শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

রাজনীতিকদের চুলোচুলি ও জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী

সুমন পালিত
প্রিন্ট ভার্সন
রাজনীতিকদের চুলোচুলি ও জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী

সাহিত্যামোদীদের এক আড্ডায় কথা হচ্ছিল চুল নিয়ে। এক বন্ধু বললেন, জীবনানন্দ দাশ বনলতা সেন কবিতায় তাঁর ‘মানসকন্যা’র চুলের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা বাংলা কবিতার রাজ্যে অমরতা লাভ করেছে। ‘চুল তার কবে কার অন্ধকার বিদিশার নিশা’ এ অনন্য উপমা আর কোনো কবির কবিতায় মেলা ভার। আড্ডা এগোতেই এক বন্ধু ফোড়ন কেটে বললেন, রাজনীতিকদের চুলোচুলি এ ‘কলহপ্রিয় প্রজাতি’র জন্য বারবার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুলোচুলির মতো নিকৃষ্ট বিষয় রাজনীতিতে এনে তারা যে ভুল করেছেন তার খেসারত দিতে হয়েছিল ওয়ান-ইলেভেনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্টান্টবাজির অভিলাষে শক্ত হাতে শুধু চুলোচুলি নয়, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মাথার চুল থেকে দুর্নীতি নামের উকুন মারার কাজও শুরু করে। এ উকুন মারার প্রক্রিয়ায় অনেক রাজনীতিকের রাজনৈতিক জীবন প্রশ্নের মুখে পড়ে।

বলা হয়, চুল সৌন্দর্যের প্রতীক। কারও কারও কাছে যৌবনের প্রতীকও। শক্তির প্রতীক তো বটেই। প্রাচীনকালের বীরদের সবাই ছিলেন দীর্ঘ চুলের অধিকারী। বয়সে নবীন এমন কারও মাথায় যদি শোভা পায় চকচকে টাক তবে তার তারুণ্য কিছুটা হলেও ম্লান মনে হবে। আমাদের রমণীকুলের দীর্ঘ চুলের সুনাম সেই প্রাচীনকাল থেকে। এ দেশের লোকসাহিত্যে নন্দিত হয়েছে কেশবতীরা। ‘কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘবরণ কেশ’- এ গান শোনেনি এমন বাঙালি খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুধু লোককবিদের গানে নয়, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের নারী বন্দনায়ও চুলের শোভা স্থান পেয়েছে অনন্যভাবে। ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে/মুক্ত বেণি পিঠের ‘পরে লোটে- এ গানটি সম্ভবত অনেকেরই প্রিয়। এমনকি বাউল কবিরাও এদিক থেকে পিছিয়ে নেই। পূর্ণদাস বাউলের সেই গানটির কথা ধরা যাক, ‘আমার যেমন বেণি তেমনি রবে চুল ভিজাব না।’

পশ্চিমা লোককাহিনিতেও সুকেশীদের জয়জয়কার। কেশহীন যারা অর্থাৎ মাথার ওপর যাদের চাঁদের মতো জ্বলজ্বলে টাক তাদের অবশ্য হতাশ হওয়ার কিছু নেই। টেকো বা কেশহীনদের দুঃখ নিবারণে রয়েছে পরচুলার ব্যবস্থা। সেই প্রাচীনকালেও সভ্যতার আদিভূমি মিসরে পরচুলা ফ্যাশন বলে বিবেচিত হতো। রাজা, রানী, মন্ত্রী, সভাসদরা পরচুলা ব্যবহার করে রূপের বাহার বাড়াতেন। গ্রিসেও ছিল পরচুলা ব্যবহারের প্রচলন। ইরান থেকে পরচুলা রপ্তানি হতো গ্রিসে।

টাক নিয়ে গর্ববোধ করেন এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। ‘আঙুর ফল টক’- এ তত্ত্বে বিশ্বাসী তারা। বলা হয়, টাক আর টাকার সম্পর্ক নাকি খুবই নিবিড়। ধনীর এক বড় অংশ টেকো- এ ধারণা থেকে ওই তত্ত্বের উদ্ভব। বিজ্ঞানের এ উৎকর্ষতার যুগে টেকোদের জন্য রয়েছে নানা সুখবর। টাকমাথায় চুল গজানোর জন্য রয়েছে হরেক ব্যবস্থা। কিন্তু সেই প্রাচীন যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞান ছিল নিতান্তই আঁতুড়ঘরে। গ্রিক চিকিৎসাবিজ্ঞানী হিপ্পোক্রেটাসের মাথায় ছিল বিশাল এক টাক। তিনি বলতেন, টাক হলো মরদের লক্ষণ। ভাবটা এমন যাদের মাথায় টাক নেই তারা পুরুষই নয়। তাঁর অভিমত, টাকওয়ালা পুরুষই হলো সেরা। টাক সম্পর্কে গ্রিক চিকিৎসাবিজ্ঞানীর এমন গর্বিত উচ্চারণ সত্ত্বেও টেকো হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে চান এমন একজন মানুষ পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ! রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার ছিলেন টেকো। তিনি পরচুলার ওপর মুকুট পরতেন। মুকুটে টাক ঢাকার সুযোগ থাকলেও অতটুকুতে সন্তুষ্ট ছিলেন না এই সাহসী রাজা। সে যুগে রোমান সুন্দরীদের মধ্যেও পরচুলা ব্যবহারের প্রচলন ছিল। যুদ্ধে পরাজিত বিভিন্ন জাতির নারীদের মাথা মু-ন করে সংগ্রহ করা হতো এ চুল। রোমান নারীদের বাহারি কেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকত ভাগ্যহত ভিন জাতির ললনাদের দীর্ঘশ্বাস। চুল বাঙালি নারীর চিরায়ত সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান। সারা দুনিয়ার নিরিখে গড়পড়তা হিসেবে বাঙালি নারীরাই দীর্ঘ চুলের অধিকারী। চুলোচুলির দিক থেকেও আমাদের রমণীকুলের জুড়ি মেলা ভার। গ্রামদেশে ননদ-ভাবির সম্পর্ক যেমন মধুর, তেমন তাদের চুলোচুলির ঘটনাও মশহুর। আমাদের সমাজের একান্নবর্তী পরিবারগুলোয় ফাটল ধরার পেছনে চুলোচুলির অবদান কম নয়। কেউ কেউ বলেন, চুলোচুলির ঘটনাটি নিতান্তই গ্রামীণ এবং শহুরে সংস্কৃতিতে এর কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু রাজধানীর যে কোনো বস্তিতে চুলোচুলির ঘটনা তো নিত্যনৈমিত্তিক। তবে এ প্রবণতা শুধু গ্রাম বা শহুরে বস্তির জায়া-জননী-ভার্যাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের সুশিক্ষিত রমণীকুলও এদিক থেকে কম যান না। ধরা যাক ইডেন কলেজের কথা। দেশের নারী শিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এটি। এ মশহুর কলেজটির ছাত্রীদের চুলোচুলি বহুবার পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হয়ে এসেছে। একদা এ কলেজটিতে দোর্দ- প্রতাপে রাজত্ব করতেন খান উপাধিধারী এক ছাত্রনেত্রী। চুলোচুলিতে তার ছিল দারুণ উৎসাহ। চুলের সঙ্গে ‘চুলচেরা বিচার’ কথাটির সম্পর্ক কি নিছক কাকতালীয়? আমাদের বিচারকরা নাকি দীর্ঘ চুলের অধিকারী। এ ক্ষেত্রে মাথার শোভাবর্ধনে ভূমিকা রেখেছে বিচারকদের জন্য নির্ধারিত ‘উইগ’ বা পরচুলা। ব্রিটিশ আমলে মহামান্য বিচারকদের জন্য যে পোশাক নির্ধারণ করা হয় উইগ তার অপরিহার্য অনুষঙ্গ। বলা হয়, পরচুলা নাকি এ ক্ষেত্রে পেশার স্বাতন্ত্র্য ও আভিজাত্যের দ্যোতক। ব্রিটিশরা বিচারকদের জন্য পরচুলাযুক্ত পোশাক কেন নির্ধারণ করেছিলেন তা নিয়েও বিতর্ক কম নয়। অনেকে বলেন, শুধু পেশার স্বাতন্ত্র্য বা আভিজাত্য ফুটিয়ে তোলা নয়, অপরাধীদের মনে ভয় ঢোকানোর উদ্দেশ্যও এতে ক্রিয়াশীল। ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের গার্ডদের টুপিও পরচুলাযুক্ত। অপরাধী বা অনাহূতরা যাতে ভয় পায় তার জন্যই নাকি এ আয়োজন। আমাদের দেশে চুলের আলাদা মাহাত্ম্য সেই প্রাচীনকাল থেকেই স্বীকৃত। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ব্রাহ্মণদের আভিজাত্য আকাশছোঁয়া। এ দেবপুত্রদের চেনার প্রধান উপায় তাদের মাথার টিকি। টিকি নামে অভিহিত এ চুল শুধু আভিজাত্য নয়, মর্যাদার প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত। চুলের সঙ্গে ধর্ম ও আধ্যাত্মিক জগতের সম্পর্কও নাকি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন বাবরি চুলের অধিকারী। শ্মশ্রুমন্ডিত এই মহাপুরুষের চেহারায় ছিল অদ্ভুত এক সম্মোহনশক্তি। যা মানুষকে অনায়াসে আপন করে নিতে পারত। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্টও ছিলেন দীর্ঘ চুল ও শ্মশ্রুমন্ডিত। হিন্দুধর্মের প্রবর্তক হিসেবে অসংখ্য মুনি-ঋষির কথা বলতে হয়। তারাও ছিলেন দীর্ঘ চুলের অধিকারী। শিখধর্মের প্রবর্তক গুরুনানক চুল-দাড়িকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ভাবতেন। শিখ পুরুষরা চুল-দাড়ি কাটাকে অপরাধ বলেই ভাবেন।

সেই প্রাচীন যুগ থেকেই চুলকে ভাবা হয় শক্তির প্রতীক হিসেবে। দেবতাদের কাছে প্রাণের মতোই শ্রেষ্ঠ এক অর্ঘ্য মাথার চুল। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন মন্দিরে অর্ঘ্য হিসেবে নিবেদন করা হয় ভক্তের চুল। বাইবেলে বর্ণিত অমর প্রেম কাহিনি নিয়ে বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে হলিউডে নির্মিত হয় ‘স্যামসন অ্যান্ড ডেলায়লা’ নামের বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র। এ ছবির নায়ক স্যামসনের লম্বা চুল ছিল তার অপরাজেয় ক্ষমতার উৎস। এ ক্ষমতাবলে তিনি পরাভূত করেন প্যালেস্টাইনের এক অত্যাচারী রাজাকে। স্যামসন খালি হাতে সিংহ বধ করার মতো শক্তিশালী ছিলেন। যারা এ ছবিটি দেখেছেন তাদের মানসপটে দৃশ্যগুলো গেঁথে থাকার কথা। ধর্মের সঙ্গে মার্কসীয় চিন্তার দ্বন্দ্ব বহু পুরনো। কার্ল মার্কস ধর্মকে তুলনা করেছেন আফিমের সঙ্গে। মানুষকে এ নেশামুক্ত করার সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন এই খ্যাতনামা দার্শনিক। ধর্মের সঙ্গে মার্কসীয় দর্শনের চুলোচুলির সম্পর্ক থাকলেও চুলপ্রীতির দিক থেকে মার্কসবাদীরাও মনে হয় অভিন্ন। সমাজতান্ত্রিক মতবাদের দুই তাত্ত্বিক পুরুষ কার্ল মার্কস ও অ্যাঙ্গেলস ছিলেন বাহারি চুলের অধিকারী। দুজনই শ্মশ্রুমন্ডিত। দুনিয়ার প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ভøাদিমির ইলিচ লেনিনও ছিলেন চুল পারিপাট্যের জন্য খ্যাত। তাঁর বিশেষ স্টাইলের দাড়িও সমর্থকদের মধ্যে সম্মোহন সৃষ্টি করত। লেনিনের মৃত্যুর পর তাঁর লাশ মমি করে রাখা হয়। কাচের বাক্সে রাখা সে লাশ দেখলে মনে হবে কমরেড লেনিন যেন কাজ শেষে বিশ্রাম নিচ্ছেন। মমি অবস্থায় তাঁর চুল-দাড়ি যাতে অক্ষুণœœ থাকে সেজন্য প্রতি সপ্তাহেই নেওয়া হয় বিশেষ পরিচর্যা।

লাতিন আমেরিকার বিপ্লবী চে গুয়েভারার নাম দুনিয়ার লাখ লাখ মানুষের কাছে পরিচিত। চে গুয়েভারা ছিলেন আর্জেন্টিনার অধিবাসী। পেশায় ডাক্তার। মার্কসবাদের দীক্ষা নেওয়ার পর নিজেকে তিনি উৎসর্গ করেন শোষণমুক্তির সংগ্রামে। কিউবার বিপ্লবে অসামান্য অবদান রাখেন এই ভিনদেশি বিপ্লবী। বিপ্লবের পর ফিদেল কাস্ত্রোর সরকারে তিনি অর্থমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন। সে দেশের মুদ্রায় ছিল চে গুয়েভারার স্বাক্ষর। মন্ত্রী অবস্থায় চে কিউবা ত্যাগ করেন বলিভিয়ার বিপ্লবী আন্দোলনের ডাকে। সে দেশে গিয়ে শুরু করেন গেরিলা যুদ্ধ। মার্কিন তাঁবেদার সরকারের সামরিক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এই বিপ্লবী নেতা। তাঁকে আটক অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর চের চরিত্র হননেরও অপপ্রচার চলে। কিন্তু বলিভিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে চে এখনো একটি প্রিয় নাম। এমনকি ধার্মিক মানুষের কাছেও। চে ছিলেন দীর্ঘ চুল আর শ্মশ্রুমন্ডিত। অনেকটা খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্টের মতো। মানুষের মুক্তির জন্য যিশু যেমন প্রাণ হারিয়েছেন চে গুয়েভারাকেও সেভাবে মূল্যায়ন করেন বলিভিয়ার ধার্মিক মানুষ।

কিউবান বিপ্লবের নেতা ফিদেল কাস্ত্রোও ছিলেন দীর্ঘ চুল ও শ্মশ্রুমন্ডিত মুখাবয়বের অধিকারী। সারা দুনিয়ার লাখ লাখ বিপ্লবীর চোখে সত্যিকারের বীর হিসেবে স্বীকৃত এই কিউবান নেতা। পরাশক্তি বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের অপছন্দনীয় ব্যক্তিদের তালিকায় ফিদেল কাস্ত্রোর নাম ছিল শীর্ষস্থানে। কাস্ত্রোর নেতৃত্বে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে তাঁবেদার বাতিস্তা সরকারকে উৎখাত করা হয়। ওয়াশিংটন তাদের নাকের ডগায় একটি সমাজতান্ত্রিক দেশের অভ্যুদয়  কখনো মেনে নেয়নি। কাস্ত্রোর পতনের জন্য তারা শুরুতেই নৌসেনা পাঠায়। কিন্তু নৌসেনারা পরাজিত হয় কিউবান বিপ্লবীদের হাতে। ইতিমধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়া এগিয়ে আসে কিউবার সমর্থনে। প্রয়োজন হলে কিউবা রক্ষায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দেন তৎকালীন রুশ নেতা নিকোলাই ক্রুশ্চেভ। ক্রুশ্চেভের এ হুমকিতে কাজ হয়। গোঁফ নামায় আমেরিকা। কিন্তু তারা কাস্ত্রোকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র থেকে কখনো সরে আসেনি। কিউবায় মার্কিন ষড়যন্ত্র সফল করার পথে প্রধান বাধা বলে তারা ভাবত ফিদেল কাস্ত্রোকে। শ্মশ্রুমন্ডিত এই নেতা কিউবানবাসীর কাছে বিপ্লব ও সাহসের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। আর তাই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর টার্গেটে পরিণত হয় তার চুল-দাড়ি। তারা কাস্ত্রোর চুল-দাড়ি নষ্ট করতে শত শত কোটি ডলার ব্যয়ও করে। খাবার পানীয় বা হাভানা চুরুটে বিষ মিশিয়ে তাঁকে শ্মশ্রুহীন করার চেষ্টাও চলে। কিন্তু সেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয় কিউবানদের সতর্কতায়।

চুল যেহেতু সৌন্দর্য ও ভাবমূর্তির অন্যতম বাহন সেহেতু কেশ পরিচর্যার গুরুত্ব অপরিসীম। অভিনেতা, অভিনেত্রী, মডেলরা যেমন বিষয়টি অগ্রাধিকারের চোখে দেখেন তেমন দেখেন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও। রাষ্ট্রনেতাদের জন্যও বিষয়টি বিশেষ মনোযোগের দাবিদার। পঞ্চাশের দশকে কলকাতার সিনেমা নায়ক উত্তমকুমার ও ষাটের দশকে ঢাকার সিনেমা নায়ক রহমান এবং লাহোরের ওয়াহিদ মুরাদের চুলের স্টাইল ছিল যুবকদের অনুকরণীয়। আর প্রিন্সেস ডায়ানার চুলের স্টাইল যে দুনিয়ার লাখ লাখ তরুণীর হৃদয় কেড়েছে সে তথ্য কার না জানা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কেশ পরিচর্যায় অবিশ্বাস্যরকম অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যখন তালেবানবিরোধী অভিযান চলে তখন প্রেসিডেন্ট বুশের কেশ পরিচর্যাকারী ছিলেন একজন আফগান রমণী। আমাদের জাতীয় নেতাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর চুলের স্টাইলের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শত ব্যস্ততার মধ্যেও কেশ পরিচর্যায় সময় দিতেন। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, দুনিয়ার একজন নামি রাষ্ট্রপ্রধানের পেশাই ছিল কেশ পরিচর্যাকারী হিসেবে। নামিবিয়ার রাষ্ট্রপিতা ও প্রেসিডেন্ট শ্যাম নাজোমো একসময় ছিলেন নাপিত বা নরসুন্দর। সেখান থেকে তিনি যোগ দেন দেশের মুক্তিসংগ্রামে। ঔপনিবেশিক প্রভুদের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে শুরু করেন লড়াই। যে লড়াই সারা দুনিয়ায় নন্দিত হয়। শ্যাম নাজোমোর কাছে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয় দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন শ্বেতাঙ্গ সরকার। তারা মেনে নেয় এ দেশটির স্বাধীনতা।

আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা শপথ নিয়েছিলেন চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তারা চুল-দাড়ি কাটবেন না। বাবরি চুল আর শ্মশ্রুমন্ডিত মুখ মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতিতে পরিণত হয়েছিল। দুজন খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ও মেজর জলিলকে তাদের দীর্ঘ চুল ও দাড়ি ছাড়া ভাবা অসম্ভব মনে হতো। স্বাধীনতার পর গঠিত নতুন প্রজন্মের বিপ্লবীদের দল জাসদ নেতা-কর্মীদের দীর্ঘ চুল ছিল লক্ষ্য করার মতো। এ দলের তাত্ত্বিক নেতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম রূপকার সিরাজুল আলম খানও সুপরিচিত তাঁর দীর্ঘ চুল ও দাড়ির জন্য। রাজনীতির এই রহস্যপুরুষের চুল-দাড়ি যেন তাঁকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হিসেবে তুলে ধরেছে। বাংলা ভাষার দুজন শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন দীর্ঘ চুল ও শ্মশ্রুধারী। জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের বাবরি চুল ছিল বিদ্রোহ আর তারুণ্যের প্রতীক।

চুল মাহাত্ম্যের এ লেখাটি শেষ করছি এক সহকর্মীর কাছে শোনা চুটকি দিয়ে। শহরের এক ধনাঢ্য ব্যক্তি তার একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে গেলেন এক জ্যোতিষীর কাছে। উদ্দেশ্য একমাত্র সন্তান বড় হলে কী হবে তা যাচাই করে দেখা। জ্যোতিষী ধনাঢ্য ব্যক্তিটির অভিলাষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। তারপর তাকে নিয়ে গেলেন ভিতরের রুমে। সেখানে টেবিলের ওপর ছিল একটি ধর্মগ্রন্থ, পরচুলা আর বোতলভর্তি মদ। ধনাঢ্য ব্যক্তিকে তিনি বললেন, আপনার ছেলেকে এখানে ডাকুন। এ টেবিল থেকে যেটি ওর পছন্দ হয় বেছে নিতে বলুন। ও যদি ধর্মগ্রন্থ পছন্দ করে বুঝতে হবে ভবিষ্যতে সে ধার্মিক হবে। আর যদি পছন্দ করে পরচুলা ভাববেন ও বড় হলে হয় অভিনেতা নতুবা বিচারক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবে। আর যদি হাতে তুলে নেয় মদের বোতল তবে বুঝতে হবে বড় হলে ও হবে নির্ঘাত মাতাল। এরপর ছেলেকে ডাকা হলো পাশের ঘর থেকে। বলা হলো টেবিলের ওপর রাখা তিনটি জিনিসের যে কোনো একটি পছন্দ করে নিতে। ছেলেটি বাবার নির্দেশ পেতেই প্রথমেই হাত দিল পরচুলায়। তারপর সেটি ধীরেসুস্থে মাথায় পরে ধর্মগ্রন্থটি রাখল ডান বগলে। তারপর মদের বোতলটি বাঁ বগলে রেখে বলল তিনটি জিনিসই সে নিতে চায়। ছেলের কান্ড দেখে তো বাবার চক্ষু চড়কগাছ। তিনি উৎকণ্ঠিত হয়ে জ্যোতিষীকে জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে আমার ছেলে ভবিষ্যতে কী হবে? জ্যোতিষী বললেন, কোনো চিন্তা নেই ও হবে একজন ডাকসাইটে রাজনীতিবিদ।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

ই-মেইল :[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
সর্বশেষ খবর
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

২৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

২৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

২৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’
‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই মার্কিন নাগরিক ২ দিনের রিমান্ডে
সেই মার্কিন নাগরিক ২ দিনের রিমান্ডে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী পিচ্চি আকাশ সহযোগীসহ গ্রেফতার
তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী পিচ্চি আকাশ সহযোগীসহ গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোহাম্মদপুর-আদাবরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২৭
মোহাম্মদপুর-আদাবরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২৭

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতিসংঘের ৮০তম সভায় যোগ দিতে ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতিসংঘের ৮০তম সভায় যোগ দিতে ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিরাজগঞ্জে বাড়ছে যমুনার পানি
সিরাজগঞ্জে বাড়ছে যমুনার পানি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে শিশুকে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামে শিশুকে হত্যার অভিযোগ

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশব্যাপী পলিথিন, শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণবিরোধী অভিযান
দেশব্যাপী পলিথিন, শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণবিরোধী অভিযান

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় খুবির শোক
সাজেকে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় খুবির শোক

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শিগগিরই যোগদান করছেন সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসক
শিগগিরই যোগদান করছেন সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেকনাফে অস্ত্রসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক
টেকনাফে অস্ত্রসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর

নগর জীবন

রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি
রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এটি সরকারি স্কুল!
এটি সরকারি স্কুল!

নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা
বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা

নগর জীবন

চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা
চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা
মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা

নগর জীবন

বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে
বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না
নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না

প্রথম পৃষ্ঠা

বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা
বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যতিক্রমী ইকোসিস্টেম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায়
ব্যতিক্রমী ইকোসিস্টেম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায়

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা
সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২
কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২

দেশগ্রাম

ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন

সম্পাদকীয়

সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

পূর্ব-পশ্চিম

অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আফজাল হোসেনের যাপিত জীবন
আফজাল হোসেনের যাপিত জীবন

শোবিজ

রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ
রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ

দেশগ্রাম

সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ
এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ

নগর জীবন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ

নগর জীবন

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

নগর জীবন

মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা
মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা

পূর্ব-পশ্চিম

তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত
তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত

নগর জীবন

জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার

নগর জীবন

দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক
দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক

নগর জীবন

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮
গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮

পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক
শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক

নগর জীবন