শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২ আপডেট:

পদ্মা সেতু থেকে ছিটকে পড়ল অনেকেই

মেজর (অব.) আখতার
প্রিন্ট ভার্সন
পদ্মা সেতু থেকে ছিটকে পড়ল অনেকেই

সরকার তার পরিকল্পনামতো ২৫ জুন অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে ফেলল। কোথাও কোনো খারাপ বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া, বিএনপি ও ড. ইউনূসের অনেক সমালোচনা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি ও ড. ইউনূসকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়। বিএনপি ও ড. ইউনূসকে দাওয়াত দিয়ে সরকার উদারতা দেখিয়েছে বলে দাবি করতে পারে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে কাউকে তুলাধুনা করে তারপর আবার ঘটা করে দাওয়াত দেওয়া কতটা উদারতা- প্রশ্ন থেকে যায়।

পদ্মা সেতু জাতীয় স্থাপনা। এটি নির্মিত হয়েছে জনগণের টাকায়। এর উদ্বোধনও করা হয়েছে জনগণের অর্থেই। কাজেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ছিল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। সেখানে সব বৈধ রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের বিশিষ্টজনকে দাওয়াত করতে সরকার বাধ্য। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে সরকার কারও প্রতি কোনো কৃপা দেখায়নি। বরং দাওয়াত না দিলে সরকার রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার ভঙ্গ করার দায়ে দায়ী হতো। এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ জাতির একটি অতি-সম্মানজনক অর্জন। এ অতি সম্মানজনক অর্জনের একক কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছা, প্রচ- জেদ ও দেশের জনগণের প্রতি অকৃতিম অনুভূতি না থাকলে পদ্মা সেতু নির্মাণে আরও অনেক সময় লাগত। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। চ্যালেঞ্জিং পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসম্পাদনের সক্ষমতার একটি অতি উচ্চমানের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার ঐতিহাসিক উদাহরণ স্থাপন করলেন। এর জন্য শুধু ধন্যবাদ নয়, সমগ্র জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চরম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সামনে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন- বাংলাদেশ যে কোনো বড় কাজও নিজেরা করতে পারে। এটি অবশ্যই জাতির জন্য মাইলফলক। বাংলাদেশের সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত; যার শতভাগ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।

পদ্মা সেতু নির্মাণযজ্ঞে আমরা যে যা কিছু বলে থাকি কিন্তু সেতু উদ্বোধনের সময় আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত ছিল। এতে জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের মান অবশ্যই বৃদ্ধি পেত। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবেই। রাজনীতিতে প্রচ- বৈরিতা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পরস্পরের বিপক্ষে দা-কুড়াল সম্পর্ক কখনই মিটে যাবে না। রাজনৈতিক অর্জন সব সময়ই পরস্পরবিরোধী। রাজনীতিতে মতভিন্ন, দর্শন বিপরীত ও পথ আলাদা। কিন্তু দেশ ও জনগণ এক এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য এক তথা জনগণের কল্যাণ। পদ্মা সেতু হয়তো আমি ভিন্নভাবে তৈরি করতাম, হয়তো অর্থ আরও কম লাগাতাম বা আরও কম সময়ে নির্মাণ সম্পন্ন করতাম। কিন্তু সেতু তো বানাতাম। বর্তমান সরকার সেতু নির্মাণ করে তো কোনো ভুল করেনি। যদি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমরা সবাই প্রতিবাদ করতে পারতাম। প্রয়োজনে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে পারতাম। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। আমরাও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার ছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আমরাও পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি এখন পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারিনি। পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো অভিযোগ যদি ভবিষ্যতে প্রমাণ করতে পারা যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তো কোনো বাধা থাকবে না। কাজেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া এবং ড. ইউনূসকে বক্রোক্তি ছাড়া জনগণের চোখে এখন পর্যন্ত সরকার অন্য কোনো ভুল করেনি। দেশমাতা খালেদা জিয়াকে গালাগাল করার শোধ তো আমরা নিতে পারলাম না- যার দায়দায়িত্ব নিশ্চয় সরকারের নয়! জান বাঁচাতে কাপুরুষের মতো গালাগাল হজম করা ছিল আমাদের ব্যর্থতা।

সরকারের কাছ থেকে সবকিছু ভোগ করছি। সংসদে গিয়ে অবৈধ নির্বাচন বৈধতা দিয়েছি। প্রতিদিন প্রতি বিষয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়ে সরকারের সব কাজের বৈধতা দিচ্ছি। এখানে তো জনগণের কোনো স্বার্থ নেই। তাহলে কেন আমরা এ সরকারের সঙ্গে সংসদে মিলিত হচ্ছি! সংসদে যাওয়ার আমন্ত্রণ তো সরকারই পাঠায়। তাহলে সরকারের সে আমন্ত্রণ রক্ষা করে সংসদে যাওয়া হচ্ছে কোন লজ্জায়! পদ্মা সেতু উদ্বোধনের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদান না করে ২১ জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের সামনে কী বার্তা দেওয়া হলো তার কোনো বিশ্লেষণ হয়েছে কি না জানা যায়নি। তবে জনগণ সাদামাটায় বুঝে গেছে- সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে যা রটাচ্ছে তার পেছনে হয়তো সত্যতা আছে। জনগণ ইতোমধ্যে বলাবলি শুরু করে দিয়েছে- ২১ জেলায় কি কোনো বিএনপি নেই! বিএনপির লোকেরা কি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে না! সংসদীয় রাজনীতিতে সরকারবিরোধীরা অনেক ইস্যুতে সংসদের অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে অর্থাৎ বেরিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সংসদে প্রবেশ করে। এটি প্রতিবাদের সংসদীয় ভাষা। আমরা পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছি, প্রতিবাদ করেছি, পদ্মা সেতুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এটি আমাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে আমাদের কোনো আপস নেই। কিন্তু পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান কেউ বয়কট করেনি। অনুষ্ঠানে কোনো বাধাও সৃষ্টি করেনি। হয়তো ঘটা ও অতিমাত্রায় জাঁকজমক করে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে অনেকের মত থাকতে পারে। সেজন্য জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান বয়কট করা যেতেই পারে এবং বয়কট করার জন্য জনগণের কাছে আহ্বানও থাকতে পারে, যা রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণাও করা যেতে পারে। দেশে ভয়াবহ বন্যা চলমান। এমন একটি পরিবেশে অতি ঘটা ও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা থেকে সরকারকে বিরত করতে বাধ্য করার জন্য দেশব্যাপী কর্মসূচি হতে পারত একটি বলিষ্ঠ রাজনৈতিক পদক্ষেপ। এতে জনগণের মধ্যেও একটি ইতিবাচক সাড়া তুলতে পারত যা বৃহত্তর আন্দোলনের পটভূমি তৈরিতে সহায়ক হতো। জনগণের সামনে তখন ফুটে উঠত বিএনপি জনগণের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেয় এবং জনগণের অর্থ অপচয় রক্ষা করতে জীবন পণ রাখতেও বদ্ধপরিকর।

রাজনীতি কৌশল ও ধৈর্যের খেলা। ধৈর্য ধরে সময়ের বাঁকে সঠিক কৌশলই শুধু আনতে পারে সফলতা। রাজনীতিতে বক্তৃতা-বিবৃতি প্রতিপক্ষকে শুধু অধৈর্য করার লক্ষ্যেই দেওয়া হয়। রাজনীতির মূল লক্ষ্যেই হলো জনগণ। রাজনীতিতে যত কৌশল তা মূলত নেওয়া  হয় নিজেদের পক্ষে ইতিবাচক জনমত তৈরি করার জন্যই। যে বক্তৃতা-বিবৃতিতে জনগণ অসন্তুষ্ট হয় সে বক্তব্যে প্রতিপক্ষই লাভবান হয়। নিজেকে বেকায়দায় পড়তে হয়। সম্প্রতি খালেদা জিয়াকে ধরে নিয়ে পদ্মা নদীতে ফেলে চোবানোর যে বক্তব্য এসেছিল তাতে জনমনে প্রচ- বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছিল। জনগণ ভেবেছিল এ হুমকি মোকাবিলায় বিএনপি অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং সরকারকে অবশ্যই চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে। কিন্তু জাতির চরম দুর্ভাগ্য বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সক্ষমতাও দেখাতে পারেনি। তাই বিএনপিকে মনে হয় জনগণ আস্থায় নিতে পারছে না। বিএনপির প্রতি জনগণের প্রচুর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু বিএনপি বারবার তার সামর্থ্য দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমি বলব না সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই। অবশ্যই সরকারের প্রতি প্রচুর জনসমর্থন আছে কিন্তু তা বিএনপির চেয়ে লক্ষণীয়ভাবে কম তাতে কারও বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এমনকি খোদ সরকারও বিশ্বাস করে, তারা তাদের কাক্সিক্ষত জনমত এখনো অর্জন করতে পারেনি। তাই সরকার ছলেবলে-কৌশলে বিএনপিকে রাজনীতির বাইরে রাখে। সরকার কখনই বিএনপিকে রাষ্ট্রের কাছেই আসতে দেয় না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে সরকারপ্রধান পরিকল্পিত ও সুচিন্তিতভাবে এমন কিছু বক্তব্য মাঠে ছেড়ে দিয়েছিলেন যাতে বিএনপি পদ্মা সেতু থেকে শত মাইল দূরে থাকে! বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়েই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছে এবং সেতু চালুও হয়ে গেছে। দেশের সব সংবাদমাধ্যমে শুধু পদ্মা সেতু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নাম এবং বন্দনা। কোথাও বিএনপির নামগন্ধও নেই। দেশে যে বিরোধী দল আছে তার কোনো অস্তিত্বই দুই দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না! এমনকি বিএনপি যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যায়নি তা-ও কোনো খবর হতে পারেনি। বিএনপির এ অবস্থানকে কেউ গুরুত্বই দেয়নি! তার মানে কী দাঁড়াল? পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির না যাওয়া নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। অর্থাৎ জনগণ বিএনপির এ কাজটিকে সমর্থন দিল না! তবে কি রাজনীতি বিএনপির পক্ষে থাকছে না? পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় বাধা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের সে বাধার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপানের জাইকা। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে তারা কী বলে একটু দেখে নিই : বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম ছিল ‘অভিনন্দন বিশ্বব্যাংকের’। তারপর বিস্তারিত খবরে লেখা হয়, দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সঠিকভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিরসন ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে পদ্মা সেতু অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন এসব কথা বলেছেন।

মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, সময় এসেছে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সুবিধা বয়ে আনবে। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এ স্বীকৃতি দেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, এ সেতু দেশের সমন্বিত প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রাখবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকে বাংলাদেশের জন্য ‘বিশাল অর্জন’ হিসেবে বর্ণনা করে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমরা এ সেতুর গুরুত্ব বুঝতে পারি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। পদ্মা সেতুর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভ্রমণে সময় কমে আসবে। কম সময়ে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারবে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু এ অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে, দারিদ্র্যও কমিয়ে আনবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু নির্মাণকাজের তদারক করতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। এরপর একে একে সব অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিশ্রুত অর্থায়ন স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর দেখি জাপান কী বলে। একই সংবাদপত্রে শিরোনাম ছিল- ‘সক্ষমতার জানান দিল বাংলাদেশ’। পরে বিস্তারিত খবরে ছিল- ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সক্ষমতার জানান দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে। এটা স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় স্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ কী করতে পারে। ইতো নাওকি বলেন, জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আরও অনেক অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে। এ উন্নয়নের যাত্রায় জাপান-জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আমরা এ মহোৎসবে আসতে পেরে আনন্দিত।’ এখানে লক্ষণীয়, জাপান ‘জাতীয় স্থিতি’ বলে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেছে।

জানি না এগুলোকে কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? তবে আমি এটুকু বুঝি, রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করে সরকার। সরকারের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু রাষ্ট্রের সঙ্গে নয়। পদ্মা সেতু একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ যা নির্মাণ করেছে চলমান সরকার এবং সেটি নির্মিত হয়েছে জনগণের টাকায়। আমি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি বা প্রয়োজনে বয়কট করতে পারি। কারণ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমার ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে তা স্পষ্ট করতে হবে। কারণ জনগণকে জানাতে হবে আমার অবস্থান কী।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যেহেতু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেলখানায় বন্দি তার পরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ দিতে পারতেন। এতে ইতিবাচক জনমত তৈরি হতো বলেই আমি বিশ্বাস করি। সেই সঙ্গে সেতুর ব্যাপারে তাঁর অভিমতও জনগণ জানতে পারত। তিনি জেলে বন্দি তার পরও এ শুভেচ্ছা আমরা তাঁর কাছ থেকে নিয়ে আসতে পারতাম। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে পারতেন। ধন্যবাদ দিতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর অস্তিত্বকেই জানান দিতে পারতেন। সুযোগ সৃষ্টি করতে পারতেন রাজনৈতিক সংলাপের। কমিয়ে নিয়ে আসতে পারতেন বৈরিতার। সেই মাহেন্দ্র সুযোগটিও হাতছাড়া হয়ে গেল!

যাই হোক, সব শেষে বলব, বিএনপি নেতাদের পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না যাওয়া রাজনৈতিকভাবে ভুল হয়েছে। ভুল হয়েছে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন না জানানো। ধন্যবাদ দিলে নিজেরাই ধন্য হতেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, পদ্মা সেতু জনগণের। বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে। একদিন হয়তো আল্লাহ চাইলে পদ্মা সেতুসহ রাষ্ট্রের দায়িত্ব বিএনপির ওপর বর্তাতে পারে। তখন কিন্তু পদ্মা সেতু গলার কাঁটা হতে পারে- যেমন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা না করে যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, তাইওয়ানকে কাছে ডেকে এনে যেভাবে পরম বন্ধু চীনকে চরম শত্রু বানিয়েছি। ভুলে যাওয়া কখনই সঠিক হবে না যে, চীন পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান না করে চীনকেই আমরা বৈরী করেছি, যা সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন! রাজনীতি বাচ্চা ছেলেদের লাটিম খেলা নয়!

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
মহান ৭ নভেম্বর
মহান ৭ নভেম্বর
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সর্বশেষ খবর
নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজারে ভেসে উঠল ফেলানী হত্যার স্মৃতি
নির্বাচনের দ্বিতীয় টিজারে ভেসে উঠল ফেলানী হত্যার স্মৃতি

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগে আবেদন শুরু আজ
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগে আবেদন শুরু আজ

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

২৬ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী

৩৫ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

৩৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

সীমান্তবর্তী নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
সীমান্তবর্তী নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ

৪১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

টিভিতে আজকের যত খেলা
টিভিতে আজকের যত খেলা

৪১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীরে দুই কিশোরকে হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
পশ্চিম তীরে দুই কিশোরকে হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন আর নেই
নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন আর নেই

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তরায় গাড়িচাপায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত
উত্তরায় গাড়িচাপায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ৮ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ৮ নভেম্বর ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কুমিল্লায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
কুমিল্লায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন
যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মৃত্যু-পরবর্তী রহস্যময় এক জগৎ
মৃত্যু-পরবর্তী রহস্যময় এক জগৎ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে খাবেন আদা চা
যে কারণে খাবেন আদা চা

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত ১৭ রেফারিকে গ্রেফতারের নির্দেশ
ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত ১৭ রেফারিকে গ্রেফতারের নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তাইজুলের বদলি হিসেবে উইলিয়ামসনকে দলে টানল ডারবান
তাইজুলের বদলি হিসেবে উইলিয়ামসনকে দলে টানল ডারবান

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি
রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসলামে পরিবার নিয়ে ভাবনা ও পরিকল্পনা
ইসলামে পরিবার নিয়ে ভাবনা ও পরিকল্পনা

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাছ চুরির অপরাধে দুই যুবককে মারধর, গ্রাম্য বিচারক গ্রেপ্তার
মাছ চুরির অপরাধে দুই যুবককে মারধর, গ্রাম্য বিচারক গ্রেপ্তার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১০ ঘণ্টা আগে | টক শো

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা
এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

১৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল
শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

৯ ঘণ্টা আগে | টক শো

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মা হলেন ক্যাটরিনা কাইফ
মা হলেন ক্যাটরিনা কাইফ

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম

হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন
হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

রাজনীতি থেকে ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণা
রাজনীতি থেকে ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণা

পূর্ব-পশ্চিম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম