শিরোনাম
রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
ভেষজ

কাঁচকলা

আল্লাহর সৃষ্টি উপকারী সবকটি খাবারের মধ্যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতায় সমৃদ্ধ একটি হচ্ছে কাঁচকলা। এটি একটি আদর্শ সবজি হিসেবে যথেষ্ট সমাদৃত সারা দেশে, যা আমাদের দেশে সারা বছর সব জায়গায়ই পাওয়া যায়। ভেষজগুণে সমৃদ্ধ এ কাঁচকলার মধ্যে রয়েছে দারুণ সব পুষ্টিগুণ। এটি সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর বলে রোগীর পথ্য হিসেবে কাঁচকলার ভর্তা ও তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়। রোগীর রুচি বাড়াতে কাঁচকলার জুড়ি নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী কাঁচকলায় যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা হলো জলীয় অংশ ৭৮%, শর্করা-১৭-৩৪ গ্রাম, প্রোটিন ২/৬০% গ্রাম, স্নেহ-০.০৩ গ্রাম, খনিজ লবণ-১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম-১১-৩০ মি. গ্রাম, আয়রন-০.৪ গ্রাম, ভিটামিন বি-০.০৯ মি. গ্রাম, বি২-০.০৬ মি. গ্রাম, ভিটামিন সি-৪.০৩ মি. গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৮৩ কি. ক্যালরি। শিশুদের পাতলা পায়খানা কাঁচকলার খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ালে আরোগ্য হয়। জন্ডিস, আমাশয় ও ডায়রিয়ার রোগীকে কাঁচকলা সিদ্ধ ভর্তা খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিকমতে কলার থোড় ও বীজে রয়েছে প্রচুর ঔষধিগুণ। কচি কলা গাছের শিকড়ের রস কৃমিনাশক ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কাঁচকলার ভর্তা ও তরকারি যেমন সমাদৃত তেমনি কাঁচকলা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন মজাদার নাশতাও মুখরোচক হয় যেমন- কাঁচকলা টিকিয়া, কাটলেট, চপ, কাবাব ইত্যাদি। এ সবজিটি যেহেতু সারা বছর হাতের কাছেই পাওয়া যায় কাজেই নিয়মিত খেলে দৈহিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব। কাঁচকলায় থাকা খাদ্যশক্তি দেহের দুর্বলতা কাটিয়ে সবল করে তোলে। রোগীদের জন্য দারুণ পথ্য হিসেবে কাঁচকলার সুনাম রয়েছে। কাঁচকলায় থাকা খাদ্য আঁশ খাবার হজমে সহায়তা করে। পেটের নানা ধরনের অসুখ যেমন- গ্যাস, পেটব্যথা, বদহজম ইত্যাদি দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও কাঁচকলা উপকারী। কাঁচকলায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের যে কোনো সংক্রমণ রোধে সহায়তা করে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।

আফতাব চৌধুরী

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর