শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২

শেখ হাসিনার কালজয়ী মহাকর্ম পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
শেখ হাসিনার কালজয়ী মহাকর্ম পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন

কি সৌভাগ্য, স্বপ্নের বহুমুখী পদ্মা সেতু আমার ৩৯তম শুভ পরিণয়ের দিনে শুভ উদ্বোধন হলো। আমার জীবনে এ এক দুর্লভ সৌভাগ্য। আমি চোখমুখ বুজে সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলতে পারি না। আমার বুকের ভিতর বড় বেশি তোলপাড় করে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা সেই ১৯৬০-৬২ সাল থেকে। ’৬২ সালে বাসাইলের এক নির্বাচনে শেখ মুজিব আমাদের টাঙ্গাইলের ভাঙা বাড়িতে গিয়েছিলেন। আমার ছোটবোন রহিমা ছাত্রলীগের সম্মেলনে এসে ধানমন্ডির বাড়িতে থেকেছে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা কত আদরযতœ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই গর্ব করে আমাকে বলেছেন, ‘জানো বজ্র, রহিমা একবার আমাদের বাড়িতে খুব কেঁদেছিল। একদিন লতিফ ভাই আসে নাই বলে রহিমার মন খারাপ। মা বলেছিল, তুমি মন খারাপ করছ কেন? লতিফ তো আর আসবে না। সে তো তোমাকে আমার কাছে বিক্রি করে গেছে। আমরা তোমাকে দিয়ে কাজ করাব না। ভালো স্কুলে পড়াব।’ রহিমা বলেছিল, মার জন্য যে মন কেমন করে। মা বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে। মার জন্য খারাপ লাগলে মাকে দেখে আসবে। আমরা তোমাকে দেখিয়ে আনব।’ এভাবেই আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমার সঙ্গে অত বেশি গভীর সম্পর্ক ছিল না। ’৬৯-এ পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত মুজিব বঙ্গবন্ধু হলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, অনেকটা কাছাকাছি হই। কিন্তু কামাল-জামাল-রাসেল বা বোনের সঙ্গে ততটা নয়, যতটা স্বাধীনতার পরপরই বৃদ্ধি পেয়েছিল পিতার সঙ্গে। স্বাধীনতার পর ১৮ ডিসেম্বর ধানমন্ডির ১৯ নম্বর বাড়িতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা জামাল-রাসেল এবং বোন হাসিনা-রেহানার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমাকে জড়িয়ে ধরে তিনি আকুল হয়ে কেঁদেছিলেন। আমি সব মেয়েকে মায়ের মতো, বোনের মতো, সন্তানের মতো দেখি। সেই ১৮ ডিসেম্বর আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নার অনুভূতি আজও আমাকে নাড়া দেয়। ১৬ ডিসেম্বর ’৯০ দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সারা দিন এক পায়ে দাঁড়িয়ে থেকে রাত সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডির ৩২-এ যখন পৌঁছেছিলাম বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেভাবে আগলে ধরেছিলেন তা একমাত্র কোনো মা তাঁর সন্তানকে ওভাবেই আগলে ধরতে পারেন, আগলে ধরেন। এখন অনেক বয়স হয়েছে। বয়সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার থেকে কয়েক মাসের ছোট। আদরযতœ, ভালোবাসায় অনেক বড়। আমার বড় বোন আমার জন্মের আগেই মারা যান। বড় বোনের অভাব ছিল। যেটা তিনি পুরোপুরিই মিটিয়েছেন। তাই কোনো খেদ নেই, দুঃখ নেই। কিন্তু দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা আছে। ১৮ ডিসেম্বর ’৭১ ধানমন্ডির ১৯ নম্বর বাড়ি থেকে জামালকে নিয়ে পল্টনে গিয়েছিলাম। পত্রিকার পাতায় জামালের সে ছবি এখনো আমার সামনে জ্বলজ্বল করে ভাসে। দাওয়াত পেয়েছিলাম, পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। পদ্মা সেতু সত্যিই বাঙালি জাতির জন্য, স্বাধীন দেশের জন্য এক বিরাট অর্জন, এক মহাবিস্ময়। সেতুটা কে করেছে, কে করেনি এটা বড় কথা নয়, সেতুটি হয়েছে। দ্বিখন্ডিত দেশ পদ্মা সেতুর জন্য অভিন্ন হয়েছে এটাই বড় কথা। আরও বড় কথা বিশ্বব্যাংক অন্যায়ভাবে দুর্নীতির অভিযোগে হাত গুটিয়ে নিলে মুজিবকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা শাশ্বত বাঙালির পরিচয় বহন করে। নিশ্চয়ই তাঁর অমন দুর্বার দৃঢ়তা না হলে পদ্মা সেতু হতো না। তাই বিরোধীরা বিরোধিতা করলে তার জন্য অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছুই নেই। যাঁরা ভেবেছেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, তাঁদের চিন্তা-চেতনা তাঁদের মতো, তাঁদের ভাবনা কোনো দোষের নয়। এখন হয়েছে, তাঁরা নতুন করে ভাববেন, সাহসী নেতৃত্ব থাকলে দৃঢ় মনোবল থাকলে সবই সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা কি দেখিনি কতজন কত কথা বলেছেন, পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধ করবে এও কি সম্ভব! কিন্তু আমরা মুজিবপাগলরা সে অসম্ভবও সম্ভব করেছি। তাই সবার চিন্তা এক নয়। সবাই সব ভাবতে পারে না। এজন্য কাউকে দোষ দিয়ে লাভ কী? দরকারও নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে যথার্থই বলেছেন, যাঁদের কাছে অসম্ভব মনে হয়েছে তাঁরা অসম্ভব বলেছেন। এখন সম্ভব হয়েছে নিশ্চয়ই তা তাঁরা উপলব্ধি করবেন। এর চাইতে যথার্থ রাষ্ট্রনায়কোচিত কথা আর কী হতে পারে? তাই এ শুভদিনে তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

যে যা-ই বলুন, বোনের সরকারে সাজিয়ে গুছিয়ে দায়িত্ব নিয়ে সঠিকভাবে অনেকে কাজ করতে পারে না। এত বড় একটা মহাযজ্ঞ, পদ্মা সেতু উদ্বোধন; পাঁচ-সাত দিন আগে দাওয়াতপত্র দিতে পারতেন। আমি দাওয়াত পেয়েছি দুই দিন আগে। হঠাৎ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সাধারণ সম্পাদক বীরপ্রতীক হাবিবুর রহমান তালুকদারের নামে দাওয়াতপত্র আসে ২৪ তারিখ বিকাল ৫টায়। বীরপ্রতীক তখন টাঙ্গাইলে। কভিড পরীক্ষা করতে হবে। সব সময়ই যাকে ছোট ভাইয়ের মতো ¯ন্ডেœহ করি, আমার মেয়ের মতো লাভলীকে বিয়ে করেছে সুভাষ সিংহ রায়। বন্দুকের গুলির চাইতে দ্রুত যার মুখ চলে। অজ্ঞ নয়, মুর্খ নয়; জ্ঞান-গরিমা, লেখাপড়া আছে। সেদিন আমাকে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিকিৎসা-ভাবনা’ নামে অসাধারণ বই দিয়েছে। আমার অত কিছু জানাই ছিল না। সেই সুভাষকে কভিড পরীক্ষার জন্য ফোন করেছিলাম। অনেক হাতিপাতি করে অনেক চেষ্টা করে সে কিছু করতে পারেনি। এই বোধহয় আমার কোনো কথা সে রক্ষা করতে পারেনি। বড় বেদনাহত হয়েছে। কিন্তু গিয়েছিলাম, কোনো অসুবিধা হয়নি। ভিতরে কোনো যতœ ছিল না। কেউ কারও খোঁজ করেনি। ৫-৭ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম। উপাধ্যক্ষ শহীদ পাশে বসা ছিলেন। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। দাঁড়িয়েই তাদের মোকাবিলা করছিলাম। আমার টাঙ্গাইলের ছেলে এক সাংবাদিক আশরাফ কোথা থেকে এসে আমাকে নিয়ে একেবারে বাঁয়ে প্রথম সারিতে বসিয়ে দিয়েছিল। আমার বাঁয়ে হুইল চেয়ারে ছিলেন একজন যথার্থ নিবেদিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধের অনন্য ব্যক্তিত্ব ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বসার পর যথেষ্ট যতœ পেয়েছি গুরুত্ব পেয়েছি। বসার আগে একজন ভালো মানুষ আমির হোসেন আমুর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম। তিনিও সামনে বসে ছিলেন। ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তখন কোনো কাজে আমির হোসেন আমু আমাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। বলেছিলাম, একজন ভালো মানুষ দেশ ও দলের জন্য তেমন কিছু করতে পারলেন না। ডা. জাফরুল্লাহ বললেন, আপনি আমার মনের কথা বলেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম বক্তৃতা করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আমার টাঙ্গাইলের মানুষ। খুব ভালো বলেছেন। আমার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীরের ভাগনে, ছোট ভাই বেলাল সিদ্দিকীর সঙ্গে লেখাপড়া করেছেন। একবার বলেই ফেলেন, ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে টাঙ্গাইলে মামার বাড়ি গেলে জাপানিরা তখন মামাবাড়ি আসত। বলত, যমুনা ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে এসেছেন। সে-ই তার প্রথম ফিজিবিলিটি স্টাডি শোনা। ভদ্রলোক সেতু বিভাগে বহুদিন ছিলেন। তারপর অনেক বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি। শুনেছি, সচিবালয়ের মসজিদে মাঝেমধ্যে ইমামতিও করেন। একজন দরদি ভালো মানুষ। আমার প্রিয় খুবই প্রিয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চমৎকার বক্তৃতা করেছেন। তাঁর প্রতিটি কথায় দরদ ছিল, ভালোবাসা ছিল, তেমন কোনো অহংকার ছিল না। যেটা একজন মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ গুণ। সে গুণের প্রকাশ পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। ওবায়দুল কাদেরের জীবনে অনেক বড় বড় ঘটনা আছে। দীর্ঘদিন নানা আন্দোলন সংগ্রামে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ অবদান পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্পৃক্ততা। তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলেন।

বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে সব সময়ই ভালোবাসি, শুভ কামনা করি। কোনো কোনো সময় তাঁর কোনো কথা পছন্দ হয় না। অত বড় নেতা হয়ে যেসব ছোট কথা তাঁর না বললেও চলে সেসবে আমার যত আপত্তি। কিন্তু বহুদিন পর তাঁর বক্তৃতা আমার ভালো লেগেছে। চমৎকার অনুভূতি ছিল, বুকে ব্যথা চোখে পানিও ছিল। তিনি জাতির পিতার পরই ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেছেন। সামনে বসেছিলাম বলে কি না, দেখে ছিলেন কি না ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদেরও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। ওর আগেও ছোটখাটো দু-চারটি দলীয় অনুষ্ঠানে ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়েছেন, স্মরণ করেছেন। কিন্তু মনে হয় না এত বড় কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আর কখনো ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওভাবে মনে করেছেন। তাঁর উচ্চারণ তাঁর কণ্ঠ তাঁর দরদে আমার মনে হয়েছে তিনি সত্যিই ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, ঋণী। তাদের অবদানে গর্বিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধারা যে এখনো সরকারের খাতায় দুষ্কৃতকারী! সেই মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কারও আমলেই তাদের দুষ্কৃতকারীর খেতাব ঘোচেনি। একজন সরকারপ্রধান তো দুষ্কৃতকারীদের ধন্যবাদ দিতে পারেন না, অভিনন্দন জানাতে পারেন না। তাহলে অবশ্যই ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধ করে তারা জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন এ কথা মুক্তকণ্ঠে জাতিকে জানাতে হয়। তা না হলে দুষ্কৃতকারীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো অভিনন্দন বা শুভেচ্ছা জানাতে পারেন না। তাই সবার আগে তাদের জাতীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন।

সার্বিক বিবেচনায় বহুমুখী পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনিন্দ্যসুন্দর, সফল হয়েছে। সব দলের লোকজনকে বলে কয়ে আদরযতœ করে ধরে বেঁধে নিয়ে যেতে পারলে আরও ভালো হতো। বিএনপি নেতাদের দাওয়াত করা যথার্থ ছিল। তাঁরা যাননি, যাওয়ার পরিবেশ ছিল কি না তা তাঁরা বুঝবেন। এমন এক দারুণ ঐতিহাসিক ঘটনায় বেগম খালেদা জিয়াকেও শরিক করা হলে ঐতিহাসিক মাত্রা পেত। দাওয়াত করলে তিনি না গেলে তা তাঁরা বুঝতেন। তাই সামান্য হলেও খুঁত থেকে গেল। অনেকে অনেক যুক্তি দেবেন সে যুক্তি খন্ডনের ক্ষমতা অনেকেরই থাকবে না। কিন্তু আমি যুক্তি দিয়ে বলছি না, আমি অন্তর দিয়ে বঙ্গবন্ধুর উদারতা দিয়ে বলছি। যুক্তির চাইতে মুক্তি অনেক সবল অনেক শক্তিশালী অনেক ভালো। সবকিছুর পরও বলব উদ্বোধন অনুষ্ঠান অসাধারণ স্মরণ রাখার মতো। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনুষ্ঠানে যাওয়ায় খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু কেন যেন তাঁর প্রতি কোনো রাষ্ট্রাচার দেখলাম না। একজন অচল মানুষ। পরের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত সাহায্যকারীও দেওয়া হয়নি, রাষ্ট্র থেকেও সাহায্য করেনি। অনেকক্ষণ বসে থাকলে মনে হয় তাঁর হাত-পা ব্যথা করে। নিজের হাতে ঊরু টিপছিলেন। তা দেখে আমিও তাঁকে সাহায্য করেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন অনুষ্ঠানস্থলে আসেন তখন জাতির পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মান জানাতে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার গা-ঘেঁষা  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও দাঁড়িয়ে ছিলেন। চট করে তাঁর বোধহয় একা দাঁড়াতে অসুবিধা হয়। আমি সাহায্য করেছিলাম। বেরিয়ে আসার সময় তাঁকে যখন একা রেখে আসি বুকটা বড় ধড়ফড় করছিল। তাঁকে কে কতটা সাহায্য করেছে, তাঁর হুইল চেয়ার ঠেলে আদৌ গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে কি না এসব কোনো কিছুই জানি না। প্রিয় বহুমুখী পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন শেষে সরে এলে হাজারো মানুষ সেতুতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটাই বাঙালি, এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের আত্মার অনুভূতি। সদ্যপ্রসূত মা যেমন তাঁর সন্তান বুকে তুলে নেন, ছুঁয়ে দেখেন, চুমু খান পদ্মা সেতু বাঙালির কাছে বাংলার মানুষের কাছে সে রকমই। তাই হেঁটে দেখতে, ছুঁয়ে দেখতে, নেচে দেখতে বেশি বাধা দেবেন না। পদ্মা সেতু ছুঁয়ে দেখতে দিন, হেঁটে দেখতে দিন, হাতিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখতে দিন।

যে যতই বলুন, নেত্রী হাসিনার প্রচার বিভাগে জার্মানির হিটলারের গোয়েবলস থাকতে পারে। কিন্তু খুব বেশি জানাশোনা নেই। পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যাপক ষড়যন্ত্র তো আছেই, তার ওপর ভুল বোঝাবুঝিও আছে। পদ্মা সেতুতে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়নি। খরচ হয়েছে ১২-১৩ হাজার কোটি টাকা। অন্য টাকা অন্য কাজে খরচ হয়েছে- জমি কেনা, নদীশাসন, অ্যাপ্রোচ রোড, ঘর-দুয়ারসহ অন্যান্য খাতে। বিহার-আসামে ভূপেন হাজারিকা সেতু ৯.১৫ কিলোমিটার, আমাদের পদ্মা বহুমুখী সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার। অনেকের ধারণা, ৩ কিলোমিটার ছোট অথচ খরচ এত বেশি! ভূপেন হাজারিকা সেতুর প্রস্থ ৪২ ফুট, পদ্মা সেতুর প্রস্থ ৬০ ফুট। পাইল লোডিং ক্যাপাসিটি ভূপেন হাজারিকা সেতু ৬০ টন, পদ্মা সেতুতে পাইল লোড ক্যাপাসিটি ৮ হাজার ২০০ টন। ভূপেন হাজারিকা সেতুর প্রতি পিলারের ওজন ১২০ টন আর পদ্মা সেতুর পিলারের ওজন ৫০ হাজার টন। পদ্মা সেতুর একেকটি গার্ডার ১৫০ মিটার, ভূপেন হাজারিকা সেতুর গার্ডার ৫০ মিটার। ৪৫০ ফুট লম্বা গার্ডার খুব একটা ব্যবহার করা হয় না, এর আগে হয়নি। কারিগরি দিক থেকে পদ্মা সেতু বিশ্বের এক নববিস্ময়, তা অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। যা হোক, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে যাঁরাই নিন্দিত হয়েছিলেন তাঁরা সবাই শেষ পর্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন এটা আল্লাহর মেহেরবানি, তাঁর দান। দেশবাসী খুবই খুশি। শুভ উদ্বোধনে মোনাজাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক পাশে হাত তুলেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, অন্যপাশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখানে আবুল হাসান চৌধুরী থাকলে তাঁর আত্মাও অনেকটা আনন্দ পেত, নিজেকে নিষ্কলুষ ভাবতে পারতেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও সচিব মোশাররফের যেমন দায়মুক্ত পূতপবিত্র হয়ে মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে আসার মতো, তেমনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের জীবনের এক শ্রেষ্ঠ অর্জন। এক শ্রেষ্ঠ কর্মবীর, কালের মহানায়কের মতো নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হয়ে রইলেন সেতুমন্ত্রী আমার প্রিয় ওবায়দুল কাদের।

                লেখক : রাজনীতিক।

               www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৪৬ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৫৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!
চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা