নতুন সরকার এলে জনমনে নতুন আশা সঞ্চারিত হয়। সরকারি পদক্ষেপের প্রভাবে দূর হয়ে যাবে পুঞ্জীভূত সব হতাশা-এ রকম ভাবনা কাজ করে। দেশে নতুন সরকার আসীন হয়েছে পাঁচ মাস হলো। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন বলছে, পাঁচ মাসেও আশায় উদ্দীপ্ত হওয়ার মতো খবর তো তৈরি হলোই না, উল্টো উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো নতুন নতুন কান্ড ঘটে চলেছে। শতাধিক পণ্যের ওপর শুল্ক-কর বাড়ানোর পরিণতিতে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। এতে করে সীমিত আয়ের মানুষ সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি, বাজার ব্যবস্থাপনা-এসব কাজে কর্তৃপক্ষীয় সমন্বয়ের অনুপস্থিতির ফল ভোগ করছে জনগণ। সমস্যার দ্রুত প্রতিকার প্রয়োজন। বিগত সরকারের ভ্রষ্টাচারের কাহিনি বর্ণনার পেছনে সময়ক্ষেপণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুঃখবেদনা দূরীকরণের শক্তিশালী প্রয়াস দৃশ্যমান করে তুলতে হবে। নইলে সমস্যা জটিল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা। রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে, নির্বাচিত সরকারের অভাবেই জনজীবনে স্বস্তি আসছে না। বলছে, অনির্বাচিত সরকারকে দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বন্ধ করা যাবে না। এ জন্য দরকার দ্রুত নির্বাচন। আমরা মনে করি, উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই শতাধিক পণ্যের ওপর শুল্ক-কর বাড়ানোর বিষয়টি সুচিন্তিত পদক্ষেপ নয়। জনগণের প্রকৃত প্রয়োজন অনুধাবন করতে হবে। সেই প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরকারকে নিতে হবে কার্যকর ও সদর্থক সিদ্ধান্ত।