শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২

শেখ হাসিনার কালজয়ী মহাকর্ম পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
শেখ হাসিনার কালজয়ী মহাকর্ম পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন

কি সৌভাগ্য, স্বপ্নের বহুমুখী পদ্মা সেতু আমার ৩৯তম শুভ পরিণয়ের দিনে শুভ উদ্বোধন হলো। আমার জীবনে এ এক দুর্লভ সৌভাগ্য। আমি চোখমুখ বুজে সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলতে পারি না। আমার বুকের ভিতর বড় বেশি তোলপাড় করে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা সেই ১৯৬০-৬২ সাল থেকে। ’৬২ সালে বাসাইলের এক নির্বাচনে শেখ মুজিব আমাদের টাঙ্গাইলের ভাঙা বাড়িতে গিয়েছিলেন। আমার ছোটবোন রহিমা ছাত্রলীগের সম্মেলনে এসে ধানমন্ডির বাড়িতে থেকেছে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা কত আদরযতœ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই গর্ব করে আমাকে বলেছেন, ‘জানো বজ্র, রহিমা একবার আমাদের বাড়িতে খুব কেঁদেছিল। একদিন লতিফ ভাই আসে নাই বলে রহিমার মন খারাপ। মা বলেছিল, তুমি মন খারাপ করছ কেন? লতিফ তো আর আসবে না। সে তো তোমাকে আমার কাছে বিক্রি করে গেছে। আমরা তোমাকে দিয়ে কাজ করাব না। ভালো স্কুলে পড়াব।’ রহিমা বলেছিল, মার জন্য যে মন কেমন করে। মা বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে। মার জন্য খারাপ লাগলে মাকে দেখে আসবে। আমরা তোমাকে দেখিয়ে আনব।’ এভাবেই আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমার সঙ্গে অত বেশি গভীর সম্পর্ক ছিল না। ’৬৯-এ পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত মুজিব বঙ্গবন্ধু হলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, অনেকটা কাছাকাছি হই। কিন্তু কামাল-জামাল-রাসেল বা বোনের সঙ্গে ততটা নয়, যতটা স্বাধীনতার পরপরই বৃদ্ধি পেয়েছিল পিতার সঙ্গে। স্বাধীনতার পর ১৮ ডিসেম্বর ধানমন্ডির ১৯ নম্বর বাড়িতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা জামাল-রাসেল এবং বোন হাসিনা-রেহানার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমাকে জড়িয়ে ধরে তিনি আকুল হয়ে কেঁদেছিলেন। আমি সব মেয়েকে মায়ের মতো, বোনের মতো, সন্তানের মতো দেখি। সেই ১৮ ডিসেম্বর আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নার অনুভূতি আজও আমাকে নাড়া দেয়। ১৬ ডিসেম্বর ’৯০ দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সারা দিন এক পায়ে দাঁড়িয়ে থেকে রাত সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডির ৩২-এ যখন পৌঁছেছিলাম বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেভাবে আগলে ধরেছিলেন তা একমাত্র কোনো মা তাঁর সন্তানকে ওভাবেই আগলে ধরতে পারেন, আগলে ধরেন। এখন অনেক বয়স হয়েছে। বয়সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার থেকে কয়েক মাসের ছোট। আদরযতœ, ভালোবাসায় অনেক বড়। আমার বড় বোন আমার জন্মের আগেই মারা যান। বড় বোনের অভাব ছিল। যেটা তিনি পুরোপুরিই মিটিয়েছেন। তাই কোনো খেদ নেই, দুঃখ নেই। কিন্তু দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা আছে। ১৮ ডিসেম্বর ’৭১ ধানমন্ডির ১৯ নম্বর বাড়ি থেকে জামালকে নিয়ে পল্টনে গিয়েছিলাম। পত্রিকার পাতায় জামালের সে ছবি এখনো আমার সামনে জ্বলজ্বল করে ভাসে। দাওয়াত পেয়েছিলাম, পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। পদ্মা সেতু সত্যিই বাঙালি জাতির জন্য, স্বাধীন দেশের জন্য এক বিরাট অর্জন, এক মহাবিস্ময়। সেতুটা কে করেছে, কে করেনি এটা বড় কথা নয়, সেতুটি হয়েছে। দ্বিখন্ডিত দেশ পদ্মা সেতুর জন্য অভিন্ন হয়েছে এটাই বড় কথা। আরও বড় কথা বিশ্বব্যাংক অন্যায়ভাবে দুর্নীতির অভিযোগে হাত গুটিয়ে নিলে মুজিবকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা শাশ্বত বাঙালির পরিচয় বহন করে। নিশ্চয়ই তাঁর অমন দুর্বার দৃঢ়তা না হলে পদ্মা সেতু হতো না। তাই বিরোধীরা বিরোধিতা করলে তার জন্য অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছুই নেই। যাঁরা ভেবেছেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, তাঁদের চিন্তা-চেতনা তাঁদের মতো, তাঁদের ভাবনা কোনো দোষের নয়। এখন হয়েছে, তাঁরা নতুন করে ভাববেন, সাহসী নেতৃত্ব থাকলে দৃঢ় মনোবল থাকলে সবই সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা কি দেখিনি কতজন কত কথা বলেছেন, পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধ করবে এও কি সম্ভব! কিন্তু আমরা মুজিবপাগলরা সে অসম্ভবও সম্ভব করেছি। তাই সবার চিন্তা এক নয়। সবাই সব ভাবতে পারে না। এজন্য কাউকে দোষ দিয়ে লাভ কী? দরকারও নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে যথার্থই বলেছেন, যাঁদের কাছে অসম্ভব মনে হয়েছে তাঁরা অসম্ভব বলেছেন। এখন সম্ভব হয়েছে নিশ্চয়ই তা তাঁরা উপলব্ধি করবেন। এর চাইতে যথার্থ রাষ্ট্রনায়কোচিত কথা আর কী হতে পারে? তাই এ শুভদিনে তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

যে যা-ই বলুন, বোনের সরকারে সাজিয়ে গুছিয়ে দায়িত্ব নিয়ে সঠিকভাবে অনেকে কাজ করতে পারে না। এত বড় একটা মহাযজ্ঞ, পদ্মা সেতু উদ্বোধন; পাঁচ-সাত দিন আগে দাওয়াতপত্র দিতে পারতেন। আমি দাওয়াত পেয়েছি দুই দিন আগে। হঠাৎ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সাধারণ সম্পাদক বীরপ্রতীক হাবিবুর রহমান তালুকদারের নামে দাওয়াতপত্র আসে ২৪ তারিখ বিকাল ৫টায়। বীরপ্রতীক তখন টাঙ্গাইলে। কভিড পরীক্ষা করতে হবে। সব সময়ই যাকে ছোট ভাইয়ের মতো ¯ন্ডেœহ করি, আমার মেয়ের মতো লাভলীকে বিয়ে করেছে সুভাষ সিংহ রায়। বন্দুকের গুলির চাইতে দ্রুত যার মুখ চলে। অজ্ঞ নয়, মুর্খ নয়; জ্ঞান-গরিমা, লেখাপড়া আছে। সেদিন আমাকে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিকিৎসা-ভাবনা’ নামে অসাধারণ বই দিয়েছে। আমার অত কিছু জানাই ছিল না। সেই সুভাষকে কভিড পরীক্ষার জন্য ফোন করেছিলাম। অনেক হাতিপাতি করে অনেক চেষ্টা করে সে কিছু করতে পারেনি। এই বোধহয় আমার কোনো কথা সে রক্ষা করতে পারেনি। বড় বেদনাহত হয়েছে। কিন্তু গিয়েছিলাম, কোনো অসুবিধা হয়নি। ভিতরে কোনো যতœ ছিল না। কেউ কারও খোঁজ করেনি। ৫-৭ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম। উপাধ্যক্ষ শহীদ পাশে বসা ছিলেন। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। দাঁড়িয়েই তাদের মোকাবিলা করছিলাম। আমার টাঙ্গাইলের ছেলে এক সাংবাদিক আশরাফ কোথা থেকে এসে আমাকে নিয়ে একেবারে বাঁয়ে প্রথম সারিতে বসিয়ে দিয়েছিল। আমার বাঁয়ে হুইল চেয়ারে ছিলেন একজন যথার্থ নিবেদিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধের অনন্য ব্যক্তিত্ব ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বসার পর যথেষ্ট যতœ পেয়েছি গুরুত্ব পেয়েছি। বসার আগে একজন ভালো মানুষ আমির হোসেন আমুর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম। তিনিও সামনে বসে ছিলেন। ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তখন কোনো কাজে আমির হোসেন আমু আমাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। বলেছিলাম, একজন ভালো মানুষ দেশ ও দলের জন্য তেমন কিছু করতে পারলেন না। ডা. জাফরুল্লাহ বললেন, আপনি আমার মনের কথা বলেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম বক্তৃতা করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আমার টাঙ্গাইলের মানুষ। খুব ভালো বলেছেন। আমার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীরের ভাগনে, ছোট ভাই বেলাল সিদ্দিকীর সঙ্গে লেখাপড়া করেছেন। একবার বলেই ফেলেন, ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে টাঙ্গাইলে মামার বাড়ি গেলে জাপানিরা তখন মামাবাড়ি আসত। বলত, যমুনা ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে এসেছেন। সে-ই তার প্রথম ফিজিবিলিটি স্টাডি শোনা। ভদ্রলোক সেতু বিভাগে বহুদিন ছিলেন। তারপর অনেক বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি। শুনেছি, সচিবালয়ের মসজিদে মাঝেমধ্যে ইমামতিও করেন। একজন দরদি ভালো মানুষ। আমার প্রিয় খুবই প্রিয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চমৎকার বক্তৃতা করেছেন। তাঁর প্রতিটি কথায় দরদ ছিল, ভালোবাসা ছিল, তেমন কোনো অহংকার ছিল না। যেটা একজন মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ গুণ। সে গুণের প্রকাশ পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। ওবায়দুল কাদেরের জীবনে অনেক বড় বড় ঘটনা আছে। দীর্ঘদিন নানা আন্দোলন সংগ্রামে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ অবদান পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্পৃক্ততা। তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলেন।

বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে সব সময়ই ভালোবাসি, শুভ কামনা করি। কোনো কোনো সময় তাঁর কোনো কথা পছন্দ হয় না। অত বড় নেতা হয়ে যেসব ছোট কথা তাঁর না বললেও চলে সেসবে আমার যত আপত্তি। কিন্তু বহুদিন পর তাঁর বক্তৃতা আমার ভালো লেগেছে। চমৎকার অনুভূতি ছিল, বুকে ব্যথা চোখে পানিও ছিল। তিনি জাতির পিতার পরই ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেছেন। সামনে বসেছিলাম বলে কি না, দেখে ছিলেন কি না ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদেরও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। ওর আগেও ছোটখাটো দু-চারটি দলীয় অনুষ্ঠানে ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়েছেন, স্মরণ করেছেন। কিন্তু মনে হয় না এত বড় কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আর কখনো ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওভাবে মনে করেছেন। তাঁর উচ্চারণ তাঁর কণ্ঠ তাঁর দরদে আমার মনে হয়েছে তিনি সত্যিই ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, ঋণী। তাদের অবদানে গর্বিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধারা যে এখনো সরকারের খাতায় দুষ্কৃতকারী! সেই মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কারও আমলেই তাদের দুষ্কৃতকারীর খেতাব ঘোচেনি। একজন সরকারপ্রধান তো দুষ্কৃতকারীদের ধন্যবাদ দিতে পারেন না, অভিনন্দন জানাতে পারেন না। তাহলে অবশ্যই ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধ করে তারা জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন এ কথা মুক্তকণ্ঠে জাতিকে জানাতে হয়। তা না হলে দুষ্কৃতকারীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো অভিনন্দন বা শুভেচ্ছা জানাতে পারেন না। তাই সবার আগে তাদের জাতীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন।

সার্বিক বিবেচনায় বহুমুখী পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনিন্দ্যসুন্দর, সফল হয়েছে। সব দলের লোকজনকে বলে কয়ে আদরযতœ করে ধরে বেঁধে নিয়ে যেতে পারলে আরও ভালো হতো। বিএনপি নেতাদের দাওয়াত করা যথার্থ ছিল। তাঁরা যাননি, যাওয়ার পরিবেশ ছিল কি না তা তাঁরা বুঝবেন। এমন এক দারুণ ঐতিহাসিক ঘটনায় বেগম খালেদা জিয়াকেও শরিক করা হলে ঐতিহাসিক মাত্রা পেত। দাওয়াত করলে তিনি না গেলে তা তাঁরা বুঝতেন। তাই সামান্য হলেও খুঁত থেকে গেল। অনেকে অনেক যুক্তি দেবেন সে যুক্তি খন্ডনের ক্ষমতা অনেকেরই থাকবে না। কিন্তু আমি যুক্তি দিয়ে বলছি না, আমি অন্তর দিয়ে বঙ্গবন্ধুর উদারতা দিয়ে বলছি। যুক্তির চাইতে মুক্তি অনেক সবল অনেক শক্তিশালী অনেক ভালো। সবকিছুর পরও বলব উদ্বোধন অনুষ্ঠান অসাধারণ স্মরণ রাখার মতো। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনুষ্ঠানে যাওয়ায় খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু কেন যেন তাঁর প্রতি কোনো রাষ্ট্রাচার দেখলাম না। একজন অচল মানুষ। পরের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত সাহায্যকারীও দেওয়া হয়নি, রাষ্ট্র থেকেও সাহায্য করেনি। অনেকক্ষণ বসে থাকলে মনে হয় তাঁর হাত-পা ব্যথা করে। নিজের হাতে ঊরু টিপছিলেন। তা দেখে আমিও তাঁকে সাহায্য করেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন অনুষ্ঠানস্থলে আসেন তখন জাতির পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মান জানাতে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার গা-ঘেঁষা  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও দাঁড়িয়ে ছিলেন। চট করে তাঁর বোধহয় একা দাঁড়াতে অসুবিধা হয়। আমি সাহায্য করেছিলাম। বেরিয়ে আসার সময় তাঁকে যখন একা রেখে আসি বুকটা বড় ধড়ফড় করছিল। তাঁকে কে কতটা সাহায্য করেছে, তাঁর হুইল চেয়ার ঠেলে আদৌ গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে কি না এসব কোনো কিছুই জানি না। প্রিয় বহুমুখী পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন শেষে সরে এলে হাজারো মানুষ সেতুতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটাই বাঙালি, এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের আত্মার অনুভূতি। সদ্যপ্রসূত মা যেমন তাঁর সন্তান বুকে তুলে নেন, ছুঁয়ে দেখেন, চুমু খান পদ্মা সেতু বাঙালির কাছে বাংলার মানুষের কাছে সে রকমই। তাই হেঁটে দেখতে, ছুঁয়ে দেখতে, নেচে দেখতে বেশি বাধা দেবেন না। পদ্মা সেতু ছুঁয়ে দেখতে দিন, হেঁটে দেখতে দিন, হাতিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখতে দিন।

যে যতই বলুন, নেত্রী হাসিনার প্রচার বিভাগে জার্মানির হিটলারের গোয়েবলস থাকতে পারে। কিন্তু খুব বেশি জানাশোনা নেই। পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যাপক ষড়যন্ত্র তো আছেই, তার ওপর ভুল বোঝাবুঝিও আছে। পদ্মা সেতুতে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়নি। খরচ হয়েছে ১২-১৩ হাজার কোটি টাকা। অন্য টাকা অন্য কাজে খরচ হয়েছে- জমি কেনা, নদীশাসন, অ্যাপ্রোচ রোড, ঘর-দুয়ারসহ অন্যান্য খাতে। বিহার-আসামে ভূপেন হাজারিকা সেতু ৯.১৫ কিলোমিটার, আমাদের পদ্মা বহুমুখী সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার। অনেকের ধারণা, ৩ কিলোমিটার ছোট অথচ খরচ এত বেশি! ভূপেন হাজারিকা সেতুর প্রস্থ ৪২ ফুট, পদ্মা সেতুর প্রস্থ ৬০ ফুট। পাইল লোডিং ক্যাপাসিটি ভূপেন হাজারিকা সেতু ৬০ টন, পদ্মা সেতুতে পাইল লোড ক্যাপাসিটি ৮ হাজার ২০০ টন। ভূপেন হাজারিকা সেতুর প্রতি পিলারের ওজন ১২০ টন আর পদ্মা সেতুর পিলারের ওজন ৫০ হাজার টন। পদ্মা সেতুর একেকটি গার্ডার ১৫০ মিটার, ভূপেন হাজারিকা সেতুর গার্ডার ৫০ মিটার। ৪৫০ ফুট লম্বা গার্ডার খুব একটা ব্যবহার করা হয় না, এর আগে হয়নি। কারিগরি দিক থেকে পদ্মা সেতু বিশ্বের এক নববিস্ময়, তা অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। যা হোক, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে যাঁরাই নিন্দিত হয়েছিলেন তাঁরা সবাই শেষ পর্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন এটা আল্লাহর মেহেরবানি, তাঁর দান। দেশবাসী খুবই খুশি। শুভ উদ্বোধনে মোনাজাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক পাশে হাত তুলেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, অন্যপাশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখানে আবুল হাসান চৌধুরী থাকলে তাঁর আত্মাও অনেকটা আনন্দ পেত, নিজেকে নিষ্কলুষ ভাবতে পারতেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও সচিব মোশাররফের যেমন দায়মুক্ত পূতপবিত্র হয়ে মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে আসার মতো, তেমনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের জীবনের এক শ্রেষ্ঠ অর্জন। এক শ্রেষ্ঠ কর্মবীর, কালের মহানায়কের মতো নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হয়ে রইলেন সেতুমন্ত্রী আমার প্রিয় ওবায়দুল কাদের।

                লেখক : রাজনীতিক।

               www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ
আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর বিষয়ে আপিলের চূড়ান্ত রায় আজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর বিষয়ে আপিলের চূড়ান্ত রায় আজ

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাত মাওবাদী নিহত
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাত মাওবাদী নিহত

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’
‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা
ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৯ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

২১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১৮ ঘণ্টা আগে | টক শো

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান
বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম