বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সরব আন্দোলনের নীরব যাত্রা

মহিউদ্দিন খান মোহন

সরব আন্দোলনের নীরব যাত্রা

গেল বছরের শেষ ভাগে বেশ সরব হয়ে উঠেছিল বিএনপি। ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর দলটির নেতা-কর্মীদের মনেও জেগেছিল উদ্দীপনা। সমাবেশগুলোয় বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি বিএনপির শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, এমন কথাও বলছিলেন রাজনীতির সমঝদাররা। তাঁরা এও বলেছিলেন, সরকার তরফে যতই বলা হোক বিএনপি নিঃশেষ হয়ে গেছে, বাস্তবে তা নয়। এটা তো ঠিক, বিএনপি একটি ব্যাপকভিত্তিক রাজনৈতিক দল, যার লাখ লাখ কর্মী এবং কোটি কোটি সমর্থক এখনো আছেন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরুদ্ধবাদীরা যত নিন্দা-মন্দই করুন না কেন, এটা অস্বীকার করা যাবে না যে, তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে এমন একটি রাজনীতি দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করে গেছেন, যার কারণে তাঁর মৃত্যুর ৪২ বছর পরও দলটি ভালোভাবেই টিকে আছে। সেই সঙ্গে আরও একটি সত্য স্বীকার্য, বিএনপিই এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সামনে দাঁড়ানো বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো একমাত্র দল। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের বাইরে বিএনপির বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি দেশে এখনো তৈরি হয়নি। যদিও সময়ে সময়ে নানা সমস্যা-সংকট দলটিকে বিপর্যস্ত করেছে, তবে তৃণমূল কর্মীদের দৃঢ়তা দলটিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে বারবার। কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছে তৃণমূল কর্মীদের সমর্থন। এ কথায় অতিশয়োক্তি নেই। স্মরণ করা যেতে পারে ওয়ান-ইলেভেনের কথা। সে সময় মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ১২৪ জন দলীয় এমপি এবং প্রথম সারির বেশির ভাগ নেতা কথিত সংস্কারের নামে খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার প্রক্রিয়ায় তৎপর ছিলেন। একটা সময় মনে হয়েছিল একটি খোলা প্রান্তরে খালেদা জিয়া একা দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর পাশে কেউ নেই। এমনকি যখন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মহাসচিবের দায়িত্ব পেলেন, তখন তাঁর পাশে উল্লেখযোগ্য কোনো বড় নেতাকে দেখা যায়নি, ব্রিগেডিয়ার আ স ম হান্নান শাহ, চৌধুরী তানভীর আহমদ সিদ্দিকী, ড. আর এ গণি ও প্রাক্তন এমপি মেজর আখতারুজ্জামান (অব.) ছাড়া। প্রসঙ্গত বলতে চাই, ওই সময় বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পাশে থেকে দলের পক্ষে কাজ করার সুবাদে অনেক ঘটনাই প্রত্যক্ষ করার সুযোগ আমার হয়েছে। তখন অনেক ডাকসাইটে বিএনপি নেতাকে অনুরোধ করেছি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত থাকতে। কিন্তু তাঁরা কেউ সাড়া দেননি। মজার ব্যাপার হলো, তাঁদের প্রায় সবাই এখন বিএনপির দ-মু-ের কর্তা। তবে ব্যতিক্রম এর তৃণমূল কর্মীরা। বড় কোনো চাহিদা নেই তাদের। দলকে সরকারে দেখতে পাওয়াই তাদের পরম আরাধ্য। আর সেজন্য জেল-জুলুমের শিকার হতেও তারা পিছপা হয় না। সেই তৃণমূল কর্মীরা আবার প্রমাণ করেছে তারা দলের প্রতি কতটা নিবেদিতপ্রাণ। সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা এবং শীর্ষ নেতৃত্বের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ১০ বিভাগীয় সমাবেশে তারা যেভাবে দলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, এক কথায় তা ছিল অভূতপূর্ব। অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট, পথে পথে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের বাধা উপেক্ষা করে যেভাবে তারা সমাবেশগুলোয় জড়ো হয়েছে, তা একটি রাজনৈতিক দলের শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচনাযোগ্য। কোথাও ভ্যানে চড়ে, কোথাও রিকশায়, আবার কোথাও পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়ে তারা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছে। এমনকি কলার ভেলায় চড়েও অনেক কর্মীকে সমাবেশে যেতে দেখা গেছে। বহুসংখ্যক কর্মী দু-তিন দিন আগেই সমাবেশস্থলে এসে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করেছে। এসব কথা গণমাধ্যমের কল্যাণে এখন সবারই জানা। বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি সমাপ্ত হওয়ার পর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, এরপর বিএনপির কর্মসূচি কী হবে। এ বিষয়ে একটি টেলিভিশনের টকশোয় বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম- বিভাগীয় গণসমাবেশের পর আপনাদের পরবর্তী কমসূচি কী? তিনি বললেন, ‘এ সরকারের পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা’। তাঁকে বললাম, এটা তো আপনাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য অর্জনে এরপর কোন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন? জবাবে তিনি বললেন, দলের হাইকমান্ড তা নির্ধারণ করবেন। বুঝলাম আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি কী হবে, তা তিনি জানেন না। না জানারই কথা। তিনি কেন? দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির অনেক সদস্যও ঘোষণা হওয়ার আগে জানতে পারেন না দলের পরবর্তী কর্মসূচি কী! বিভাগীয় গণসমাবেশে বিএনপি যেভাবে মাঠ গরম করেছিল, তাতে অনেকেরই মনে হয়েছিল এরপর বোধহয় দলটি অধিকতর কঠোর আন্দোলনে নামবে। কারও কারও ধারণা ছিল, নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত অবস্থা কাজে লাগাতে আরও বড় ধরনের মাঠ গরম কর্মসূচি দেবে বিএনপি। সে কর্মসূচি হতে পারে হরতাল-অবরোধ। কিন্তু বিএনপি সে পথে পা বাড়ায়নি। দলটির নেতারা অবশ্য বলে থাকেন, তারা হরতাল-অবরোধের মতো জনজীবনে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কোনো কর্মসূচি দেবেন না। এটা কি আদতেই জনসাধারণের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভেবে, নাকি তাদের সক্ষমতার অভাবজনিত উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ তা নিয়ে হয়তো বিতর্ক করা যায়। তবে এ দেশের আন্দোলনের ইতিহাস বলে অন্য কথা। আইয়ুব-ইয়াহিয়া থেকে শুরু করে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে বিরোধী দলগুলো তাদের দাবি আদায়ে রাজপথ উত্তপ্ত রেখেছে। তার চেয়ে বড় কথা, রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে জনসমর্থন ও জনসম্পৃক্তি ব্যাপকভাবে না হলে সফলতা আসে না। বিএনপি তাদের চলমান আন্দোলনে জনসাধারণকে কতটা সম্পৃক্ত করতে পেরেছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও নানাবিধ কারণে জনসাধারণের একটি অংশের সরকারের প্রতি অসন্তোষকে তারা তাদের পক্ষে সমর্থন বলে মনে করছে। আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার একটি স্বীকৃত পদ্ধতি রয়েছে। অনেকটা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার মতো। গোড়া থেকে ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে চূড়ান্ত ধাপে যেতে হয়। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। তারা একবার ওপরে ওঠে তো পরক্ষণেই ধপ করে নেমে যায় নিচে। অনেকটা পাটিগণিতের সেই অঙ্কের মতো, ‘একটি তৈলাক্ত বাঁশে একটি বানর প্রতি মিনিটে তিন ফুট উঠে দুই ফুট নেমে যায়। ৩০ ফুট খাড়া বাঁশের মাথায় উঠতে তার কত সময় লাগবে?’ এ ওঠানামা করতে করতেই সময় চলে যাচ্ছে তাদের। এভাবে চলতে থাকলে চূড়ান্ত আন্দোলন যে সোনার হরিণ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না।

একটি রাজনৈতিক দল তখনই সর্বশক্তি নিয়ে আন্দোলনে নামতে পারে, যখন এর সাংগঠনিক কাঠামো যথেষ্ট শক্তিশালী থাকে। কিন্তু সে অবস্থা যে বিএনপির নেই তা বলাই বাহুল্য। সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলের পর দুই মেয়াদকাল পার হয়ে গেছে, নতুন কাউন্সিল অধিবেশন হয়নি। জাতীয় স্থায়ী কমিটির পাঁচটি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। খালি রয়েছে ভাইস চেয়ারম্যানের কয়েকটি পদ। দলটির কোনো দফতর সম্পাদক নেই। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তা নিজের কবজায় রেখেছেন। তিনি কারাগারে যাওয়ায় আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে একজন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদককে ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে খালি রয়েছে বেশ কয়েকটি পদ। বেশির ভাগ জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। উপজেলাগুলোয়ও একই অবস্থা। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নতুন কমিটি হলেও তা নিয়ে রয়েছে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব। অভিযোগ রয়েছে কমিটি বাণিজ্যের। অন্যদিকে প্রবীণ ও প্রজ্ঞাবান নেতাদের ছেঁটে ফেলে কথিত তরুণ নেতৃত্ব সামনে আনার অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে বিরামহীনভাবে। ফলে অবমূল্যায়িত নেতারা ক্ষোভে অভিমানে কেউ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন, কেউ বিদায় নিয়েছেন দলকে ‘গুডবাই’ জানিয়ে। এসব কারণে বিএনপির নেতৃত্বে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে, যা সহসা পূরণ হবে বলে আশা করা যায় না।

বিএনপিতে নেতৃত্বের এ শূন্যতা নিয়ে আগে-পরে কম কথা হয়নি। এ কথা সবাই জানেন, বিএনপি এখন কার নেতৃত্বে-নির্দেশে চলছে। দলটির সাংগঠনিক কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচির সবই আসে সুদূর লন্ডন থেকে। সেখানে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যা নির্দেশ দেন এখানে ‘দায়িত্বরত’ সিনিয়র নেতারা তা বিনা বাক্য ব্যয়ে পালন করেন। স্থায়ী কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য আলাপচারিতায় আমাকে বলেছেন, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের মতামত নেওয়া হয় না। কমিটি গঠন কিংবা আন্দোলন কর্মসূচি- সবকিছুই চলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে। জিজ্ঞেস করেছিলাম, তাহলে আপনাদের কাজ কী? বললেন, ‘আমরা রাবার স্ট্যাম্পের কাজ করি। তিনি অর্ডার করেন, আমরা তাতে মিটিংয়ের সিল লাগিয়ে দিই।’ ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সে কথাই উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘বিএনপির বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা শাখা কিংবা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন যা-ই হোক না কেন, প্রথমে তার প্রস্তাব পাঠাতে হয় লন্ডনে। সেখানে যাচাই-বাছাই ও সংযোজন-বিয়োজন শেষে অনুমোদন হয়ে ফিরে আসে ঢাকায়। লন্ডনে কমিটি অনুমোদন করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, পরে তা ঢাকার নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় দফতর থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।’ অভিযোগ রয়েছে, লন্ডনে কমিটি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের চারপাশে থাকা কয়েকজন অনুচরের রয়েছে বিস্তর প্রভাব। প্রশ্ন হলো, উপজেলা কমিটিও যদি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দরবার ঘুরে আসতে হয়, তাহলে মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকরা কি বেকার হয়ে যান না? এটা সর্বজনবিদিত যে, বিএনপিতে এখন একক নেতৃত্ব চলছে। অন্যভাবে বলা যায়, এক ব্যক্তির শাসন চলছে। পরিহাসের বিষয় হলো, দেশে ‘একনায়কত্ব’ চলছে বলে যারা গলা ফাটান, তাদের দলের অবস্থা কি ভিন্ন কিছু?

যাই হোক, নেতৃত্বের এ এলোমেলো অবস্থা সত্ত্বেও বিভাগীয় সমাবেশগুলো সফলভাবেই শেষ করেছে বিএনপি। অনেকেই ভেবেছিলেন, এরপর হয়তো বিএনপি আরও কঠোর কোনো কর্মসূচিতে যাবে। কিন্তু গণসমাবেশ কর্মসূচি দিয়ে তারা যেভাবে সরব হয়েছিল, তার ফলোআপ কর্মসূচি হিসেবে ‘নীরব পদযাত্রা’ কর্মসূচি দিয়ে অনেকটাই নীরব হয়ে গেছে। ২৮ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে পৃথকভাবে চার দিনের এ মৌন পদযাত্রায় নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস আগের মতো ছিল না, লোকসমাগমও আশানুরূপ হয়নি। এদিকে ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বিভাগ থেকে একেবারে ইউনিয়নে চলে যাওয়া আন্দোলনের অধোগতি কি না, রাজনৈতিক মহলে এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ থেকে এটা স্পষ্ট, ডিসেম্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশ কেন্দ্র করে বিএনপিতে সৃষ্ট আন্দোলনের উন্মাদনা অনেকটাই ঝিমিয়ে এসেছে।

বিএনপির ‘নীরব পদযাত্রা’ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। দলটির এ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ কটাক্ষ করেছে ‘মরণযাত্রা’ হিসেবে। আর বিএনপি বলেছে এটা আওয়ামী লীগের ‘পতনযাত্রা’। এসব পাল্টাপাল্টি মন্তব্য বাদ দিলেও একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, সরব আন্দোলনের বাঁক পরিবর্তন করে বিএনপি নীরব আন্দোলনের পথে হাঁটতে শুরু করল কেন? এটা কি কোনো সমঝোতার ইঙ্গিত? কেননা কথায় আছে- মৌনতা সম্মতির লক্ষণ।

                লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

সর্বশেষ খবর