শিরোনাম
রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মনোরোগ চিকিৎসা

সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করুন

দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে আত্মহত্যা। করোনা মহামারিতে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীবন-জীবিকার উপায়। করোনার অপপ্রভাব থেকে বেরিয়ে আসার আগেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ দুনিয়াজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টিতে মদদ জুগিয়েছে। যা মানুষের মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে। অথচ বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও সুযোগ-সুবিধা দুয়েরই অভাব। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যনীতি, ২০২২-এর তথ্যানুযায়ী দেশে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার তুলনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশে প্রতি ১ লাখ মানুষের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা মাত্র ১ দশমিক ১৭। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ১৩ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, শূন্য দশমিক ৮৭ জন মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সেবিকা এবং শূন্য দশমিক ১২ জন মনোবিজ্ঞানী ও অন্যান্য পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী। রাজধানীর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আউটডোর ও ইনডোর সেবা দেওয়া হয়। এ হাসপাতালের বেড সংখ্যা ৪০০। এ ছাড়া ৫০০ বেডের একটি মানসিক হাসপাতাল রয়েছে পাবনায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। দেশে প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার মানসিক রোগীর জন্য শয্যাসংখ্যা শূন্য দশমিক ৪। দেশে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বরাদ্দ বাজেট মোট স্বাস্থ্য বাজেটের শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। সারা দেশে সাইক্রিয়াট্রিস্টের সংখ্যা ৩৫০ এবং সাইকোথেরাপিস্টের সংখ্যা ১০০-এর কম। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যে সমীক্ষা, ২০১৮-১৯ অনুসারে দেশে ১৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ শতাংশ শিশুর কোনো না কোনো মানসিক সমস্যা রয়েছে। মানসিক রোগীদের বিষয়টি আমাদের সমাজে প্রায়শই উপেক্ষিত হয়। এ ধরনের অসুস্থতাকে এড়িয়ে যেতে চান অভিভাবকরা অজ্ঞতার কারণে। দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার পেছনেও সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা অনেকাংশে দায়ী। যা রোধে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। মনোরোগ চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর