শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২

শেখ হাসিনার কালজয়ী মহাকর্ম পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
শেখ হাসিনার কালজয়ী মহাকর্ম পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন

কি সৌভাগ্য, স্বপ্নের বহুমুখী পদ্মা সেতু আমার ৩৯তম শুভ পরিণয়ের দিনে শুভ উদ্বোধন হলো। আমার জীবনে এ এক দুর্লভ সৌভাগ্য। আমি চোখমুখ বুজে সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলতে পারি না। আমার বুকের ভিতর বড় বেশি তোলপাড় করে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা সেই ১৯৬০-৬২ সাল থেকে। ’৬২ সালে বাসাইলের এক নির্বাচনে শেখ মুজিব আমাদের টাঙ্গাইলের ভাঙা বাড়িতে গিয়েছিলেন। আমার ছোটবোন রহিমা ছাত্রলীগের সম্মেলনে এসে ধানমন্ডির বাড়িতে থেকেছে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা কত আদরযতœ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই গর্ব করে আমাকে বলেছেন, ‘জানো বজ্র, রহিমা একবার আমাদের বাড়িতে খুব কেঁদেছিল। একদিন লতিফ ভাই আসে নাই বলে রহিমার মন খারাপ। মা বলেছিল, তুমি মন খারাপ করছ কেন? লতিফ তো আর আসবে না। সে তো তোমাকে আমার কাছে বিক্রি করে গেছে। আমরা তোমাকে দিয়ে কাজ করাব না। ভালো স্কুলে পড়াব।’ রহিমা বলেছিল, মার জন্য যে মন কেমন করে। মা বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে। মার জন্য খারাপ লাগলে মাকে দেখে আসবে। আমরা তোমাকে দেখিয়ে আনব।’ এভাবেই আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমার সঙ্গে অত বেশি গভীর সম্পর্ক ছিল না। ’৬৯-এ পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত মুজিব বঙ্গবন্ধু হলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, অনেকটা কাছাকাছি হই। কিন্তু কামাল-জামাল-রাসেল বা বোনের সঙ্গে ততটা নয়, যতটা স্বাধীনতার পরপরই বৃদ্ধি পেয়েছিল পিতার সঙ্গে। স্বাধীনতার পর ১৮ ডিসেম্বর ধানমন্ডির ১৯ নম্বর বাড়িতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা জামাল-রাসেল এবং বোন হাসিনা-রেহানার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমাকে জড়িয়ে ধরে তিনি আকুল হয়ে কেঁদেছিলেন। আমি সব মেয়েকে মায়ের মতো, বোনের মতো, সন্তানের মতো দেখি। সেই ১৮ ডিসেম্বর আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নার অনুভূতি আজও আমাকে নাড়া দেয়। ১৬ ডিসেম্বর ’৯০ দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সারা দিন এক পায়ে দাঁড়িয়ে থেকে রাত সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডির ৩২-এ যখন পৌঁছেছিলাম বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেভাবে আগলে ধরেছিলেন তা একমাত্র কোনো মা তাঁর সন্তানকে ওভাবেই আগলে ধরতে পারেন, আগলে ধরেন। এখন অনেক বয়স হয়েছে। বয়সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার থেকে কয়েক মাসের ছোট। আদরযতœ, ভালোবাসায় অনেক বড়। আমার বড় বোন আমার জন্মের আগেই মারা যান। বড় বোনের অভাব ছিল। যেটা তিনি পুরোপুরিই মিটিয়েছেন। তাই কোনো খেদ নেই, দুঃখ নেই। কিন্তু দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা আছে। ১৮ ডিসেম্বর ’৭১ ধানমন্ডির ১৯ নম্বর বাড়ি থেকে জামালকে নিয়ে পল্টনে গিয়েছিলাম। পত্রিকার পাতায় জামালের সে ছবি এখনো আমার সামনে জ্বলজ্বল করে ভাসে। দাওয়াত পেয়েছিলাম, পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। পদ্মা সেতু সত্যিই বাঙালি জাতির জন্য, স্বাধীন দেশের জন্য এক বিরাট অর্জন, এক মহাবিস্ময়। সেতুটা কে করেছে, কে করেনি এটা বড় কথা নয়, সেতুটি হয়েছে। দ্বিখন্ডিত দেশ পদ্মা সেতুর জন্য অভিন্ন হয়েছে এটাই বড় কথা। আরও বড় কথা বিশ্বব্যাংক অন্যায়ভাবে দুর্নীতির অভিযোগে হাত গুটিয়ে নিলে মুজিবকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা শাশ্বত বাঙালির পরিচয় বহন করে। নিশ্চয়ই তাঁর অমন দুর্বার দৃঢ়তা না হলে পদ্মা সেতু হতো না। তাই বিরোধীরা বিরোধিতা করলে তার জন্য অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছুই নেই। যাঁরা ভেবেছেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, তাঁদের চিন্তা-চেতনা তাঁদের মতো, তাঁদের ভাবনা কোনো দোষের নয়। এখন হয়েছে, তাঁরা নতুন করে ভাববেন, সাহসী নেতৃত্ব থাকলে দৃঢ় মনোবল থাকলে সবই সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা কি দেখিনি কতজন কত কথা বলেছেন, পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধ করবে এও কি সম্ভব! কিন্তু আমরা মুজিবপাগলরা সে অসম্ভবও সম্ভব করেছি। তাই সবার চিন্তা এক নয়। সবাই সব ভাবতে পারে না। এজন্য কাউকে দোষ দিয়ে লাভ কী? দরকারও নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে যথার্থই বলেছেন, যাঁদের কাছে অসম্ভব মনে হয়েছে তাঁরা অসম্ভব বলেছেন। এখন সম্ভব হয়েছে নিশ্চয়ই তা তাঁরা উপলব্ধি করবেন। এর চাইতে যথার্থ রাষ্ট্রনায়কোচিত কথা আর কী হতে পারে? তাই এ শুভদিনে তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

যে যা-ই বলুন, বোনের সরকারে সাজিয়ে গুছিয়ে দায়িত্ব নিয়ে সঠিকভাবে অনেকে কাজ করতে পারে না। এত বড় একটা মহাযজ্ঞ, পদ্মা সেতু উদ্বোধন; পাঁচ-সাত দিন আগে দাওয়াতপত্র দিতে পারতেন। আমি দাওয়াত পেয়েছি দুই দিন আগে। হঠাৎ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সাধারণ সম্পাদক বীরপ্রতীক হাবিবুর রহমান তালুকদারের নামে দাওয়াতপত্র আসে ২৪ তারিখ বিকাল ৫টায়। বীরপ্রতীক তখন টাঙ্গাইলে। কভিড পরীক্ষা করতে হবে। সব সময়ই যাকে ছোট ভাইয়ের মতো ¯ন্ডেœহ করি, আমার মেয়ের মতো লাভলীকে বিয়ে করেছে সুভাষ সিংহ রায়। বন্দুকের গুলির চাইতে দ্রুত যার মুখ চলে। অজ্ঞ নয়, মুর্খ নয়; জ্ঞান-গরিমা, লেখাপড়া আছে। সেদিন আমাকে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিকিৎসা-ভাবনা’ নামে অসাধারণ বই দিয়েছে। আমার অত কিছু জানাই ছিল না। সেই সুভাষকে কভিড পরীক্ষার জন্য ফোন করেছিলাম। অনেক হাতিপাতি করে অনেক চেষ্টা করে সে কিছু করতে পারেনি। এই বোধহয় আমার কোনো কথা সে রক্ষা করতে পারেনি। বড় বেদনাহত হয়েছে। কিন্তু গিয়েছিলাম, কোনো অসুবিধা হয়নি। ভিতরে কোনো যতœ ছিল না। কেউ কারও খোঁজ করেনি। ৫-৭ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম। উপাধ্যক্ষ শহীদ পাশে বসা ছিলেন। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। দাঁড়িয়েই তাদের মোকাবিলা করছিলাম। আমার টাঙ্গাইলের ছেলে এক সাংবাদিক আশরাফ কোথা থেকে এসে আমাকে নিয়ে একেবারে বাঁয়ে প্রথম সারিতে বসিয়ে দিয়েছিল। আমার বাঁয়ে হুইল চেয়ারে ছিলেন একজন যথার্থ নিবেদিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধের অনন্য ব্যক্তিত্ব ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বসার পর যথেষ্ট যতœ পেয়েছি গুরুত্ব পেয়েছি। বসার আগে একজন ভালো মানুষ আমির হোসেন আমুর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম। তিনিও সামনে বসে ছিলেন। ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তখন কোনো কাজে আমির হোসেন আমু আমাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। বলেছিলাম, একজন ভালো মানুষ দেশ ও দলের জন্য তেমন কিছু করতে পারলেন না। ডা. জাফরুল্লাহ বললেন, আপনি আমার মনের কথা বলেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম বক্তৃতা করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আমার টাঙ্গাইলের মানুষ। খুব ভালো বলেছেন। আমার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীরের ভাগনে, ছোট ভাই বেলাল সিদ্দিকীর সঙ্গে লেখাপড়া করেছেন। একবার বলেই ফেলেন, ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে টাঙ্গাইলে মামার বাড়ি গেলে জাপানিরা তখন মামাবাড়ি আসত। বলত, যমুনা ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে এসেছেন। সে-ই তার প্রথম ফিজিবিলিটি স্টাডি শোনা। ভদ্রলোক সেতু বিভাগে বহুদিন ছিলেন। তারপর অনেক বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি। শুনেছি, সচিবালয়ের মসজিদে মাঝেমধ্যে ইমামতিও করেন। একজন দরদি ভালো মানুষ। আমার প্রিয় খুবই প্রিয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চমৎকার বক্তৃতা করেছেন। তাঁর প্রতিটি কথায় দরদ ছিল, ভালোবাসা ছিল, তেমন কোনো অহংকার ছিল না। যেটা একজন মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ গুণ। সে গুণের প্রকাশ পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। ওবায়দুল কাদেরের জীবনে অনেক বড় বড় ঘটনা আছে। দীর্ঘদিন নানা আন্দোলন সংগ্রামে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ অবদান পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্পৃক্ততা। তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলেন।

বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে সব সময়ই ভালোবাসি, শুভ কামনা করি। কোনো কোনো সময় তাঁর কোনো কথা পছন্দ হয় না। অত বড় নেতা হয়ে যেসব ছোট কথা তাঁর না বললেও চলে সেসবে আমার যত আপত্তি। কিন্তু বহুদিন পর তাঁর বক্তৃতা আমার ভালো লেগেছে। চমৎকার অনুভূতি ছিল, বুকে ব্যথা চোখে পানিও ছিল। তিনি জাতির পিতার পরই ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেছেন। সামনে বসেছিলাম বলে কি না, দেখে ছিলেন কি না ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদেরও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। ওর আগেও ছোটখাটো দু-চারটি দলীয় অনুষ্ঠানে ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়েছেন, স্মরণ করেছেন। কিন্তু মনে হয় না এত বড় কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আর কখনো ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওভাবে মনে করেছেন। তাঁর উচ্চারণ তাঁর কণ্ঠ তাঁর দরদে আমার মনে হয়েছে তিনি সত্যিই ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, ঋণী। তাদের অবদানে গর্বিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধারা যে এখনো সরকারের খাতায় দুষ্কৃতকারী! সেই মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কারও আমলেই তাদের দুষ্কৃতকারীর খেতাব ঘোচেনি। একজন সরকারপ্রধান তো দুষ্কৃতকারীদের ধন্যবাদ দিতে পারেন না, অভিনন্দন জানাতে পারেন না। তাহলে অবশ্যই ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধ করে তারা জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন এ কথা মুক্তকণ্ঠে জাতিকে জানাতে হয়। তা না হলে দুষ্কৃতকারীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো অভিনন্দন বা শুভেচ্ছা জানাতে পারেন না। তাই সবার আগে তাদের জাতীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন।

সার্বিক বিবেচনায় বহুমুখী পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনিন্দ্যসুন্দর, সফল হয়েছে। সব দলের লোকজনকে বলে কয়ে আদরযতœ করে ধরে বেঁধে নিয়ে যেতে পারলে আরও ভালো হতো। বিএনপি নেতাদের দাওয়াত করা যথার্থ ছিল। তাঁরা যাননি, যাওয়ার পরিবেশ ছিল কি না তা তাঁরা বুঝবেন। এমন এক দারুণ ঐতিহাসিক ঘটনায় বেগম খালেদা জিয়াকেও শরিক করা হলে ঐতিহাসিক মাত্রা পেত। দাওয়াত করলে তিনি না গেলে তা তাঁরা বুঝতেন। তাই সামান্য হলেও খুঁত থেকে গেল। অনেকে অনেক যুক্তি দেবেন সে যুক্তি খন্ডনের ক্ষমতা অনেকেরই থাকবে না। কিন্তু আমি যুক্তি দিয়ে বলছি না, আমি অন্তর দিয়ে বঙ্গবন্ধুর উদারতা দিয়ে বলছি। যুক্তির চাইতে মুক্তি অনেক সবল অনেক শক্তিশালী অনেক ভালো। সবকিছুর পরও বলব উদ্বোধন অনুষ্ঠান অসাধারণ স্মরণ রাখার মতো। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনুষ্ঠানে যাওয়ায় খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু কেন যেন তাঁর প্রতি কোনো রাষ্ট্রাচার দেখলাম না। একজন অচল মানুষ। পরের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত সাহায্যকারীও দেওয়া হয়নি, রাষ্ট্র থেকেও সাহায্য করেনি। অনেকক্ষণ বসে থাকলে মনে হয় তাঁর হাত-পা ব্যথা করে। নিজের হাতে ঊরু টিপছিলেন। তা দেখে আমিও তাঁকে সাহায্য করেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন অনুষ্ঠানস্থলে আসেন তখন জাতির পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মান জানাতে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার গা-ঘেঁষা  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও দাঁড়িয়ে ছিলেন। চট করে তাঁর বোধহয় একা দাঁড়াতে অসুবিধা হয়। আমি সাহায্য করেছিলাম। বেরিয়ে আসার সময় তাঁকে যখন একা রেখে আসি বুকটা বড় ধড়ফড় করছিল। তাঁকে কে কতটা সাহায্য করেছে, তাঁর হুইল চেয়ার ঠেলে আদৌ গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে কি না এসব কোনো কিছুই জানি না। প্রিয় বহুমুখী পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন শেষে সরে এলে হাজারো মানুষ সেতুতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটাই বাঙালি, এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের আত্মার অনুভূতি। সদ্যপ্রসূত মা যেমন তাঁর সন্তান বুকে তুলে নেন, ছুঁয়ে দেখেন, চুমু খান পদ্মা সেতু বাঙালির কাছে বাংলার মানুষের কাছে সে রকমই। তাই হেঁটে দেখতে, ছুঁয়ে দেখতে, নেচে দেখতে বেশি বাধা দেবেন না। পদ্মা সেতু ছুঁয়ে দেখতে দিন, হেঁটে দেখতে দিন, হাতিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখতে দিন।

যে যতই বলুন, নেত্রী হাসিনার প্রচার বিভাগে জার্মানির হিটলারের গোয়েবলস থাকতে পারে। কিন্তু খুব বেশি জানাশোনা নেই। পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যাপক ষড়যন্ত্র তো আছেই, তার ওপর ভুল বোঝাবুঝিও আছে। পদ্মা সেতুতে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়নি। খরচ হয়েছে ১২-১৩ হাজার কোটি টাকা। অন্য টাকা অন্য কাজে খরচ হয়েছে- জমি কেনা, নদীশাসন, অ্যাপ্রোচ রোড, ঘর-দুয়ারসহ অন্যান্য খাতে। বিহার-আসামে ভূপেন হাজারিকা সেতু ৯.১৫ কিলোমিটার, আমাদের পদ্মা বহুমুখী সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার। অনেকের ধারণা, ৩ কিলোমিটার ছোট অথচ খরচ এত বেশি! ভূপেন হাজারিকা সেতুর প্রস্থ ৪২ ফুট, পদ্মা সেতুর প্রস্থ ৬০ ফুট। পাইল লোডিং ক্যাপাসিটি ভূপেন হাজারিকা সেতু ৬০ টন, পদ্মা সেতুতে পাইল লোড ক্যাপাসিটি ৮ হাজার ২০০ টন। ভূপেন হাজারিকা সেতুর প্রতি পিলারের ওজন ১২০ টন আর পদ্মা সেতুর পিলারের ওজন ৫০ হাজার টন। পদ্মা সেতুর একেকটি গার্ডার ১৫০ মিটার, ভূপেন হাজারিকা সেতুর গার্ডার ৫০ মিটার। ৪৫০ ফুট লম্বা গার্ডার খুব একটা ব্যবহার করা হয় না, এর আগে হয়নি। কারিগরি দিক থেকে পদ্মা সেতু বিশ্বের এক নববিস্ময়, তা অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। যা হোক, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে যাঁরাই নিন্দিত হয়েছিলেন তাঁরা সবাই শেষ পর্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন এটা আল্লাহর মেহেরবানি, তাঁর দান। দেশবাসী খুবই খুশি। শুভ উদ্বোধনে মোনাজাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক পাশে হাত তুলেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, অন্যপাশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখানে আবুল হাসান চৌধুরী থাকলে তাঁর আত্মাও অনেকটা আনন্দ পেত, নিজেকে নিষ্কলুষ ভাবতে পারতেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও সচিব মোশাররফের যেমন দায়মুক্ত পূতপবিত্র হয়ে মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে আসার মতো, তেমনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের জীবনের এক শ্রেষ্ঠ অর্জন। এক শ্রেষ্ঠ কর্মবীর, কালের মহানায়কের মতো নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হয়ে রইলেন সেতুমন্ত্রী আমার প্রিয় ওবায়দুল কাদের।

                লেখক : রাজনীতিক।

               www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প
ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প

এই মাত্র | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট
যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার
বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার

১২ মিনিট আগে | পরবাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা

২৬ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম