শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

রাজনীতিকদের চুলোচুলি ও জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী

সুমন পালিত
প্রিন্ট ভার্সন
রাজনীতিকদের চুলোচুলি ও জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী

সাহিত্যামোদীদের এক আড্ডায় কথা হচ্ছিল চুল নিয়ে। এক বন্ধু বললেন, জীবনানন্দ দাশ বনলতা সেন কবিতায় তাঁর ‘মানসকন্যা’র চুলের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা বাংলা কবিতার রাজ্যে অমরতা লাভ করেছে। ‘চুল তার কবে কার অন্ধকার বিদিশার নিশা’ এ অনন্য উপমা আর কোনো কবির কবিতায় মেলা ভার। আড্ডা এগোতেই এক বন্ধু ফোড়ন কেটে বললেন, রাজনীতিকদের চুলোচুলি এ ‘কলহপ্রিয় প্রজাতি’র জন্য বারবার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুলোচুলির মতো নিকৃষ্ট বিষয় রাজনীতিতে এনে তারা যে ভুল করেছেন তার খেসারত দিতে হয়েছিল ওয়ান-ইলেভেনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্টান্টবাজির অভিলাষে শক্ত হাতে শুধু চুলোচুলি নয়, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের মাথার চুল থেকে দুর্নীতি নামের উকুন মারার কাজও শুরু করে। এ উকুন মারার প্রক্রিয়ায় অনেক রাজনীতিকের রাজনৈতিক জীবন প্রশ্নের মুখে পড়ে।

বলা হয়, চুল সৌন্দর্যের প্রতীক। কারও কারও কাছে যৌবনের প্রতীকও। শক্তির প্রতীক তো বটেই। প্রাচীনকালের বীরদের সবাই ছিলেন দীর্ঘ চুলের অধিকারী। বয়সে নবীন এমন কারও মাথায় যদি শোভা পায় চকচকে টাক তবে তার তারুণ্য কিছুটা হলেও ম্লান মনে হবে। আমাদের রমণীকুলের দীর্ঘ চুলের সুনাম সেই প্রাচীনকাল থেকে। এ দেশের লোকসাহিত্যে নন্দিত হয়েছে কেশবতীরা। ‘কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘবরণ কেশ’- এ গান শোনেনি এমন বাঙালি খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। শুধু লোককবিদের গানে নয়, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের নারী বন্দনায়ও চুলের শোভা স্থান পেয়েছে অনন্যভাবে। ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে/মুক্ত বেণি পিঠের ‘পরে লোটে- এ গানটি সম্ভবত অনেকেরই প্রিয়। এমনকি বাউল কবিরাও এদিক থেকে পিছিয়ে নেই। পূর্ণদাস বাউলের সেই গানটির কথা ধরা যাক, ‘আমার যেমন বেণি তেমনি রবে চুল ভিজাব না।’

পশ্চিমা লোককাহিনিতেও সুকেশীদের জয়জয়কার। কেশহীন যারা অর্থাৎ মাথার ওপর যাদের চাঁদের মতো জ্বলজ্বলে টাক তাদের অবশ্য হতাশ হওয়ার কিছু নেই। টেকো বা কেশহীনদের দুঃখ নিবারণে রয়েছে পরচুলার ব্যবস্থা। সেই প্রাচীনকালেও সভ্যতার আদিভূমি মিসরে পরচুলা ফ্যাশন বলে বিবেচিত হতো। রাজা, রানী, মন্ত্রী, সভাসদরা পরচুলা ব্যবহার করে রূপের বাহার বাড়াতেন। গ্রিসেও ছিল পরচুলা ব্যবহারের প্রচলন। ইরান থেকে পরচুলা রপ্তানি হতো গ্রিসে।

টাক নিয়ে গর্ববোধ করেন এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। ‘আঙুর ফল টক’- এ তত্ত্বে বিশ্বাসী তারা। বলা হয়, টাক আর টাকার সম্পর্ক নাকি খুবই নিবিড়। ধনীর এক বড় অংশ টেকো- এ ধারণা থেকে ওই তত্ত্বের উদ্ভব। বিজ্ঞানের এ উৎকর্ষতার যুগে টেকোদের জন্য রয়েছে নানা সুখবর। টাকমাথায় চুল গজানোর জন্য রয়েছে হরেক ব্যবস্থা। কিন্তু সেই প্রাচীন যুগে চিকিৎসাবিজ্ঞান ছিল নিতান্তই আঁতুড়ঘরে। গ্রিক চিকিৎসাবিজ্ঞানী হিপ্পোক্রেটাসের মাথায় ছিল বিশাল এক টাক। তিনি বলতেন, টাক হলো মরদের লক্ষণ। ভাবটা এমন যাদের মাথায় টাক নেই তারা পুরুষই নয়। তাঁর অভিমত, টাকওয়ালা পুরুষই হলো সেরা। টাক সম্পর্কে গ্রিক চিকিৎসাবিজ্ঞানীর এমন গর্বিত উচ্চারণ সত্ত্বেও টেকো হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে চান এমন একজন মানুষ পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ! রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজার ছিলেন টেকো। তিনি পরচুলার ওপর মুকুট পরতেন। মুকুটে টাক ঢাকার সুযোগ থাকলেও অতটুকুতে সন্তুষ্ট ছিলেন না এই সাহসী রাজা। সে যুগে রোমান সুন্দরীদের মধ্যেও পরচুলা ব্যবহারের প্রচলন ছিল। যুদ্ধে পরাজিত বিভিন্ন জাতির নারীদের মাথা মু-ন করে সংগ্রহ করা হতো এ চুল। রোমান নারীদের বাহারি কেশের মধ্যে লুকিয়ে থাকত ভাগ্যহত ভিন জাতির ললনাদের দীর্ঘশ্বাস। চুল বাঙালি নারীর চিরায়ত সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান। সারা দুনিয়ার নিরিখে গড়পড়তা হিসেবে বাঙালি নারীরাই দীর্ঘ চুলের অধিকারী। চুলোচুলির দিক থেকেও আমাদের রমণীকুলের জুড়ি মেলা ভার। গ্রামদেশে ননদ-ভাবির সম্পর্ক যেমন মধুর, তেমন তাদের চুলোচুলির ঘটনাও মশহুর। আমাদের সমাজের একান্নবর্তী পরিবারগুলোয় ফাটল ধরার পেছনে চুলোচুলির অবদান কম নয়। কেউ কেউ বলেন, চুলোচুলির ঘটনাটি নিতান্তই গ্রামীণ এবং শহুরে সংস্কৃতিতে এর কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু রাজধানীর যে কোনো বস্তিতে চুলোচুলির ঘটনা তো নিত্যনৈমিত্তিক। তবে এ প্রবণতা শুধু গ্রাম বা শহুরে বস্তির জায়া-জননী-ভার্যাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের সুশিক্ষিত রমণীকুলও এদিক থেকে কম যান না। ধরা যাক ইডেন কলেজের কথা। দেশের নারী শিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এটি। এ মশহুর কলেজটির ছাত্রীদের চুলোচুলি বহুবার পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হয়ে এসেছে। একদা এ কলেজটিতে দোর্দ- প্রতাপে রাজত্ব করতেন খান উপাধিধারী এক ছাত্রনেত্রী। চুলোচুলিতে তার ছিল দারুণ উৎসাহ। চুলের সঙ্গে ‘চুলচেরা বিচার’ কথাটির সম্পর্ক কি নিছক কাকতালীয়? আমাদের বিচারকরা নাকি দীর্ঘ চুলের অধিকারী। এ ক্ষেত্রে মাথার শোভাবর্ধনে ভূমিকা রেখেছে বিচারকদের জন্য নির্ধারিত ‘উইগ’ বা পরচুলা। ব্রিটিশ আমলে মহামান্য বিচারকদের জন্য যে পোশাক নির্ধারণ করা হয় উইগ তার অপরিহার্য অনুষঙ্গ। বলা হয়, পরচুলা নাকি এ ক্ষেত্রে পেশার স্বাতন্ত্র্য ও আভিজাত্যের দ্যোতক। ব্রিটিশরা বিচারকদের জন্য পরচুলাযুক্ত পোশাক কেন নির্ধারণ করেছিলেন তা নিয়েও বিতর্ক কম নয়। অনেকে বলেন, শুধু পেশার স্বাতন্ত্র্য বা আভিজাত্য ফুটিয়ে তোলা নয়, অপরাধীদের মনে ভয় ঢোকানোর উদ্দেশ্যও এতে ক্রিয়াশীল। ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের গার্ডদের টুপিও পরচুলাযুক্ত। অপরাধী বা অনাহূতরা যাতে ভয় পায় তার জন্যই নাকি এ আয়োজন। আমাদের দেশে চুলের আলাদা মাহাত্ম্য সেই প্রাচীনকাল থেকেই স্বীকৃত। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ব্রাহ্মণদের আভিজাত্য আকাশছোঁয়া। এ দেবপুত্রদের চেনার প্রধান উপায় তাদের মাথার টিকি। টিকি নামে অভিহিত এ চুল শুধু আভিজাত্য নয়, মর্যাদার প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত। চুলের সঙ্গে ধর্ম ও আধ্যাত্মিক জগতের সম্পর্কও নাকি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন বাবরি চুলের অধিকারী। শ্মশ্রুমন্ডিত এই মহাপুরুষের চেহারায় ছিল অদ্ভুত এক সম্মোহনশক্তি। যা মানুষকে অনায়াসে আপন করে নিতে পারত। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্টও ছিলেন দীর্ঘ চুল ও শ্মশ্রুমন্ডিত। হিন্দুধর্মের প্রবর্তক হিসেবে অসংখ্য মুনি-ঋষির কথা বলতে হয়। তারাও ছিলেন দীর্ঘ চুলের অধিকারী। শিখধর্মের প্রবর্তক গুরুনানক চুল-দাড়িকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ভাবতেন। শিখ পুরুষরা চুল-দাড়ি কাটাকে অপরাধ বলেই ভাবেন।

সেই প্রাচীন যুগ থেকেই চুলকে ভাবা হয় শক্তির প্রতীক হিসেবে। দেবতাদের কাছে প্রাণের মতোই শ্রেষ্ঠ এক অর্ঘ্য মাথার চুল। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন মন্দিরে অর্ঘ্য হিসেবে নিবেদন করা হয় ভক্তের চুল। বাইবেলে বর্ণিত অমর প্রেম কাহিনি নিয়ে বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে হলিউডে নির্মিত হয় ‘স্যামসন অ্যান্ড ডেলায়লা’ নামের বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র। এ ছবির নায়ক স্যামসনের লম্বা চুল ছিল তার অপরাজেয় ক্ষমতার উৎস। এ ক্ষমতাবলে তিনি পরাভূত করেন প্যালেস্টাইনের এক অত্যাচারী রাজাকে। স্যামসন খালি হাতে সিংহ বধ করার মতো শক্তিশালী ছিলেন। যারা এ ছবিটি দেখেছেন তাদের মানসপটে দৃশ্যগুলো গেঁথে থাকার কথা। ধর্মের সঙ্গে মার্কসীয় চিন্তার দ্বন্দ্ব বহু পুরনো। কার্ল মার্কস ধর্মকে তুলনা করেছেন আফিমের সঙ্গে। মানুষকে এ নেশামুক্ত করার সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন এই খ্যাতনামা দার্শনিক। ধর্মের সঙ্গে মার্কসীয় দর্শনের চুলোচুলির সম্পর্ক থাকলেও চুলপ্রীতির দিক থেকে মার্কসবাদীরাও মনে হয় অভিন্ন। সমাজতান্ত্রিক মতবাদের দুই তাত্ত্বিক পুরুষ কার্ল মার্কস ও অ্যাঙ্গেলস ছিলেন বাহারি চুলের অধিকারী। দুজনই শ্মশ্রুমন্ডিত। দুনিয়ার প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ভøাদিমির ইলিচ লেনিনও ছিলেন চুল পারিপাট্যের জন্য খ্যাত। তাঁর বিশেষ স্টাইলের দাড়িও সমর্থকদের মধ্যে সম্মোহন সৃষ্টি করত। লেনিনের মৃত্যুর পর তাঁর লাশ মমি করে রাখা হয়। কাচের বাক্সে রাখা সে লাশ দেখলে মনে হবে কমরেড লেনিন যেন কাজ শেষে বিশ্রাম নিচ্ছেন। মমি অবস্থায় তাঁর চুল-দাড়ি যাতে অক্ষুণœœ থাকে সেজন্য প্রতি সপ্তাহেই নেওয়া হয় বিশেষ পরিচর্যা।

লাতিন আমেরিকার বিপ্লবী চে গুয়েভারার নাম দুনিয়ার লাখ লাখ মানুষের কাছে পরিচিত। চে গুয়েভারা ছিলেন আর্জেন্টিনার অধিবাসী। পেশায় ডাক্তার। মার্কসবাদের দীক্ষা নেওয়ার পর নিজেকে তিনি উৎসর্গ করেন শোষণমুক্তির সংগ্রামে। কিউবার বিপ্লবে অসামান্য অবদান রাখেন এই ভিনদেশি বিপ্লবী। বিপ্লবের পর ফিদেল কাস্ত্রোর সরকারে তিনি অর্থমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন। সে দেশের মুদ্রায় ছিল চে গুয়েভারার স্বাক্ষর। মন্ত্রী অবস্থায় চে কিউবা ত্যাগ করেন বলিভিয়ার বিপ্লবী আন্দোলনের ডাকে। সে দেশে গিয়ে শুরু করেন গেরিলা যুদ্ধ। মার্কিন তাঁবেদার সরকারের সামরিক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এই বিপ্লবী নেতা। তাঁকে আটক অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর চের চরিত্র হননেরও অপপ্রচার চলে। কিন্তু বলিভিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে চে এখনো একটি প্রিয় নাম। এমনকি ধার্মিক মানুষের কাছেও। চে ছিলেন দীর্ঘ চুল আর শ্মশ্রুমন্ডিত। অনেকটা খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্টের মতো। মানুষের মুক্তির জন্য যিশু যেমন প্রাণ হারিয়েছেন চে গুয়েভারাকেও সেভাবে মূল্যায়ন করেন বলিভিয়ার ধার্মিক মানুষ।

কিউবান বিপ্লবের নেতা ফিদেল কাস্ত্রোও ছিলেন দীর্ঘ চুল ও শ্মশ্রুমন্ডিত মুখাবয়বের অধিকারী। সারা দুনিয়ার লাখ লাখ বিপ্লবীর চোখে সত্যিকারের বীর হিসেবে স্বীকৃত এই কিউবান নেতা। পরাশক্তি বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের অপছন্দনীয় ব্যক্তিদের তালিকায় ফিদেল কাস্ত্রোর নাম ছিল শীর্ষস্থানে। কাস্ত্রোর নেতৃত্বে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে তাঁবেদার বাতিস্তা সরকারকে উৎখাত করা হয়। ওয়াশিংটন তাদের নাকের ডগায় একটি সমাজতান্ত্রিক দেশের অভ্যুদয়  কখনো মেনে নেয়নি। কাস্ত্রোর পতনের জন্য তারা শুরুতেই নৌসেনা পাঠায়। কিন্তু নৌসেনারা পরাজিত হয় কিউবান বিপ্লবীদের হাতে। ইতিমধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন বা রাশিয়া এগিয়ে আসে কিউবার সমর্থনে। প্রয়োজন হলে কিউবা রক্ষায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দেন তৎকালীন রুশ নেতা নিকোলাই ক্রুশ্চেভ। ক্রুশ্চেভের এ হুমকিতে কাজ হয়। গোঁফ নামায় আমেরিকা। কিন্তু তারা কাস্ত্রোকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র থেকে কখনো সরে আসেনি। কিউবায় মার্কিন ষড়যন্ত্র সফল করার পথে প্রধান বাধা বলে তারা ভাবত ফিদেল কাস্ত্রোকে। শ্মশ্রুমন্ডিত এই নেতা কিউবানবাসীর কাছে বিপ্লব ও সাহসের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। আর তাই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর টার্গেটে পরিণত হয় তার চুল-দাড়ি। তারা কাস্ত্রোর চুল-দাড়ি নষ্ট করতে শত শত কোটি ডলার ব্যয়ও করে। খাবার পানীয় বা হাভানা চুরুটে বিষ মিশিয়ে তাঁকে শ্মশ্রুহীন করার চেষ্টাও চলে। কিন্তু সেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয় কিউবানদের সতর্কতায়।

চুল যেহেতু সৌন্দর্য ও ভাবমূর্তির অন্যতম বাহন সেহেতু কেশ পরিচর্যার গুরুত্ব অপরিসীম। অভিনেতা, অভিনেত্রী, মডেলরা যেমন বিষয়টি অগ্রাধিকারের চোখে দেখেন তেমন দেখেন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও। রাষ্ট্রনেতাদের জন্যও বিষয়টি বিশেষ মনোযোগের দাবিদার। পঞ্চাশের দশকে কলকাতার সিনেমা নায়ক উত্তমকুমার ও ষাটের দশকে ঢাকার সিনেমা নায়ক রহমান এবং লাহোরের ওয়াহিদ মুরাদের চুলের স্টাইল ছিল যুবকদের অনুকরণীয়। আর প্রিন্সেস ডায়ানার চুলের স্টাইল যে দুনিয়ার লাখ লাখ তরুণীর হৃদয় কেড়েছে সে তথ্য কার না জানা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কেশ পরিচর্যায় অবিশ্বাস্যরকম অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যখন তালেবানবিরোধী অভিযান চলে তখন প্রেসিডেন্ট বুশের কেশ পরিচর্যাকারী ছিলেন একজন আফগান রমণী। আমাদের জাতীয় নেতাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর চুলের স্টাইলের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শত ব্যস্ততার মধ্যেও কেশ পরিচর্যায় সময় দিতেন। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, দুনিয়ার একজন নামি রাষ্ট্রপ্রধানের পেশাই ছিল কেশ পরিচর্যাকারী হিসেবে। নামিবিয়ার রাষ্ট্রপিতা ও প্রেসিডেন্ট শ্যাম নাজোমো একসময় ছিলেন নাপিত বা নরসুন্দর। সেখান থেকে তিনি যোগ দেন দেশের মুক্তিসংগ্রামে। ঔপনিবেশিক প্রভুদের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে শুরু করেন লড়াই। যে লড়াই সারা দুনিয়ায় নন্দিত হয়। শ্যাম নাজোমোর কাছে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয় দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন শ্বেতাঙ্গ সরকার। তারা মেনে নেয় এ দেশটির স্বাধীনতা।

আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা শপথ নিয়েছিলেন চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তারা চুল-দাড়ি কাটবেন না। বাবরি চুল আর শ্মশ্রুমন্ডিত মুখ মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতিতে পরিণত হয়েছিল। দুজন খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ও মেজর জলিলকে তাদের দীর্ঘ চুল ও দাড়ি ছাড়া ভাবা অসম্ভব মনে হতো। স্বাধীনতার পর গঠিত নতুন প্রজন্মের বিপ্লবীদের দল জাসদ নেতা-কর্মীদের দীর্ঘ চুল ছিল লক্ষ্য করার মতো। এ দলের তাত্ত্বিক নেতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম রূপকার সিরাজুল আলম খানও সুপরিচিত তাঁর দীর্ঘ চুল ও দাড়ির জন্য। রাজনীতির এই রহস্যপুরুষের চুল-দাড়ি যেন তাঁকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হিসেবে তুলে ধরেছে। বাংলা ভাষার দুজন শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন দীর্ঘ চুল ও শ্মশ্রুধারী। জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের বাবরি চুল ছিল বিদ্রোহ আর তারুণ্যের প্রতীক।

চুল মাহাত্ম্যের এ লেখাটি শেষ করছি এক সহকর্মীর কাছে শোনা চুটকি দিয়ে। শহরের এক ধনাঢ্য ব্যক্তি তার একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে গেলেন এক জ্যোতিষীর কাছে। উদ্দেশ্য একমাত্র সন্তান বড় হলে কী হবে তা যাচাই করে দেখা। জ্যোতিষী ধনাঢ্য ব্যক্তিটির অভিলাষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। তারপর তাকে নিয়ে গেলেন ভিতরের রুমে। সেখানে টেবিলের ওপর ছিল একটি ধর্মগ্রন্থ, পরচুলা আর বোতলভর্তি মদ। ধনাঢ্য ব্যক্তিকে তিনি বললেন, আপনার ছেলেকে এখানে ডাকুন। এ টেবিল থেকে যেটি ওর পছন্দ হয় বেছে নিতে বলুন। ও যদি ধর্মগ্রন্থ পছন্দ করে বুঝতে হবে ভবিষ্যতে সে ধার্মিক হবে। আর যদি পছন্দ করে পরচুলা ভাববেন ও বড় হলে হয় অভিনেতা নতুবা বিচারক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবে। আর যদি হাতে তুলে নেয় মদের বোতল তবে বুঝতে হবে বড় হলে ও হবে নির্ঘাত মাতাল। এরপর ছেলেকে ডাকা হলো পাশের ঘর থেকে। বলা হলো টেবিলের ওপর রাখা তিনটি জিনিসের যে কোনো একটি পছন্দ করে নিতে। ছেলেটি বাবার নির্দেশ পেতেই প্রথমেই হাত দিল পরচুলায়। তারপর সেটি ধীরেসুস্থে মাথায় পরে ধর্মগ্রন্থটি রাখল ডান বগলে। তারপর মদের বোতলটি বাঁ বগলে রেখে বলল তিনটি জিনিসই সে নিতে চায়। ছেলের কান্ড দেখে তো বাবার চক্ষু চড়কগাছ। তিনি উৎকণ্ঠিত হয়ে জ্যোতিষীকে জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে আমার ছেলে ভবিষ্যতে কী হবে? জ্যোতিষী বললেন, কোনো চিন্তা নেই ও হবে একজন ডাকসাইটে রাজনীতিবিদ।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।

ই-মেইল :[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প
ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প

৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট
যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার
বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার

১৯ মিনিট আগে | পরবাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা

৩২ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম