শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডলার সংকট

হুন্ডির থাবা ভাঙতে হবে

ডলারের বাজার ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে। এর বিপরীতে কমছে টাকার দাম। টাকার দাম স্থিতিশীল রাখার কোনো চেষ্টাই সফল হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার এক দিনের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৫০ পয়সা। খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৬ টাকা ৫০ পয়সা দরে। গত বুধবারও দাম ছিল ১২২ থেকে ১২৩ টাকা। ব্যাংক ও খোলা বাজারে বিনিময় হারের ব্যবধান কয়েক মাস কম থাকার পর তা আবারও বাড়ছে। বেসরকারি ব্যাংক এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেডা) নির্ধারিত ব্যাংকগুলোয় ডলারের দর রয়েছে ১১১ টাকা। খোলা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২৭ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারি করোনার পর অর্থনীতিতে ডলারের বাড়তি চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ডলারের দর হু হু করে বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাস ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধান কম ছিল। ব্যাংকে ডলারের মজুদ কম থাকা এবং বেপরোয়াভাবে হুন্ডির দৌরাত্ম্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে। বেশির ভাগ ব্যাংক বিদেশ ভ্রমণকারীদের কাছে ডলার বিক্রি করছে না। স্বভাবতই তারা খোলা বাজার থেকে ডলার সংগ্রহ করছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৫ শ্রমিক বিভিন্ন ধরনের কাজ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। ২০২২ সালের একই সময়ে বিদেশ যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৯ জন। এটি প্রবাসে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ঘটনা। ২০২২ সাল থেকে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর রেকর্ড করলেও প্রবাসী আয় কমছে। আবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদও দুর্বল হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৪১ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন ১৩৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এর আগে সবচেয়ে কম ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে। ডলার সংকট সামাল দিতে হলে হুন্ডির থাবা ভাঙতে হবে। এ জন্য প্রবাস আয়ের নির্ভরশীলদের ওপর নজর রাখার কথা ভাবা যেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর