রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

যৌন হয়রানি

ওদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে

শিক্ষাঙ্গনে যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়েই চলছে। এ অপকর্মে ছাত্র সংগঠনের নেতা ও ক্যাডার নামধারী মানুষবেশী শকুনরা বেশি এগিয়ে। পিতা-মাতার পর যাদের গুরুজন বলে ভাবা হয়, সেই শিক্ষকদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা নোংরা জীবরাও এক্ষেত্রে কম যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘটে যৌন হয়রানি। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাবান নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসার এক শিক্ষক লাম্পট্যের জন্য সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। মুরাদ নামের আরেক শিক্ষক এখন শ্রীঘরে। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেছেন, যেসব শিক্ষক যৌন হয়রানি করে তারা বিকৃত মানুষ। বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে সরকারপ্রধান পদ অলংকৃত করছেন নারীরা। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ যে সাফল্য দেখিয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশের জন্যও বিস্ময়। এটি মুদ্রার এক পিঠ যা আলোচ্ছটা ছড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। অন্য পিঠ ঘন অন্ধকারের। বাংলাদেশ নিন্দিত নারী নির্যাতনের দেশ হিসেবে। দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে দিনকে দিন যৌন হয়রানি বেড়েই চলছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি থাকলেও এর কার্যকারিতা কেবল কাগজে-কলমে। শিক্ষাঙ্গনে যৌন হয়রানিতে ছেলে শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষকরাও এখন অভিযুক্ত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্থানীয়ভাবে যৌন হয়রানির মতো ঘটনার মীমাংসা হচ্ছে। কখনো কখনো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর জেলা ও থানা শিক্ষা অফিসে দু-একটি অভিযোগ জমা পড়লেও শিক্ষা কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি থাকার কথা থাকলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এ বিষয়ে আগ্রহ নেই। যৌন হয়রানি বন্ধে বিকৃত মনোভাব সৃষ্টি করে যে মানসিকতা তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। শিক্ষাঙ্গন হোক আর নারীর কর্মক্ষেত্র হোক যৌন হয়রানি রোধে কঠোর হতে হবে। নিজেদের সভ্য সমাজের মানুষ হিসেবে ভাবতে হলে এ বিষয়ে সক্রিয় হওয়ার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর