শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

অর্থ পাচার

প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে অর্থ পাচারে বাংলাদেশ শীর্ষে, আর অর্থ পাচারের দিক থেকে শীর্ষ ১০০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০। দেশটির অর্থ পাচারের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা বোঝার জন্য এ দুটি তথ্যই যথেষ্ট। বিনিয়োগ খরায় ভুগছে যে দেশ, সেখান থেকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের বিষয়টি সত্যিই বিস্ময়কর। বোঝা যায়, দেশে যে কোনো পর্যায়ে বিনিয়োগ নিয়ে অর্থের মালিকদের আস্থাহীনতা কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে! এর সঙ্গে আর্থিক নীতি ও এর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার যেমন সম্পর্ক রয়েছে, তেমন রয়েছে অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা ও অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি দেশের অর্থসম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। সেই অর্থ দিয়ে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে তারা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। তাদের লবিস্ট নিয়োগ করে বিপুল অর্থ খরচ করার হিসাব নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে তড়িঘড়ি আইন প্রণয়নের অভিযোগ নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর প্রস্তুতি আগেই নেওয়া ছিল। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের সবাইকে ডেকেছিলেন, তখনই আইন করার কথা বলেছিলেন। অনেক দিন থেকে মোটামুটি প্রস্তুতি ছিল।’ তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতি যাদের পছন্দ নয়, তারাই শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের সর্বনাশ করছে। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচানো, নির্বাচন বানচাল ও প্রশ্নবিদ্ধ করা, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিএনপি বহু টাকা খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে সরকার কি আসলেই অর্থ পাচার রোধ করতে চায়? তাহলে সবার আগে অর্থ পাচার রোধের ব্যাপারে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। একই সঙ্গে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করতে না পারলে অর্থ দেশে রাখার ব্যাপারে সম্পদশালীরা আস্থা ফিরে পাবেন না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর