শনিবার, ১২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা সংক্রমণ

স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতা বাড়াতে হবে

করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু হারের ঊর্ধ্বগতি কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হারের তথ্য যে কোনো বিচারে উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের স্ট্রেইন বা ধরনের করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, যার ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কার্যকর নয় বলা হচ্ছে। যদিও একজন বিজ্ঞানী বলেছেন, এটি অসত্য প্রচারণা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অবশ্যই কার্যকর। এ ক্ষেত্রে যাতে কোনোরকম বিভ্রান্তি তৈরি না হয় সেজন্য সরকারের উচিত পুরো বিষয়টি জনগণের কাছে পরিষ্কার করা। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ টিকার তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত টিকা গ্রহণ করেছেন খুবই কমসংখ্যক মানুষ, ৯৭ শতাংশ মানুষই টিকার বাইরে। তাহলে সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করার পেছনের কারণ কী হতে পারে। এই যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি এখন একেবারেই অবহেলিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না হলে পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যেতে পারে। বর্তমানে দেশের করোনা সংক্রমণের হটস্পট রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে রাজশাহীর সঙ্গে সব রুটের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অন্যদিকে খুলনা বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, যশোর প্রভৃতি এলাকায় করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, গণপরিবহন সবকিছু খোলা আছে। সরকারের পক্ষ থেকে শুরুতেই বলা হয়েছিল, টিকা পাওয়া মানেই করোনা থেকে মুক্তি নয়। টিকার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধিও সবাইকে মানতে হবে। ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের যেমন উদাসীনতা আছে, তেমনি প্রশাসনও অনেকটা উদাসীনতা দেখাচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর