স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে এসেও জাতিকে গণতন্ত্রের জন্য হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে। অর্ধশতাব্দীতেও দেশে গণতন্ত্র শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ায়নি। অপশাসন, সেনাশাসন, স্বৈরশাসনে আইন, বিচার, প্রশাসনসহ সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছিল। এখন সেগুলো সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন কমিশন কাজ করছে। প্রশাসনে ‘ওএসডির রেকর্ড’ এরই একটা খণ্ডিত দৃশ্যপট। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা যদি চাকরিবিধি অনুযায়ী কাজ করেন, তার গায়ে রাজনৈতিক তকমা লাগার প্রশ্ন ওঠে না। লোভ-প্রলোভন, ক্ষমতার মোহ বা বিশেষ সুবিধা হাসিলের জন্য যারা দলীয় কর্মীর মতো কাজ করেছেন, তারাই এক-এক সরকারের সময় ওএসডি হয়েছেন। এদের কাউকে দুধে ধোয়া তুলসীপাতা ভাবার কারণ নেই। নব্বইয়ের এরশাদবিরোধী আন্দোলনে প্রথম জনতার মঞ্চে হাজির হন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। তারা পরে পুরস্কৃতও হন। প্রশাসনে চাকরিবিধি ও শৃঙ্খলা ভাঙার কালো অধ্যায় শুরু সেই থেকে। তারপর পর্যায়ক্রমে আসা সরকারগুলো জনগণের সেবকদের দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করে বেশুমার দুর্নীতি-দূরাচার-লুটপাট চালিয়েছে। আর সেসব অপকর্মের দোসর হওয়ার সুযোগ নিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন অনেক ধুরন্ধর কর্মকর্তা-কর্মচারীও। এটা ওপেন সিক্রেট। শেখ হাসিনার শেষ তিন নির্বাচন কারা পরিচালনা করেছেন? তাদের বাছতে গেলে প্রশাসন থাকবে? সে ক্ষেত্রে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবে। এটা তিক্ত হলেও কঠিন বাস্তবতা। এখন বিভিন্ন বিভাগে শুদ্ধি অভিযান চলছে। কতজন ওএসডি হয়ে আছেন, কতজন বঞ্চিত হয়েছেন- এসব গোনার সময় এখন নয়। কারও প্রতি যদি অন্যায়ভাবে বা ভুলে অবিচার হয়ে থাকে- তা সংশোধন করুন। কেউ যদি প্রকৃতই চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে থাকেন, ‘ভুল নয় অপরাধ’ করে থাকেন- তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিয়ে, জনগণের টাকার অপচয় করার কোনো যুক্তি নেই। ওইসব হিসাব চুকিয়ে ফেলুন। দেশে অসংখ্য উচ্চশিক্ষিত, সৎ, আদর্শবান তরুণ আছেন। তাদের দ্রুত প্রশিক্ষিত করে নিয়োগ দিন। এমন জনপ্রশাসন প্রতিষ্ঠা করুন, যেখানে প্রজাতন্ত্রের প্রতিটি কর্মচারী হবেন জনগণের সেবক। তারা কখনো রাজনৈতিক সরকারের দলদাসে পরিণত হবেন না। কারও ওএসডি হওয়ার প্রশ্নও উঠবে না। এমন পেশাদার, সৎ ও আদর্শের প্রশাসনই প্রত্যাশা করে নতুন বাংলাদেশ।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে