মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

গুলশানে অগ্নিকান্ড

ভবন নির্মাণে ত্রুটি গ্রহণযোগ্য নয়

গুলশানে একটি ১২ তলা ভবনে অগ্নিকান্ডের সময় লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে একজন মারা গেছেন এবং তিনজন আশঙ্কাজনকভাবে দগ্ধ হয়েছেন। ভবন থেকে ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে আগুন আতঙ্কে নিচে ঝাঁপ দিয়ে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এদের কেউ কেউ অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর প্রাণ বাঁচাতে ভবন থেকে নিচে ঝাঁপ দেন। কী কারণে গুলশান-২-এর ওই ভবনটিতে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ভবনের সাত তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে আগুনের সূত্রপাত। ফ্ল্যাটটির মালিক এক্মি ওষুধ কোম্পানির এক শীর্ষ কর্মকর্তা। আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর জন্য আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও ১৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মইয়ের মাধ্যমে ১২ জন নারী, নয়জন পুরুষ ও একজন শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে। রাত পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ভবনের ভিতরে তল্লাশি চালান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে ঘটনাস্থলে নিয়োজিত হয় বিমান বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট। আগুন নেভানোর কাজে তারা ফায়ার সার্ভিসকে সাহায্য করে। এ ছাড়া ভিতরে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ-র‌্যাবও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। তারা উৎসুক জনতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। সপ্তম তলায় লাগা আগুন ক্রমেই ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের কাজ করতে বেগ পেতে হয়। গুলশানের অগ্নিকান্ড ঢাকার বহুতল ভবনগুলোর নির্মাণত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। প্রতিটি বহুতল ভবনে আগুন লাগার জন্য সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, আগুন নেভানোর যান্ত্রিক সুবিধা এবং বিকল্প সিঁড়ি থাকার কথা থাকলেও ভবনটিতে ছিল না। আগুন লাগার পর লোকজন দ্রুত সরে না যাওয়ায় বেশ কয়েকজন আটকা পড়েন। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে অসতর্কতার কারণে। যা সবার জন্য শিক্ষণীয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর