শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মরণোত্তর অঙ্গদানে এগিয়ে আসুন

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

মরণোত্তর অঙ্গদানে এগিয়ে আসুন

একজন মানুষ তার মৃত্যুর পর দেহের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঙ্গ যেমন কিডনি, হার্ট, লিভার, ফুসফুস, চোখ এমনকি পুরো শরীরটা দান করতে পারেন। মারা যাওয়ার পর ওই মৃত ব্যক্তির দান করা বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে বেঁচে থাকতে পারে অঙ্গ অকার্যকর হওয়া অন্য রোগী। এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘মরণোত্তর অঙ্গদান’ বা ‘ক্যাডাভারিক অরগান ট্রান্সপ্লান্টেশন’। মরণোত্তর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করা ব্যক্তির দুটি কিডনি দুজনের, একটি লিভার একজনের, একটি ফুসফুস একজনের ও একটি হার্ট একজনের দেহে প্রতিস্থাপন করে ভিন্ন ভিন্ন পাঁচজন রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। চোখের কর্নিয়া দান করার মাধ্যমে অন্ধ লোক দৃষ্টি ফিরে পেতে পারে। এ ছাড়া পুরো শরীরটা মেডিকেল কলেজে দান করলে ছাত্ররা হাতে-কলমে শিক্ষা ও গবেষণা চালাতে পারবে।

অঙ্গদান প্রক্রিয়ায় একজন মানুষ অঙ্গদান করবেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর সেই অঙ্গটি সংগ্রহ করে তা প্রতিস্থাপিত করা হবে এমন রোগীর দেহে যার অকার্যকর হওয়া অঙ্গের প্রয়োজন। উন্নত দেশগুলোয় মরণোত্তর প্রক্রিয়ায় অঙ্গ নিয়ে বেঁচে আছেন অঙ্গ বিকল হওয়া প্রচুর মানুষ। অথচ ধর্মীয় বা প্রচলিত আইনে কোনো বাধা না থাকলেও চোখের কর্নিয়া সংযোজন ছাড়া বাংলাদেশে এখনো শুরুই হয়নি অন্য কোনো অঙ্গ মরণোত্তর প্রক্রিয়ায় প্রতিস্থাপন।

একটি গল্প দিয়ে শুরু করি। অনেক দিন আগের কথা। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি মারা যাওয়ার আগে উইল করে গেছেন- ‘আমার মৃত্যুর পর চোখ, অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং পুরো শরীরটা দান করে গেলাম। কোনো রোগীর অকার্যকর অঙ্গের প্রয়োজন হলে আমার সেই অঙ্গ নিয়ে তার শরীরে প্রতিস্থাপন করতে পারবে। এমনকি আমার শরীরটা মেডিকেল কলেজে ডিসেকশন হলে যেন দিয়ে দেওয়া হয়। মেডিকেলের ছাত্ররা আমার শরীর চিকিৎসাবিদ্যায় জ্ঞান অর্জন এবং গবেষণা কাজে ব্যবহার করতে পারবে।’ ওই সময় জানা গেল কোনো এক রোগীর দুটি চোখ অন্ধ, তার চোখের কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্ট করা দরকার। কিন্তু কোনো ডোনার পাওয়া যাচ্ছিল না। উইল করা ভদ্রলোক মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ওই ভদ্রলোকের চোখ দুটি উঠিয়ে নিলেন। সিদ্ধান্ত হলো তার চোখের কর্নিয়া অন্ধ লোকটির চোখে ট্রান্সপ্লান্ট করা হবে। মরণোত্তর চক্ষু দানকারী ওই ভদ্রলোকের পরিচয় রোগী এবং তার পরিবারকে জানানো হলো। বাদ সাধলেন রোগী নিজেই, যখন তিনি জানতে পারলেন চক্ষু দানকারী মৃত ভদ্রলোক ছিলেন নাস্তিক। রোগী নিজে একজন মাওলানা, ধর্মভীরু। নাস্তিকের দান করা চক্ষু নিতে তিনি অস্বীকৃতি জানালেন। পরে তাকে অনেক বোঝানো হলো যে শরীরের একটা অঙ্গ ট্রান্সপ্লান্ট করা কোনোক্রমেই ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। সুতরাং দানকারীর চোখের কর্নিয়া আপনার চোখে ট্রান্সপ্লান্ট করলে দৃষ্টি ফিরে পাবেন। আপনি ভালো থাকবেন, আপনার পরিবার ভালো থাকবে, এমনকি ভবিষ্যতে দেশ এবং দশের অনেক উপকারও করতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি রাজি হলেন, কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্ট করা হলো তার চোখে এবং তিনি দৃষ্টি ফিরে পেলেন।

আরও একটি গল্পের অবতারণা করছি। একজন বয়স্ক ভদ্রমহিলা, তার দুটি কিডনিই সম্পূর্ণ অকার্যকর। ছেলেমেয়েরা অনেক চেষ্টা করেও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করার মতো দেশে-বিদেশে কোনো ডোনার খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তিনি বিদেশে থাকেন হঠাৎ একদিন হাসপাতাল থেকে টেলিফোন করা হলো তার ছেলের কাছে, ‘আপনার মায়ের কিডনি নষ্ট, যদি ট্রান্সপ্লান্ট করতে চান এখনই হাসপাতালে নিয়ে আসুন, একজন ডোনার পাওয়া গেছে।’ সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো, দ্রুত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার একটি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হলো। রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে নতুন জীবন পেয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। তার বয়স বর্তমানে ৯০। প্রায় ১০ বছর হতে চলল তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। যিনি কিডনি দান করে গেছেন তিনি ছিলেন একজন এক্সিডেন্টের রোগী, আইসিইউতে মারা গেছেন। তার ভ্যানিটি ব্যাগে ছিল একটি ডোনার কার্ড, যাতে লেখা আছে- ‘আমার মৃত্যুর পর শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে গেলাম, জীবিত রোগী যার যে অকার্যকর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রয়োজন তাকে যেন তা দিয়ে দেওয়া হয়।’

আরও একজন ভদ্রমহিলার গল্প বলছি। মৃত্যুর আগে উইল করে গেছেন, ‘আমার মৃত্যুর পর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে গেলাম, যা জীবিত বিকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গের রোগীকে প্রতিস্থাপন করতে পারবেন।’ ভদ্রমহিলার কোনো একটি অপারেশনের সময়ই ব্রেন ডেথ হয়। পরিবারের সম্মতিতে তার লিভার ও দুটি কিডনি প্রতিস্থাপিত করা হয় তিনজন রোগীর শরীরে এবং তারা সবাই সুস্থ হয়ে ওঠেন। অন্য চিন্তাধারার লোকও সমাজে বিদ্যমান। চক্ষুদান প্রসঙ্গে একবার একজনকে বলতে শোনা গেছে, ‘এ জন্মে মরার পর চক্ষুদান করলে পরের জন্মে আমি অন্ধ হয়ে জন্মাব। দরকার নেই আমার মরণোত্তর চক্ষুদানের!’

আরও একটি অদ্ভুত গল্পের কথা বলছি। এক ভদ্রলোক মারা যাওয়ার আগে উইল করে গেছেন, ‘আমি মারা যাওয়ার পর আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে গেলাম, তবে কোনো চোর-ডাকাত বা অসৎ লোকের শরীরে ওই অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো যেন প্রতিস্থাপন করা না হয়। কারণ আমার অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ আমি কাউকে করে দিতে চাই না।’

মানবদেহের অত্যাবশ্যক অঙ্গ যেমন কিডনি, লিভার, হৃৎপি-, ফুসফুস ইত্যাদির যে কোনো একটি কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেললে জীবনাবসান অবধারিত। তখন বিকল্প উপায় হিসেবে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কথা ভাবা হয়। বাংলাদেশে শুধু রক্তসম্পর্কীয় জীবিত নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে কিডনি ও লিভার সংযোজন হচ্ছে। জীবিত মানুষ নিজের দুটি কিডনি থেকে একটি এবং লিভারের কিছুটা অংশ দান করতে পারেন। মৃত মানুষের শরীর থেকে প্রায় সব অঙ্গই প্রতিস্থাপনের জন্য সংগ্রহ করা যায়। লাখ লাখ মানুষ শরীরের কোনো কোনো অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার রোগে ভোগেন এবং তার একমাত্র চিকিৎসা অঙ্গ প্রতিস্থাপন। তাই যত বেশিসংখ্যক মানুষ মরণোত্তর অঙ্গদান করবেন, তত বেশিসংখ্যক রোগীর জীবন রক্ষা পাবে।

মরণোত্তর অঙ্গদানের অগ্রগতি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে খুব একটা দৃশ্যমান নয়। মৃত্যুর পর অঙ্গদান করা অনেকের কাছে শোভনীয় মনে হয় না, কারণ ব্যাপারটি অত্যন্ত জটিল। এখানে ধর্মীয়, পারিবারিক, সামাজিক অনেক কিছু জড়িত। এ কথা সত্য, মানুষ মারা গেলে তার দেহটা তো আর কোনো কাজে আসবে না। তাকে কবর দেওয়া হয়, ফলে তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সবকিছু কয়েক দিন পর নষ্ট হয়ে যায়, পচে যায়, মাটির সঙ্গে মিশে যায়। অথবা শরীর পুড়িয়ে দিলে সঙ্গে সঙ্গে ছাই হয়ে যায়। যদি মৃত্যুর পর তার দেহের কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকার্যকর হওয়া রোগাক্রান্ত মানুষের জন্য ব্যবহার করা যায়, তা আসলে বিশাল অবদান বলেই মনে হয়। তার দান করা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে অন্য একজন মানুষ ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবে, তার পরিবার ভালো থাকবে। এমনকি তার মাধ্যমে সমাজের অনেক কাজ বা সমাজের অনেকেই উপকৃত হতে পারে। মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির আত্মা তো আল্লাহর কাছেই চলে যায়, শরীরের আর কীই বা মূল্য থাকে। কিন্তু এর দ্বারা যদি অন্য একজন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়, তবে তার চেয়ে পুণ্যের কাজ আর কী হতে পারে? এ ধরনের চিন্তাভাবনা আমাদের মধ্যে অনেকেরই কিন্তু নেই। বহু মানুষ অঙ্গদান করতে ভয় পায। এতে ডোনার বা দাতার সংকট দেখা দিচ্ছে প্রকট আকারে। তাই শুধু অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অভাবে মৃত্যু হয় হাজার হাজার মানুষের।

মনে রাখতে হবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং সেগুলো দ্রুত বিকল হয়ে পড়ে। আর ব্রেন ডেথ হলে যার বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনাই নেই, তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো নিয়ে অন্য রোগীর ট্রান্সপ্লান্ট করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে হাসপাতালের সাপোর্টে হৃদযন্ত্রের কাজ চালু রাখতে হবে। দেশে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে। আইসিইউতে মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা কোনো রোগী যার বাঁচার সম্ভাবনা নেই, তাকে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করার পর তার দেহ থেকে অঙ্গ বিযুক্ত করে তা প্রতিস্থাপন করে আলাদাভাবে পাঁচজন অঙ্গ বিকল মানুষকে বাঁচানো যায়। তবে এটা এমন নয় যে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল অথচ তার দেহ থেকে অঙ্গ নিয়ে মেরে ফেলা হলো। মানবদেহে মরণোত্তর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনে এ কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, মেডিসিন অথবা ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন, নিউরোলজি এবং অ্যানেসথেসিওলজি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার অন্যূন তিনজন চিকিৎসক সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কোনো ব্যক্তির ব্রেন ডেথ ঘোষণা করতে পারবেন। এর পরই ওই ব্যক্তির দেহ থেকে অঙ্গ বিযুক্ত করার কাজটি করা যাবে।

উন্নত বিশ্বে কিডনি বিকল অনেক মানুষ মরণোত্তর অঙ্গদান প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা নিয়ে নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে। আর বাংলাদেশে শুধু কিডনি সংযোজনে দাতা সংকটের কারণে বছরে মারা যাচ্ছে ৪০ হাজার কিডনি রোগী। একইভাবে হাজার হাজার মানুষ লিভার, হার্ট, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয় ইত্যাদি রোগে মারা যাচ্ছে। এসব রোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে মরণোত্তর অঙ্গ সংযোজন কার্যক্রম চালু করা খুব জরুরি।

বাংলাদেশে ২০১৮ সালের মানবদেহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনে মৃত ব্যক্তির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অন্যের শরীরে সংযোজনের সুযোগ রাখা হয়েছে। আইনে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বলতে কিডনি, হার্ট, ফুসফুস, অন্ত্র, লিভার, অগ্ন্যাশয়, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চোখ, চর্ম, টিস্যুসহ মানবদেহে সংযোজনযোগ্য যে কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বোঝানো হয়েছে। বাস্তবে ক্যাডাভারিক অরগান ট্রান্সপ্লান্ট প্রক্রিয়া অধরাই থেকে যাচ্ছে। অথচ ধর্ম কিংবা বিদ্যমান আইনে মরণোত্তর অঙ্গদানে কোনো বাধা নেই। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সংস্থা ওআইসি এবং বিশিষ্ট ইসলামী ওলামারা মরণোত্তর কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। অঙ্গদান নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করে। আমরা প্রযুক্তিতে বেশ এগিয়ে যাচ্ছি, এখন মানবিকভাবে আরও এগিয়ে যেতে হবে। ক্ষণস্থায়ী জীবনে আমাদের সবার উচিত ভালো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা। যা কিছু কল্যাণকর তা-ই ধর্মের অন্যতম শিক্ষা। ধর্ম একে অন্যের প্রতি দয়ামায়া ও ভালোবাসতে শেখায়। একজন মানুষ যে ধর্মের অনুসারীই হোক, কোনোভাবেই সে যেন একে অন্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, বরং কল্যাণ লাভ করে এটাই ধর্মের শিক্ষা। মানুষ একে অন্যের বিপদে-আপদে এগিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। আমি মারা যাওয়ার পর আমার অঙ্গ দিয়ে যদি একজন মুমূর্ষু মানুষের জীবন বেঁচে থাকে, তবে তা আমার জন্য এক বিরাট অর্জন। মরণোত্তর অঙ্গদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বেশ কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন কাজ করছে। এ কার্যক্রম সফল করতে সবার আগে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। মরণোত্তর অঙ্গদান কঠিন কাজ মনে হলেও অসম্ভব কিন্তু নয়। বিপুলসংখ্যক মানুষের মধ্যে এ বোধ ও চেতনা জাগ্রত হওয়া আশু প্রয়োজন। আসুন আমরা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকার্যকর হওয়া রোগীদের পাশে থাকি। এ দেশে এ চিকিৎসা চালু হলে অকালে হারাতে হবে না অনেক জীবন। তাই মরণোত্তর অঙ্গ বা দেহদান এমনই একটি কল্যাণকর কাজ। মোমবাতি যেমন জ্বলতে জ্বলতে সবাইকে আলো দিয়ে নিজে নিভে যায়, আমাদের জীবনপ্রদীপ নিভে গেলেও অন্যকে আলো দিয়ে যাওয়া উচিত।

 

                লেখক : প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

সর্বশেষ খবর