রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিমগাছ

নিম একটি ঔষধি গাছ। এর ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবী ও চিরহরিৎ বৃক্ষ। প্রাপ্তবয়স্ক হতে সময় লাগে ১০ বছর। নিমগাছ সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়া প্রধান অঞ্চলে ভালো হয়। নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর। নিমের কাঠ খুবই শক্ত। এ কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা খেতে পারে না। এ কারণে নিম কাঠের আসবাসপত্রও তৈরি করা হচ্ছে আজকাল। এ ছাড়া প্রাচীনকাল থেকেই বাদ্যযন্ত্র বানানোর জন্য নিম কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। নিমের এই গুণাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিমকে ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে।

কফজনিত বুকের ব্যথা-অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়ে ৩-৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতী মা, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এই ওষুধটি নিষেধ। পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুঁড়ো দিনে তিনবার সামান্য গরম পানিসহ খেতে হবে। * নিমের পাতা বেটে হালকা করে মাথায় লাগান। ঘণ্টাখানেক বাদে মাথা ধুয়ে ফেলুন। ২-৩ দিন এভাবে লাগালে উকুন নাশ হবে বা মরে যাবে। অনেকদিন ধরে পেটের অসুখ। পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস, সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে। নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাঁচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পোকামাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে। নিমের পাতা ও ছালের গুঁড়ো কিংবা নিমের ছাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবে রোগ থেকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর