রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মাদকের গডফাদার

দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করুন

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশে মাদকদ্রব্যের ব্যবসা ও মাদকাসক্তি অনেক বেড়েছে। এটি এক গুরুতর জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে এবং সমস্যাটি যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু যা গভীর উদ্বেগের তা হলো সরকার একে কেবল সাধারণভাবে আইনশৃঙ্খলাজনিত একটি বিষয় হিসেবে মোকাবিলার গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার প্রয়াস পাচ্ছে। বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার ইয়াবা বাণিজ্য হচ্ছে। সারা দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা বেশ কয়েক বছর ধরেই হালনাগাদ করে আসছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। এরই ধারাবাহিকতায় দুই মাস আগে হালনাগাদ করা তালিকা অনুযায়ী শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগেই মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। এ ছাড়া মাদক ব্যবসায় অর্থলগ্নিকারী, গডফাদার ও পৃষ্ঠপোষকতাকারী হিসেবে উঠে এসেছে সহস্রাধিক নাম। এসব তালিকা ধরে চলছে অভিযান। আসছে সফলতাও। অর্থলগ্নিকারীদের মধ্যে রয়েছেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, প্রবাসী, আমদানি-রপ্তানির ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় সরকারি কিছু কর্মকর্তারও রয়েছে মাদক ব্যবসায় বিনিয়োগ। মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান,

ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার, এমপির ব্যক্তিগত সচিব, আত্মীয়স্বজন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশব্যাপী মাদক ব্যবসার অর্থলগ্নিকারী, গডফাদার, পৃষ্ঠপোষকতাকারীর তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুরনো ইয়াবা ব্যবসায়ীরাই রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে নতুন মাদক ‘আইস’ নিয়ে আসছে। সীমান্ত পেরিয়ে মাদক আসা সম্পূর্ণরূপে বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর