দেশের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও শিল্পপতিরা যেন হয়রানি, হেনস্তা, জুলুম, নির্যাতনের অথই পাথারে পড়েছেন। বড় ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে তাদের স্থবির করে রাখা হচ্ছে। কারণে-অকারণে দুদকে তলব করে মর্যাদাহানি নৈমিত্যিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অনেকের ব্যবসা-শিল্পপ্রতিষ্ঠান, এমনকি বাড়িঘরে পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা হামলা চালাচ্ছে। ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। শেয়ারবাজারেও অচলাবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে লাগাতারভাবে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দম বন্ধ অবস্থা পার করছেন জাতীয় অর্থনীতির প্রাণভোমরা শিল্প-বাণিজ্য উদ্যোক্তারা। এখানেই শেষ নয়, কোনো কোনো বড় ব্যবসায়ী-শিল্পপতিকে অবান্তর মতলবী হত্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি এমন ভীতিকর রূপ নিয়েছে যে, ব্যবসায়ীরা তাদের সামনে কোনো আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছেন না। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমাজ, অর্থনীতি, সর্বসাধারণের জীবনযাত্রায়। অনেক শিল্প-কারখানা বন্ধ হওয়ায় বেকারত্ব বেড়েছে। দ্রুত পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে আরও অসংখ্য জনশক্তি কর্মচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে, যা অসংখ্য পরিবারে দুর্বিষহ জীবনের দুর্দশা বয়ে আনবে। এতে সামাজিক অস্থিরতা ও অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কাও সৃষ্টি হবে। সার্বিক বিশৃঙ্খল অবস্থায় অনিবার্যভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে জাতীয় অর্থনীতি। জুলাই গণ আন্দোলনের পর, গত ৯ মাসে এমনিতেই ব্যবসাবাণিজ্যের পরিস্থিতি নাজুক। স্থলপথে বাণিজ্য বন্ধ। যুক্তরাষ্ট্র বর্ধিত শুল্কারোপ করেছে। নানামুখী বৈশ্বিক চাপে শিল্প-বাণিজ্য যখন হুমকির মুখে, এ সময় দেশীয় শিল্পের অনুকূলে রাষ্ট্রের আন্তরিক প্রযত্ন ও সুরক্ষা প্রয়োজন। কিন্তু সরকারের পদক্ষেপ অনেক ক্ষেত্রেই বিপরীতমুখী। বেশ কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসাবাণিজ্যের সুযোগ করে দিয়ে দেশের শিল্পকে আরও ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে। অতীতে যারা ব্যবসার নামে অর্থ পাচার করে অর্থনীতিতে ঘুণ ধরিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া কর্তব্য। কিন্তু লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে যারা দেশে শিল্প বিকাশ ঘটানোর উদ্যোগ নিয়েছেন, অসংখ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন, জাতীয় উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন, রপ্তানির মাধ্যমে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছেন- তাদের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ, অসহযোগিতা ও হয়রানি দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক। গত এক বছরে দেশে বেকার বেড়েছে সোয়া তিন লাখ। বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২৫ শতাংশেরও বেশি। সব মিলে পরিস্থিতি প্রতিকূল। অশনিসংকেত ঝুলছে শিল্প-বাণিজ্য-অর্থনীতির ওপর। এ থেকে উত্তরণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জাতীয় স্বার্থেই অত্যন্ত জরুরি।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
- বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
- নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
- সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
- এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
- ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
- মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
- চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
- শ্রোতাদের জন্য হাবিবের নতুন গান ‘দিলানা’
- কোটি মানুষের একটাই দাবি—ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : মঈন খান
- পঞ্চগড়ে বিএনপির মৌন মিছিল
- ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
- কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
- সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
- চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
- সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু
- মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
- বাফুফের ফুটসাল ট্রায়াল শুরু রবিবার
- গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
ব্যবসায়ীদের হয়রানি
বন্ধ করুন শিল্প-বাণিজ্য-অর্থনীতির স্বার্থে
প্রিন্ট ভার্সন
