শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২ আপডেট:

পদ্মা সেতু থেকে ছিটকে পড়ল অনেকেই

মেজর (অব.) আখতার
প্রিন্ট ভার্সন
পদ্মা সেতু থেকে ছিটকে পড়ল অনেকেই

সরকার তার পরিকল্পনামতো ২৫ জুন অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে ফেলল। কোথাও কোনো খারাপ বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া, বিএনপি ও ড. ইউনূসের অনেক সমালোচনা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি ও ড. ইউনূসকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়। বিএনপি ও ড. ইউনূসকে দাওয়াত দিয়ে সরকার উদারতা দেখিয়েছে বলে দাবি করতে পারে। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে কাউকে তুলাধুনা করে তারপর আবার ঘটা করে দাওয়াত দেওয়া কতটা উদারতা- প্রশ্ন থেকে যায়।

পদ্মা সেতু জাতীয় স্থাপনা। এটি নির্মিত হয়েছে জনগণের টাকায়। এর উদ্বোধনও করা হয়েছে জনগণের অর্থেই। কাজেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ছিল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। সেখানে সব বৈধ রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের বিশিষ্টজনকে দাওয়াত করতে সরকার বাধ্য। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে সরকার কারও প্রতি কোনো কৃপা দেখায়নি। বরং দাওয়াত না দিলে সরকার রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার ভঙ্গ করার দায়ে দায়ী হতো। এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ জাতির একটি অতি-সম্মানজনক অর্জন। এ অতি সম্মানজনক অর্জনের একক কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছা, প্রচ- জেদ ও দেশের জনগণের প্রতি অকৃতিম অনুভূতি না থাকলে পদ্মা সেতু নির্মাণে আরও অনেক সময় লাগত। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। চ্যালেঞ্জিং পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসম্পাদনের সক্ষমতার একটি অতি উচ্চমানের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার ঐতিহাসিক উদাহরণ স্থাপন করলেন। এর জন্য শুধু ধন্যবাদ নয়, সমগ্র জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চরম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সামনে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন- বাংলাদেশ যে কোনো বড় কাজও নিজেরা করতে পারে। এটি অবশ্যই জাতির জন্য মাইলফলক। বাংলাদেশের সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত; যার শতভাগ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।

পদ্মা সেতু নির্মাণযজ্ঞে আমরা যে যা কিছু বলে থাকি কিন্তু সেতু উদ্বোধনের সময় আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত ছিল। এতে জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের মান অবশ্যই বৃদ্ধি পেত। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবেই। রাজনীতিতে প্রচ- বৈরিতা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পরস্পরের বিপক্ষে দা-কুড়াল সম্পর্ক কখনই মিটে যাবে না। রাজনৈতিক অর্জন সব সময়ই পরস্পরবিরোধী। রাজনীতিতে মতভিন্ন, দর্শন বিপরীত ও পথ আলাদা। কিন্তু দেশ ও জনগণ এক এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য এক তথা জনগণের কল্যাণ। পদ্মা সেতু হয়তো আমি ভিন্নভাবে তৈরি করতাম, হয়তো অর্থ আরও কম লাগাতাম বা আরও কম সময়ে নির্মাণ সম্পন্ন করতাম। কিন্তু সেতু তো বানাতাম। বর্তমান সরকার সেতু নির্মাণ করে তো কোনো ভুল করেনি। যদি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমরা সবাই প্রতিবাদ করতে পারতাম। প্রয়োজনে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করতে পারতাম। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। আমরাও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার ছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আমরাও পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি এখন পর্যন্ত প্রমাণ করতে পারিনি। পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো অভিযোগ যদি ভবিষ্যতে প্রমাণ করতে পারা যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তো কোনো বাধা থাকবে না। কাজেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সরকারপ্রধান খালেদা জিয়া এবং ড. ইউনূসকে বক্রোক্তি ছাড়া জনগণের চোখে এখন পর্যন্ত সরকার অন্য কোনো ভুল করেনি। দেশমাতা খালেদা জিয়াকে গালাগাল করার শোধ তো আমরা নিতে পারলাম না- যার দায়দায়িত্ব নিশ্চয় সরকারের নয়! জান বাঁচাতে কাপুরুষের মতো গালাগাল হজম করা ছিল আমাদের ব্যর্থতা।

সরকারের কাছ থেকে সবকিছু ভোগ করছি। সংসদে গিয়ে অবৈধ নির্বাচন বৈধতা দিয়েছি। প্রতিদিন প্রতি বিষয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়ে সরকারের সব কাজের বৈধতা দিচ্ছি। এখানে তো জনগণের কোনো স্বার্থ নেই। তাহলে কেন আমরা এ সরকারের সঙ্গে সংসদে মিলিত হচ্ছি! সংসদে যাওয়ার আমন্ত্রণ তো সরকারই পাঠায়। তাহলে সরকারের সে আমন্ত্রণ রক্ষা করে সংসদে যাওয়া হচ্ছে কোন লজ্জায়! পদ্মা সেতু উদ্বোধনের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদান না করে ২১ জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের সামনে কী বার্তা দেওয়া হলো তার কোনো বিশ্লেষণ হয়েছে কি না জানা যায়নি। তবে জনগণ সাদামাটায় বুঝে গেছে- সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে যা রটাচ্ছে তার পেছনে হয়তো সত্যতা আছে। জনগণ ইতোমধ্যে বলাবলি শুরু করে দিয়েছে- ২১ জেলায় কি কোনো বিএনপি নেই! বিএনপির লোকেরা কি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে না! সংসদীয় রাজনীতিতে সরকারবিরোধীরা অনেক ইস্যুতে সংসদের অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে অর্থাৎ বেরিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সংসদে প্রবেশ করে। এটি প্রতিবাদের সংসদীয় ভাষা। আমরা পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছি, প্রতিবাদ করেছি, পদ্মা সেতুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এটি আমাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে আমাদের কোনো আপস নেই। কিন্তু পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান কেউ বয়কট করেনি। অনুষ্ঠানে কোনো বাধাও সৃষ্টি করেনি। হয়তো ঘটা ও অতিমাত্রায় জাঁকজমক করে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে অনেকের মত থাকতে পারে। সেজন্য জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান বয়কট করা যেতেই পারে এবং বয়কট করার জন্য জনগণের কাছে আহ্বানও থাকতে পারে, যা রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণাও করা যেতে পারে। দেশে ভয়াবহ বন্যা চলমান। এমন একটি পরিবেশে অতি ঘটা ও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা থেকে সরকারকে বিরত করতে বাধ্য করার জন্য দেশব্যাপী কর্মসূচি হতে পারত একটি বলিষ্ঠ রাজনৈতিক পদক্ষেপ। এতে জনগণের মধ্যেও একটি ইতিবাচক সাড়া তুলতে পারত যা বৃহত্তর আন্দোলনের পটভূমি তৈরিতে সহায়ক হতো। জনগণের সামনে তখন ফুটে উঠত বিএনপি জনগণের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেয় এবং জনগণের অর্থ অপচয় রক্ষা করতে জীবন পণ রাখতেও বদ্ধপরিকর।

রাজনীতি কৌশল ও ধৈর্যের খেলা। ধৈর্য ধরে সময়ের বাঁকে সঠিক কৌশলই শুধু আনতে পারে সফলতা। রাজনীতিতে বক্তৃতা-বিবৃতি প্রতিপক্ষকে শুধু অধৈর্য করার লক্ষ্যেই দেওয়া হয়। রাজনীতির মূল লক্ষ্যেই হলো জনগণ। রাজনীতিতে যত কৌশল তা মূলত নেওয়া  হয় নিজেদের পক্ষে ইতিবাচক জনমত তৈরি করার জন্যই। যে বক্তৃতা-বিবৃতিতে জনগণ অসন্তুষ্ট হয় সে বক্তব্যে প্রতিপক্ষই লাভবান হয়। নিজেকে বেকায়দায় পড়তে হয়। সম্প্রতি খালেদা জিয়াকে ধরে নিয়ে পদ্মা নদীতে ফেলে চোবানোর যে বক্তব্য এসেছিল তাতে জনমনে প্রচ- বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছিল। জনগণ ভেবেছিল এ হুমকি মোকাবিলায় বিএনপি অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং সরকারকে অবশ্যই চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দেবে। কিন্তু জাতির চরম দুর্ভাগ্য বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সক্ষমতাও দেখাতে পারেনি। তাই বিএনপিকে মনে হয় জনগণ আস্থায় নিতে পারছে না। বিএনপির প্রতি জনগণের প্রচুর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু বিএনপি বারবার তার সামর্থ্য দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমি বলব না সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই। অবশ্যই সরকারের প্রতি প্রচুর জনসমর্থন আছে কিন্তু তা বিএনপির চেয়ে লক্ষণীয়ভাবে কম তাতে কারও বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এমনকি খোদ সরকারও বিশ্বাস করে, তারা তাদের কাক্সিক্ষত জনমত এখনো অর্জন করতে পারেনি। তাই সরকার ছলেবলে-কৌশলে বিএনপিকে রাজনীতির বাইরে রাখে। সরকার কখনই বিএনপিকে রাষ্ট্রের কাছেই আসতে দেয় না। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে সরকারপ্রধান পরিকল্পিত ও সুচিন্তিতভাবে এমন কিছু বক্তব্য মাঠে ছেড়ে দিয়েছিলেন যাতে বিএনপি পদ্মা সেতু থেকে শত মাইল দূরে থাকে! বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়েই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছে এবং সেতু চালুও হয়ে গেছে। দেশের সব সংবাদমাধ্যমে শুধু পদ্মা সেতু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নাম এবং বন্দনা। কোথাও বিএনপির নামগন্ধও নেই। দেশে যে বিরোধী দল আছে তার কোনো অস্তিত্বই দুই দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না! এমনকি বিএনপি যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যায়নি তা-ও কোনো খবর হতে পারেনি। বিএনপির এ অবস্থানকে কেউ গুরুত্বই দেয়নি! তার মানে কী দাঁড়াল? পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির না যাওয়া নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। অর্থাৎ জনগণ বিএনপির এ কাজটিকে সমর্থন দিল না! তবে কি রাজনীতি বিএনপির পক্ষে থাকছে না? পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় বাধা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের সে বাধার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপানের জাইকা। অথচ পদ্মা সেতু উদ্বোধনে তারা কী বলে একটু দেখে নিই : বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম ছিল ‘অভিনন্দন বিশ্বব্যাংকের’। তারপর বিস্তারিত খবরে লেখা হয়, দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সঠিকভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিরসন ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে পদ্মা সেতু অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন এসব কথা বলেছেন।

মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, সময় এসেছে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক সুবিধা বয়ে আনবে। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এ স্বীকৃতি দেয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, এ সেতু দেশের সমন্বিত প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রাখবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকে বাংলাদেশের জন্য ‘বিশাল অর্জন’ হিসেবে বর্ণনা করে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমরা এ সেতুর গুরুত্ব বুঝতে পারি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। পদ্মা সেতুর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ভ্রমণে সময় কমে আসবে। কম সময়ে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারবে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু এ অঞ্চলের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে, দারিদ্র্যও কমিয়ে আনবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু নির্মাণকাজের তদারক করতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। এরপর একে একে সব অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিশ্রুত অর্থায়ন স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর দেখি জাপান কী বলে। একই সংবাদপত্রে শিরোনাম ছিল- ‘সক্ষমতার জানান দিল বাংলাদেশ’। পরে বিস্তারিত খবরে ছিল- ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সক্ষমতার জানান দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে। এটা স্পষ্টভাবে বলে দেয় যে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় স্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ কী করতে পারে। ইতো নাওকি বলেন, জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আরও অনেক অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে। এ উন্নয়নের যাত্রায় জাপান-জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আমরা এ মহোৎসবে আসতে পেরে আনন্দিত।’ এখানে লক্ষণীয়, জাপান ‘জাতীয় স্থিতি’ বলে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেছে।

জানি না এগুলোকে কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? তবে আমি এটুকু বুঝি, রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করে সরকার। সরকারের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু রাষ্ট্রের সঙ্গে নয়। পদ্মা সেতু একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ যা নির্মাণ করেছে চলমান সরকার এবং সেটি নির্মিত হয়েছে জনগণের টাকায়। আমি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি বা প্রয়োজনে বয়কট করতে পারি। কারণ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমার ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে তা স্পষ্ট করতে হবে। কারণ জনগণকে জানাতে হবে আমার অবস্থান কী।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যেহেতু দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জেলখানায় বন্দি তার পরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ দিতে পারতেন। এতে ইতিবাচক জনমত তৈরি হতো বলেই আমি বিশ্বাস করি। সেই সঙ্গে সেতুর ব্যাপারে তাঁর অভিমতও জনগণ জানতে পারত। তিনি জেলে বন্দি তার পরও এ শুভেচ্ছা আমরা তাঁর কাছ থেকে নিয়ে আসতে পারতাম। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে পারতেন। ধন্যবাদ দিতে পারতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর অস্তিত্বকেই জানান দিতে পারতেন। সুযোগ সৃষ্টি করতে পারতেন রাজনৈতিক সংলাপের। কমিয়ে নিয়ে আসতে পারতেন বৈরিতার। সেই মাহেন্দ্র সুযোগটিও হাতছাড়া হয়ে গেল!

যাই হোক, সব শেষে বলব, বিএনপি নেতাদের পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না যাওয়া রাজনৈতিকভাবে ভুল হয়েছে। ভুল হয়েছে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন না জানানো। ধন্যবাদ দিলে নিজেরাই ধন্য হতেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, পদ্মা সেতু জনগণের। বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে। একদিন হয়তো আল্লাহ চাইলে পদ্মা সেতুসহ রাষ্ট্রের দায়িত্ব বিএনপির ওপর বর্তাতে পারে। তখন কিন্তু পদ্মা সেতু গলার কাঁটা হতে পারে- যেমন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা না করে যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি, তাইওয়ানকে কাছে ডেকে এনে যেভাবে পরম বন্ধু চীনকে চরম শত্রু বানিয়েছি। ভুলে যাওয়া কখনই সঠিক হবে না যে, চীন পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান না করে চীনকেই আমরা বৈরী করেছি, যা সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন! রাজনীতি বাচ্চা ছেলেদের লাটিম খেলা নয়!

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু
বিদেশে কর্মী পাঠাতে সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ওইপি চালু

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন
অস্ট্রেলিয়ায় কার্যকর হতে যাচ্ছে শিশুদের ফেসবুক-টিকটক ব্যবহার বন্ধের আইন

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে নির্যাতনের শিকার শিশু জুবায়েরের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার
রাজনীতির নামে ধর্মকে পুঁজি করার চেষ্টা করবেন না: খোকন তালুকদার

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মদিনে মালয়েশিয়ায় দোয়া মাহফিল

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি
শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে
নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে

দেশগ্রাম

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

শূন্যতা-পূর্ণতা
শূন্যতা-পূর্ণতা

সাহিত্য

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির
সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির

দেশগ্রাম

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুলপুরাণের জোছনা
ভুলপুরাণের জোছনা

সাহিত্য

হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল

দেশগ্রাম

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা

শিলাকে বলছি
শিলাকে বলছি

সাহিত্য