শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২

শেখ হাসিনার কালজয়ী মহাকর্ম পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
শেখ হাসিনার কালজয়ী মহাকর্ম পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন

কি সৌভাগ্য, স্বপ্নের বহুমুখী পদ্মা সেতু আমার ৩৯তম শুভ পরিণয়ের দিনে শুভ উদ্বোধন হলো। আমার জীবনে এ এক দুর্লভ সৌভাগ্য। আমি চোখমুখ বুজে সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলতে পারি না। আমার বুকের ভিতর বড় বেশি তোলপাড় করে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা সেই ১৯৬০-৬২ সাল থেকে। ’৬২ সালে বাসাইলের এক নির্বাচনে শেখ মুজিব আমাদের টাঙ্গাইলের ভাঙা বাড়িতে গিয়েছিলেন। আমার ছোটবোন রহিমা ছাত্রলীগের সম্মেলনে এসে ধানমন্ডির বাড়িতে থেকেছে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা কত আদরযতœ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই গর্ব করে আমাকে বলেছেন, ‘জানো বজ্র, রহিমা একবার আমাদের বাড়িতে খুব কেঁদেছিল। একদিন লতিফ ভাই আসে নাই বলে রহিমার মন খারাপ। মা বলেছিল, তুমি মন খারাপ করছ কেন? লতিফ তো আর আসবে না। সে তো তোমাকে আমার কাছে বিক্রি করে গেছে। আমরা তোমাকে দিয়ে কাজ করাব না। ভালো স্কুলে পড়াব।’ রহিমা বলেছিল, মার জন্য যে মন কেমন করে। মা বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে। মার জন্য খারাপ লাগলে মাকে দেখে আসবে। আমরা তোমাকে দেখিয়ে আনব।’ এভাবেই আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমার সঙ্গে অত বেশি গভীর সম্পর্ক ছিল না। ’৬৯-এ পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত মুজিব বঙ্গবন্ধু হলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, অনেকটা কাছাকাছি হই। কিন্তু কামাল-জামাল-রাসেল বা বোনের সঙ্গে ততটা নয়, যতটা স্বাধীনতার পরপরই বৃদ্ধি পেয়েছিল পিতার সঙ্গে। স্বাধীনতার পর ১৮ ডিসেম্বর ধানমন্ডির ১৯ নম্বর বাড়িতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা জামাল-রাসেল এবং বোন হাসিনা-রেহানার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমাকে জড়িয়ে ধরে তিনি আকুল হয়ে কেঁদেছিলেন। আমি সব মেয়েকে মায়ের মতো, বোনের মতো, সন্তানের মতো দেখি। সেই ১৮ ডিসেম্বর আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নার অনুভূতি আজও আমাকে নাড়া দেয়। ১৬ ডিসেম্বর ’৯০ দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সারা দিন এক পায়ে দাঁড়িয়ে থেকে রাত সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডির ৩২-এ যখন পৌঁছেছিলাম বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেভাবে আগলে ধরেছিলেন তা একমাত্র কোনো মা তাঁর সন্তানকে ওভাবেই আগলে ধরতে পারেন, আগলে ধরেন। এখন অনেক বয়স হয়েছে। বয়সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার থেকে কয়েক মাসের ছোট। আদরযতœ, ভালোবাসায় অনেক বড়। আমার বড় বোন আমার জন্মের আগেই মারা যান। বড় বোনের অভাব ছিল। যেটা তিনি পুরোপুরিই মিটিয়েছেন। তাই কোনো খেদ নেই, দুঃখ নেই। কিন্তু দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা আছে। ১৮ ডিসেম্বর ’৭১ ধানমন্ডির ১৯ নম্বর বাড়ি থেকে জামালকে নিয়ে পল্টনে গিয়েছিলাম। পত্রিকার পাতায় জামালের সে ছবি এখনো আমার সামনে জ্বলজ্বল করে ভাসে। দাওয়াত পেয়েছিলাম, পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। পদ্মা সেতু সত্যিই বাঙালি জাতির জন্য, স্বাধীন দেশের জন্য এক বিরাট অর্জন, এক মহাবিস্ময়। সেতুটা কে করেছে, কে করেনি এটা বড় কথা নয়, সেতুটি হয়েছে। দ্বিখন্ডিত দেশ পদ্মা সেতুর জন্য অভিন্ন হয়েছে এটাই বড় কথা। আরও বড় কথা বিশ্বব্যাংক অন্যায়ভাবে দুর্নীতির অভিযোগে হাত গুটিয়ে নিলে মুজিবকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা শাশ্বত বাঙালির পরিচয় বহন করে। নিশ্চয়ই তাঁর অমন দুর্বার দৃঢ়তা না হলে পদ্মা সেতু হতো না। তাই বিরোধীরা বিরোধিতা করলে তার জন্য অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছুই নেই। যাঁরা ভেবেছেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, তাঁদের চিন্তা-চেতনা তাঁদের মতো, তাঁদের ভাবনা কোনো দোষের নয়। এখন হয়েছে, তাঁরা নতুন করে ভাববেন, সাহসী নেতৃত্ব থাকলে দৃঢ় মনোবল থাকলে সবই সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা কি দেখিনি কতজন কত কথা বলেছেন, পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধ করবে এও কি সম্ভব! কিন্তু আমরা মুজিবপাগলরা সে অসম্ভবও সম্ভব করেছি। তাই সবার চিন্তা এক নয়। সবাই সব ভাবতে পারে না। এজন্য কাউকে দোষ দিয়ে লাভ কী? দরকারও নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে যথার্থই বলেছেন, যাঁদের কাছে অসম্ভব মনে হয়েছে তাঁরা অসম্ভব বলেছেন। এখন সম্ভব হয়েছে নিশ্চয়ই তা তাঁরা উপলব্ধি করবেন। এর চাইতে যথার্থ রাষ্ট্রনায়কোচিত কথা আর কী হতে পারে? তাই এ শুভদিনে তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

যে যা-ই বলুন, বোনের সরকারে সাজিয়ে গুছিয়ে দায়িত্ব নিয়ে সঠিকভাবে অনেকে কাজ করতে পারে না। এত বড় একটা মহাযজ্ঞ, পদ্মা সেতু উদ্বোধন; পাঁচ-সাত দিন আগে দাওয়াতপত্র দিতে পারতেন। আমি দাওয়াত পেয়েছি দুই দিন আগে। হঠাৎ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সাধারণ সম্পাদক বীরপ্রতীক হাবিবুর রহমান তালুকদারের নামে দাওয়াতপত্র আসে ২৪ তারিখ বিকাল ৫টায়। বীরপ্রতীক তখন টাঙ্গাইলে। কভিড পরীক্ষা করতে হবে। সব সময়ই যাকে ছোট ভাইয়ের মতো ¯ন্ডেœহ করি, আমার মেয়ের মতো লাভলীকে বিয়ে করেছে সুভাষ সিংহ রায়। বন্দুকের গুলির চাইতে দ্রুত যার মুখ চলে। অজ্ঞ নয়, মুর্খ নয়; জ্ঞান-গরিমা, লেখাপড়া আছে। সেদিন আমাকে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিকিৎসা-ভাবনা’ নামে অসাধারণ বই দিয়েছে। আমার অত কিছু জানাই ছিল না। সেই সুভাষকে কভিড পরীক্ষার জন্য ফোন করেছিলাম। অনেক হাতিপাতি করে অনেক চেষ্টা করে সে কিছু করতে পারেনি। এই বোধহয় আমার কোনো কথা সে রক্ষা করতে পারেনি। বড় বেদনাহত হয়েছে। কিন্তু গিয়েছিলাম, কোনো অসুবিধা হয়নি। ভিতরে কোনো যতœ ছিল না। কেউ কারও খোঁজ করেনি। ৫-৭ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম। উপাধ্যক্ষ শহীদ পাশে বসা ছিলেন। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। দাঁড়িয়েই তাদের মোকাবিলা করছিলাম। আমার টাঙ্গাইলের ছেলে এক সাংবাদিক আশরাফ কোথা থেকে এসে আমাকে নিয়ে একেবারে বাঁয়ে প্রথম সারিতে বসিয়ে দিয়েছিল। আমার বাঁয়ে হুইল চেয়ারে ছিলেন একজন যথার্থ নিবেদিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধের অনন্য ব্যক্তিত্ব ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বসার পর যথেষ্ট যতœ পেয়েছি গুরুত্ব পেয়েছি। বসার আগে একজন ভালো মানুষ আমির হোসেন আমুর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম। তিনিও সামনে বসে ছিলেন। ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তখন কোনো কাজে আমির হোসেন আমু আমাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। বলেছিলাম, একজন ভালো মানুষ দেশ ও দলের জন্য তেমন কিছু করতে পারলেন না। ডা. জাফরুল্লাহ বললেন, আপনি আমার মনের কথা বলেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম বক্তৃতা করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আমার টাঙ্গাইলের মানুষ। খুব ভালো বলেছেন। আমার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীরের ভাগনে, ছোট ভাই বেলাল সিদ্দিকীর সঙ্গে লেখাপড়া করেছেন। একবার বলেই ফেলেন, ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে টাঙ্গাইলে মামার বাড়ি গেলে জাপানিরা তখন মামাবাড়ি আসত। বলত, যমুনা ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে এসেছেন। সে-ই তার প্রথম ফিজিবিলিটি স্টাডি শোনা। ভদ্রলোক সেতু বিভাগে বহুদিন ছিলেন। তারপর অনেক বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি। শুনেছি, সচিবালয়ের মসজিদে মাঝেমধ্যে ইমামতিও করেন। একজন দরদি ভালো মানুষ। আমার প্রিয় খুবই প্রিয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চমৎকার বক্তৃতা করেছেন। তাঁর প্রতিটি কথায় দরদ ছিল, ভালোবাসা ছিল, তেমন কোনো অহংকার ছিল না। যেটা একজন মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ গুণ। সে গুণের প্রকাশ পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। ওবায়দুল কাদেরের জীবনে অনেক বড় বড় ঘটনা আছে। দীর্ঘদিন নানা আন্দোলন সংগ্রামে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ অবদান পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্পৃক্ততা। তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলেন।

বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে সব সময়ই ভালোবাসি, শুভ কামনা করি। কোনো কোনো সময় তাঁর কোনো কথা পছন্দ হয় না। অত বড় নেতা হয়ে যেসব ছোট কথা তাঁর না বললেও চলে সেসবে আমার যত আপত্তি। কিন্তু বহুদিন পর তাঁর বক্তৃতা আমার ভালো লেগেছে। চমৎকার অনুভূতি ছিল, বুকে ব্যথা চোখে পানিও ছিল। তিনি জাতির পিতার পরই ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেছেন। সামনে বসেছিলাম বলে কি না, দেখে ছিলেন কি না ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদেরও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। ওর আগেও ছোটখাটো দু-চারটি দলীয় অনুষ্ঠানে ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়েছেন, স্মরণ করেছেন। কিন্তু মনে হয় না এত বড় কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আর কখনো ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওভাবে মনে করেছেন। তাঁর উচ্চারণ তাঁর কণ্ঠ তাঁর দরদে আমার মনে হয়েছে তিনি সত্যিই ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, ঋণী। তাদের অবদানে গর্বিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধারা যে এখনো সরকারের খাতায় দুষ্কৃতকারী! সেই মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কারও আমলেই তাদের দুষ্কৃতকারীর খেতাব ঘোচেনি। একজন সরকারপ্রধান তো দুষ্কৃতকারীদের ধন্যবাদ দিতে পারেন না, অভিনন্দন জানাতে পারেন না। তাহলে অবশ্যই ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধ করে তারা জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন এ কথা মুক্তকণ্ঠে জাতিকে জানাতে হয়। তা না হলে দুষ্কৃতকারীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো অভিনন্দন বা শুভেচ্ছা জানাতে পারেন না। তাই সবার আগে তাদের জাতীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন।

সার্বিক বিবেচনায় বহুমুখী পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনিন্দ্যসুন্দর, সফল হয়েছে। সব দলের লোকজনকে বলে কয়ে আদরযতœ করে ধরে বেঁধে নিয়ে যেতে পারলে আরও ভালো হতো। বিএনপি নেতাদের দাওয়াত করা যথার্থ ছিল। তাঁরা যাননি, যাওয়ার পরিবেশ ছিল কি না তা তাঁরা বুঝবেন। এমন এক দারুণ ঐতিহাসিক ঘটনায় বেগম খালেদা জিয়াকেও শরিক করা হলে ঐতিহাসিক মাত্রা পেত। দাওয়াত করলে তিনি না গেলে তা তাঁরা বুঝতেন। তাই সামান্য হলেও খুঁত থেকে গেল। অনেকে অনেক যুক্তি দেবেন সে যুক্তি খন্ডনের ক্ষমতা অনেকেরই থাকবে না। কিন্তু আমি যুক্তি দিয়ে বলছি না, আমি অন্তর দিয়ে বঙ্গবন্ধুর উদারতা দিয়ে বলছি। যুক্তির চাইতে মুক্তি অনেক সবল অনেক শক্তিশালী অনেক ভালো। সবকিছুর পরও বলব উদ্বোধন অনুষ্ঠান অসাধারণ স্মরণ রাখার মতো। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনুষ্ঠানে যাওয়ায় খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু কেন যেন তাঁর প্রতি কোনো রাষ্ট্রাচার দেখলাম না। একজন অচল মানুষ। পরের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত সাহায্যকারীও দেওয়া হয়নি, রাষ্ট্র থেকেও সাহায্য করেনি। অনেকক্ষণ বসে থাকলে মনে হয় তাঁর হাত-পা ব্যথা করে। নিজের হাতে ঊরু টিপছিলেন। তা দেখে আমিও তাঁকে সাহায্য করেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন অনুষ্ঠানস্থলে আসেন তখন জাতির পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মান জানাতে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার গা-ঘেঁষা  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও দাঁড়িয়ে ছিলেন। চট করে তাঁর বোধহয় একা দাঁড়াতে অসুবিধা হয়। আমি সাহায্য করেছিলাম। বেরিয়ে আসার সময় তাঁকে যখন একা রেখে আসি বুকটা বড় ধড়ফড় করছিল। তাঁকে কে কতটা সাহায্য করেছে, তাঁর হুইল চেয়ার ঠেলে আদৌ গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে কি না এসব কোনো কিছুই জানি না। প্রিয় বহুমুখী পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন শেষে সরে এলে হাজারো মানুষ সেতুতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটাই বাঙালি, এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের আত্মার অনুভূতি। সদ্যপ্রসূত মা যেমন তাঁর সন্তান বুকে তুলে নেন, ছুঁয়ে দেখেন, চুমু খান পদ্মা সেতু বাঙালির কাছে বাংলার মানুষের কাছে সে রকমই। তাই হেঁটে দেখতে, ছুঁয়ে দেখতে, নেচে দেখতে বেশি বাধা দেবেন না। পদ্মা সেতু ছুঁয়ে দেখতে দিন, হেঁটে দেখতে দিন, হাতিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখতে দিন।

যে যতই বলুন, নেত্রী হাসিনার প্রচার বিভাগে জার্মানির হিটলারের গোয়েবলস থাকতে পারে। কিন্তু খুব বেশি জানাশোনা নেই। পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যাপক ষড়যন্ত্র তো আছেই, তার ওপর ভুল বোঝাবুঝিও আছে। পদ্মা সেতুতে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়নি। খরচ হয়েছে ১২-১৩ হাজার কোটি টাকা। অন্য টাকা অন্য কাজে খরচ হয়েছে- জমি কেনা, নদীশাসন, অ্যাপ্রোচ রোড, ঘর-দুয়ারসহ অন্যান্য খাতে। বিহার-আসামে ভূপেন হাজারিকা সেতু ৯.১৫ কিলোমিটার, আমাদের পদ্মা বহুমুখী সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার। অনেকের ধারণা, ৩ কিলোমিটার ছোট অথচ খরচ এত বেশি! ভূপেন হাজারিকা সেতুর প্রস্থ ৪২ ফুট, পদ্মা সেতুর প্রস্থ ৬০ ফুট। পাইল লোডিং ক্যাপাসিটি ভূপেন হাজারিকা সেতু ৬০ টন, পদ্মা সেতুতে পাইল লোড ক্যাপাসিটি ৮ হাজার ২০০ টন। ভূপেন হাজারিকা সেতুর প্রতি পিলারের ওজন ১২০ টন আর পদ্মা সেতুর পিলারের ওজন ৫০ হাজার টন। পদ্মা সেতুর একেকটি গার্ডার ১৫০ মিটার, ভূপেন হাজারিকা সেতুর গার্ডার ৫০ মিটার। ৪৫০ ফুট লম্বা গার্ডার খুব একটা ব্যবহার করা হয় না, এর আগে হয়নি। কারিগরি দিক থেকে পদ্মা সেতু বিশ্বের এক নববিস্ময়, তা অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। যা হোক, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে যাঁরাই নিন্দিত হয়েছিলেন তাঁরা সবাই শেষ পর্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন এটা আল্লাহর মেহেরবানি, তাঁর দান। দেশবাসী খুবই খুশি। শুভ উদ্বোধনে মোনাজাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক পাশে হাত তুলেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, অন্যপাশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখানে আবুল হাসান চৌধুরী থাকলে তাঁর আত্মাও অনেকটা আনন্দ পেত, নিজেকে নিষ্কলুষ ভাবতে পারতেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও সচিব মোশাররফের যেমন দায়মুক্ত পূতপবিত্র হয়ে মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে আসার মতো, তেমনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের জীবনের এক শ্রেষ্ঠ অর্জন। এক শ্রেষ্ঠ কর্মবীর, কালের মহানায়কের মতো নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হয়ে রইলেন সেতুমন্ত্রী আমার প্রিয় ওবায়দুল কাদের।

                লেখক : রাজনীতিক।

               www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

২০ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সর্বদা পরকালের জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব
সর্বদা পরকালের জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব

২৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি
ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন
রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল
ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা
দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা
আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের
টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত
মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২
হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ