শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০১ অক্টোবর, ২০২২

বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে

১ অক্টোবর ২০০১। ২১ বছর আগের এ দিনটা আমরা কজন মনে রেখেছি? ওইদিন বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘটনা ঘটে। পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। রাত ১০টার দিকেই বোঝা যায় বিএনপি-জামায়াত জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। কিন্তু বিপন্ন বিস্ময়ের তখনো অনেক বাকি। রাতেই বিএনপি-জামায়াতের সব ক্যাডার ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘুদের ওপর। ১৯৭১-এর ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর আদলে সারা দেশে শুরু হয় হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ। এক নারকীয় উৎসব। মুহূর্তে নিরীহ মানুষের আর্তনাদ বিএনপি-জামায়াতের জয়োল্লাস ম্লান করে দেয়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ন্ত্রিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিথর মূর্তির মতো তামাশা দেখতে থাকে। এ সেই পয়লা অক্টোবর যেদিন বাংলাদেশ প্রতিহিংসার নির্মমতা দেখেছিল। ভয়ে শিউরে উঠেছিল। জার্মান নাৎসিদের মতো প্রতিপক্ষকে নির্মূল করে দাও- এ বন্য হিংস্রতার এক ভয়াবহ রূপ দেখেছিল বাংলাদেশ। ওইদিন একজন সিনিয়র সাংবাদিক আমাকে বলছিলেন, ‘এটাই বিএনপির পতনের শুরু।’ ১ থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচনে সংখ্যালঘু নিধন চলে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ‘খতম’ করে আওয়ামীমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণের অভিযান চলে। ওই ১০ দিন দেশে কোনো আইন ছিল না। বিএনপি নেতা-কর্মীদের ইচ্ছাই হলো আইন। ১০ অক্টোবর শপথ নেয় বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। এরপর বাংলাদেশ প্রবেশ করে এক কৃষ্ণগহ্বরে। কেমন ছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বাংলাদেশ? কজন মনে রেখেছেন সেই ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’র কথা। ২০০৬ সালে নানা নাটক করে বিএনপি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান করে। আসলে ক্ষমতার চাবি ছিল বেগম জিয়ার হাতেই। মূলত ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নিলেই এ দেশ বিএনপি-জামায়াতের সেই দমবন্ধ শাসনের অবসান হয়। সেই থেকে প্রায় ১৬ বছর বিএনপি ক্ষমতার বাইরে।

ক্ষমতার গর্ভে জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক দলের জন্য ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। এ যেন জলের মাছের ডাঙায় জীবন। দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি ভাঙেনি। এও এক বিস্ময়। টিকে থাকার জন্য সংগ্রামরত দলটি এখন সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা পুনঃ প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। দলটির নেতারা এসব কর্মসূচিতে লাঠিসোঁটা নিয়ে যোগ দেওয়ার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন। আরেক নেতা এতেও খুশি নন। তিনি আরও এক কাঠি সরেস। তিনি কর্মীদের আরও বড় লাঠি নিয়ে সমাবেশে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রশাসন-পুলিশকে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এ ধরনের কর্মসূচি দিতেই পারে। নির্বাচনের আগে সংগঠন গোছাতে, কর্র্মীদের উজ্জীবিত করতে এটা ভালো কৌশল। কিন্তু আমার অবাক বিস্ময় অন্য জায়গায়। বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে তাঁরা যেন দেবদূত। ভিনগ্রহ থেকে আসা সফেদ মানব। একটি রাজনৈতিক দল যখন জনগণের কাছে যায় তখন তাদের স্বচ্ছ ও পরিষ্কার থাকা উচিত। ভালোমন্দ মিলিয়েই একজন মানুষ। একটি রাজনৈতিক দলও। যে-কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অবশ্যপালনীয় দায়িত্ব হলো আত্মসমালোচনা। নিজেদের ভুলভ্রান্তিগুলো বুঝতে পেরে তা সংশোধন করা। বিএনপি দুই মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল। এ সময় বিএনপি যে ভুলগুলো করেছে তা স্বীকার করে তারা জনগণের কাছে যাবে বলেই একজন নাগরিক হিসেবে আমার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় তাঁদের শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষ স্বর্গে ছিল। আসলে কেমন ছিল তখনকার বাংলাদেশ?

বুধবার দেখলাম ছাত্রদল নেতাদের পেটানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিএনপি মহাসচিব। টেলিভিশনে দেখলাম বলছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানো হয়েছে।’ মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় বিরোধী দলকে আক্রমণ করছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। পেটানো হচ্ছে।’ প্রথমেই বলে নিই, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া, পেটানো কিংবা হামলা কোনো গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার নয়। মিরপুরে, বনানীতে, ভোলায়, মুন্সীগঞ্জে যারা এটা করেছেন, অন্যায় করেছেন। এতে আওয়ামী লীগ ও সরকারের লাভ হয়নি। ক্ষতি হয়েছে। এসব খুবই বাজে দৃষ্টান্ত। কিন্তু বিএনপি নেতারা কি একবার বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, ক্ষমতায় থাকার সময় এর চেয়েও জঘন্য কাজ তাঁরা করেননি? ১ অক্টোবর, ২০০১ থেকে ১০ অক্টোবরের পত্রিকার পাতাগুলো কি বিএনপি নেতারা একবার চোখ বুলিয়ে দেখবেন?

২০০২ সালের মার্চে আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাছিমকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাজধানী ঢাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কারাগারে বন্দিকালীন অবস্থায় তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। একটি ব্যাগ দিয়ে তাঁর মাথা ঢেকে সিলিংফ্যানের সঙ্গে উল্টো করে ঝোলানো হয়। পানিভর্তি বোতল দিয়ে তাঁর নিতম্ব, হাঁটু, কোমর, বাহু ও যৌনাঙ্গে আঘাত করা হয়। ফ্যান চালু করে তাঁর শরীর চারদিকে ঘোরানো হয়। বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়। এভাবে পাঁচ দিন ধরে তাঁকে নির্যাতন করা হয়।’ শুধু বাহাউদ্দিন নাছিম একা নন। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুনের মতো ব্যক্তিত্বদের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা, শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার মতো সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাদের বেছে বেছে হত্যার ব্যাপারে বিএনপি নেতারা কী বলবেন? ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে নতুন করে আবার কিছু বলতে চাই না। কিন্তু বিএনপির ‘সাধু’ নেতারা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, ওই ঘটনায় তাঁদের দায় নেই? বলে রাখা দরকার, ছাত্রলীগের কতিপয় দুর্বৃত্ত যা করছে তা অমার্জনীয়। সেদিন আওয়ামী লীগের এক নেতা বলছিলেন, ‘সরকারের সব অর্জন ছাত্রলীগই খেয়ে ফেলছে।’ ইডেন কলেজ থেকে চট্টগ্রাম। টেন্ডারবাজি থেকে ধর্ষণ। কোন অভিযোগ নেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে? কিন্তু আপনি যখন অন্যের সমালোচনা করবেন, তখন কি আয়নায় নিজের মুখটা একটু দেখবেন না?

বিএনপি-জামায়াত জোট যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল কী করেছে। চলুন একটু স্মৃতি হাতড়ে আসি। ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্রদলের দখলে চলে যায়। ২ অক্টোবর ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল করে নেয়। ১৮ অক্টোবর দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের শিরোনাম ছিল এ রকম- ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা’। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে; ২১ বছর আগে ২০০১ সালের ১৩ অক্টোবর একই ঘটনা ঘটেছিল। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বেধড়ক পেটানো হয়। ছাত্রলীগের বহু কর্মী পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পারেননি। ৩ নভেম্বর চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্বিচারে পেটানো হয়। এভাবেই বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর চলে ছাত্রলীগ নিধন কর্মসূচি। দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগকে দাঁড়াতে নেওয়া হয়নি। বিএনপির কোনো নেতা কি বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ছাত্রদলের কর্মকান্ডে আমরা দুঃখিত, ব্যথিত। আবার ক্ষমতায় গেলে প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের ওপর এভাবে হামলা করা হবে না।’ এখন যে ছাত্রদলের কমিটি হয়েছে তা কি ছাত্রলীগের চেয়ে ভালো? ৩০২ জনের বিশাল কমিটি গঠনের পর ৩২ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসার কারণে বিএনপি নেতারাই তাদের বাদ দিয়েছেন। ছাত্রদলের কর্মীরাই বলছেন অছাত্র, খুনি আর মাদকসেবীদের আখড়া ছাত্রদল। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে এ ছাত্রদল কী করবে?

বিএনপি এখন যে আন্দোলন করছে তার অন্যতম ইস্যু ‘লোডশেডিং’। সাধারণ মানুষ অতীত ভুলে গেছে। ভুলে গেছে বিদ্যুৎ ভোগান্তির সেই দুর্বিষহ স্মৃতি। কিন্তু বিএনপি নেতারা কী করে ভোলেন কানসাট ট্র্যাজেডির কথা! খাম্বা কাহিনি কি বিএনপি নেতাদের হৃদয়ের কোনায় ব্যথা জাগায় না? ১২ ঘণ্টার লোডশেডিং দেওয়া সেই বিএনপি যদি এখন ১-২ ঘণ্টার লোডশেডিং নিয়ে সমালোচনা করে তখন তো বুঝতে হবে দলটি জনগণের কথা ভাবে না। বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ‘ছায়া প্রধানমন্ত্রী’। তাঁর কথায় দেশ চলত। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ কোনো সরকার কোনো দিন দিতে পারবে না।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি বলতে পারবেন তাঁরা ক্ষমতায় এলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেবেন? তাহলে কি তারেক জিয়াকে মিথ্যাবাদী বলা হবে না?

দ্রব্যমূল্য নিয়েও বিএনপি নেতাদের আহাজারি চোখে পড়ার মতো। এ কথাও ঠিক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সীমাহীন ব্যর্থতার কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিছু মন্ত্রীর কথাবার্তা এমন বেসামাল পর্যায়ে চলে গেছে যে, তাঁদের দায়িত্ব কী তা-ও তাঁরা ভুলে গেছেন। এক মন্ত্রী দেখলাম কদিন আগে বলছেন, ‘ডিম আমদানি করা হবে কি না তা কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে ঠিক করব।’ ডিম তো কৃষিমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয় নয়। ডিম মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। কিন্তু ওই মন্ত্রীর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষিমন্ত্রী প্রতিদিন ডিম নিয়ে নানা রোমাঞ্চকর বক্তব্য দিয়েই চলেছেন। এসব অযোগ্যতা যে বাজারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তা আওয়ামী লীগের নেতারাও স্বীকার করেন। কিন্তু বিএনপির আমল কি শায়েস্তা খানের যুগ ছিল? সে সময় অধ্যাপক আবুল বারকাত গবেষণা করে দেখালেন ‘শুধু চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, ডিজেল, কেরোসিনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় তখন এখনকার অর্ধেকেরও কম ছিল। সে সময় কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছিল ১৬০ টাকায়। সব পণ্যের মূল্য পাঁচ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছিল। সেই ব্যর্থতার দায় স্বীকার না করে অন্যকে গালি দেওয়া কি যুক্তিসংগত? বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে দ্রব্যমূল্য কমবে, এ গ্যারান্টি কি মির্জা ফখরুল দিতে পারবেন?

শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। ইদানীং বিএনপি মহাসচিব সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে খুবই উৎসাহী। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় কেমন ছিল এ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিএনপির ভূমিধস বিজয়ের পর সবচেয়ে নির্মম পাশবিকতার শিকার হয়েছিল সংখ্যালঘুরা। শেফালী, পূর্ণিমা, কৃষ্ণার ধর্ষণের কথা এ দেশের সংখ্যালঘুরা কীভাবে ভুলবেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ‘সংখ্যালঘু নির্মূলের এক অন্যায্য কর্মসূচির নীরব বাস্তবায়ন চলছে বাংলাদেশে।’ বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আরোহণের কদিন পর দুর্গাপূজা শুরু হয়। একটি দৈনিকের শিরোনাম ছিল, ‘সারা দেশে নিরানন্দ পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু’। ২১ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন দৈনিকে খবর ছিল, মিরসরাই ও সীতাকুন্ডে প্রতিমা ভাঙচুর, চাঁদাবাজি, লুটপাট। বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে শারদীয় দুর্গোৎসব মানেই ছিল প্রতিমা ভাঙচুর, আতঙ্ক। এজন্য কি বিএনপি অনুতপ্ত? বিএনপি কি কখনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে?

বিএনপি নেতারা প্রায় সবাই এখন অর্থনীতিবিদ। দেশের রিজার্ভ, অর্থনীতি, বিদেশি ঋণ ইত্যাদি বিষয়ে তোতাপাখির মতো জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দেন। সেদিন একজন বিএনপি নেতার কাছে জানতে চাইলাম- ভাই বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ কত ছিল? উনি কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, জানি না। তিনি না জানলেও বিএনপি নেতা রিজভী অবশ্য সব জানেন। রিজভী বললেন, ‘বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন সর্বকালের সর্বনিম্ন।’ একটু ভিরমি খেলাম। বইপত্তর ঘেঁটে দেখলাম অন্য তথ্য। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে কখনো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারই অতিক্রম করেনি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে। ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই অর্থমন্ত্রী দাতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। ২০০৩-এর ৬ নভেম্বর ওই বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘অর্থনীতি বিপর্যস্ত। জরুরি সাহায্য দরকার।’ তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে তিন পার্বত্য জেলার উন্নয়ন কার্মকান্ড স্থগিত করা হয়। ৯ নভেম্বর উপমন্ত্রী মণি স্বপন দেওয়ান বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দার জন্য এ সিদ্ধান্ত’। ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে দাতাদের নির্দেশে আট দফা বাজেট সংশোধন করা হয়। সে সময় সাইফুর রহমান বলেছিলেন, ‘ঋণ নিলে বিদেশিদের কথা শুনতে হয়।’ এখান থেকেই বোঝা যায় গত এক যুগে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোথায় চলে গেছে। এখন যাঁরা ৩৭ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আর্তনাদ করেন তাঁরা জ্ঞানপাপী। রিজভী হয়তো এ জ্ঞানপাপীদের খপ্পরে পড়েছেন। গত এক যুগে দুর্নীতি হয়েছে, অর্থ পাচার হয়েছে। কিন্তু বিপুল উন্নয়ন বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছে। বিএনপি নেতারা এখন প্রায়ই বলেন, ‘এ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সব দখল করে ফেলেছে।’ তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ঢাকা সিটি করপোরেশন দখল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে তালা ভেঙে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দখল, রাতের অন্ধকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে সরিয়ে উপাচার্যের চেয়ার দখল কী ছিল? বিএনপি ক্ষমতায় এসেই সংসদ ভবনের সব স্যুট দখল করে। এ সময় তৎকালীন স্পিকার আবদুল হামিদ বলেছিলেন, ‘এখন তো বিএনপি দখলদারদের হাত থেকে আমার চেয়ারও পাহারা দিয়ে রাখতে হবে বলে মনে হচ্ছে।’ (৭ অক্টোবর, ২০০১, দৈনিক ইত্তেফাক)।

দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। নিশ্চয় তাদের বেদনা আছে। ক্ষমতায় যাওয়ার তীব্র ক্ষুধা আছে। কিন্তু তার সঙ্গে আত্মোপলব্ধি থাকতে হবে। থাকা উচিত অনুশোচনা এবং অনুতাপ। সবার আগে বিএনপির উচিত তাদের অতীত কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা। অনুতপ্ত হওয়া। কিন্তু ইদানীং বিএনপি নেতাদের কথাবার্তায় দম্ভোক্তি প্রকাশ্য। বিএনপি নেতারা এখন যেসব কথাবার্তা বলছেন তাতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে কী কী হতে পারে সে সম্পর্কে আমরা একটি ধারণা করতে পারি। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাঁর অবর্তমানে তারেক জিয়া দায়িত্ব নেবেন।’ তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এ দুজনই স্ট্রাইকার এবং ফিনিশার।’ তাহলে তো বিএনপি ক্ষমতায় এলেই সুপ্রিম কোর্ট দখল করে নেবে। গতবার তারা সাবেক নেতাকে প্রধান বিচারপতি করার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিল। এবার স্থায়ী কমিটির সদস্যকে প্রধান বিচারপতি বানাতে হবে। আইন ওই সংবিধান পাল্টাতে হবে। বলতে হবে, পলাতক, দন্ডিত থেকেও প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য হওয়া যায়। বিএনপি নেতারা প্রচ- উন্নয়নবিরোধী। তাঁরা প্রায়ই বলেন, উন্নয়নের বেলুন চুপসে গেছে। সব আওয়ামী ভাঁওতা। গালগল্প। শুধু দুর্নীতি হয়েছে। তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় এলেই পদ্মা সেতু ভেঙে ফেলা হবে। ধ্বংস করা হবে মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পসহ সব উন্নয়ন চিহ্ন। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট হয়েছে। তাই সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। দিনে সূর্যের আলো, প্রকৃতির বাতাসে মানুষ কাজ করবে। আর রাতে জোছনায় ¯œান করবে। সারা দেশে ধন্য ধন্য পড়ে যাবে।

বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় আসল সমস্যা ‘বাংলাদেশ’টাতেই। তাই বিএনপি ক্ষমতায় এলে এ দেশটার নামই পাল্টে দেবে। দলের মহাসচিব কদিন আগে অবশ্য বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল!’ বিএনপি ক্ষমতায় এলে স্লোগান হবে ‘এসো পাকিস্তানে ফিরে যাই।’ বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ কি আবার পাকিস্তান হবে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)

১৮ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান

২২ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

৩১ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ
সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা
বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী
চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি
কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত
ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম
বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয় পেতে মরিয়া সমিত সোম

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই
১৩ কোটির পাথিরানাকে ছেড়ে দিল চেন্নাই

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা
টঙ্গীবাড়ীতে পাক হানাদারমুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত
দিনাজপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে: মোশারফ হোসেন
ভোট দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ মুখিয়ে আছে: মোশারফ হোসেন

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য
পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য

খবর

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল
নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ী আকাশ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩
ব্যবসায়ী আকাশ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

নগর জীবন

গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের

প্রথম পৃষ্ঠা

বিশ্বজুড়ে কমলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে
বিশ্বজুড়ে কমলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা