শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২ আপডেট:

পদ্মা সেতু থেকে ছিটকে পড়ল অনেকেই

মেজর (অব.) আখতার
প্রিন্ট ভার্সন
পদ্মা সেতু থেকে ছিটকে পড়ল অনেকেই

সরকার তার পরিকল্পনামতো ২৫ জুন অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে ফেলল। কোথাও কোনো খারাপ বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া, বিএনপি ও ড. ইউনূসের অনেক সমালোচনা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি ও ড. ইউনূসকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়। বিএনপি ও ড. ইউনূসকে দাওয়াত দিয়ে সরকার উদারতা দেখিয়েছে বলে দাবি করতে পারে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে কাউকে তুলাধুনা করে তারপর আবার ঘটা করে দাওয়াত দেওয়া কতটা উদারতা- প্রশ্ন থেকে যায়।

পদ্মা সেতু জাতীয় স্থাপনা। এটি নির্মিত হয়েছে জনগণের টাকায়। এর উদ্বোধনও করা হয়েছে জনগণের অর্থেই। কাজেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ছিল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। সেখানে সব বৈধ রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের বিশিষ্টজনকে দাওয়াত করতে সরকার বাধ্য। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে সরকার কারও প্রতি কোনো কৃপা দেখায়নি। বরং দাওয়াত না দিলে সরকার রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার ভঙ্গ করার দায়ে দায়ী হতো। এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ জাতির একটি অতি-সম্মানজনক অর্জন। এ অতি সম্মানজনক অর্জনের একক কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছা, প্রচ- জেদ ও দেশের জনগণের প্রতি অকৃতিম অনুভূতি না থাকলে পদ্মা সেতু নির্মাণে আরও অনেক সময় লাগত। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। চ্যালেঞ্জিং পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসম্পাদনের সক্ষমতার একটি অতি উচ্চমানের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার ঐতিহাসিক উদাহরণ স্থাপন করলেন। এর জন্য শুধু ধন্যবাদ নয়, সমগ্র জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চরম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সামনে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন- বাংলাদেশ যে কোনো বড় কাজও নিজেরা করতে পারে। এটি অবশ্যই জাতির জন্য মাইলফলক। বাংলাদেশের সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত; যার শতভাগ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।

পদ্মা সেতু নির্মাণযজ্ঞে আমরা যে যা কিছু বলে থাকি কিন্তু সেতু উদ্বোধনের সময় আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত ছিল। এতে জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের মান অবশ্যই বৃদ্ধি পেত। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবেই। রাজনীতিতে প্রচ- বৈরিতা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পরস্পরের বিপক্ষে দা-কুড়াল সম্পর্ক কখনই মিটে যাবে না। রাজনৈতিক অর্জন সব সময়ই পরস্পরবিরোধী। রাজনীতিতে মতভিন্ন, দর্শন বিপরীত ও পথ আলাদা। কিন্তু দেশ ও জনগণ এক এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য এক তথা জনগণের কল্যাণ। পদ্মা সেতু হয়তো আমি ভিন্নভাবে তৈরি করতাম, হয়তো অর্থ আরও কম লাগাতাম বা আরও কম সময়ে নির্মাণ সম্পন্ন করতাম। কিন্তু সেতু তো বানাতাম। বর্তমান সরকার সেতু নির্মাণ করে তো কোনো ভুল করেনি। যদি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমরা সবাই প্রতিবাদ করতে পারতাম। প্রয়োজনে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে পারতাম। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। আমরাও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার ছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আমরাও পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি এখন পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারিনি। পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো অভিযোগ যদি ভবিষ্যতে প্রমাণ করতে পারা যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তো কোনো বাধা থাকবে না। কাজেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া এবং ড. ইউনূসকে বক্রোক্তি ছাড়া জনগণের চোখে এখন পর্যন্ত সরকার অন্য কোনো ভুল করেনি। দেশমাতা খালেদা জিয়াকে গালাগাল করার শোধ তো আমরা নিতে পারলাম না- যার দায়দায়িত্ব নিশ্চয় সরকারের নয়! জান বাঁচাতে কাপুরুষের মতো গালাগাল হজম করা ছিল আমাদের ব্যর্থতা।

সরকারের কাছ থেকে সবকিছু ভোগ করছি। সংসদে গিয়ে অবৈধ নির্বাচন বৈধতা দিয়েছি। প্রতিদিন প্রতি বিষয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়ে সরকারের সব কাজের বৈধতা দিচ্ছি। এখানে তো জনগণের কোনো স্বার্থ নেই। তাহলে কেন আমরা এ সরকারের সঙ্গে সংসদে মিলিত হচ্ছি! সংসদে যাওয়ার আমন্ত্রণ তো সরকারই পাঠায়। তাহলে সরকারের সে আমন্ত্রণ রক্ষা করে সংসদে যাওয়া হচ্ছে কোন লজ্জায়! পদ্মা সেতু উদ্বোধনের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদান না করে ২১ জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের সামনে কী বার্তা দেওয়া হলো তার কোনো বিশ্লেষণ হয়েছে কি না জানা যায়নি। তবে জনগণ সাদামাটায় বুঝে গেছে- সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে যা রটাচ্ছে তার পেছনে হয়তো সত্যতা আছে। জনগণ ইতোমধ্যে বলাবলি শুরু করে দিয়েছে- ২১ জেলায় কি কোনো বিএনপি নেই! বিএনপির লোকেরা কি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে না! সংসদীয় রাজনীতিতে সরকারবিরোধীরা অনেক ইস্যুতে সংসদের অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে অর্থাৎ বেরিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সংসদে প্রবেশ করে। এটি প্রতিবাদের সংসদীয় ভাষা। আমরা পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছি, প্রতিবাদ করেছি, পদ্মা সেতুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এটি আমাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে আমাদের কোনো আপস নেই। কিন্তু পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান কেউ বয়কট করেনি। অনুষ্ঠানে কোনো বাধাও সৃষ্টি করেনি। হয়তো ঘটা ও অতিমাত্রায় জাঁকজমক করে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে অনেকের মত থাকতে পারে। সেজন্য জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান বয়কট করা যেতেই পারে এবং বয়কট করার জন্য জনগণের কাছে আহ্বানও থাকতে পারে, যা রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণাও করা যেতে পারে। দেশে ভয়াবহ বন্যা চলমান। এমন একটি পরিবেশে অতি ঘটা ও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা থেকে সরকারকে বিরত করতে বাধ্য করার জন্য দেশব্যাপী কর্মসূচি হতে পারত একটি বলিষ্ঠ রাজনৈতিক পদক্ষেপ। এতে জনগণের মধ্যেও একটি ইতিবাচক সাড়া তুলতে পারত যা বৃহত্তর আন্দোলনের পটভূমি তৈরিতে সহায়ক হতো। জনগণের সামনে তখন ফুটে উঠত বিএনপি জনগণের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেয় এবং জনগণের অর্থ অপচয় রক্ষা করতে জীবন পণ রাখতেও বদ্ধপরিকর।

রাজনীতি কৌশল ও ধৈর্যের খেলা। ধৈর্য ধরে সময়ের বাঁকে সঠিক কৌশলই শুধু আনতে পারে সফলতা। রাজনীতিতে বক্তৃতা-বিবৃতি প্রতিপক্ষকে শুধু অধৈর্য করার লক্ষ্যেই দেওয়া হয়। রাজনীতির মূল লক্ষ্যেই হলো জনগণ। রাজনীতিতে যত কৌশল তা মূলত নেওয়া  হয় নিজেদের পক্ষে ইতিবাচক জনমত তৈরি করার জন্যই। যে বক্তৃতা-বিবৃতিতে জনগণ অসন্তুষ্ট হয় সে বক্তব্যে প্রতিপক্ষই লাভবান হয়। নিজেকে বেকায়দায় পড়তে হয়। সম্প্রতি খালেদা জিয়াকে ধরে নিয়ে পদ্মা নদীতে ফেলে চোবানোর যে বক্তব্য এসেছিল তাতে জনমনে প্রচ- বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছিল। জনগণ ভেবেছিল এ হুমকি মোকাবিলায় বিএনপি অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং সরকারকে অবশ্যই চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে। কিন্তু জাতির চরম দুর্ভাগ্য বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সক্ষমতাও দেখাতে পারেনি। তাই বিএনপিকে মনে হয় জনগণ আস্থায় নিতে পারছে না। বিএনপির প্রতি জনগণের প্রচুর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু বিএনপি বারবার তার সামর্থ্য দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমি বলব না সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই। অবশ্যই সরকারের প্রতি প্রচুর জনসমর্থন আছে কিন্তু তা বিএনপির চেয়ে লক্ষণীয়ভাবে কম তাতে কারও বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এমনকি খোদ সরকারও বিশ্বাস করে, তারা তাদের কাক্সিক্ষত জনমত এখনো অর্জন করতে পারেনি। তাই সরকার ছলেবলে-কৌশলে বিএনপিকে রাজনীতির বাইরে রাখে। সরকার কখনই বিএনপিকে রাষ্ট্রের কাছেই আসতে দেয় না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে সরকারপ্রধান পরিকল্পিত ও সুচিন্তিতভাবে এমন কিছু বক্তব্য মাঠে ছেড়ে দিয়েছিলেন যাতে বিএনপি পদ্মা সেতু থেকে শত মাইল দূরে থাকে! বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়েই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছে এবং সেতু চালুও হয়ে গেছে। দেশের সব সংবাদমাধ্যমে শুধু পদ্মা সেতু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নাম এবং বন্দনা। কোথাও বিএনপির নামগন্ধও নেই। দেশে যে বিরোধী দল আছে তার কোনো অস্তিত্বই দুই দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না! এমনকি বিএনপি যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যায়নি তা-ও কোনো খবর হতে পারেনি। বিএনপির এ অবস্থানকে কেউ গুরুত্বই দেয়নি! তার মানে কী দাঁড়াল? পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির না যাওয়া নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। অর্থাৎ জনগণ বিএনপির এ কাজটিকে সমর্থন দিল না! তবে কি রাজনীতি বিএনপির পক্ষে থাকছে না? পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় বাধা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের সে বাধার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপানের জাইকা। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে তারা কী বলে একটু দেখে নিই : বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম ছিল ‘অভিনন্দন বিশ্বব্যাংকের’। তারপর বিস্তারিত খবরে লেখা হয়, দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সঠিকভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিরসন ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে পদ্মা সেতু অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন এসব কথা বলেছেন।

মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, সময় এসেছে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সুবিধা বয়ে আনবে। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এ স্বীকৃতি দেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, এ সেতু দেশের সমন্বিত প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রাখবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকে বাংলাদেশের জন্য ‘বিশাল অর্জন’ হিসেবে বর্ণনা করে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমরা এ সেতুর গুরুত্ব বুঝতে পারি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। পদ্মা সেতুর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভ্রমণে সময় কমে আসবে। কম সময়ে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারবে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু এ অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে, দারিদ্র্যও কমিয়ে আনবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু নির্মাণকাজের তদারক করতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। এরপর একে একে সব অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিশ্রুত অর্থায়ন স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর দেখি জাপান কী বলে। একই সংবাদপত্রে শিরোনাম ছিল- ‘সক্ষমতার জানান দিল বাংলাদেশ’। পরে বিস্তারিত খবরে ছিল- ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সক্ষমতার জানান দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে। এটা স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় স্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ কী করতে পারে। ইতো নাওকি বলেন, জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আরও অনেক অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে। এ উন্নয়নের যাত্রায় জাপান-জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আমরা এ মহোৎসবে আসতে পেরে আনন্দিত।’ এখানে লক্ষণীয়, জাপান ‘জাতীয় স্থিতি’ বলে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেছে।

জানি না এগুলোকে কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? তবে আমি এটুকু বুঝি, রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করে সরকার। সরকারের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু রাষ্ট্রের সঙ্গে নয়। পদ্মা সেতু একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ যা নির্মাণ করেছে চলমান সরকার এবং সেটি নির্মিত হয়েছে জনগণের টাকায়। আমি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি বা প্রয়োজনে বয়কট করতে পারি। কারণ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমার ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে তা স্পষ্ট করতে হবে। কারণ জনগণকে জানাতে হবে আমার অবস্থান কী।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যেহেতু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেলখানায় বন্দি তার পরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ দিতে পারতেন। এতে ইতিবাচক জনমত তৈরি হতো বলেই আমি বিশ্বাস করি। সেই সঙ্গে সেতুর ব্যাপারে তাঁর অভিমতও জনগণ জানতে পারত। তিনি জেলে বন্দি তার পরও এ শুভেচ্ছা আমরা তাঁর কাছ থেকে নিয়ে আসতে পারতাম। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে পারতেন। ধন্যবাদ দিতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর অস্তিত্বকেই জানান দিতে পারতেন। সুযোগ সৃষ্টি করতে পারতেন রাজনৈতিক সংলাপের। কমিয়ে নিয়ে আসতে পারতেন বৈরিতার। সেই মাহেন্দ্র সুযোগটিও হাতছাড়া হয়ে গেল!

যাই হোক, সব শেষে বলব, বিএনপি নেতাদের পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না যাওয়া রাজনৈতিকভাবে ভুল হয়েছে। ভুল হয়েছে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন না জানানো। ধন্যবাদ দিলে নিজেরাই ধন্য হতেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, পদ্মা সেতু জনগণের। বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে। একদিন হয়তো আল্লাহ চাইলে পদ্মা সেতুসহ রাষ্ট্রের দায়িত্ব বিএনপির ওপর বর্তাতে পারে। তখন কিন্তু পদ্মা সেতু গলার কাঁটা হতে পারে- যেমন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা না করে যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, তাইওয়ানকে কাছে ডেকে এনে যেভাবে পরম বন্ধু চীনকে চরম শত্রু বানিয়েছি। ভুলে যাওয়া কখনই সঠিক হবে না যে, চীন পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান না করে চীনকেই আমরা বৈরী করেছি, যা সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন! রাজনীতি বাচ্চা ছেলেদের লাটিম খেলা নয়!

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
নতুন ট্যারিফ
নতুন ট্যারিফ
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
বুড়িগঙ্গা বাঁচান
বুড়িগঙ্গা বাঁচান
চার ইমামের ইমানি দৃঢ়তা
চার ইমামের ইমানি দৃঢ়তা
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল
রাজধানীর যানজট
রাজধানীর যানজট
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব
কোয়ান্টামতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তথ্য
কোয়ান্টামতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তথ্য
নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.)
নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.)
আমার বন্ধু হাসান হাফিজ
আমার বন্ধু হাসান হাফিজ
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত
ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একদিনে শিক্ষার্থীরা লাগিয়েছেন ২০ হাজার তালের বীজ
একদিনে শিক্ষার্থীরা লাগিয়েছেন ২০ হাজার তালের বীজ

১ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ফেনীতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
ফেনীতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে লাঠিখেলা ও লোকগানের মধ্য দিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
নোয়াখালীতে লাঠিখেলা ও লোকগানের মধ্য দিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন
বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

সবচেয়ে শক্তিশালী ও দূরবর্তী রেডিও বলয়ের সন্ধান
সবচেয়ে শক্তিশালী ও দূরবর্তী রেডিও বলয়ের সন্ধান

২৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

কুমিল্লায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুমিল্লায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের
শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জলবায়ু ঋণ বাতিলের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন ও সাইকেল র‍্যালি
জলবায়ু ঋণ বাতিলের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন ও সাইকেল র‍্যালি

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন
নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন

৪১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমরা গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই : সালাহউদ্দীন আহমেদ
আমরা গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই : সালাহউদ্দীন আহমেদ

৪৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইঞ্জিনিয়ার্স ও সিগন্যালস্ কোরের রিক্রুট ব্যাচের সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
ইঞ্জিনিয়ার্স ও সিগন্যালস্ কোরের রিক্রুট ব্যাচের সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

পঞ্চগড়ে ফুলের চারা রোপণ
পঞ্চগড়ে ফুলের চারা রোপণ

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢামেক হাসপাতালের আশপাশ থেকে তিন ভবঘুরের মরদেহ উদ্ধার
ঢামেক হাসপাতালের আশপাশ থেকে তিন ভবঘুরের মরদেহ উদ্ধার

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ড্রেনেজ সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র
ড্রেনেজ সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিকেএসপি’তে আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন
বিকেএসপি’তে আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাইবান্ধায় হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩
গাইবান্ধায় হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যয় সংকোচনে ১৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে নেসলে
ব্যয় সংকোচনে ১৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে নেসলে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলো তিন হাজার শিক্ষার্থী
বগুড়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলো তিন হাজার শিক্ষার্থী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরিয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাসে বোমা বিস্ফোরণ
সিরিয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাসে বোমা বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজারে ২ জনের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারে ২ জনের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯.৮৩ শতাংশ, চলছে গণনা
রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯.৮৩ শতাংশ, চলছে গণনা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইতালির যে গ্রামে বাড়ি কিনলেই মিলবে ২৩ হাজার ডলার
ইতালির যে গ্রামে বাড়ি কিনলেই মিলবে ২৩ হাজার ডলার

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যশোরে ভৈরব নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ
যশোরে ভৈরব নদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে ৩০ খ্রিস্টানকে গ্রেফতারের অভিযোগ, দমন পীড়নের শঙ্কা
চীনে ৩০ খ্রিস্টানকে গ্রেফতারের অভিযোগ, দমন পীড়নের শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীসহ সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাল নথির বিষয়ে সতর্ক করলো সুইডিশ দূতাবাস
জাল নথির বিষয়ে সতর্ক করলো সুইডিশ দূতাবাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতির মাঝেই পশ্চিম তীরে ভূমি দখল করছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির মাঝেই পশ্চিম তীরে ভূমি দখল করছে ইসরায়েল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশব্যাপী নেয়া হচ্ছে অভিযান ও আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
দেশব্যাপী নেয়া হচ্ছে অভিযান ও আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন যে নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন যে নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকসুর নতুন ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের
চাকসুর নতুন ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’
‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা
ভারতের ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি
তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোন বোর্ডে পাসের হার কত?
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোন বোর্ডে পাসের হার কত?

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেলেন ১১১ প্রধান শিক্ষক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেলেন ১১১ প্রধান শিক্ষক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট
চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি
২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজনও পাস করেনি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামাস শর্ত না মানলে গাজায় ফের অভিযান চালাবে ইসরায়েল : ট্রাম্প
হামাস শর্ত না মানলে গাজায় ফের অভিযান চালাবে ইসরায়েল : ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধে রাজি হয়েছেন মোদি : ট্রাম্প
রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধে রাজি হয়েছেন মোদি : ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?
সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অপেক্ষা ফুরাচ্ছে ১২ লাখ শিক্ষার্থীর, এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ
অপেক্ষা ফুরাচ্ছে ১২ লাখ শিক্ষার্থীর, এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেড় লাখ টাকা নিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হলো ভিম সাবান
দেড় লাখ টাকা নিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হলো ভিম সাবান

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোহরাওয়ার্দী হলে পুনরায় ভোট গণনার দাবি ছাত্রদলের
সোহরাওয়ার্দী হলে পুনরায় ভোট গণনার দাবি ছাত্রদলের

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছাত্রীরা
পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে ছাত্রীরা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রক্সি হয়ে পাকিস্তানের সাথে সংঘাতে জড়িয়েছে কাবুল : খাজা আসিফ
প্রক্সি হয়ে পাকিস্তানের সাথে সংঘাতে জড়িয়েছে কাবুল : খাজা আসিফ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’
‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর
শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া
চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলম্বিয়াকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা
কলম্বিয়াকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ অক্টোবর)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনের জন্য আরও বেশি মার্কিন অস্ত্র কেনার আহ্বান
ইউক্রেনের জন্য আরও বেশি মার্কিন অস্ত্র কেনার আহ্বান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দৃষ্টি সীমার বাইরে গিয়েও আঘাত হানবে চীনা ট্যাঙ্ক
দৃষ্টি সীমার বাইরে গিয়েও আঘাত হানবে চীনা ট্যাঙ্ক

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা
১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ
ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
জটিলতা কাটল না জুলাই সনদে
জটিলতা কাটল না জুলাই সনদে

প্রথম পৃষ্ঠা

কেনাকাটায় ভয়াবহ দুর্নীতি
কেনাকাটায় ভয়াবহ দুর্নীতি

নগর জীবন

ফার্নিচার মেলায় ছাড়ের ছড়াছড়ি
ফার্নিচার মেলায় ছাড়ের ছড়াছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যাপে নয়, খ্যাপে চলে
অ্যাপে নয়, খ্যাপে চলে

রকমারি নগর পরিক্রমা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির ২৪, একক প্রার্থী নিয়ে প্রচারে জামায়াত এনসিপি
বিএনপির ২৪, একক প্রার্থী নিয়ে প্রচারে জামায়াত এনসিপি

নগর জীবন

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল

সম্পাদকীয়

পিআর আমি নিজেই বুঝি না জনগণ কী বুঝবে
পিআর আমি নিজেই বুঝি না জনগণ কী বুঝবে

পেছনের পৃষ্ঠা

যমুনা অভিমুখে লংমার্চ ঘোষণা
যমুনা অভিমুখে লংমার্চ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

আকর্ষণীয় চাকরির প্রলোভন ঠিকানা চীনের যৌনপল্লি
আকর্ষণীয় চাকরির প্রলোভন ঠিকানা চীনের যৌনপল্লি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশি তরুণীকে নিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয়
বাংলাদেশি তরুণীকে নিয়ে যাচ্ছিল ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনমুখী পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টায় পুলিশ
নির্বাচনমুখী পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টায় পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রবাসীদের পদচারণে ভোটের মাঠ সরগরম
প্রবাসীদের পদচারণে ভোটের মাঠ সরগরম

নগর জীবন

গুলি সরবরাহ করা হয় হিসাব ছাড়া
গুলি সরবরাহ করা হয় হিসাব ছাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

জাহিদ মালেক জমি কেলেঙ্কারি
জাহিদ মালেক জমি কেলেঙ্কারি

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকাপয়সার ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে
টাকাপয়সার ছড়াছড়ি শুরু হয়েছে

নগর জীবন

আজ রাকসুতে ভোটযুদ্ধ
আজ রাকসুতে ভোটযুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

জাল নোট নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা
জাল নোট নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে অপহৃত শিশু উদ্ধার গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে অপহৃত শিশু উদ্ধার গ্রেপ্তার ১

নগর জীবন

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দিয়েছিলেন বিরল সাক্ষাৎকার
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দিয়েছিলেন বিরল সাক্ষাৎকার

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় পতন শেয়ারবাজারে
বড় পতন শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ হতে পারে
কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ হতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ সম্পন্ন
সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ সম্পন্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

নানা অনিয়ম চাকসু ভোটেও
নানা অনিয়ম চাকসু ভোটেও

প্রথম পৃষ্ঠা

অযাচিত বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা কেন?
অযাচিত বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা কেন?

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি

নগর জীবন

তদন্তে আটকা নতুন দলের নিবন্ধন
তদন্তে আটকা নতুন দলের নিবন্ধন

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারকে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টায় গণতন্ত্রবিরোধীরা
সরকারকে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টায় গণতন্ত্রবিরোধীরা

নগর জীবন

মাহী বি. চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত
মাহী বি. চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত

নগর জীবন

জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাদের সাক্ষাৎ
জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতাদের সাক্ষাৎ

নগর জীবন