শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২

শেখ হাসিনার কালজয়ী মহাকর্ম পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
শেখ হাসিনার কালজয়ী মহাকর্ম পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন

কি সৌভাগ্য, স্বপ্নের বহুমুখী পদ্মা সেতু আমার ৩৯তম শুভ পরিণয়ের দিনে শুভ উদ্বোধন হলো। আমার জীবনে এ এক দুর্লভ সৌভাগ্য। আমি চোখমুখ বুজে সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বলতে পারি না। আমার বুকের ভিতর বড় বেশি তোলপাড় করে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা সেই ১৯৬০-৬২ সাল থেকে। ’৬২ সালে বাসাইলের এক নির্বাচনে শেখ মুজিব আমাদের টাঙ্গাইলের ভাঙা বাড়িতে গিয়েছিলেন। আমার ছোটবোন রহিমা ছাত্রলীগের সম্মেলনে এসে ধানমন্ডির বাড়িতে থেকেছে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা কত আদরযতœ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই গর্ব করে আমাকে বলেছেন, ‘জানো বজ্র, রহিমা একবার আমাদের বাড়িতে খুব কেঁদেছিল। একদিন লতিফ ভাই আসে নাই বলে রহিমার মন খারাপ। মা বলেছিল, তুমি মন খারাপ করছ কেন? লতিফ তো আর আসবে না। সে তো তোমাকে আমার কাছে বিক্রি করে গেছে। আমরা তোমাকে দিয়ে কাজ করাব না। ভালো স্কুলে পড়াব।’ রহিমা বলেছিল, মার জন্য যে মন কেমন করে। মা বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে। মার জন্য খারাপ লাগলে মাকে দেখে আসবে। আমরা তোমাকে দেখিয়ে আনব।’ এভাবেই আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমার সঙ্গে অত বেশি গভীর সম্পর্ক ছিল না। ’৬৯-এ পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত মুজিব বঙ্গবন্ধু হলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, অনেকটা কাছাকাছি হই। কিন্তু কামাল-জামাল-রাসেল বা বোনের সঙ্গে ততটা নয়, যতটা স্বাধীনতার পরপরই বৃদ্ধি পেয়েছিল পিতার সঙ্গে। স্বাধীনতার পর ১৮ ডিসেম্বর ধানমন্ডির ১৯ নম্বর বাড়িতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা জামাল-রাসেল এবং বোন হাসিনা-রেহানার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমাকে জড়িয়ে ধরে তিনি আকুল হয়ে কেঁদেছিলেন। আমি সব মেয়েকে মায়ের মতো, বোনের মতো, সন্তানের মতো দেখি। সেই ১৮ ডিসেম্বর আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নার অনুভূতি আজও আমাকে নাড়া দেয়। ১৬ ডিসেম্বর ’৯০ দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সারা দিন এক পায়ে দাঁড়িয়ে থেকে রাত সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডির ৩২-এ যখন পৌঁছেছিলাম বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেভাবে আগলে ধরেছিলেন তা একমাত্র কোনো মা তাঁর সন্তানকে ওভাবেই আগলে ধরতে পারেন, আগলে ধরেন। এখন অনেক বয়স হয়েছে। বয়সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার থেকে কয়েক মাসের ছোট। আদরযতœ, ভালোবাসায় অনেক বড়। আমার বড় বোন আমার জন্মের আগেই মারা যান। বড় বোনের অভাব ছিল। যেটা তিনি পুরোপুরিই মিটিয়েছেন। তাই কোনো খেদ নেই, দুঃখ নেই। কিন্তু দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা আছে। ১৮ ডিসেম্বর ’৭১ ধানমন্ডির ১৯ নম্বর বাড়ি থেকে জামালকে নিয়ে পল্টনে গিয়েছিলাম। পত্রিকার পাতায় জামালের সে ছবি এখনো আমার সামনে জ্বলজ্বল করে ভাসে। দাওয়াত পেয়েছিলাম, পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনে গিয়েছিলাম। পদ্মা সেতু সত্যিই বাঙালি জাতির জন্য, স্বাধীন দেশের জন্য এক বিরাট অর্জন, এক মহাবিস্ময়। সেতুটা কে করেছে, কে করেনি এটা বড় কথা নয়, সেতুটি হয়েছে। দ্বিখন্ডিত দেশ পদ্মা সেতুর জন্য অভিন্ন হয়েছে এটাই বড় কথা। আরও বড় কথা বিশ্বব্যাংক অন্যায়ভাবে দুর্নীতির অভিযোগে হাত গুটিয়ে নিলে মুজিবকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা শাশ্বত বাঙালির পরিচয় বহন করে। নিশ্চয়ই তাঁর অমন দুর্বার দৃঢ়তা না হলে পদ্মা সেতু হতো না। তাই বিরোধীরা বিরোধিতা করলে তার জন্য অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছুই নেই। যাঁরা ভেবেছেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, তাঁদের চিন্তা-চেতনা তাঁদের মতো, তাঁদের ভাবনা কোনো দোষের নয়। এখন হয়েছে, তাঁরা নতুন করে ভাববেন, সাহসী নেতৃত্ব থাকলে দৃঢ় মনোবল থাকলে সবই সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা কি দেখিনি কতজন কত কথা বলেছেন, পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধ করবে এও কি সম্ভব! কিন্তু আমরা মুজিবপাগলরা সে অসম্ভবও সম্ভব করেছি। তাই সবার চিন্তা এক নয়। সবাই সব ভাবতে পারে না। এজন্য কাউকে দোষ দিয়ে লাভ কী? দরকারও নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে যথার্থই বলেছেন, যাঁদের কাছে অসম্ভব মনে হয়েছে তাঁরা অসম্ভব বলেছেন। এখন সম্ভব হয়েছে নিশ্চয়ই তা তাঁরা উপলব্ধি করবেন। এর চাইতে যথার্থ রাষ্ট্রনায়কোচিত কথা আর কী হতে পারে? তাই এ শুভদিনে তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

যে যা-ই বলুন, বোনের সরকারে সাজিয়ে গুছিয়ে দায়িত্ব নিয়ে সঠিকভাবে অনেকে কাজ করতে পারে না। এত বড় একটা মহাযজ্ঞ, পদ্মা সেতু উদ্বোধন; পাঁচ-সাত দিন আগে দাওয়াতপত্র দিতে পারতেন। আমি দাওয়াত পেয়েছি দুই দিন আগে। হঠাৎ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সাধারণ সম্পাদক বীরপ্রতীক হাবিবুর রহমান তালুকদারের নামে দাওয়াতপত্র আসে ২৪ তারিখ বিকাল ৫টায়। বীরপ্রতীক তখন টাঙ্গাইলে। কভিড পরীক্ষা করতে হবে। সব সময়ই যাকে ছোট ভাইয়ের মতো ¯ন্ডেœহ করি, আমার মেয়ের মতো লাভলীকে বিয়ে করেছে সুভাষ সিংহ রায়। বন্দুকের গুলির চাইতে দ্রুত যার মুখ চলে। অজ্ঞ নয়, মুর্খ নয়; জ্ঞান-গরিমা, লেখাপড়া আছে। সেদিন আমাকে ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিকিৎসা-ভাবনা’ নামে অসাধারণ বই দিয়েছে। আমার অত কিছু জানাই ছিল না। সেই সুভাষকে কভিড পরীক্ষার জন্য ফোন করেছিলাম। অনেক হাতিপাতি করে অনেক চেষ্টা করে সে কিছু করতে পারেনি। এই বোধহয় আমার কোনো কথা সে রক্ষা করতে পারেনি। বড় বেদনাহত হয়েছে। কিন্তু গিয়েছিলাম, কোনো অসুবিধা হয়নি। ভিতরে কোনো যতœ ছিল না। কেউ কারও খোঁজ করেনি। ৫-৭ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলাম। উপাধ্যক্ষ শহীদ পাশে বসা ছিলেন। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। দাঁড়িয়েই তাদের মোকাবিলা করছিলাম। আমার টাঙ্গাইলের ছেলে এক সাংবাদিক আশরাফ কোথা থেকে এসে আমাকে নিয়ে একেবারে বাঁয়ে প্রথম সারিতে বসিয়ে দিয়েছিল। আমার বাঁয়ে হুইল চেয়ারে ছিলেন একজন যথার্থ নিবেদিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধের অনন্য ব্যক্তিত্ব ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বসার পর যথেষ্ট যতœ পেয়েছি গুরুত্ব পেয়েছি। বসার আগে একজন ভালো মানুষ আমির হোসেন আমুর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম। তিনিও সামনে বসে ছিলেন। ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তখন কোনো কাজে আমির হোসেন আমু আমাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। বলেছিলাম, একজন ভালো মানুষ দেশ ও দলের জন্য তেমন কিছু করতে পারলেন না। ডা. জাফরুল্লাহ বললেন, আপনি আমার মনের কথা বলেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম বক্তৃতা করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আমার টাঙ্গাইলের মানুষ। খুব ভালো বলেছেন। আমার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীরের ভাগনে, ছোট ভাই বেলাল সিদ্দিকীর সঙ্গে লেখাপড়া করেছেন। একবার বলেই ফেলেন, ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে টাঙ্গাইলে মামার বাড়ি গেলে জাপানিরা তখন মামাবাড়ি আসত। বলত, যমুনা ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে এসেছেন। সে-ই তার প্রথম ফিজিবিলিটি স্টাডি শোনা। ভদ্রলোক সেতু বিভাগে বহুদিন ছিলেন। তারপর অনেক বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি। শুনেছি, সচিবালয়ের মসজিদে মাঝেমধ্যে ইমামতিও করেন। একজন দরদি ভালো মানুষ। আমার প্রিয় খুবই প্রিয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চমৎকার বক্তৃতা করেছেন। তাঁর প্রতিটি কথায় দরদ ছিল, ভালোবাসা ছিল, তেমন কোনো অহংকার ছিল না। যেটা একজন মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ গুণ। সে গুণের প্রকাশ পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। ওবায়দুল কাদেরের জীবনে অনেক বড় বড় ঘটনা আছে। দীর্ঘদিন নানা আন্দোলন সংগ্রামে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ অবদান পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্পৃক্ততা। তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলেন।

বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে সব সময়ই ভালোবাসি, শুভ কামনা করি। কোনো কোনো সময় তাঁর কোনো কথা পছন্দ হয় না। অত বড় নেতা হয়ে যেসব ছোট কথা তাঁর না বললেও চলে সেসবে আমার যত আপত্তি। কিন্তু বহুদিন পর তাঁর বক্তৃতা আমার ভালো লেগেছে। চমৎকার অনুভূতি ছিল, বুকে ব্যথা চোখে পানিও ছিল। তিনি জাতির পিতার পরই ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেছেন। সামনে বসেছিলাম বলে কি না, দেখে ছিলেন কি না ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদেরও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। ওর আগেও ছোটখাটো দু-চারটি দলীয় অনুষ্ঠানে ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়েছেন, স্মরণ করেছেন। কিন্তু মনে হয় না এত বড় কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আর কখনো ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওভাবে মনে করেছেন। তাঁর উচ্চারণ তাঁর কণ্ঠ তাঁর দরদে আমার মনে হয়েছে তিনি সত্যিই ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, ঋণী। তাদের অবদানে গর্বিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধারা যে এখনো সরকারের খাতায় দুষ্কৃতকারী! সেই মোশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কারও আমলেই তাদের দুষ্কৃতকারীর খেতাব ঘোচেনি। একজন সরকারপ্রধান তো দুষ্কৃতকারীদের ধন্যবাদ দিতে পারেন না, অভিনন্দন জানাতে পারেন না। তাহলে অবশ্যই ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধ করে তারা জাতিকে গৌরবান্বিত করেছেন এ কথা মুক্তকণ্ঠে জাতিকে জানাতে হয়। তা না হলে দুষ্কৃতকারীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো অভিনন্দন বা শুভেচ্ছা জানাতে পারেন না। তাই সবার আগে তাদের জাতীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন।

সার্বিক বিবেচনায় বহুমুখী পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনিন্দ্যসুন্দর, সফল হয়েছে। সব দলের লোকজনকে বলে কয়ে আদরযতœ করে ধরে বেঁধে নিয়ে যেতে পারলে আরও ভালো হতো। বিএনপি নেতাদের দাওয়াত করা যথার্থ ছিল। তাঁরা যাননি, যাওয়ার পরিবেশ ছিল কি না তা তাঁরা বুঝবেন। এমন এক দারুণ ঐতিহাসিক ঘটনায় বেগম খালেদা জিয়াকেও শরিক করা হলে ঐতিহাসিক মাত্রা পেত। দাওয়াত করলে তিনি না গেলে তা তাঁরা বুঝতেন। তাই সামান্য হলেও খুঁত থেকে গেল। অনেকে অনেক যুক্তি দেবেন সে যুক্তি খন্ডনের ক্ষমতা অনেকেরই থাকবে না। কিন্তু আমি যুক্তি দিয়ে বলছি না, আমি অন্তর দিয়ে বঙ্গবন্ধুর উদারতা দিয়ে বলছি। যুক্তির চাইতে মুক্তি অনেক সবল অনেক শক্তিশালী অনেক ভালো। সবকিছুর পরও বলব উদ্বোধন অনুষ্ঠান অসাধারণ স্মরণ রাখার মতো। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনুষ্ঠানে যাওয়ায় খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু কেন যেন তাঁর প্রতি কোনো রাষ্ট্রাচার দেখলাম না। একজন অচল মানুষ। পরের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত সাহায্যকারীও দেওয়া হয়নি, রাষ্ট্র থেকেও সাহায্য করেনি। অনেকক্ষণ বসে থাকলে মনে হয় তাঁর হাত-পা ব্যথা করে। নিজের হাতে ঊরু টিপছিলেন। তা দেখে আমিও তাঁকে সাহায্য করেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন অনুষ্ঠানস্থলে আসেন তখন জাতির পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মান জানাতে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার গা-ঘেঁষা  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও দাঁড়িয়ে ছিলেন। চট করে তাঁর বোধহয় একা দাঁড়াতে অসুবিধা হয়। আমি সাহায্য করেছিলাম। বেরিয়ে আসার সময় তাঁকে যখন একা রেখে আসি বুকটা বড় ধড়ফড় করছিল। তাঁকে কে কতটা সাহায্য করেছে, তাঁর হুইল চেয়ার ঠেলে আদৌ গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে কি না এসব কোনো কিছুই জানি না। প্রিয় বহুমুখী পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন শেষে সরে এলে হাজারো মানুষ সেতুতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটাই বাঙালি, এটাই বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের আত্মার অনুভূতি। সদ্যপ্রসূত মা যেমন তাঁর সন্তান বুকে তুলে নেন, ছুঁয়ে দেখেন, চুমু খান পদ্মা সেতু বাঙালির কাছে বাংলার মানুষের কাছে সে রকমই। তাই হেঁটে দেখতে, ছুঁয়ে দেখতে, নেচে দেখতে বেশি বাধা দেবেন না। পদ্মা সেতু ছুঁয়ে দেখতে দিন, হেঁটে দেখতে দিন, হাতিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখতে দিন।

যে যতই বলুন, নেত্রী হাসিনার প্রচার বিভাগে জার্মানির হিটলারের গোয়েবলস থাকতে পারে। কিন্তু খুব বেশি জানাশোনা নেই। পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যাপক ষড়যন্ত্র তো আছেই, তার ওপর ভুল বোঝাবুঝিও আছে। পদ্মা সেতুতে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়নি। খরচ হয়েছে ১২-১৩ হাজার কোটি টাকা। অন্য টাকা অন্য কাজে খরচ হয়েছে- জমি কেনা, নদীশাসন, অ্যাপ্রোচ রোড, ঘর-দুয়ারসহ অন্যান্য খাতে। বিহার-আসামে ভূপেন হাজারিকা সেতু ৯.১৫ কিলোমিটার, আমাদের পদ্মা বহুমুখী সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার। অনেকের ধারণা, ৩ কিলোমিটার ছোট অথচ খরচ এত বেশি! ভূপেন হাজারিকা সেতুর প্রস্থ ৪২ ফুট, পদ্মা সেতুর প্রস্থ ৬০ ফুট। পাইল লোডিং ক্যাপাসিটি ভূপেন হাজারিকা সেতু ৬০ টন, পদ্মা সেতুতে পাইল লোড ক্যাপাসিটি ৮ হাজার ২০০ টন। ভূপেন হাজারিকা সেতুর প্রতি পিলারের ওজন ১২০ টন আর পদ্মা সেতুর পিলারের ওজন ৫০ হাজার টন। পদ্মা সেতুর একেকটি গার্ডার ১৫০ মিটার, ভূপেন হাজারিকা সেতুর গার্ডার ৫০ মিটার। ৪৫০ ফুট লম্বা গার্ডার খুব একটা ব্যবহার করা হয় না, এর আগে হয়নি। কারিগরি দিক থেকে পদ্মা সেতু বিশ্বের এক নববিস্ময়, তা অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। যা হোক, পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে যাঁরাই নিন্দিত হয়েছিলেন তাঁরা সবাই শেষ পর্যন্ত প্রশংসিত হয়েছেন এটা আল্লাহর মেহেরবানি, তাঁর দান। দেশবাসী খুবই খুশি। শুভ উদ্বোধনে মোনাজাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক পাশে হাত তুলেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, অন্যপাশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এখানে আবুল হাসান চৌধুরী থাকলে তাঁর আত্মাও অনেকটা আনন্দ পেত, নিজেকে নিষ্কলুষ ভাবতে পারতেন। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও সচিব মোশাররফের যেমন দায়মুক্ত পূতপবিত্র হয়ে মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে আসার মতো, তেমনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের জীবনের এক শ্রেষ্ঠ অর্জন। এক শ্রেষ্ঠ কর্মবীর, কালের মহানায়কের মতো নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হয়ে রইলেন সেতুমন্ত্রী আমার প্রিয় ওবায়দুল কাদের।

                লেখক : রাজনীতিক।

               www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
পানির অপচয় থেকে বিরত থাকতে বলে ইসলাম
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
শ্রমবাজারে পেশাগত ও ভাষাগত দক্ষতা
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
ঐক্যের খোঁজে জাতি, অনৈক্যে বিপর্যয় অনিবার্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
রাজনৈতিক নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
সর্বশেষ খবর
এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানো হলো
এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানো হলো

২৮ সেকেন্ড আগে | ভোটের হাওয়া

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আর কোনো ধোঁয়াশা নেই: নুর
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আর কোনো ধোঁয়াশা নেই: নুর

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

শেরপুরে সীমান্তে জমজমাট হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
শেরপুরে সীমান্তে জমজমাট হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

১৪ মিনিট আগে | ফেসবুক কর্নার

ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক
ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক

১৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশে আসছে না আর্জেন্টিনা
শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশে আসছে না আর্জেন্টিনা

১৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগেই গণভোটসহ তিন দাবি জামায়াতসহ আট দলের
নির্বাচনের আগেই গণভোটসহ তিন দাবি জামায়াতসহ আট দলের

১৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

১৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের রেললাইনে আগুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের রেললাইনে আগুন

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে পাল্টা প্রস্তাবে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টায় রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে পাল্টা প্রস্তাবে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টায় রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালুকায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ভালুকায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত
মাদারীপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

উখিয়ায় ইয়াবাসহ চোরাকারবারি আটক
উখিয়ায় ইয়াবাসহ চোরাকারবারি আটক

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সবজির দাম চড়া, বেগুন-করল্লার সেঞ্চুরি
সবজির দাম চড়া, বেগুন-করল্লার সেঞ্চুরি

৪৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বাসচাপায় প্রাণ গেল পথচারীর
বাসচাপায় প্রাণ গেল পথচারীর

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় একমাসে নিহত ২৬০ ফিলিস্তিনি
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় একমাসে নিহত ২৬০ ফিলিস্তিনি

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

নোয়াখালীতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৮
নোয়াখালীতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৮

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেট্রোরেল সম্প্রসারণের দাবিতে মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন
মেট্রোরেল সম্প্রসারণের দাবিতে মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তথ্যচিত্রের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দিতে নারাজ বিবিসি
তথ্যচিত্রের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দিতে নারাজ বিবিসি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের পথে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র
পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের পথে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যাটিন আমেরিকার সঙ্গে ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা
ল্যাটিন আমেরিকার সঙ্গে ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেহেরপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২
মেহেরপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাকার বস্তা নিয়ে হাসিনা তার আত্মীয়-স্বজনকে ভাগিয়ে দিয়েছে : এ্যানি
টাকার বস্তা নিয়ে হাসিনা তার আত্মীয়-স্বজনকে ভাগিয়ে দিয়েছে : এ্যানি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী
ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈবাহিক সম্পর্কেরও মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল
বৈবাহিক সম্পর্কেরও মেয়াদ থাকা উচিত: কাজল

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান
সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানাল ১২ দলীয় জোট
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানাল ১২ দলীয় জোট

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানুষ নেই, এআই দিয়ে লকডাউন পালন করছে আওয়ামী লীগ : এ্যানি
মানুষ নেই, এআই দিয়ে লকডাউন পালন করছে আওয়ামী লীগ : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হামজাকে নিয়ে রোমাঞ্চে নেপাল, প্রস্তুত বাংলাদেশও
হামজাকে নিয়ে রোমাঞ্চে নেপাল, প্রস্তুত বাংলাদেশও

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস নয়: মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মতভিন্নতা সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত ও ভাষণকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি
মতভিন্নতা সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত ও ভাষণকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেপালের বিপক্ষে একাদশে হামজা-জামাল, বেঞ্চে সমিত
নেপালের বিপক্ষে একাদশে হামজা-জামাল, বেঞ্চে সমিত

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট
সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ

সম্পাদকীয়

প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতান্ত্রিক ধারায়  ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন
গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন