শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চিনির বাজারে অস্থিরতা

রিফাইনারির কারসাজি বন্ধ হোক

আগস্টে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এর কারণ হিসেবে চিনি রিফাইনারি কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধিকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করলেও তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সরকারি সংস্থা ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বুধবার কমিশন পাঁচ রিফাইনারি কোম্পানিকে এ ব্যাপারে ডেকে পাঠালেও চারটি কোম্পানির প্রতিনিধি হাজির হন। কমিশন তাদের যুক্তিতে সন্তুষ্ট না হয়ে চিনির এলসি মূল্য, পরিশোধন থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত উৎপাদন খরচের যাবতীয় তথ্য এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলেছে। আইন অনুযায়ী সরকারের অনুমোদন ছাড়া চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। এর মধ্যে ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো আইন মেনে সরকারের অনুমতি নিয়ে মূল্য নির্ধারণ করলেও চিনির ক্ষেত্রে তা হয়নি। রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে কমিশনের প্রশ্ন ছিল- তারা দাম বাড়ানোর আগে সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছিল কি না। এর জবাব প্রতিষ্ঠানগুলো দিতে পারেনি। ফলে কোম্পানিগুলোর কাছে যে কস্ট-শিট চাওয়া হয়েছে তা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট পাঁচ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। স্মর্তব্য, দেশের চিনির চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয় বিদেশ থেকে আমদানি করে। অপরিশোধিত চিনি দেশে এনে পরিশোধন করে বাজারজাত করা হয়। দেশে চিনির কোনো ঘাটতি নেই। চিনির পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও কেন মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা তা খতিয়ে দেখা দরকার। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকারকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। করোনাকালে এমনিতেই সিংহভাগ মানুষের আয় কমেছে। কর্মহীন মানুষের সংখ্যাও বিপুল। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অস্থিতিশীলতার হুমকি সৃষ্টি করবে; যা কোনোভাবেই কাম্য হওয়া উচিত নয়। মুনাফাখোরদের নিবৃত্ত করতে সরকার চোখ-কান খোলা রাখবে আমরা এমনটি দেখতে চাই। প্রয়োজনে চিনিসহ সব নিত্যপণ্যের আমদানি বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর