শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নকল ভেজাল ওষুধ

অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাপ্য

নকল, ভেজাল শুধু নয়, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সরকারি ওষুধ অবাধে বিক্রি হয় দেশের ওষুধের দোকানগুলোতে। পুরান ঢাকার মিটফোর্ডের পাইকারি দোকান থেকে এসব ওষুধ সরবরাহ করা হয় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে। দাম অনেক সস্তা হওয়ায় ওষুধ ব্যবসায়ীরা জেনেশুনে কেনেন নকল ওষুধ। নকল, ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হলেও এ বিষয়ে নেওয়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ এতই সীমিত যে, তা অসৎ ব্যবসায়ীদের মনে ভয় ঢুকাতে ব্যর্থ হয়। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার নকল, ভেজাল ও সরকারি ওষুধ রাখায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ডের বিভিন্ন ফার্মেসিকে ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ওষুধ। টানা ১৫ ঘণ্টা অভিযানের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। পাইকারি ওষুধের দোকানগুলোয় বুধবার দুপুর ১২টায় এ অভিযান শুরু হয়। চলে ভোর পর্যন্ত। অভিযানে সহযোগিতা করে র‌্যাব-১০। মিটফোর্ডের পাইকারি ওষুধের দোকানে নকল ওষুধের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানো হয়েছে সেদিকে নজর দিলে স্পষ্ট হয় যে তাদের অপরাধের তুলনায় শাস্তি একেবারেই নগণ্য। মানুষ জীবন বাঁচাতে ওষুধ ব্যবহার করে। সে ওষুধ যদি নকল ও ভেজাল হয় তবে তা জীবনহানির কারণ ঘটায়। মিটফোর্ডের ওষুধ ব্যবসায়ীরা সরাসরি ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ কেনেন। যারা ভেজাল ওষুধ তৈরি করে তাদের কাছ থেকেও ওষুধ কেনা হয় জেনেশুনে। ফলে নকল, ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ‘চোর ও পুলিশের’ খেলা চলতেই থাকবে।  কোনো ফার্মেসিতে নকল ভেজাল ওষুধ ধরা পড়লে লাইসেন্স বাতিল এবং মালিকসহ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা ছাড়া এ ধরনের অভিযান কোনো কাজে আসবে না। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে নকল ওষুধ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতরা। এ ধরনের অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তিসহ আইন প্রণয়নও সময়ের দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর