বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

এ প্রবণতা রুখতে হবে

বাজারে পিঁয়াজ আদা ও রসুনের গায়ে যেন আগুন লেগেছে। মহাবিক্রমে দাম বেড়েছে এসব নিত্যপণ্যের। রোজার সময় সাধারণত পিঁয়াজের দাম থাকে ঊর্ধ্বমুখী। এ বছরের রোজায় এ পণ্যটির দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। হঠাৎ দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। রসুনের দামও বেড়েছে বেপরোয়াভাবে। প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এক কোয়ার দেশি রসুনের দাম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা। দেশি আদার দাম এখন প্রতি কেজি ২৮০ টাকা। গত বছর এ সময়ে যার দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা জিরার কেজি এখন সাড়ে ৮০০ টাকা। গত বছর এ সময়ে যার দাম ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। হঠাৎ পিঁয়াজ রসুন আদা জিরার দাম বৃদ্ধি সাধারণ ক্রেতাদের উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছে। প্রতিটি পণ্যের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ায় মানুষ চোখে শর্ষে ফুল দেখছে। কাঁচা মরিচের কেজি এখন ১৬০ টাকায় ঠেকেছে। শুকনো মরিচের দাম প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ডিম দুধ মাছ তরিতরকারি মাংস সবকিছুর দাম চলে যাচ্ছে মানুষের নাগালের বাইরে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এ বছর খরার কারণে মরিচের উৎপাদন অর্ধেকেরও কম। রসুন ও আদার উৎপাদনও মার খেয়েছে। আমদানি বন্ধ থাকায় সন্তোষজনক উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও পিঁয়াজের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আলুর দাম বেড়েছে এক মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ।  নিত্যপণ্যের মূল্য বেপরোয়াভাবে বাড়লেও সাধারণ মানুষের আয় না বাড়ায় তারা পড়েছেন বিপাকে। ইতোমধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে ভোজ্য তেলের দাম। প্রতি কেজি চিনির দাম ১৬ টাকা বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে এমন খবর বেরিয়েছে পত্রিকান্তরে। তবে তার আগেই সরকার নির্ধারিত বর্তমান দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। দেশের মানুষের আস্থা ধরে রাখতে কীভাবে মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়াকে থামানো যায় সরকারকে তৎপর হতে হবে নিজেদের স্বার্থেই।

সর্বশেষ খবর