বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিপদের নাম বায়ুদূষণ

নিজেদের নিরাপদ করার ব্যবস্থা নিতে হবে

বায়ুদূষণের দিক থেকে সারা দুনিয়ায় কালো এলাকা হিসেবে বিবেচিত দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশ। পৃথিবীর সবচেয়ে ১০টি বায়ুদূষণের শহরের ৯টিই দক্ষিণ এশিয়ায়। আর বাংলাদেশ বায়ুদূষণের দিক থেকে সত্যিকারভাবেই অধঃপতিত অবস্থায়। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা যেমন বিশ্বের সবচেয়ে বায়ুদূষিত ১০টি শহরের একটি তেমন বাংলাদেশের মোট অকালমৃত্যুর প্রায় ২০ শতাংশই ঘটছে বায়ুদূষণের কারণে। দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণে প্রতি বছর আনুমানিক ২ কোটি লোকের অকালমৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ ছাড়া, দূষণে আক্রান্ত হয়ে নানান ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভোগেন এ অঞ্চলের মানুষ। বায়ুদূষণের কারণে স্থবিরতা ও স্নায়ুবিক বিকাশ হ্রাস, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণসহ দীর্ঘস্থায়ী নানান রোগ দেখা দেয় শিশুদের মধ্যে। এতে বেড়ে যায় স্বাস্থ্যসেবার ব্যয়, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের উৎপাদনশীলতা কমানোর পাশাপাশি মানুষের কর্মক্ষমতাও হ্রাস করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের ভাষ্য, বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। তবে প্রতিশ্রুতি, যথাযথ পদক্ষেপ ও নীতির মাধ্যমে বায়ুদূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি অনুমোদনসহ বায়ুর গুণমানের উন্নতি সাধনে পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্লেষণমূলক কাজ এবং নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ এ অঞ্চলের বায়ুর গুণমান উন্নত করতে দেশ ও জেলা পর্যায়ে বেশ কিছু নীতি গ্রহণ করেছে; তবে যেহেতু বায়ুদূষণ একটি আন্তসীমান্ত সমস্যা, তাই দেশভিত্তিক পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোকে সমন্বিতভাবে আন্তসীমান্ত পদক্ষেপ নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। বায়ুদূষণ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন দেশের মানুষই শুধু নয়, নীতিনির্ধারকদের সঠিক সিদ্ধান্ত ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। দূষণ প্রতিরোধে সম্ভাব্য সব উদ্যোগ নেওয়া হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর