বাস মালিক ও শ্রমিকরা বছরে প্রায় ১,০৬০ কোটি টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হন। এমন একটি তথ্য উঠে এসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির ‘ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহনব্যবস্থায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরে প্রায় ২৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয় দলীয় পরিচয়ে। রাজনৈতিক সমাবেশ, বিভিন্ন দিবস পালন, টার্মিনালের বাইরে রাস্তায় পার্কিং এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন ও ‘টোকেন বাণিজ্য’র জন্য বাস মালিক ও শ্রমিকরা নিয়মবহির্ভূত চাঁদা ও উৎকোচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ হলো নিবন্ধন ও সনদ গ্রহণ এবং হালনাগাদ বাবদ ঘুষ। গত মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট পাঁচ খাতে ঘুষ ও চাঁদা দিতে হচ্ছে। এ খাতে বিআরটিএতে বাসের নিবন্ধন সনদ ও হালনাগাদে বছরে সর্বোচ্চ ৯০০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেন হয়। এরপর ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশকে মামলা এড়াতে দিতে হয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘুষ ৮৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এরপর দলীয় পরিচয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীনামে সড়কে বছরে অবৈধ চাঁদাবাজি হয় ২৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সড়কে পার্কিংয়ের জন্য পৌরসভা, সিটি করপোরেশন প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক কর্মীর নামে ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ, টার্মিনালে প্রবেশ ও বেরোনোর জন্য মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর চাঁদার পরিমাণ ১২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। বেসরকারি বাণিজ্যিক পরিবহনের রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ ইস্যু ও নবায়নে গড়ে ৪৬ শতাংশের বেশি মালিককে ঘুষ দিতে হয়। মোটরযান সনদ ইস্যু ও নবায়নে বাসপ্রতি ১২ হাজার ২৭২, ফিটনেস সনদ নবায়ন ও ইস্যুতে বাসপ্রতি ৭ হাজার ৬৩৫ এবং রুট পারমিট সনদ নবায়ন ও ইস্যুতে বাসপ্রতি ৫ হাজার ৯৯৯ টাকা ঘুষ দিতে হয়। চাঁদাবাজির কারণে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বাড়িয়ে দেয় পণ্যের দাম। ভোক্তাদের জন্য যা বাড়তি বোঝা হয়ে দেখা দেয়। পরিবহন খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
শিরোনাম
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে
- দিনাজপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারের মাঝে উপকরণ বিতরণ
পরিবহন চাঁদাবাজি
এ নৈরাজ্যের অবসান হওয়া উচিত
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর