বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

এয়ারকুলার

এয়ারকন্ডিশন্ড কক্ষের ব্যাপারে আমাদের সবার কমবেশি দুর্বলতা রয়েছে। সবারই পছন্দ এয়ারকুলার রুমে বসবাস বা কাজকর্ম পরিচালনা করা। কিন্তু একবারও কি চিন্তা করেছেন এয়ারকুলার ব্যবহার করা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত? প্রত্যক্ষভাবে আপাত আরামপ্রদ হলেও পরোক্ষভাবে স্বাস্থ্যের জন্য যে ক্ষতিকর তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। প্রায় ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে এয়ারকন্ডিশন্ড কক্ষ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। বিশেষ করে হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের অবস্থা তো ভয়ংকর। পরিমিত বায়ুচাপ, এর প্রবাহ, আর্দ্রতা প্রভৃতি ফ্যাক্টর বিবেচনা না করেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এয়ারকুলার স্থাপন করার ফলে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ এয়ারকন্ডিশন্ড কক্ষগুলো বদ্ধ অবস্থায় থাকে। বাতাস চলাচল প্রায় বন্ধ থাকে, যার জন্য এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় কক্ষের ভিতরের বাতাস বাইরের বাতাসের চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি দূষিত। কোনো কোনো স্থানে ১০০ গুণ বেশি দূষিত হয়। আর দূষিত বাতাস থেকে অ্যাজমা, যকৃৎ, ব্রেন, নার্ভের ক্ষতিসহ ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ বিস্তার লাভ করতে পারে। দূষিত বাতাস বিশেষ করে শিশু ও রোগাক্রান্তদের দারুণভাবে আক্রমণ করে। অথচ আমরা ত্রুটিপূর্ণ এয়ারকন্ডিশন্ড কক্ষে আমাদের শতকরা ৯০ ভাগ সময় অতিবাহিত করি। একজন সুস্থ স্বাভাবিক লোক দৈনিক প্রায় ২০ ঘনমিটার অথবা ২ লাখ লিটার বাতাস শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি। এ বাতাস যদি দূষিত হয় তবে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। পরিসংখ্যানে দেখা যায়  বিগত ৩০-৪০ বছরে মধ্যে বায়ুদূষণের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের পরিমাণ হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করে কক্ষগুলো আবদ্ধ রাখা হয় যাতে দূষণের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। বাস্তবিকভাবে আমরা বিশুদ্ধ পানির জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করি। কিন্তু বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য তেমন কোনো ব্যয় করি না। যদিও অনেকে শীতল বাতাসের জন্য ব্যয় করেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র মূলত মানুষের আরাম ও প্রশান্তির জন্য। আরামটি তখন অনুভূত হয় যখন মানুষ তার নিজের তাপমাত্রা ও পারিপার্শি¦ক তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত করে না। স্বাস্থ্যসম্মত শীতল বাতাস মূলত পাঁচটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। ১. তাপমাত্রা ২. আর্দ্রতা ৩. বাতাসের প্রবাহ ৪. ফিল্টারেশন ও ৫ ভেন্টিলেশন। এ বিষয়গুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আফতাব চৌধুরী

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর