রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

গভীর সমুদ্রবন্দর

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াবে

বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগোচ্ছে। আইএমএফের মতে, বর্তমানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম। ২০৩০ সালে হবে ২৫তম। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ ২১তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। যে মালয়েশিয়াকে আমরা স্বপ্নের দেশ ভাবি, তারাও বাংলাদেশের পেছনে থাকবে। এটি কোনো কল্পকথা, সরকার কিংবা সরকারি দলের ভাষ্য নয়, পৃথিবীর নেতৃস্থানীয় অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস। দেশের ক্রমবর্ধমান ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। নতুন বন্দর তৈরি হয়েছে পায়রায়। চট্টগ্রামের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে তৈরি হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর। যে সমুদ্রবন্দর পাল্টে দেবে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চিত্র। সমুদ্রবন্দরটি চালু হলে ট্রানজিট ভোগান্তি ছাড়াই ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরাসরি পণ্য পরিবহনের সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। এতে পরিবহন ব্যয় কমবে ৩০ শতাংশ। সাশ্রয় হবে সময়েরও। আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। এ বন্দরটি চালু হলে ১৬ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে। ট্রানজিট ভোগান্তি ছাড়াই বিভিন্ন বন্দরে সরাসরি পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এতে পরিবহন ব্যয় ও সময় দুটোই সাশ্রয় হবে। এ বন্দর চালু হলে আমদানি-রপ্তানির জন্য সিঙ্গাপুর, কলম্বো কিংবা কেলাং বন্দর ব্যবহার করতে হবে না ব্যবসায়ীদের। মাতারবাড়ী থেকেই সরাসরি পণ্য পরিবহন করা যাবে। প্রতিবেশী দেশগুলোও এ সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ অঞ্চলের ব্যবসায়িক হাবে পরিণত হবে মাতারবাড়ী। বাংলাদেশ থেকে এখন ইউরোপ, আমেরিকাসহ দুনিয়ার যে কোনো প্রান্তের সঙ্গে সমুদ্রপথে যে আমদানি-রপ্তানি হয় তাতে তৃতীয় কোনো দেশের গভীর সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না। বরং ধারেকাছের দেশগুলো বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে। তাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগও বাড়বে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর