শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আন্দোলনের অপমৃত্যু

মেজর আখতার (অব.)
প্রিন্ট ভার্সন
আন্দোলনের অপমৃত্যু

১১ আগস্ট সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করার একটি মাহেন্দ্রক্ষণ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সঠিক ও বিচক্ষণ কর্মসূচি না নেওয়ার ব্যর্থতায় সে সুযোগটি অনেক দিনের জন্য অধরা হয়ে গেল। যে-কোনো কাজ শুরু করার সুযোগ সব সময় পাওয়া যায় না। অনেকেই বলেন, সব শুভকাজের লগ্ন থাকে। সেই লগ্ন কোনো কারণে পিছিয়ে গেলে সফলতা দূরে চলে যায়। একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের আহ্বানে ১১ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রস্থলে একটি মহাসমাবেশ হয়েছিল যেখানে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ ঘটে। এর পাঁচ দিন আগে অর্থাৎ ৬ আগস্ট সরকার জনগণকে চ্যালেঞ্জ করে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের দাম মাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে দেয়। ডিজেল ও কেরোসিন লিটারে ৩৪, পেট্রোলে ৪৪ ও অকটেনে ৪৬ টাকা বাড়ানো হয়। সরকারের এ অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ খেপে উঠেছিল। সবাই আশা করেছিল ১১ আগস্ট নয়াপল্টন থেকে একটি বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দিয়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি বাতিল না করা পর্যন্ত বিরোধী দল নয়াপল্টনের রাস্তা ছাড়বে না। কিন্তু সারা দিনের সব প্রত্যাশা সন্ধ্যায় টকট্ আউট হয়ে বেলুনের মতো চুপসে গেল। কারা যেন খুবই পরিকল্পিতভাবে সব উত্তাপে পানি ঢেলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিল যাতে সেই উত্তাপ আস্তে আস্তে ঝিমিয়ে পড়ে। এখানে তিনটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা নিয়ে নতুন জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। প্রথমটি হলো, টক্ট আউট যার অর্থ হলো কথা বলেই বিষয়টিকে শেষ করে দেওয়া। এ কথাটি সংসদীয় একটি কার্যক্রম। সংসদে কোনো ঘটনা মাটিচাপা দেওয়ার জন্য সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে টকট্ আউট চালটি ব্যবহার করে। বিরোধী দলের চাপে গুরুতর জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের আলোচনা ও প্রস্তাব নিতে সংসদের সভা মুলতবি করে ২ ঘণ্টার জরুরি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ওই ২ ঘণ্টার অর্ধেক বা কখনো কখনো বেশি সময় বিরোধী দলকে দেওয়া হয়। তবে সব মিলে ২ ঘণ্টার বেশি সময় আলোচনা হতে পারবে না। এ নির্দিষ্ট ২ ঘণ্টার মধ্যেই আলোচনা করে যে -কোনো একটি প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত অনুমোদন করাতে হবে। ২ ঘণ্টা অতিক্রম হয়ে গেলে আলোচনাটি কোনো প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত ছাড়াই টকট্ আউট হয়ে গেছে বলে আলোচনার সমাপ্তি টেনে দেওয়া হয়। এখন আলোচনাটি টকট্ আউট করার একটি সূক্ষ্ম মারপ্যাঁচ আছে। সরকার আলোচনাটি বিরোধী দল দিয়ে শুরু করায়। কখনো কখনো আবার নিজেদের আপন বিরোধী দল দিয়েও শুরু করায়। শুরুতে আলোচনায় প্রচুর উত্তেজনা সৃষ্টি করানো হয় তাতে সংবাদমাধ্যম খুব সক্রিয় হয়ে ওঠে। আলোচনাটি জমে উঠলে অনেক সংসদ সদস্য বিশেষ করে বিরোধী ও আপন বিরোধী সদস্যরা খুবই সক্রিয়ভাবে সে আলোচনায় অংশ নিয়ে ২ ঘণ্টা পার করে দেন। তারপর স্পিকার অত্যন্ত বেদনা নিয়ে ঘোষণা দেন যে আলোচনাটি কোনো প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত ছাড়াই টকট্ আউট হয়ে গেছে। এই হলো টকট্ আউটের মোজেজা। তাই অনেকে বলাবলি করছে, ১১ আগস্ট পল্টনের জনসভায় ব্যাপক জনসমাবেশ ছিল, টানটান উত্তেজনা ছিল, গরম গরম বক্তৃতা ছিল কিন্তু সভা শেষে জনগণের প্রত্যাশিত কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। সমাবেশটি কেন জানি টকট্ আউট হয়ে গেল বলে অনেকের কাছে মনে হলো। কিন্তু জনগণ বুঝে গেল বিরোধী দলের নেতৃত্বে ব্যাপক দুর্বলতা যার কারণে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার ক্ষমতা সুদূরপরাহত। জনগণের কাছে মনে হচ্ছে বিরোধী দল যেন সরকারের রিমোট কন্ট্রোলে নিয়ন্ত্রিত অতি ভদ্র ও অনুগত একটি শক্তি, যারা সরকারের প্রয়োজনেই লোক দেখানো বিরোধিতা করে!

দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, জনরোষ বেলুন ফুটা করে চুপসে দেওয়ার মতো। হঠাৎ করে বিনা নোটিসে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। এ অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে সম্মিলিত বা একক কোনো বৃহৎ রাজনৈতিক দল প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে জনপ্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। যারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল স্বল্প নোটিসে এবং সরকারের বাহ্যিক বিধিনিষেধ অবজ্ঞা করে নয়াপল্টনের ১১ আগস্টের সমাবেশ। সমাবেশে আগত সবার মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদের চেহারা জ্বলজ্বল করছিল। প্রায় সবার মাথায় বিভিন্ন রঙের পট্টি বাঁধা ছিল যাতে আন্দোলনে কে কত সক্রিয় তা যেন ফুটে ওঠে। সবার চোখে-মুখে ছিল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার তীব্র আকাক্সক্ষা। সবার মধ্যে আন্দোলনে থাকার শপথ নেওয়ার তীব্র প্রত্যাশা ছিল। সমাবেশ বক্তব্যের চেয়ে সমবেতদের স্লোগানে ছিল বেশি মুখরিত। সবাই স্লোগানে স্লোগানে আন্দোলনে থাকার দৃপ্ত প্রত্যয় ব্যক্ত করছিল যা রহস্যজনকভাবে মঞ্চ থেকে বারবার থামিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। মঞ্চ থেকে বিভিন্ন নেতা বড় নেতাদের নির্দেশে সমবেতদের ধমকিয়ে চুপ করিয়ে দিচ্ছিলেন যাতে তাদের পূর্বপরিকল্পিত ও নির্দেশিত বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে তাদের নির্দেশদাতাদের শোনাতে পারেন! মঞ্চের প্রায় সব বক্তাই হম্বিতম্বি করে জোর গলায় তাঁদের বক্তব্য দেন সরকারকে উদ্দেশ করে, কিন্তু সামনে সমবেতদের উদ্বুদ্ধ বা অনুপ্রাণিত করার জন্য তেমন কোনো বক্তব্য বা কর্মসূচি দিতে দেখা যায়নি। যার ফলে সভার মাঝামাঝি সবাই হতাশ হয়ে এদিক-সেদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে বাদাম খেতে ব্যস্ত হয়ে যায় এবং অনেকে হতাশ হয়ে আস্তে আস্তে সমাবেশ থেকে চলে যেতে থাকে। যে-কোনো সমাবেশের সবচেয়ে ক্ষতিকর ও হতাশ চিত্র ফুটে ওঠে যখন চলমান সমাবেশ থেকে সমবেত কর্মীরা চলে যেতে থাকে বা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে সমাবেশকে বড় করে দেখাতে গিয়ে বাদাম চিবোতে বসে যায়। অভিজ্ঞতা বলে, যখন ভাড়া করা লোকদের এনে কোনো সভা-সমাবেশ করানো হয় তখন সভা শুরু হওয়ার অর্ধেক সময়ের পর অনেক ভাড়াটিয়া চলে যেতে শুরু করে। তখন আবার অনেককে ধরে রাখার জন্য সভাস্থলে ছড়িয়ে- ছিটিয়ে বসিয়ে দিয়ে তাদের বাদাম-চানাচুর, ঠান্ডা ইত্যাদি দিয়ে মনোরঞ্জন করাতে হয়। সভার ব্যাপকতা ধরে রাখার জন্য সভার পেছন দিকে এভাবে ভাড়াটিয়াদের বসিয়ে দেওয়া হয়। এটি বহুদিনের চেনা চিত্র। এ চিত্র দেখে সবাই বুঝতে পারে সভার অবস্থা এবং সভার ফলাফল কী হবে! যখন কোনো সভাস্থলে এ চিত্রটি ফুটে ওঠে তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বুঝে নেয় যে সমাবেশটি একটি নির্জীব সভা যেখান বিপদের কোনো আশঙ্কা নেই। তখন সরকারের বাহিনী সভাটি নির্বিঘ্নে সমাপ্ত হতে দেয় এবং সব ধরনের সহযোগিতা করে। সমাবেশে উপস্থিত গোয়েন্দারা তখন সরকারের টেনশন কমিয়ে দেন। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যায় এবং নেতারা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে কে কত কড়া বক্তৃতা দিয়েছেন তার ফিরিস্তি ঘরের বউকে শোনান। বহু প্রত্যাশিত ১১ আগস্টের সমাবেশটির এমনই একটি হতাশাজনক ও ষড়যন্ত্রমূলক সমাপ্তি ঘটে। ফুলে ফেঁপে ওঠা জনগণের প্রত্যাশাকে খুবই পরিকল্পিতভাবে সরকারের গোপন মদদে ১১ আগস্টের সমাবেশটিতে ফুটো করে দেওয়া হয় যাতে তা আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে যেতে পারে। তাই জনরোষ স্তিমিত করার জন্য ১১ আগস্টের সমাবেশটি বেলুন ফুটা করার পিন হিসেবে কাজ করেছে। তৃতীয়টি হলো, উত্তাপে পানি ঢেলে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ১১ আগস্টের আগে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল তা এখন স্তিমিত হয়ে গেছে। সে সুযোগ ১১ আগস্টের সমাবেশটি করে দিয়েছিল তা কাজে না লাগিয়ে উপজেলাভিত্তিক সভা-সমাবেশ করার কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে তা যে সরকারকে সময় ও তার অবস্থা গুছিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের পরিকল্পনাতেই করা হয়েছে তা এখন জনগণের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য না হলে পৃথিবীর কোনো সরকারই রাজধানীতে বিরোধী পক্ষকে বড় কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ করতে দেয় না এবং দেবেও না। রাজধানীতে রাজনৈতিক বিরোধী শক্তির শক্ত অবস্থানের মানেই হলো সরকার যে দুর্বল তা তুলে ধরে। যে-কোনো রাজনৈতিক দলের আজীবনের আরাধ্য সাধনা হলো রাজধানীতে তাদের অবস্থান তুলে ধরা। সেখানে যদি ১১ আগস্টের মতো একটি সমাবেশ করে কোনো রাজনৈতিক দল গ্রাম বা উপজেলায় ফিরে যায় তাহলে জনমনে স্পষ্টতই ধারণা জন্মে ওই দলের নেতৃত্ব সরকারের কবজায়! ১১ আগস্টে নয়াপল্টনে সমাবেশে সরকার বাহ্যিকভাবে কোনো বাধা সৃষ্টি বা কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। এখানে জনগণের কাছে বাহ্যিক বিধিনিষেধ বলা হচ্ছে এজন্য যে, অতীতের মতো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তথাকথিত পূর্বানুমতি না নিয়ে ১১ আগস্টের সমাবেশটি করা হয়েছিল। এ ছাড়া নয়াপল্টনের সমাবেশে আসার জন্য পথে সরকারের রাজনৈতিক কর্মীরা কোনো বাধাও সৃষ্টি করেননি। যদিও ওইদিন রাস্তায় মোবাইল কোর্ট দিয়ে বাসের অতিরিক্ত ভাড়া চেক করতে নামিয়ে দিয়ে কার্যত বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল যাতে সাধারণ মানুষ সমাবেশে না আসতে পারে। সরকার ওইদিনের সমাবেশে বিএনপির লোকদের আসতে কোনো বাধা দেয়নি। সমাবেশ করতেও কোনো বাহ্যিক বাধা দেয়নি। সমাবেশটি নির্বিঘ্নœ করতে সরকার পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। সরকারের চিহ্নিত চাপাবাজ মন্ত্রীরাও কোনো আওয়াজ তোলেননি। সরকারের সব মহলে সমাবেশটিকে সহায়তা করার লক্ষণ দৃশ্যমান ছিল। তাই সমাবেশটি সরকারের পক্ষে খুবই সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছিল এবং জনগণের কাছে মনে হয়েছে সরকারকে আরও সময় ও সুবিধা দেওয়ার জন্য বিরোধী দল রাজধানী ছেড়ে নতুন করে আন্দোলন খেলা খেলতে গ্রাম তথা উপজেলায় চলে যাওয়ার নির্দেশ সমাবেশে ঘোষণা করে আরও পরিষ্কার করে দিল! না হলে কেন বা কী উদ্দেশ্যে রাজধানী ছেড়ে একটি পরিপক্ব, যৌক্তিক ও জনস্বার্থমূলক আন্দোলন উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হলো তা না বোঝার ক্ষমতা মনে হয় জনগণের নেই! তবে উপজেলার তথাকথিত আন্দোলন নিয়ে সরকার যেভাবে খেলছে তাতে এটি পরিষ্কার যে আগামী দুই বছর বাধ্য করতে না পারলে সরকারবিরোধী দলের কোনো বড় সমাবেশ ঢাকা বা তার আশপাশে হতে দেবে না। সরকারের দুর্বল হওয়ার লক্ষণ আপাতত আর দেখা যাচ্ছে না। ১১ আগস্টের সমাবেশ সুনিপুণভাবে সমাপ্ত করে বিরোধী দল সরকারকে আপাতত বিপন্মুক্ত করে দিয়েছে বলে জনমনে ধারণা জন্মেছে। এখন বিরোধী দল উপজেলায় ফিরতি লিগ খেলার আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সরকারের সামনে এখন নতুন খেলা হলো আগামী নির্বাচন নির্বিঘ্নে করিয়ে নেওয়া। সরকারের পুরোপুরি কবজায় আছে দেশের সব বিরোধী দল। কারও এতটুকু ক্ষমতা নেই সরকারের বিজয়রথ থামাবে। বিদেশি কোনো শক্তি বা পক্ষও বিরোধী দলের সঙ্গে থাকার সম্ভাবনা নেই। তারাও যেন জেনে গেছে এ দেশে সরকারের বাইরে কোনো রাজনৈতিক দল নেই। সবাই সরকারের পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে। জেল-জুলুম, নির্যাতন মোকাবিলা করে মাথা তুলে দাঁড়ানোর মতো কোনো রাজনৈতিক নেতা দেশে নেই। সবাই সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে বা গোপনে আঁতাত করে বসবাস করছে। প্রায় সব নেতার মাথার ওপরে দুর্নীতির মামলার খড়্গ ধরে রাখছে- একটু এদিক-সেদিক হলে জেলে ঢুকিয়ে দেবে। আবার কাউকে কাউকে জেলেও আরাম-আয়েশে রেখে প্রতিনিয়ত ভয় দেখাচ্ছে, কথার বাইরে গেলে এবার কাশিমপুর জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে! বর্তমান বিরোধী দল কোনো আন্দোলন যে করতে পারবে না তা সরকারের কাছে খুবই পরিষ্কার।

আন্দোলন ছাড়া বিরোধী দলের কোনো বিকল্পও নেই। এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে না পারলে বিরোধী দলের সামনে কোনো রাজনীতি নেই। নির্বাচন করে জয়লাভ করলেও এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে একচুলও হটানো যাবে না। বর্তমান সংবিধান এ সরকারের পূর্ণ কবজায়। সংবিধানের একটি ভয়াবহ অংশ হলো অনুচ্ছেদ-১২৩ (৩)-এর শর্ত যা নিম্নরূপ : ১২৩ (৩) সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। (ক) মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে; এবং (খ) মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে: তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না। তার মানে খুবই পরিষ্কার যে চলমান সরকার মেয়াদ সমাপ্ত না করা পর্যন্ত নতুন সরকার কার্যভার গ্রহণ করতে পারবে না। এখন বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে যে-কোনো নির্বাচনেই জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোনো ইসলামী দল যদি জয়ী হয় তাহলে বর্তমান সরকার কি ক্ষমতা দেবে বা দিতে বাধ্য এমন কোনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কি আছে? এ প্রশ্নের সুরাহা বা ফয়সালা না করে নির্বাচনে যাওয়া মানেই সরকারের ফাঁদে ইচ্ছাকৃত পা দেওয়া হবে। সরকারকে ক্ষমতায় রেখে বর্তমান সংবিধানের আওতায় সরকারের পাতানো নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারলেও ক্ষমতায় যেতে হলে অবশ্যই মরণপণ আন্দোলন করতে হবে। এ সরকারের পেছনে আছে ভারত তার ভৌগোলিক স্বার্থের কারণে, আছে চীন তার কায়েমি ও ব্যবসায়িক স্বার্থে, রাশিয়া তার নতুন বাজারের খোঁজে, যুক্তরাষ্ট্র তার রোহিঙ্গা স্বার্থে, ইউরোপিয়ানরা তাদের বাজার টিকিয়ে রাখার জন্য, মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ার মুসলমান রাষ্ট্রগুলো সস্তায় শ্রমিক নেওয়ার স্বার্থে। তারা সবাই বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার পক্ষে। আগামীতেও এ সরকারকে বাদ দেওয়ার কোনো আলামত তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। বিরোধী দলের পক্ষে দু-একটি কথা বলে তারা বিরোধীদের হাতে রেখে শান্ত রাখার চেষ্টা করবে। কিন্তু পারতপক্ষে ক্ষমতার পরিবর্তন হতে দেবে না। পরিবর্তন আনতে হলে জনগণকে নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে নামতে হবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু নির্বাচন, আইনের শাসন, জবাবদিহিমূলক প্রশাসন, ন্যায়বিচার, দুর্নীতিমুক্ত সরকার নিশ্চিত করতে এবং সর্বোপরি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও তারেক রহমানকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে দলমত নির্বিশেষে বিরোধী দলের সামনে সর্বোচ্চ ত্যাগের বাসনা ও প্রস্তুতি নিয়ে একটি চূড়ান্ত আন্দোলনের বিকল্প নেই। একটি মরণপণ আন্দোলন করতে না পারলে এ সরকার আরও বহুদিন ক্ষমতায় থাকবে। খালেদা জিয়া বন্দি আবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করবেন। হয়তো সেদিন তাঁর জানাজায় মানুষের ঢল নামবে তবে সে জানাজায় আমি যাব না, তার অনুমতি জীবিত দেশমাতার কাছে আমি নিয়ে রেখেছি। যাঁকে জীবিত মুক্ত করতে পারলাম না তাঁর জানাজায় যাওয়ার কোনো অধিকার আমাদের কারও নেই।

                লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

১০ মিনিট আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

২৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা
লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮
প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা
কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১
যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুবকের লাশ উদ্ধার
যুবকের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির
‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু
রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন
কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ
ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই চা দোকানির পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই চা দোকানির পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

'রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকানো যাবে'
'রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকানো যাবে'

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স
আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!
শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ
এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা
বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে
দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব
উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব

নগর জীবন

হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়
হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়

মাঠে ময়দানে

টিভিতে
টিভিতে

মাঠে ময়দানে

উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল
উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল

দেশগ্রাম

মানুষ আর কত জীবন দেবে
মানুষ আর কত জীবন দেবে

নগর জীবন

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে

নগর জীবন

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না
এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসীর লাশ নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় ভাইসহ নিহত ২
প্রবাসীর লাশ নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় ভাইসহ নিহত ২

দেশগ্রাম

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই
পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

শত শত কারখানায় নিষিদ্ধ জাল
শত শত কারখানায় নিষিদ্ধ জাল

দেশগ্রাম