুতর কিছু নয়। এরপর বেগম জিয়াকে নেওয়া হলো বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই ওই একই অবস্থা। চিকিৎসকরা বলেন, বেগম জিয়ার অসুস্থতা গুরুতর নয়। বিএনপি নেতারা বলেন, বেগম জিয়া মৃত্যুর মুখে। তখন বেগম জিয়াকে অসুস্থ বানানোর প্রাণান্ত চেষ্টা আর এখন তাঁকে সুস্থ বলার অদ্ভুত কসরত। কেন?

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে একটু ইতিহাস হাতড়ালাম। বেশিদিন আগের কথা নয়, উত্তর কোরিয়ান একনায়ক কিম জং উন অসুস্থ। তাঁকে টেলিভিশনে দেখা যায় না। তাঁর মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল। একনায়ক নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে কিমের পুরনো ছবি দেখানো শুরু হলো। তারপর বলা হলো, কিম সুস্থ আছেন। একদিন কিম জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি সুস্থ। বিলুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নে কমিউনিস্ট শাসনে নেতাদের মৃত্যু গোপন রাখা হতো। নতুন উত্তরাধিকার নির্বাচনের পর নতুন নেতা তাঁর পূর্বসূরির মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করতেন। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ মারা যান ১০ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে। চার দিন পর ১৪ অক্টোবর তাঁর মৃত্যুসংবাদ প্রচার করা হয়। লিওনার্দ ব্রেজনেভকে নতুন নেতা নির্বাচন করে পলিটব্যুরো। তারপর ঘোষণা করা হয় মৃত্যুর খবর। মধ্যপ্রাচ্যের স্বৈরাচারদের অসুস্থতা নিয়েও একই নাটক দেখা যায়। সিঁড়ি থেকে পড়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত পা ভাঙলেন। নানা গুজব গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল। স্ট্রেচারে করে আনোয়ার সাদাতকে আনা হলো টেলিভিশন স্টেশনে। কোনোমতে চেয়ারে বসলেন। সেখান থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জানিয়ে দিলেন তিনি সুস্থ। এ রকম চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছিল লিবিয়ার গাদ্দাফির বেলায়। একটি অস্ত্রোপচারের জন্য সাত দিন তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে। এ সাত দিন তিনি থাকবেন না, এটা গোপনের জন্য অদ্ভুত এক কৌশল আঁটা হলো। হাসপাতালে ভর্তির আগে তিনি সাত দিনের বক্তৃতা দিলেন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। তাঁর কর্মব্যস্ততা আগে থেকেই রেকর্ড করা হলো। যে সাত দিন তিনি হাসপাতালে থাকলেন কঠোর গোপনীয়তায়, সেই সাত দিন এক এক করে তাঁর রেকর্ডকৃত ভাষণগুলো প্রচার করা হলো। মানুষ এবং শত্রুপক্ষ দেখল গাদ্দাফি স্বাভাবিক আছেন। পাকিস্তানের স্বৈরশাসক ছিলেন জিয়াউল হক। ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬ সালে তিনি ক্ষমতা দখল করেন। ১৭ আগস্ট, ১৯৮৮ সালে এক রহস্যময় বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। ১২ বছরের শাসনামলে তিনি দুবার হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু দুবারই তা গোপন রাখা হয়। আমি যেটা বলছি, নেতার অসুস্থতা গোপন করা একটি একনায়কতান্ত্রিক সংস্কৃতি। এটা নিয়ে রাজনীতি এক ধরনের অসুস্থতা। একনায়করা যেমন জনগণকে আর্থসামাজিক অবস্থা সম্পর্কে অন্ধকারে রাখতে পছন্দ করেন, তেমন তাঁদের সম্পর্কে একটা রহস্যের বলয় তৈরি করেন। যেমন বাংলাদেশে এক একনায়ক রাতেও সানগ্লাস পরে থাকতেন। তাঁদের অসুস্থতা যেন তাঁদের দুর্বলতা। মনের অজান্তে তাঁদের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করে। অসুস্থতার খবর জানলেই প্রতিপক্ষ গদিচ্যুত করবে। বিএনপির জন্ম যেহেতু ক্ষমতার গর্ভে, ক্যান্টনমেন্টে, সেজন্যই হয়তো দলটি জন্মসূত্রেই অসুখ নিয়ে লুকোচুরি করার বৈশিষ্ট্যটি ধারণ করেছে। বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তারই প্রতিফলন ঘটছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একজন নেতার অসুস্থতা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁর চোখ দেখাতে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে যান। সেখানে ৫ টাকায় কুপন কাটেন। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। তারপর গণমাধ্যমকে পরীক্ষা সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী চোখের অপারেশনে লন্ডনে গেলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মিত প্রেস রিলিজ দিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার আপডেট দেওয়া হলো। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। তার আগে তাঁর চিকিৎসক প্রেস কনফারেন্স করলেন। চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকি সম্পর্কে বিস্তারিত বললেন। এই তো কদিন আগে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল চিকিৎসা নিতে গেলেন হাসপাতালে। হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন। একজন রাজনৈতিক নেতা জনগণের সম্পদ। জনগণের অভিভাবক। তাঁর ভালো-মন্দ জানার অধিকার মানুষের আছে। এটাই রীতি। মানুষ সত্য তথ্য পেলে আশ্বস্ত হবে। বিভ্রান্তি তৈরি হবে না। অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক নেতার তথ্য গোপন কোনো সুস্থ চর্চা নয়, হতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বিএনপি তাদের দলীয় প্রধানকে নিয়ে অসুস্থ আচরণ করছে। একজন মানুষের রোগ নিয়ে মিথ্যাচার খুবই নিম্নমানের সংস্কৃতি। বিএনপি চেয়ারপারসন একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। বিএনপির জন্ম স্বৈরাচারের গর্ভে হলেও বেগম জিয়া পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে এসেছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি ভালো ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর অসুস্থতা নিয়ে কেন স্বৈর সংস্কৃতি অনুসরণ করতে হবে। যা সত্য তা অকপটে বললে সমস্যা কী? তিনি যদি সত্যিই অসুস্থ হন তাহলে দলের নেতা-কর্মী, সাধারণ মানুষ তাঁর জন্য প্রার্থনা করবে। তিনি যদি সুস্থ থাকেন তাহলে দেশবাসী আশ্বস্ত হবেন। কিন্তু ‘অসুখ’-কে পুঁজি করে রাজনীতি অন্যায় এবং কু-সংস্কৃতি। বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে বের করতে এ অসুস্থ সংস্কৃতির চর্চায় মেতেছিল বিএনপি। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায়, বিবৃতিতে তাঁকে মেরেই ফেলেছিলেন। এখন বিদেশ যাওয়ার জন্য বেগম জিয়াকে নিয়ে রহস্য তৈরি করা হচ্ছে কি না কে জানে। বিএনপির শুভাকাক্সক্ষী এবং গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার (৩ মে) এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ এবং মূল্যবান কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বেগম জিয়াকে এখানেই (বাংলাদেশে) চিকিৎসা করানো উচিত। তাঁর পরিবার এভাবে তাঁর জামিন করিয়ে বোকামি করেছে। এখন আবার বিদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য আরেক বোকামি করছে।’ সব সময় একটা সত্য গোপন করতে দশটা মিথ্যাকে সামনে আনতে হয়। আর সত্য গোপন করলে গুজব ডালপালা মেলে। এই যেমন এখন, অনেকে বলছেন, বেগম জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য নাটক সাজানো হয়েছে। যেমন তাঁকে জেল থেকে বের করার জন্য অসুস্থতার কাহিনি তৈরি করা হয়েছিল। আমরা সাধারণ নাগরিক এসব গুজবে কান দিতে চাই না। এমনিতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন গুজব এবং কুৎসিত নোংরামির ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে। এখানে মানুষের চরিত্রহননের নেশায় মত্ত কিছু মানুষ। এর মধ্যে বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সঠিক ও নির্মোহ তথ্যপ্রবাহ বন্ধ হলে গুজব প্রাধান্য পাবে। সেটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম নারীনেত্রীর জন্য হবে অমর্যাদাকর। তাই বিএনপির অন্তত খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে লুকোচুরি খেলাটা বন্ধ করা দরকার। বেগম জিয়ার অবস্থা সম্পর্কে সত্য সংবাদটা জানানোর দায়িত্ব বিএনপির নেতা এবং তাঁর চিকিৎসকদেরই। বেগম জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এ প্রত্যাশা করি। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির অসুখটাও সারুক।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
শ্রম সংস্কার
শ্রম সংস্কার
পুলিশ ও র‌্যাব পুনর্গঠন
পুলিশ ও র‌্যাব পুনর্গঠন
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা
বাইতুল্লাহর মুসাফিরদের জন্য জরুরি নসিহত
বাইতুল্লাহর মুসাফিরদের জন্য জরুরি নসিহত
নতুন বিনিয়োগের গ্যারান্টি চাই
নতুন বিনিয়োগের গ্যারান্টি চাই
ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে
ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে
গরু চোরাচালান
গরু চোরাচালান
বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার
বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার
মুমিনের হজ
মুমিনের হজ
চুল নিয়ে চুলোচুলি
চুল নিয়ে চুলোচুলি
যোগ-বিয়োগের ধারাস্রোত
যোগ-বিয়োগের ধারাস্রোত
যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতি
সর্বশেষ খবর
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২৭ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে খাল উদ্ধার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২৭ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে খাল উদ্ধার

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু
আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের নানা অনিয়ম-সমস্যা নিয়ে মানববন্ধন
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের নানা অনিয়ম-সমস্যা নিয়ে মানববন্ধন

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আফগানদের জন্য অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা বাতিল করলেন ট্রাম্প
আফগানদের জন্য অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা বাতিল করলেন ট্রাম্প

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনাকে যেভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব, জানালেন দুদক চেয়ারম্যান
শেখ হাসিনাকে যেভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব, জানালেন দুদক চেয়ারম্যান

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত বাথুয়াবাসী
প্রধান উপদেষ্টাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত বাথুয়াবাসী

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগে মামলা
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগে মামলা

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১৫

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় মাদকবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা
গাইবান্ধায় মাদকবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর গ্রেফতার
লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর গ্রেফতার

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ মিছিল
ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ মিছিল

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে সাংবাদিকদের আয়োজনে ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
গাজীপুরে সাংবাদিকদের আয়োজনে ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কাউটসের মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
ঠাকুরগাঁওয়ে স্কাউটসের মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন
ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারপ্রার্থীদের সেবা সহজ করতে এবার সব আদালতে পৃথক হেল্পলাইন
বিচারপ্রার্থীদের সেবা সহজ করতে এবার সব আদালতে পৃথক হেল্পলাইন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু
সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সোনারগাঁয়ে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পানি পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা
সোনারগাঁয়ে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পানি পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্কুলছাত্র রিয়াদ হত্যার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
স্কুলছাত্র রিয়াদ হত্যার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় স্বামীর ‘পরকীয়া’ সন্দেহ, ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী!
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় স্বামীর ‘পরকীয়া’ সন্দেহ, ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী!

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাম্য ও তার দুই বন্ধুর ওপর হামলা চালায় ১০-১২ জনের একটি দল: ডিএমপি
সাম্য ও তার দুই বন্ধুর ওপর হামলা চালায় ১০-১২ জনের একটি দল: ডিএমপি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রকৃত ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই: প্রধান বিচারপতি
প্রকৃত ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই: প্রধান বিচারপতি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোকানের কর্মচারীদের ব্যস্ত রেখে ১০০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে চম্পট পাঁচ নারী
দোকানের কর্মচারীদের ব্যস্ত রেখে ১০০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে চম্পট পাঁচ নারী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে মহাসড়কের দু’পাশের হাজারো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
বাগেরহাটে মহাসড়কের দু’পাশের হাজারো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে গুলিসহ হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার
টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে গুলিসহ হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলা বন্দরে পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ
মোংলা বন্দরে পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১০০ দিনে ‘সিক্স প্যাক’ তৈরি নিয়ে যা বললেন অভিনেতা সুরিয়া
১০০ দিনে ‘সিক্স প্যাক’ তৈরি নিয়ে যা বললেন অভিনেতা সুরিয়া

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেমিক্যালমুক্ত আম চেনার উপায়
কেমিক্যালমুক্ত আম চেনার উপায়

১৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতে আপনি ঘুমান কীভাবে, সৌদি যুবরাজকে ট্রাম্প
রাতে আপনি ঘুমান কীভাবে, সৌদি যুবরাজকে ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইশরাকের গেজেট: রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না ইসি
ইশরাকের গেজেট: রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না ইসি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে কুপিয়ে দুই মেয়েকে আছাড়, শেষে নিজেই নিজের গলা কাটেন মামুন
স্ত্রীকে কুপিয়ে দুই মেয়েকে আছাড়, শেষে নিজেই নিজের গলা কাটেন মামুন

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক লাইভেই গুলিতে নিহত মেয়র প্রার্থী
ফেসবুক লাইভেই গুলিতে নিহত মেয়র প্রার্থী

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যার মাথার দাম ছিল এক কোটি ডলার, তার সঙ্গেই হাত মেলালেন ট্রাম্প
যার মাথার দাম ছিল এক কোটি ডলার, তার সঙ্গেই হাত মেলালেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের আলোচিত কর্নেল সোফিয়াকে ‘সন্ত্রাসীদের বোন’ বললেন বিজেপি মন্ত্রী
ভারতের আলোচিত কর্নেল সোফিয়াকে ‘সন্ত্রাসীদের বোন’ বললেন বিজেপি মন্ত্রী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ আইপিএলে ডাক পেলেন মুস্তাফিজ
হঠাৎ আইপিএলে ডাক পেলেন মুস্তাফিজ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আহত তটিনী, দুই দিনের বিশ্রামে ঢাকায়
আহত তটিনী, দুই দিনের বিশ্রামে ঢাকায়

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বের ‘দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা আর নেই
বিশ্বের ‘দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করব না: নেতানিয়াহু
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করব না: নেতানিয়াহু

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা: রাকিব
নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা: রাকিব

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুরো কাশ্মীরকেই নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করল ভারত
পুরো কাশ্মীরকেই নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করল ভারত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী আটক
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী আটক

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে মন্তব্য, জবাবে যা বললেন প্রীতি জিনতা
ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে মন্তব্য, জবাবে যা বললেন প্রীতি জিনতা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনের সামনে বিক্ষোভ
ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনের সামনে বিক্ষোভ

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার ভারত-পাকিস্তানের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাবির শিক্ষার্থী খুন
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঢাবির শিক্ষার্থী খুন

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাকরাইলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিতে বাসে করে আসছেন ছাত্র-শিক্ষকরা
কাকরাইলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিতে বাসে করে আসছেন ছাত্র-শিক্ষকরা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সমালোচনার মুখে বদলে গেল ‌‘আ-আম জনতা’ পার্টির নাম
সমালোচনার মুখে বদলে গেল ‌‘আ-আম জনতা’ পার্টির নাম

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিয়াম-মেহজাবীনের গিগাবাইট টাইটানস চ্যাম্পিয়ন
সিয়াম-মেহজাবীনের গিগাবাইট টাইটানস চ্যাম্পিয়ন

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শত চ্যালেঞ্জেও নীরবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী
শত চ্যালেঞ্জেও নীরবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা ট্রাম্পের
সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা ট্রাম্পের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সাথে চুক্তি করতে চান ট্রাম্প, তবে থাকা যাবে না পারমাণবিক অস্ত্র
ইরানের সাথে চুক্তি করতে চান ট্রাম্প, তবে থাকা যাবে না পারমাণবিক অস্ত্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের জন্য ব্লু ভিসা চালু করল আমিরাত
যাদের জন্য ব্লু ভিসা চালু করল আমিরাত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বড় পরিবর্তন
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বড় পরিবর্তন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পলিথিনের বিকল্প পাট-কাপড়ের ব্যাগ সুলভে দিতে চায় সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
পলিথিনের বিকল্প পাট-কাপড়ের ব্যাগ সুলভে দিতে চায় সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
এহতেশামের নায়িকারা কে কোথায়?
এহতেশামের নায়িকারা কে কোথায়?

শোবিজ

কূপ খননে গতি আনতে রিগ কিনছে বাংলাদেশ
কূপ খননে গতি আনতে রিগ কিনছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে মাঠে বিএনপি
তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে মাঠে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আসনে আসনে সক্রিয় জামায়াত
আসনে আসনে সক্রিয় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

তৃণমূলে শক্ত অবস্থান তৈরিতে হিমশিম এনসিপি
তৃণমূলে শক্ত অবস্থান তৈরিতে হিমশিম এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ তিন বছর
বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ তিন বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে অবৈধ রিকশা বন্ধে অভিযান
রাজধানীতে অবৈধ রিকশা বন্ধে অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি বিনিয়োগেই পাল্টে যাবে বন্দর
বিদেশি বিনিয়োগেই পাল্টে যাবে বন্দর

নগর জীবন

এনামের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
এনামের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

দুই ধাপে আমিরাত যাচ্ছে লিটন বাহিনী
দুই ধাপে আমিরাত যাচ্ছে লিটন বাহিনী

মাঠে ময়দানে

নতুন উচ্চতায় যেতে চায় ডেনিম শিল্প
নতুন উচ্চতায় যেতে চায় ডেনিম শিল্প

নগর জীবন

শনিবার থেকে আইপিএল পিএসএল
শনিবার থেকে আইপিএল পিএসএল

মাঠে ময়দানে

সরকারপ্রধান হিসেবে আজ প্রথম চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস
সরকারপ্রধান হিসেবে আজ প্রথম চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ সচিবকে অপসারণের দাবিতে সচিবালয়ে অবস্থান
পাঁচ সচিবকে অপসারণের দাবিতে সচিবালয়ে অবস্থান

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে পাকিস্তানপন্থা বলতে কিছু নেই
দেশে পাকিস্তানপন্থা বলতে কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা
আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে
ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে

সম্পাদকীয়

কুয়েটে ফের বিক্ষোভ
কুয়েটে ফের বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ

প্রথম পৃষ্ঠা

আনুষ্কার আসল নায়ক কে?
আনুষ্কার আসল নায়ক কে?

শোবিজ

ফাঁসির সাত আসামির সাজা কমে জেল
ফাঁসির সাত আসামির সাজা কমে জেল

প্রথম পৃষ্ঠা

৭৮তম কান-এর চমক কারা
৭৮তম কান-এর চমক কারা

শোবিজ

জুবাইদা রহমানকে বিলম্ব মার্জনা হাই কোর্টের
জুবাইদা রহমানকে বিলম্ব মার্জনা হাই কোর্টের

প্রথম পৃষ্ঠা

উৎসবে বর্ষা
উৎসবে বর্ষা

শোবিজ

একাত্তরকে বাইপাস করলে ‘বুমেরাং’
একাত্তরকে বাইপাস করলে ‘বুমেরাং’

প্রথম পৃষ্ঠা

জমে উঠেছে চারের লড়াই
জমে উঠেছে চারের লড়াই

মাঠে ময়দানে

প্রিমিয়ার লিগের পথে হামজার দল
প্রিমিয়ার লিগের পথে হামজার দল

মাঠে ময়দানে

কৌশলী রাজনীতি জনগণ দেখতে চায় না
কৌশলী রাজনীতি জনগণ দেখতে চায় না

নগর জীবন

সামনে যুবাদলের সেমিফাইনাল
সামনে যুবাদলের সেমিফাইনাল

মাঠে ময়দানে