শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২ আপডেট:

পদ্মা সেতু থেকে ছিটকে পড়ল অনেকেই

মেজর (অব.) আখতার
প্রিন্ট ভার্সন
পদ্মা সেতু থেকে ছিটকে পড়ল অনেকেই

সরকার তার পরিকল্পনামতো ২৫ জুন অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে ফেলল। কোথাও কোনো খারাপ বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া, বিএনপি ও ড. ইউনূসের অনেক সমালোচনা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি ও ড. ইউনূসকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়। বিএনপি ও ড. ইউনূসকে দাওয়াত দিয়ে সরকার উদারতা দেখিয়েছে বলে দাবি করতে পারে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে কাউকে তুলাধুনা করে তারপর আবার ঘটা করে দাওয়াত দেওয়া কতটা উদারতা- প্রশ্ন থেকে যায়।

পদ্মা সেতু জাতীয় স্থাপনা। এটি নির্মিত হয়েছে জনগণের টাকায়। এর উদ্বোধনও করা হয়েছে জনগণের অর্থেই। কাজেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ছিল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। সেখানে সব বৈধ রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের বিশিষ্টজনকে দাওয়াত করতে সরকার বাধ্য। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে সরকার কারও প্রতি কোনো কৃপা দেখায়নি। বরং দাওয়াত না দিলে সরকার রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার ভঙ্গ করার দায়ে দায়ী হতো। এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ জাতির একটি অতি-সম্মানজনক অর্জন। এ অতি সম্মানজনক অর্জনের একক কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছা, প্রচ- জেদ ও দেশের জনগণের প্রতি অকৃতিম অনুভূতি না থাকলে পদ্মা সেতু নির্মাণে আরও অনেক সময় লাগত। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। চ্যালেঞ্জিং পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসম্পাদনের সক্ষমতার একটি অতি উচ্চমানের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার ঐতিহাসিক উদাহরণ স্থাপন করলেন। এর জন্য শুধু ধন্যবাদ নয়, সমগ্র জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চরম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সামনে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন- বাংলাদেশ যে কোনো বড় কাজও নিজেরা করতে পারে। এটি অবশ্যই জাতির জন্য মাইলফলক। বাংলাদেশের সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত; যার শতভাগ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।

পদ্মা সেতু নির্মাণযজ্ঞে আমরা যে যা কিছু বলে থাকি কিন্তু সেতু উদ্বোধনের সময় আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত ছিল। এতে জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের মান অবশ্যই বৃদ্ধি পেত। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবেই। রাজনীতিতে প্রচ- বৈরিতা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পরস্পরের বিপক্ষে দা-কুড়াল সম্পর্ক কখনই মিটে যাবে না। রাজনৈতিক অর্জন সব সময়ই পরস্পরবিরোধী। রাজনীতিতে মতভিন্ন, দর্শন বিপরীত ও পথ আলাদা। কিন্তু দেশ ও জনগণ এক এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য এক তথা জনগণের কল্যাণ। পদ্মা সেতু হয়তো আমি ভিন্নভাবে তৈরি করতাম, হয়তো অর্থ আরও কম লাগাতাম বা আরও কম সময়ে নির্মাণ সম্পন্ন করতাম। কিন্তু সেতু তো বানাতাম। বর্তমান সরকার সেতু নির্মাণ করে তো কোনো ভুল করেনি। যদি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমরা সবাই প্রতিবাদ করতে পারতাম। প্রয়োজনে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে পারতাম। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। আমরাও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার ছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আমরাও পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি এখন পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারিনি। পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো অভিযোগ যদি ভবিষ্যতে প্রমাণ করতে পারা যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তো কোনো বাধা থাকবে না। কাজেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া এবং ড. ইউনূসকে বক্রোক্তি ছাড়া জনগণের চোখে এখন পর্যন্ত সরকার অন্য কোনো ভুল করেনি। দেশমাতা খালেদা জিয়াকে গালাগাল করার শোধ তো আমরা নিতে পারলাম না- যার দায়দায়িত্ব নিশ্চয় সরকারের নয়! জান বাঁচাতে কাপুরুষের মতো গালাগাল হজম করা ছিল আমাদের ব্যর্থতা।

সরকারের কাছ থেকে সবকিছু ভোগ করছি। সংসদে গিয়ে অবৈধ নির্বাচন বৈধতা দিয়েছি। প্রতিদিন প্রতি বিষয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়ে সরকারের সব কাজের বৈধতা দিচ্ছি। এখানে তো জনগণের কোনো স্বার্থ নেই। তাহলে কেন আমরা এ সরকারের সঙ্গে সংসদে মিলিত হচ্ছি! সংসদে যাওয়ার আমন্ত্রণ তো সরকারই পাঠায়। তাহলে সরকারের সে আমন্ত্রণ রক্ষা করে সংসদে যাওয়া হচ্ছে কোন লজ্জায়! পদ্মা সেতু উদ্বোধনের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদান না করে ২১ জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের সামনে কী বার্তা দেওয়া হলো তার কোনো বিশ্লেষণ হয়েছে কি না জানা যায়নি। তবে জনগণ সাদামাটায় বুঝে গেছে- সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে যা রটাচ্ছে তার পেছনে হয়তো সত্যতা আছে। জনগণ ইতোমধ্যে বলাবলি শুরু করে দিয়েছে- ২১ জেলায় কি কোনো বিএনপি নেই! বিএনপির লোকেরা কি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে না! সংসদীয় রাজনীতিতে সরকারবিরোধীরা অনেক ইস্যুতে সংসদের অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে অর্থাৎ বেরিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সংসদে প্রবেশ করে। এটি প্রতিবাদের সংসদীয় ভাষা। আমরা পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছি, প্রতিবাদ করেছি, পদ্মা সেতুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এটি আমাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে আমাদের কোনো আপস নেই। কিন্তু পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান কেউ বয়কট করেনি। অনুষ্ঠানে কোনো বাধাও সৃষ্টি করেনি। হয়তো ঘটা ও অতিমাত্রায় জাঁকজমক করে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে অনেকের মত থাকতে পারে। সেজন্য জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান বয়কট করা যেতেই পারে এবং বয়কট করার জন্য জনগণের কাছে আহ্বানও থাকতে পারে, যা রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণাও করা যেতে পারে। দেশে ভয়াবহ বন্যা চলমান। এমন একটি পরিবেশে অতি ঘটা ও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা থেকে সরকারকে বিরত করতে বাধ্য করার জন্য দেশব্যাপী কর্মসূচি হতে পারত একটি বলিষ্ঠ রাজনৈতিক পদক্ষেপ। এতে জনগণের মধ্যেও একটি ইতিবাচক সাড়া তুলতে পারত যা বৃহত্তর আন্দোলনের পটভূমি তৈরিতে সহায়ক হতো। জনগণের সামনে তখন ফুটে উঠত বিএনপি জনগণের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেয় এবং জনগণের অর্থ অপচয় রক্ষা করতে জীবন পণ রাখতেও বদ্ধপরিকর।

রাজনীতি কৌশল ও ধৈর্যের খেলা। ধৈর্য ধরে সময়ের বাঁকে সঠিক কৌশলই শুধু আনতে পারে সফলতা। রাজনীতিতে বক্তৃতা-বিবৃতি প্রতিপক্ষকে শুধু অধৈর্য করার লক্ষ্যেই দেওয়া হয়। রাজনীতির মূল লক্ষ্যেই হলো জনগণ। রাজনীতিতে যত কৌশল তা মূলত নেওয়া  হয় নিজেদের পক্ষে ইতিবাচক জনমত তৈরি করার জন্যই। যে বক্তৃতা-বিবৃতিতে জনগণ অসন্তুষ্ট হয় সে বক্তব্যে প্রতিপক্ষই লাভবান হয়। নিজেকে বেকায়দায় পড়তে হয়। সম্প্রতি খালেদা জিয়াকে ধরে নিয়ে পদ্মা নদীতে ফেলে চোবানোর যে বক্তব্য এসেছিল তাতে জনমনে প্রচ- বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছিল। জনগণ ভেবেছিল এ হুমকি মোকাবিলায় বিএনপি অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং সরকারকে অবশ্যই চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে। কিন্তু জাতির চরম দুর্ভাগ্য বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সক্ষমতাও দেখাতে পারেনি। তাই বিএনপিকে মনে হয় জনগণ আস্থায় নিতে পারছে না। বিএনপির প্রতি জনগণের প্রচুর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু বিএনপি বারবার তার সামর্থ্য দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমি বলব না সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই। অবশ্যই সরকারের প্রতি প্রচুর জনসমর্থন আছে কিন্তু তা বিএনপির চেয়ে লক্ষণীয়ভাবে কম তাতে কারও বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এমনকি খোদ সরকারও বিশ্বাস করে, তারা তাদের কাক্সিক্ষত জনমত এখনো অর্জন করতে পারেনি। তাই সরকার ছলেবলে-কৌশলে বিএনপিকে রাজনীতির বাইরে রাখে। সরকার কখনই বিএনপিকে রাষ্ট্রের কাছেই আসতে দেয় না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে সরকারপ্রধান পরিকল্পিত ও সুচিন্তিতভাবে এমন কিছু বক্তব্য মাঠে ছেড়ে দিয়েছিলেন যাতে বিএনপি পদ্মা সেতু থেকে শত মাইল দূরে থাকে! বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়েই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছে এবং সেতু চালুও হয়ে গেছে। দেশের সব সংবাদমাধ্যমে শুধু পদ্মা সেতু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নাম এবং বন্দনা। কোথাও বিএনপির নামগন্ধও নেই। দেশে যে বিরোধী দল আছে তার কোনো অস্তিত্বই দুই দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না! এমনকি বিএনপি যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যায়নি তা-ও কোনো খবর হতে পারেনি। বিএনপির এ অবস্থানকে কেউ গুরুত্বই দেয়নি! তার মানে কী দাঁড়াল? পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির না যাওয়া নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। অর্থাৎ জনগণ বিএনপির এ কাজটিকে সমর্থন দিল না! তবে কি রাজনীতি বিএনপির পক্ষে থাকছে না? পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় বাধা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের সে বাধার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপানের জাইকা। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে তারা কী বলে একটু দেখে নিই : বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম ছিল ‘অভিনন্দন বিশ্বব্যাংকের’। তারপর বিস্তারিত খবরে লেখা হয়, দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সঠিকভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিরসন ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে পদ্মা সেতু অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন এসব কথা বলেছেন।

মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, সময় এসেছে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সুবিধা বয়ে আনবে। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এ স্বীকৃতি দেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, এ সেতু দেশের সমন্বিত প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রাখবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকে বাংলাদেশের জন্য ‘বিশাল অর্জন’ হিসেবে বর্ণনা করে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমরা এ সেতুর গুরুত্ব বুঝতে পারি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। পদ্মা সেতুর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভ্রমণে সময় কমে আসবে। কম সময়ে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারবে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু এ অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে, দারিদ্র্যও কমিয়ে আনবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু নির্মাণকাজের তদারক করতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। এরপর একে একে সব অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিশ্রুত অর্থায়ন স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর দেখি জাপান কী বলে। একই সংবাদপত্রে শিরোনাম ছিল- ‘সক্ষমতার জানান দিল বাংলাদেশ’। পরে বিস্তারিত খবরে ছিল- ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সক্ষমতার জানান দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে। এটা স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় স্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ কী করতে পারে। ইতো নাওকি বলেন, জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আরও অনেক অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে। এ উন্নয়নের যাত্রায় জাপান-জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আমরা এ মহোৎসবে আসতে পেরে আনন্দিত।’ এখানে লক্ষণীয়, জাপান ‘জাতীয় স্থিতি’ বলে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেছে।

জানি না এগুলোকে কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? তবে আমি এটুকু বুঝি, রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করে সরকার। সরকারের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু রাষ্ট্রের সঙ্গে নয়। পদ্মা সেতু একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ যা নির্মাণ করেছে চলমান সরকার এবং সেটি নির্মিত হয়েছে জনগণের টাকায়। আমি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি বা প্রয়োজনে বয়কট করতে পারি। কারণ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমার ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে তা স্পষ্ট করতে হবে। কারণ জনগণকে জানাতে হবে আমার অবস্থান কী।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যেহেতু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেলখানায় বন্দি তার পরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ দিতে পারতেন। এতে ইতিবাচক জনমত তৈরি হতো বলেই আমি বিশ্বাস করি। সেই সঙ্গে সেতুর ব্যাপারে তাঁর অভিমতও জনগণ জানতে পারত। তিনি জেলে বন্দি তার পরও এ শুভেচ্ছা আমরা তাঁর কাছ থেকে নিয়ে আসতে পারতাম। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে পারতেন। ধন্যবাদ দিতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর অস্তিত্বকেই জানান দিতে পারতেন। সুযোগ সৃষ্টি করতে পারতেন রাজনৈতিক সংলাপের। কমিয়ে নিয়ে আসতে পারতেন বৈরিতার। সেই মাহেন্দ্র সুযোগটিও হাতছাড়া হয়ে গেল!

যাই হোক, সব শেষে বলব, বিএনপি নেতাদের পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না যাওয়া রাজনৈতিকভাবে ভুল হয়েছে। ভুল হয়েছে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন না জানানো। ধন্যবাদ দিলে নিজেরাই ধন্য হতেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, পদ্মা সেতু জনগণের। বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে। একদিন হয়তো আল্লাহ চাইলে পদ্মা সেতুসহ রাষ্ট্রের দায়িত্ব বিএনপির ওপর বর্তাতে পারে। তখন কিন্তু পদ্মা সেতু গলার কাঁটা হতে পারে- যেমন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা না করে যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, তাইওয়ানকে কাছে ডেকে এনে যেভাবে পরম বন্ধু চীনকে চরম শত্রু বানিয়েছি। ভুলে যাওয়া কখনই সঠিক হবে না যে, চীন পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান না করে চীনকেই আমরা বৈরী করেছি, যা সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন! রাজনীতি বাচ্চা ছেলেদের লাটিম খেলা নয়!

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

২২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৩১ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

স্টার্কের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং
স্টার্কের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে

নগর জীবন

১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক
১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত
ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত

নগর জীবন