শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২ আপডেট:

পদ্মা সেতু থেকে ছিটকে পড়ল অনেকেই

মেজর (অব.) আখতার
প্রিন্ট ভার্সন
পদ্মা সেতু থেকে ছিটকে পড়ল অনেকেই

সরকার তার পরিকল্পনামতো ২৫ জুন অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে ফেলল। কোথাও কোনো খারাপ বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া, বিএনপি ও ড. ইউনূসের অনেক সমালোচনা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি ও ড. ইউনূসকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়। বিএনপি ও ড. ইউনূসকে দাওয়াত দিয়ে সরকার উদারতা দেখিয়েছে বলে দাবি করতে পারে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে কাউকে তুলাধুনা করে তারপর আবার ঘটা করে দাওয়াত দেওয়া কতটা উদারতা- প্রশ্ন থেকে যায়।

পদ্মা সেতু জাতীয় স্থাপনা। এটি নির্মিত হয়েছে জনগণের টাকায়। এর উদ্বোধনও করা হয়েছে জনগণের অর্থেই। কাজেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ছিল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। সেখানে সব বৈধ রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের বিশিষ্টজনকে দাওয়াত করতে সরকার বাধ্য। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে সরকার কারও প্রতি কোনো কৃপা দেখায়নি। বরং দাওয়াত না দিলে সরকার রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার ভঙ্গ করার দায়ে দায়ী হতো। এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ জাতির একটি অতি-সম্মানজনক অর্জন। এ অতি সম্মানজনক অর্জনের একক কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছা, প্রচ- জেদ ও দেশের জনগণের প্রতি অকৃতিম অনুভূতি না থাকলে পদ্মা সেতু নির্মাণে আরও অনেক সময় লাগত। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। চ্যালেঞ্জিং পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসম্পাদনের সক্ষমতার একটি অতি উচ্চমানের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার ঐতিহাসিক উদাহরণ স্থাপন করলেন। এর জন্য শুধু ধন্যবাদ নয়, সমগ্র জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চরম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সামনে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন- বাংলাদেশ যে কোনো বড় কাজও নিজেরা করতে পারে। এটি অবশ্যই জাতির জন্য মাইলফলক। বাংলাদেশের সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত; যার শতভাগ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।

পদ্মা সেতু নির্মাণযজ্ঞে আমরা যে যা কিছু বলে থাকি কিন্তু সেতু উদ্বোধনের সময় আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত ছিল। এতে জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের মান অবশ্যই বৃদ্ধি পেত। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবেই। রাজনীতিতে প্রচ- বৈরিতা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পরস্পরের বিপক্ষে দা-কুড়াল সম্পর্ক কখনই মিটে যাবে না। রাজনৈতিক অর্জন সব সময়ই পরস্পরবিরোধী। রাজনীতিতে মতভিন্ন, দর্শন বিপরীত ও পথ আলাদা। কিন্তু দেশ ও জনগণ এক এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য এক তথা জনগণের কল্যাণ। পদ্মা সেতু হয়তো আমি ভিন্নভাবে তৈরি করতাম, হয়তো অর্থ আরও কম লাগাতাম বা আরও কম সময়ে নির্মাণ সম্পন্ন করতাম। কিন্তু সেতু তো বানাতাম। বর্তমান সরকার সেতু নির্মাণ করে তো কোনো ভুল করেনি। যদি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমরা সবাই প্রতিবাদ করতে পারতাম। প্রয়োজনে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে পারতাম। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। আমরাও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার ছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আমরাও পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি এখন পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারিনি। পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো অভিযোগ যদি ভবিষ্যতে প্রমাণ করতে পারা যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তো কোনো বাধা থাকবে না। কাজেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া এবং ড. ইউনূসকে বক্রোক্তি ছাড়া জনগণের চোখে এখন পর্যন্ত সরকার অন্য কোনো ভুল করেনি। দেশমাতা খালেদা জিয়াকে গালাগাল করার শোধ তো আমরা নিতে পারলাম না- যার দায়দায়িত্ব নিশ্চয় সরকারের নয়! জান বাঁচাতে কাপুরুষের মতো গালাগাল হজম করা ছিল আমাদের ব্যর্থতা।

সরকারের কাছ থেকে সবকিছু ভোগ করছি। সংসদে গিয়ে অবৈধ নির্বাচন বৈধতা দিয়েছি। প্রতিদিন প্রতি বিষয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়ে সরকারের সব কাজের বৈধতা দিচ্ছি। এখানে তো জনগণের কোনো স্বার্থ নেই। তাহলে কেন আমরা এ সরকারের সঙ্গে সংসদে মিলিত হচ্ছি! সংসদে যাওয়ার আমন্ত্রণ তো সরকারই পাঠায়। তাহলে সরকারের সে আমন্ত্রণ রক্ষা করে সংসদে যাওয়া হচ্ছে কোন লজ্জায়! পদ্মা সেতু উদ্বোধনের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদান না করে ২১ জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের সামনে কী বার্তা দেওয়া হলো তার কোনো বিশ্লেষণ হয়েছে কি না জানা যায়নি। তবে জনগণ সাদামাটায় বুঝে গেছে- সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে যা রটাচ্ছে তার পেছনে হয়তো সত্যতা আছে। জনগণ ইতোমধ্যে বলাবলি শুরু করে দিয়েছে- ২১ জেলায় কি কোনো বিএনপি নেই! বিএনপির লোকেরা কি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে না! সংসদীয় রাজনীতিতে সরকারবিরোধীরা অনেক ইস্যুতে সংসদের অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে অর্থাৎ বেরিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সংসদে প্রবেশ করে। এটি প্রতিবাদের সংসদীয় ভাষা। আমরা পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছি, প্রতিবাদ করেছি, পদ্মা সেতুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এটি আমাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে আমাদের কোনো আপস নেই। কিন্তু পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান কেউ বয়কট করেনি। অনুষ্ঠানে কোনো বাধাও সৃষ্টি করেনি। হয়তো ঘটা ও অতিমাত্রায় জাঁকজমক করে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে অনেকের মত থাকতে পারে। সেজন্য জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান বয়কট করা যেতেই পারে এবং বয়কট করার জন্য জনগণের কাছে আহ্বানও থাকতে পারে, যা রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণাও করা যেতে পারে। দেশে ভয়াবহ বন্যা চলমান। এমন একটি পরিবেশে অতি ঘটা ও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা থেকে সরকারকে বিরত করতে বাধ্য করার জন্য দেশব্যাপী কর্মসূচি হতে পারত একটি বলিষ্ঠ রাজনৈতিক পদক্ষেপ। এতে জনগণের মধ্যেও একটি ইতিবাচক সাড়া তুলতে পারত যা বৃহত্তর আন্দোলনের পটভূমি তৈরিতে সহায়ক হতো। জনগণের সামনে তখন ফুটে উঠত বিএনপি জনগণের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেয় এবং জনগণের অর্থ অপচয় রক্ষা করতে জীবন পণ রাখতেও বদ্ধপরিকর।

রাজনীতি কৌশল ও ধৈর্যের খেলা। ধৈর্য ধরে সময়ের বাঁকে সঠিক কৌশলই শুধু আনতে পারে সফলতা। রাজনীতিতে বক্তৃতা-বিবৃতি প্রতিপক্ষকে শুধু অধৈর্য করার লক্ষ্যেই দেওয়া হয়। রাজনীতির মূল লক্ষ্যেই হলো জনগণ। রাজনীতিতে যত কৌশল তা মূলত নেওয়া  হয় নিজেদের পক্ষে ইতিবাচক জনমত তৈরি করার জন্যই। যে বক্তৃতা-বিবৃতিতে জনগণ অসন্তুষ্ট হয় সে বক্তব্যে প্রতিপক্ষই লাভবান হয়। নিজেকে বেকায়দায় পড়তে হয়। সম্প্রতি খালেদা জিয়াকে ধরে নিয়ে পদ্মা নদীতে ফেলে চোবানোর যে বক্তব্য এসেছিল তাতে জনমনে প্রচ- বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছিল। জনগণ ভেবেছিল এ হুমকি মোকাবিলায় বিএনপি অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং সরকারকে অবশ্যই চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে। কিন্তু জাতির চরম দুর্ভাগ্য বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সক্ষমতাও দেখাতে পারেনি। তাই বিএনপিকে মনে হয় জনগণ আস্থায় নিতে পারছে না। বিএনপির প্রতি জনগণের প্রচুর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু বিএনপি বারবার তার সামর্থ্য দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমি বলব না সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই। অবশ্যই সরকারের প্রতি প্রচুর জনসমর্থন আছে কিন্তু তা বিএনপির চেয়ে লক্ষণীয়ভাবে কম তাতে কারও বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এমনকি খোদ সরকারও বিশ্বাস করে, তারা তাদের কাক্সিক্ষত জনমত এখনো অর্জন করতে পারেনি। তাই সরকার ছলেবলে-কৌশলে বিএনপিকে রাজনীতির বাইরে রাখে। সরকার কখনই বিএনপিকে রাষ্ট্রের কাছেই আসতে দেয় না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে সরকারপ্রধান পরিকল্পিত ও সুচিন্তিতভাবে এমন কিছু বক্তব্য মাঠে ছেড়ে দিয়েছিলেন যাতে বিএনপি পদ্মা সেতু থেকে শত মাইল দূরে থাকে! বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়েই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছে এবং সেতু চালুও হয়ে গেছে। দেশের সব সংবাদমাধ্যমে শুধু পদ্মা সেতু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নাম এবং বন্দনা। কোথাও বিএনপির নামগন্ধও নেই। দেশে যে বিরোধী দল আছে তার কোনো অস্তিত্বই দুই দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না! এমনকি বিএনপি যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যায়নি তা-ও কোনো খবর হতে পারেনি। বিএনপির এ অবস্থানকে কেউ গুরুত্বই দেয়নি! তার মানে কী দাঁড়াল? পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির না যাওয়া নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। অর্থাৎ জনগণ বিএনপির এ কাজটিকে সমর্থন দিল না! তবে কি রাজনীতি বিএনপির পক্ষে থাকছে না? পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় বাধা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের সে বাধার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপানের জাইকা। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে তারা কী বলে একটু দেখে নিই : বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম ছিল ‘অভিনন্দন বিশ্বব্যাংকের’। তারপর বিস্তারিত খবরে লেখা হয়, দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সঠিকভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিরসন ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে পদ্মা সেতু অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন এসব কথা বলেছেন।

মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, সময় এসেছে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সুবিধা বয়ে আনবে। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এ স্বীকৃতি দেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, এ সেতু দেশের সমন্বিত প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রাখবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকে বাংলাদেশের জন্য ‘বিশাল অর্জন’ হিসেবে বর্ণনা করে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমরা এ সেতুর গুরুত্ব বুঝতে পারি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। পদ্মা সেতুর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভ্রমণে সময় কমে আসবে। কম সময়ে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারবে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু এ অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে, দারিদ্র্যও কমিয়ে আনবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু নির্মাণকাজের তদারক করতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। এরপর একে একে সব অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিশ্রুত অর্থায়ন স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর দেখি জাপান কী বলে। একই সংবাদপত্রে শিরোনাম ছিল- ‘সক্ষমতার জানান দিল বাংলাদেশ’। পরে বিস্তারিত খবরে ছিল- ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সক্ষমতার জানান দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে। এটা স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় স্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ কী করতে পারে। ইতো নাওকি বলেন, জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আরও অনেক অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে। এ উন্নয়নের যাত্রায় জাপান-জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আমরা এ মহোৎসবে আসতে পেরে আনন্দিত।’ এখানে লক্ষণীয়, জাপান ‘জাতীয় স্থিতি’ বলে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেছে।

জানি না এগুলোকে কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? তবে আমি এটুকু বুঝি, রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করে সরকার। সরকারের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু রাষ্ট্রের সঙ্গে নয়। পদ্মা সেতু একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ যা নির্মাণ করেছে চলমান সরকার এবং সেটি নির্মিত হয়েছে জনগণের টাকায়। আমি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি বা প্রয়োজনে বয়কট করতে পারি। কারণ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমার ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে তা স্পষ্ট করতে হবে। কারণ জনগণকে জানাতে হবে আমার অবস্থান কী।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যেহেতু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেলখানায় বন্দি তার পরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ দিতে পারতেন। এতে ইতিবাচক জনমত তৈরি হতো বলেই আমি বিশ্বাস করি। সেই সঙ্গে সেতুর ব্যাপারে তাঁর অভিমতও জনগণ জানতে পারত। তিনি জেলে বন্দি তার পরও এ শুভেচ্ছা আমরা তাঁর কাছ থেকে নিয়ে আসতে পারতাম। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে পারতেন। ধন্যবাদ দিতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর অস্তিত্বকেই জানান দিতে পারতেন। সুযোগ সৃষ্টি করতে পারতেন রাজনৈতিক সংলাপের। কমিয়ে নিয়ে আসতে পারতেন বৈরিতার। সেই মাহেন্দ্র সুযোগটিও হাতছাড়া হয়ে গেল!

যাই হোক, সব শেষে বলব, বিএনপি নেতাদের পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না যাওয়া রাজনৈতিকভাবে ভুল হয়েছে। ভুল হয়েছে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন না জানানো। ধন্যবাদ দিলে নিজেরাই ধন্য হতেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, পদ্মা সেতু জনগণের। বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে। একদিন হয়তো আল্লাহ চাইলে পদ্মা সেতুসহ রাষ্ট্রের দায়িত্ব বিএনপির ওপর বর্তাতে পারে। তখন কিন্তু পদ্মা সেতু গলার কাঁটা হতে পারে- যেমন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা না করে যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, তাইওয়ানকে কাছে ডেকে এনে যেভাবে পরম বন্ধু চীনকে চরম শত্রু বানিয়েছি। ভুলে যাওয়া কখনই সঠিক হবে না যে, চীন পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান না করে চীনকেই আমরা বৈরী করেছি, যা সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন! রাজনীতি বাচ্চা ছেলেদের লাটিম খেলা নয়!

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
কাউখালীতে নাশকতার অভিযোগে আটক ৫
কাউখালীতে নাশকতার অভিযোগে আটক ৫

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন
কুমিল্লায় ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কিডনি দান ও ৫৬ বার রক্ত দেওয়া সেই মুন্না আজ মৃত্যুর মুখে
কিডনি দান ও ৫৬ বার রক্ত দেওয়া সেই মুন্না আজ মৃত্যুর মুখে

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মঙ্গলগ্রহে অচেনা শিলা খুঁজে পেল নাসার রোভার
মঙ্গলগ্রহে অচেনা শিলা খুঁজে পেল নাসার রোভার

৪ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি, বেড়েছে শীতের আমেজ
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি, বেড়েছে শীতের আমেজ

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রের তালিকায় সৌদি
ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রের তালিকায় সৌদি

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস
আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস

১৪ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

জাতিসংঘ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর
জাতিসংঘ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সেই আফিয়ার পিতৃত্বের স্বীকৃতি পেতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন
সেই আফিয়ার পিতৃত্বের স্বীকৃতি পেতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

৩০ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

কানাডায় ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ মঞ্চায়নের ঘোষণা
কানাডায় ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ মঞ্চায়নের ঘোষণা

৪৮ মিনিট আগে | পরবাস

মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে বিসিবির বিশেষ আয়োজন
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে বিসিবির বিশেষ আয়োজন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পোনা চাষে মাসে লাখ টাকা আয় বিশ্বনাথের দিলদারের
পোনা চাষে মাসে লাখ টাকা আয় বিশ্বনাথের দিলদারের

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

খালি পেটে পানি পানের যত উপকার
খালি পেটে পানি পানের যত উপকার

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান
বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ
ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোসহ সাত হত্যায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণের ১৮তম দিন
আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোসহ সাত হত্যায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণের ১৮তম দিন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসির সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসহ ১২ দলের বৈঠক আজ
ইসির সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসহ ১২ দলের বৈঠক আজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
মুকুটসহ যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা